কিছু কিছু মানুষের কপালে জন্মের আগেই দুঃখ লেখা থাকে
আমার বাল্যকাল ______
কিছু কিছু মানুষের কপালে জন্মের আগেই দুঃখ লেখা থাকে,জন্মের পরে প্রত্যেক সন্তান বাবা মার ঘরে হাসিখুশিতে বড় হয়,,সুখ স্বাচ্ছন্দ বুকে নিয়ে বেড়ে ওঠে,কিন্তু সেই সুখ সবার ভাগ্যে জোটে না,অনেকের ভাগ্যে জন্মের পরে শুধু দুঃখ লেখা থাকে,,আমার জন্ম হয় অনেক গরীব ঘরে
আমার বাবার আর্থিক অবস্থা অনেক খারাপ ছিলো,মায়ের মুখে শুনেছে জীবনের অনেক কষ্টের অনেক দুঃখের কাহিনী,,মায়ের চোখে দেখেছি অনেক লোনাজল,,দেখেছে মায়ের ক্ষুধার্ত পেটের হা,হা,কার,,মায়ের মুখে শুনেছি আমার জন্মের ৩মাস পরে বাবা আমাকে এবং মাকে সাথে করে নিয়ে ঢাকা চলে আসে । ঢাকা এসে ইট ভাংগার কাজ করে। ঢাকাতে খুব কস্ট করে সংসার চালাতো। সংসারে অভাব অনটনে নুন আনতে পান্তা ফুরায়,,আমার মা-বাবা পেট ভরে খেতে হবেতো না,,আমার সুখের কথা ভেবে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক ত্যাগ করেছেন তারা,এভাবেই অভাব অনাটনে বেড়ে ওঠা আমার,যখন একটু বড় হলাম, আমার স্কুলের যাওয়ার বয়স হলো,আমার বাবা অনেক কষ্ট করে,তার রক্ত আর ঘাম ঝরানো টাকা দিয়ে আমাকে স্কুলে ভর্তি করে দিল, ঢাকা বনানী মডেল স্কুলে,, আমি যখন ৩য় শ্রেণীতে পড়ি তখনআমি একটু একটু বুঝতে শিখেছি।____
কিছু স্মৃতির কথা _____
আমার বাবা মা তেমন বেশি শিক্ষিত ছিলনা,আগের দিনের মানুষ অলসতা করে স্কুলে যেত না,,অলসতার কারণে বাবা-মা দুজনেই লেখাপড়া শিখতে পারেনি সেই সাথে সংসারে অভাব তো ছিলই,আমার মা অনেক গরীব ঘরের সন্তান ছিলেন নানুর হয়তো ক্ষমতা ছিলনা সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করা,আমার দাদুর একই অবস্থা,সাইবাবা ও শিক্ষার আলো পাইনি,আমাকে বাবা-মা একটা বাসায় পড়া শিখতে পাঠাতো,আমার বাবা সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতো,বাসায় এসে অনেক ক্লান্ত থাকত,,
বাবার মুখটা সব সময় ক্লান্তির ছাপ আটকে থাকতো,,তাই বাবাকেও আর আমি লেখাপড়ার জন্য ডিস্টার্ব করতাম না,পড়ার জন্য একটা বাসায় যেতাম পড়ার জন্য,তারা আমাকে পড়াবার আগে তাদের বাসায় কাজ করাতো __যেমন ঘড় ঝাড়ু দেওয়া -ঘর মোছা- হাড়ি- পাতিল ধোয়া - আরও আনেক কিছু,আমার মাকে এসব কথা বলতাম না,কারণ বললে আমার মা কষ্ট পাবে, তখন আমার মা শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ ছিল,সন্তান সম্ভবা,কিছুদিন পরে আমাদের সংসারে নতুন একজন অতিথি আসে,
আমার মায়ের কোল জুড়ে ফুটফুটে আমার ছোট বোন চলে আসেন,আমার মত আমার বোনও ভাগ্য নিয়ে জন্ম নেন, সংসারে আরও অভাব অনটন বেড়ে যায়। পড়ার ফাকে একটা বাসায় কাজ নিলাম। তারা আমাকে পড়াবে খাওয়াবে এবং বিকালে স্কুলে যেতে দিবে এবং মাসে১৫০ টাকা দিবে,এভাবেই চলে গেল দুটি বছর।____
বেদনা ভরা কিছু মুহূর্ত ______
