প্রতিটা মেয়ে হয়তো ত্যাগী হয় না, কিন্তু প্রতিটা মা সবসময় ত্যাগী, কখনো স্বামী, কখনো সংসারের জন্য, আবার কখনো সন্তানের জন্য…🤶🏻
সবার সাথে আমার জীবনের ছোট্ট একটা গল্প শেয়ার করলাম। এটাও এখন আমার একটি পরিবার-সবাইকে আমার গল্প পড়ার অনুরোধ করলাম ————-
🤶🏻প্রতিটা মেয়ে হয়তো ত্যাগী হয় না,
কিন্তু প্রতিটা মা সবসময় ত্যাগী,
কখনো স্বামী, কখনো সংসারের জন্য,
আবার কখনো সন্তানের জন্য…🤶🏻
জীবনের সকল দুঃখ-আনন্দ একসাথে যাকে বলা যেতো, সে ছিল আমার মা। মায়ের চেয়ে বড় বন্ধু পৃথিবীতে নাই। যারা মা হারিয়েছে তাদের চেয়ে অভাগা আর কে হতে পারে! মাকে হারানোর সেই বেদনা আজো সমান ভাবে বুকের গহীনে বাজে। নিরন্তর সেই বোবা কষ্ট আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। মা হারানোর বেদনা জীবদ্দশায় পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন একটা অধ্যায়। এই বেদনা ঠিক ভাষায় অনুবাদ করা যায় না। শব্দে আটকানো যায় না। মুখে বলাও যায় না, কেমন ব্যথাতুর সেই কষ্ট।
এক দুঃখিনী মায়ের গল্প 😭😢
———————————
এক ছিলো এক পরিবার সেই পরিবারের কোনো সন্তান ছিল না । তার পর অনেক বছর পর সেই পরিবারে জুড়ে এলো এক ফুটফুটে মেয়ে সন্তান আর শুরু হলো অনেক আদর যত্নে মেয়েটির বেড়ে উঠা, একই ভাবে দিন যেতে যেতে একদিন মেয়েটি ১২ বৎসরে পা দিলো। আর সেই সাথে মেয়েটি পরিবারের চিন্তা আর শেষ হলো না, মনের মাঝে ভয় যদি মেয়টি মরে যায় আর সে ভয় থেকে সেই পরিবারে গুরূ জনরা সিদ্ধান্ত নিলো, মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দিবে, মেয়েটি অন্য একটি পরিবারে চলে গেলে,তখন মেয়েটি মরবে না। তাই হলো মেয়েটিকে একদিন বিয়ে দিয়ে দিলো একটি ভালো পরিবার দেখে, মেয়েটি তখন বুজতানা বিয়ে কি? বিয়ের দিন কলাগাছ দিয়ে গেইট বানালো আর নতুন বর এর জন্য স্টেজ বানালো আর তখন বান্ধবিদের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই গেইটের পাশে আর বান্ধবিদের বলছে এই দেখ বর বসে আছে। কিন্ত তখনও বুজতনা মেয়েটির বিয়ে মেয়েটি ছিলো সহজ-সরল মন শান্ত এবং খুবই সুন্দরী।
যাক বিয়েতো শেষ চলে গেলো বরের সাথে, আর তখন থেকে শুরু হলো মেয়েটির আরেক জীবনে । আর সেই মেয়েটির এলো একটা মেয়ে বেবি , অনেক অসুস্থ হয়ে গেলো মেয়েটি, ছোট 7মাসের বেবি টাও অসুস্থ হয়ে গেলো দুজনেই হাস্পাতালে কিছু দিন পর সুস্থ হয়ে পেরে এলো মা আর মেয়ে । বাবার বাডিতে থাকলো কিছু দিন, বেবি টা একটু বড় হলো বেবিকে নিয়ে ফিরে এলো নিজের সংসারে।