আমি যখন ৫-ম শ্রেনিতে উঠলাম তখন স্কুলের খরচ বই-খাতা কেনাকাটা আমার বাবার পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠলো,অভাবের সংসারে কিন্তু আমার লেখাপড়ার খরচ বাবার পক্ষে এতো খরচ চালানো সম্ভব ছিলোনা তখন আমার মা গ্রামের বাড়িতে চলে আসলো আমার ছোট বোনকে নিয়ে আমি আর বাবা রয়ে গেলাম ঢাকা কিছুদিন পরে আমাদের পরিবারে আরও একজন অতিথি এলো ছোট ভাই । মাঝে মাঝে বাবার সাথে বাড়ি যেতাম।মা ভাই বোনের সাথে দেখা করতে,যখন বাড়িতে যেতাম কষ্টে আমার বুকটা ভরে যেত,,আবার একটি কথায় মনে পড়তো,,সবার হয়তো মনে আছে ছোট বেলা একটা কবিতা পড়ছিলাম।____
___আসমানিদের দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
___রহিমুদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও,
___বাড়িতে নাই পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি
___একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি
___একটুখানি হাওয়া হলে ঘর নড়বড় করে,
___তারি তলে আসমানিরা থাকে বছর ধরে
___পেটটি ভরে পায় না খেতে বুকের ক-খান হাড় __সাক্ষী দিচ্ছে অনাহারে কদিন গেছে তার।_____
ঘরের মাঝে চাঁদের আলো____
আমার বাবা মা বসবাস করার ছোট্ট কুটির,সূর্য ওঠার সাথে সাথে তার আলো দেখা যেত শুয়ে শুয়ে, বৃষ্টি হলে ঝব ঝব করে বাহিরে পানি পড়ার আগে ঘরের ভিতরে পানি পড়তো,কত সময় কেটে গেছে , বৃষ্টি এলে আমার মা আমাদের ভাই-বোনকে চৌকির নিচে বসিয়ে রাখতে হয় যাতে আমাদের মাথায় বৃষ্টির পানি না পরে,,আমার বাবার ক্ষমতা ছিলনা টিন কিনে ঘরের সাইনি দেওয়ার,রোদ-বৃষ্টির শীত-গরম একইভাবে অনুভব করতে হতো আমাদেরকে কাল বৈশাখে রাতের বেলায় বয়ে আমার মা সারারাত ঘুমাতে না আমাদেরকে নিয়ে জেগে থাকতো থাকতাম,আমরাও ভয়ে থরথর করে কাঁপতাম কখন জানি ঘর ভেঙে আমাদের মাথায় পড়ে,অতীতের কষ্টের কথা মনে পড়লে,এখনও চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না,,
এত অভাব এরও মাঝে হারানোর যন্ত্রণা ____
যে হারায় সে জানে কত দামি জিনিস হারিয়েছে,আমার বাবা এত কষ্ট করত তার ঘাম রক্ত খেয়ে আমরা বড় হয়েছি,,নিজের মুখের খাবার টা আমাদের,মুখে তুলে দিয়েছে,বাবা-মা দুজনই পানি খেয়ে দিন রাত পার করেছে,এর মাঝে আরও বেদনার কান্না হটাৎ একদিন শুনতে পেলাম আমার আদরের ছোট বোনটার আর নেই ,পুষ্টিকর খাবারের অভাবে আমার বোনটা দিনদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে,,চিকিৎসাহীন ভাবেই আমার বোনটা দুকেদুকে মারা যায়,,আমরা কষ্ট পাবো বলে মা সে খবরটা আমাকে বাবাকে দেয়নি,মারা যাওয়ার ১০ দিন পরে লোক মারফতে খবরটা পেলাম,,বেদনাসিক্ত অশ্রুসিক্ত তা নিয়ে বাবা আর আমি বাড়ি গেলাম,আমার মা বোনের জন্য সারাদিনই মুখ লুকিয়ে বোনেরকথা স্মরণ করে কান্না করত,
মায়ের কোল খালি করে বোন চলে যাওয়ার পর আমার মা-ও উদোষী হয়ে গেলেন,, সিদ্ধান্ত নিলাম আমি আর আব্বা বাড়ীতেই থাকবো মা এর পাশাপাশি,,হয়তো সংসারে আরো খারাপ দিন চলে আসবে,কিছুই করার নেই,,আমার মমতাময়ী মায়ের জন্য,মার মুখে একটুখানি হাসি ফোটানোর জন্য,, অভাব-অনটন সময় জীবন থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য লেখাপড়ার ফাকে গ্রামের অনেক কাজ শিখে নিলাম মাটিকাটা থেকে শুরু করে মাছধরা পর্যন্ত,,..