আবার অনেক দিন পর হলো 2য় বেবী তার পর 3য় 4র্থ তার পর ৫ম কারন মেয়েটি সন্তান বুজতো না, তাই তাড়াতাড়ি পাঁচটা সন্তান হয়ে গেলো। মেয়েটির স্বামী চাকুরী করতেন সরকারি কর্মকর্তা অফিসার রেংক ছিলো, স্বামীর ছিলো বদঅভ্যাস বেতন পেয়ে চলে যেতেন কার্ড খেলতে যতক্ষন না টাকা শেষ হচ্ছে খেলতেই থাকতেন, কোন চিন্তা ছিলো না, দিন না রাত খেলার পিচনে লেগে থাকতেন। বউ বাচ্চার কথাও মনে রাখতো না।
মা বাচ্চাগুলোকে নিয়ে দিন রাত কতই না কাজ করে বাচ্চাদের সব কিচুই মেন্যাজ করে নিতো-যেমন খাওয়া জামা কাপড় পড়া-লেখা সব কিছুই এই মা চালিয়ে গেল ।নিয়ম মাফিক সব কিছুর সাহায্য পেতেন বাবার বাড়ি থেকে মাঝে মাঝে নানা এসে এ টু জেট সবই কিনে দিতেন যেন মেয়েটির কনো কষ্ট না হয় মেয়েটি স্বামীকে বুঝালেও সে বুঝত না খেলা চাড়া জীবনে আর কিছুই নেই।
কিন্ত মেয়েটি হাল ছাড়লো না পাঁচটি সন্তানকে পাড়া-লেখা চালিয়ে গেলেন নিজে না খেয়ে না পরে বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে এলো।
সন্তানরা বড় হলো তাদের বিয়ে হোলো পাঁচ সন্তানদের থেকে দুই সন্তানের সুখ হলো না সেই আরেক গল্প——— পাঁচ সন্তানের মধ্যে ৩ সন্তান মেয়ে দুইটা ছেলে, বড় মেয়ে ঢাকা,বড় ছেলে চট্রগ্রাম, ৩ মেয়ে কুয়েত 4থ মেয়ে লন্ডন ৫ম ছেলে অস্ট্রেলিয়া আলহামদুলিল্লাহ , কিন্তু সেই জীবন যোদ্ধা মায়ের একদিন মৃত্যু হলো তার ৪/৫ মাস পর স্বামী টা মারা গেলো।😢😢😢😢
কিন্ত পাঁচটি ভাই বোন সবাই সবার সংসার নিয়ে এগিয়ে যাচ্চে সমাজের রিতি নিতিতে , কিন্ত মায়ের কস্টের দিন গুলো চোখে ভেসে থাকে স্মৃতি হয়ে। সারা রাত সেলাই করতো লাকডি কাটত কুঠাল দিয়ে, বাবার অফিসের লেবার দিয়ে রেশনের মাল নিয়ে আসতো, আমরা সবাই ছিলাম ছোট আমার মা ঘরের সব কিছুই সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতো। এই জন্য কেউ বুজতই না আমাদের এতো কষ্ট , নানা মাকে একটা সেলাই মেশিন কিনে দেয় আর লেবার দিয়ে রেললাইনের সব কাট দিয়ে সবই বানিয়েছেন। আসলে আমরা বুজতেই পারিনি আমার মা আমাদের নিয়ে এতো কষ্ট করেছেন কিন্ত মা তো নেই, সত্যি বলতে কি আমাদের সবার মাঝে মায়ের স্মৃতি লুকিয়ে আছে মায়ের মমতা ভালোবাসা মাকে আর খুজে পাই না কোথাও!
😭😭😭😭😭
মা রেখে গেলো আমাদের এই পৃথিবীর বুকে। মাকে খুজে বেড়াই প্রতিটা মুহূর্তে কিন্তু কোথাও খুজে পাই না আমাদের মাকে🤶🏻আমার বুকের মধ্যে লুকিয়ে আছে আমার মা আর কান্নায় বুক পেটে যায় কাউকে বুঝনো যায় না, তবে আমার মা সার্থক মা, গর্বিত মা সেলুট আমার মা । কয়জনের ভাগ্যে জুটে পাঁচ সন্তানকে বি এ পর্যন্ত পড়া-লেখা করিয়ে বিয়ে পর্যন্ত সমাপ্ত করতে, এত কষ্ট নিজে পেয়েছে হাল ছাড়েনি কখনো জয় হয়েছে আমার মায়ের।
আজ মনে হয় চিৎকার করে বলি মা........... তোমাকে অনেক ভালবাসি। মনে মনে ডাকি,চারদিকে খুঁজি কিন্তু আমার মাকে আর পাই না । বুক ভরা কান্না নিয়ে চলছে জীবনতরী, বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে পাড়ি দিচ্ছি এ জীবন সংসার । সবাই দোয়া করবেন আমার দুখিনী মায়ের জন্য..........🤲🏻🤲🏻🤲🏻
আমার কুয়েত আসা আমার হাসবেন্ট অফিস থেকে ফ্যামিলি ভিসা পায় অতপর আমার কুয়েত আসা। আমার স্বামী কুয়েতে ২৫/২৬ বৎসর থাকে আমার ১৭ বৎসর হলো। কুয়েতে আমার একটি মেয়ে নাফিসা এক ছেলে নাম শাফিল, পড়া শোনা ছেলে ১২ ক্লাস মেয়ে ১১ ক্লাস (নিউ) আমার স্বামী একোরিয়াম ইঞ্জিনিয়ার দি সাইন্টিফিক সেন্টার সাল্মিয়া "
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের খোঁজ পেলাম কিভাবে? আমার পাশের বাসার এক ভাই ছিলো রিপন নাম এই গ্রুপের সদস্য, প্রায় সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে শুনতাম, স্যারের সেশনগুলোর কথা, কুয়েত টিমের কথা, নারী উদ্যাক্তাদের কথা, যারা কারণে নিজের ভিতর একটি কৌতূহল তৈরি হলো। মহামারি করোনায় কুয়েতসহ সারা পৃথিবী নিরব-নিস্তব্ধ চারদিকে লকডাউন-কারফিউ। কোথাও যেতে পারতাম না তাই বসে বসে প্রিয় ভাইয়ের সাথে NRB Kuwait গ্রুপের আলোচনা শুনতাম অনেক ভালোলাগতো আর রিপন আমি ভাই কে বললাম আমিও এ ফাউন্ডেশনে এড হতে চাই। আর তখনি প্রিয় ভাইয়ের সহযোগিতায় আমি রিজেস্ট্রেশন কমপ্লিট,এবং সময় দিতে থাকি। প্রতিদিন প্রিয় স্যারের সেশনগুলো ফলো করি,সবাইকে লাইক-কমেন্ট করে এক্টিভ থাকার চেষ্টা করি।
আমি গর্বিত প্রিয় ফাউন্ডেশনের একজন ছাত্রী হতে পেরে। নতুন করে আবার নিজের সাজানোর স্বপ্ন দেখছি প্রিয় স্যারের শিক্ষা থেকে। স্যারের শিক্ষা থেকে আমি জানতে পারছি - আমি নারী,আমি সবকিছু করতে পারি।
আমি গর্বিত “এনআরবি কুয়েত টিমের”একজন সদস্য হতে পেরে। কুয়েত টিমে যুক্ত হওয়ার পর আমি জানতে পারি আমিই একমাত্র নারী সদস্য কুয়েত টিমে। তখন আমার আনন্দ আরো হাজারগুনে বেড়ে গেলো-সবাই আমাকে বড় বোন হিসেবে আপন করে নিল। সত্যি আমি মুগ্ধ।
এখন আমার মনে হয় NRB কুয়েত আমার একটি হাত আর সেই হাত অনেক লম্বা আমার অনেক দিনের পরিচিত অনেক আপন শক্তি আমার পাশে সবাই থাকবে চিরকাল। আমাদের স্যার বলেন কেউ বৃষ্টিতে ভিজে আর কেউ ভিজে না কিন্তা আমি বলি সেই বৃষ্টিতে ভিজবো NRB কুয়েত পরিবার সবাই একসাথে এবং ইনশাআল্লাহ অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবো সবাই মিলেমিশে ।।
সবাই ভাল থাকবেন-নিরাপদ থাকবেন।
আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং দোয়া করবেন সবাই আমার জন্য বিদায় নিলাম-খোদা হাফেজ ।।।।।।।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৫৮
Date:- ২৫/০৬/২০২১
young Entrepreneurs.
নিজের বলার মত একটা 'গল্প' ফাউন্ডেশন "
পরিচিতি - ফরিদা ইয়াছ মিন
জেলা ; ফেনী
থানা ; ফুলগাজী
ব্যাচ ; ১৩
রেজী; ৬০৭৪৭
ব্লাড ;A+
বর্তমান ; কুয়েত
কর্মস্থান ; শিক্ষা মন্ত্রণালয় কুয়েত
পেইজ:NFS HUOSE ,