পরিশ্রম ছাড়া কেউ বড় হতে পারে না ____
গরীবের ঘরে জন্ম নিলে কত যে কষ্ট করতে হয় যারা গরীব ঘরে জন্ম নিয়েছে তারাই জানে,,,আলো অর্জন করার জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি,,লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হতে চেয়েছি,,বাবা মার স্বপ্ন লক্ষে নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি,আমাদের গ্রাম থেকে ৬কিলোমিটার দুরে হাই স্কুল হেটে হেটে যাওয়া আসা করতে হতো কতো রোদ বৃষ্টি ঝড় থেমে নেই পথে চলা,,,,যখন এসএসসি পরীক্ষা দিব....লাভ করার মত আমার বাবার কাছে কোন টাকা পয়সা ছিল নাআমি ভেবেছিলাম আমার পরীক্ষা দেওয়া হবে না,,কেঁদেছিলাম অনেক বেশি হয়তোবা হেরে গেছি এটা ভেবে,,কান্না দেখে আমার স্কুলের সহপাঠী ভাই ও বোনেরা,,আমার আমাদের গ্রামের সবার কাছ থেকে কিছু কিছু সাহায্য নিয়ে আমার ফরম ফিলাপ করানো হয়........আমার স্কুলের সহপাঠী ভাই বোনদের জন্য সম্ভব হয়েছে আমার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া,.....আমি তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ,, আমার সেই সহপাঠীদের আজও ভুলতে পারিনা.....একদিন হয়তো শোধ করতে পারব না, তাদের জন্যই আমি জীবনের একটা লক্ষ্য খুজে পেয়েছি, তাই যত দূরেই থাকি না কেন, তাদেরকে খুব ভালোবাসি .......যাই হোক এস,এস,সি,তে ফার্স্ট ডিভিশন পেয়ে উত্তীর্ণ হলাম অবশ্য আমাদের গ্রামের 10 জন পরীক্ষা দিয়েছে তারমধ্যে আমি প্রথম। সেদিন রেজাল্টের কথা শুনে,আমার বাবা-মা আমার গলা জড়িয়ে অনেক কেঁদেছিল,আর বলেছিল অনেক বড় হও বাবা,,তোমার মত ছেলে জন্ম দিয়ে আমরা গর্ববোধ করি,,এত কষ্টের মাঝে থেকেও তুমি নিজেকে,,শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে পেরেছ,,
এবার কলেজে ভর্তি হওয়ার পালা। ___
দুচোখ ভরা অনেক স্বপ্ন ছিল,অনেক আশা করেছিলাম, ভালো একটা কলেজে ভর্তি হব, কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমার আর ভাল কলেজে ভর্তি হওয়া হলো না,,যেখানে বাবার ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরায়,,,ছেঁড়া কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখে,,আফিছের ঘরের চাল দিয়ে সারা দিন বৃষ্টির পানি পড়ে,,,এমন একটি পরিবারের লোকদের স্বপ্ন দেখাও ভুল.......তখন আমাদের বর্তমান এমপি সাহেবের একটি কলেজ জুরানপুর আদর্শ ডিগ্রী কলেজ এখানে ভর্তি হতে গিয়েছিলাম কিন্তু ভর্তির অনেক টাকা লাগে ভাই আমার দূর সম্পর্কের এক মামাকে দিয়ে ভর্তি হলাম,, মামার সাথে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাই আমাকে ফ্রি ভর্তি করানো হলো,, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হল ব্যাপারটা কি আসলে জানেন আমাদের গ্রাম থেকে কলেজ ছয় মাইল দূরে হেঁটে যেতে হয় কলেজের একটা বৈশিষ্ট্য প্রতিদিন ক্লাস করতে হয়। বর্ষার সময় টলার ছাড়া কোন উপায় নাই। কলেজে ভর্তি হয়ে আমাদের পাশের বাড়ির একজনের ঘর লজিং ছিলাম প্রতিদিন হয়তো কলেজে যেতে পারতাম না সপ্তাহে দুদিন বাড়িতে থাকতাম টুকটাক কাজকর্ম করতাম তাদের নিজের খরচা চলতো । এভাবে এইচ,এস,সি পাস করলাম,। ভাবলাম শহর কোন ভালো কলেজের এডমিন নিব , তাই চলে গেলাম নারায়ণগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জ তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় এডমিট নিলাম এবং ক্লাস করতে শুরু করলাম।
কাজের সন্ধানে _______
হঠাৎ আমার এক পরিচিত লোক সে একটা ফ্যাক্টরি তে চাকরি করে ভালো বেতন পায় আমাকে বলল পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে এখানে কাজ করো ভালো বেতন পাবে আমিও লোভে পড়ে কাজে যোগ দিলাম,,ভালো একটা ফ্যাক্টরি এক নামে সবাই চেনে প্যাসিফিক সোয়েটার। হয়তো কাজ করতে করতে পড়ালেখার কথা ভুলেই গেলাম মাসে গেলে অনেক ভালো বেতন পাই।কর্মজীবন অপারেটরের কাজ করতাম সবাই আমাকে ভালো জানতো কাজের অভিজ্ঞতা আচার-আচরণ দেখে আমাকে অন্য ফ্যাক্টরিতে সুপার ভাইজার হিসাবে নিয়ে গেল। তবে আমার ভাগ্যটা এত ভাল ছিল যেখানে যেতাম সম্মান পেতাম। একসময় সুপারভাইজার থেকে ইনচার্জ। ইনচার্জ থেকে প্রোডাকশন ম্যানেজার এবং জিএম পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম মোটা অংকের স্যালারি। প্রতিমাসে 35000 টাকা স্যালারী ভাবতেও অবাক লাগে তখন আমার মনে লোভ আসে আমি নিজে কিছু করব।.......
আমি যখন উদ্যোক্তা______
আমরা 5 জন মিলে একটি ফ্যাক্টরি চালু করলাম। 35 লক্ষ টাকা খরচা করে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা স্টেডিয়াম এর সাথে একটা ফ্লোর নিলাম প্রতিমাসে ত্রিশ হাজার টাকা ভাড়া তারপর ফ্যাক্টরি চালু হলো। এক বছর মোটামুটি ভালো চলল তখন আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আমি কোথা থেকে এসেছি??? আমি কে??? আমি কি ছিলাম?? এ কথাটা কখনো কল্পনাও করি নাই নিজেকে অনেক বড় মনে করতাম। এক বছর পর দেশের রাজনৈতিক অবস্থা খারাপ হয় ব্যবসায় ধ্বস নামে এক মাস যদি কাজ না থাকে 2 লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়।তখন হঠাৎ বাংলাদেশ জ্যাকার্ড মেশিন আছে আমাদের ম্যানুয়াল মেশিনের চাহিদা কমে যায় এবং মজুরির মূল্য অনেক কমে যাবে এত দামের মেশিন শেষ পর্যন্ত প্রতি কেজি 20 টাকা করে বিক্রি করতে হয়েছে। সর্বমোট 40 লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করে মাত্র 1 লক্ষ 30 হাজার টাকা বিক্রি করি বাকি সম্পূর্ণ টাকা নাই ভর্তুকি দিতে হয়।
কঠিন __পরিস্থিতির __মাঝে নিজের__ জীবনের ___চরম_ শিক্ষা _______
তখন এমন একটা সময় আছে আমার ঘরে বাজার করার মত টাকাও ছিল না এত কষ্টের মাঝেও বেঁচে আছি ভুলে গেছি আমার স্ত্রীর কথা আসলে বর্তমানে এমন স্ত্রী পাওয়ার খুবই কঠিন ব্যাপার তার কোনো চাহিদা নাই। সাহস দিতোআমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো এতো বড় ঝুকি নেওয়া। পর্যাপ্ত মার্কেট না থাকা হঠাৎ করে বড় হওয়ার চিন্তা ভাবনা মাথায় ঢোকা নিজেকে বড় একটা কোম্পানির সি ই ও পরিচয় দেওয়া। এখন আমার সবগুলো ভুল চোখের সামনে ভাসে।আমার উচিৎ ছিল সময় দিনকাল বিবেচনা করা । বাজার ভালোভাবে মনিটরিং করা।কোম্পানি তবে নিজের পরিচয় না দেওয়া ভাবা উচিত ছিলো আমিও একজন সাধারন মানুষ তাই পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবি ওনা........
_____গরীব_হয়ে_জন্ম_গ্রহণ_করাটা দোষের_নয়_কিন্তু_গরীব_থেকেই_মৃত্যুবরণ_
করাটা __দোষের।______
কিন্তু এ বড় কষ্টকর! জীবনের কাছে মার খেতে খেতেই শেষ হয়ে যাবার জন্যেই আমাদের এই পৃথিবীতে আসা নয়। দুনিয়াটা বড় আনন্দময়, একটু চিন্তা করলেই আমাদের জীবনটাকে সহজ সাবলীল ভাবে কাটিয়েদিতে পারি। আর কিভাবে জীবনকে দুনিয়ার আনন্দ উপভোগ করা যায় সেই শিক্ষা দিচ্ছেন নিজের বলার মত একটা গল্প গ্রুপ ফাউন্ডেশন।জীবনের স্বীকৃত আনন্দ সুখ শান্তি অস্তিত্বের যথাযথ প্রতিষ্ঠাএসব মানুষের মৌলিক অধিকার। এসব চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে কোন দ্বিমত বা দোষের কিছু নেই।ব্যর্থতার চরম দুর্বিষহ যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে ধুকেধুকে যাতে কারো মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে না হয় সেই জন্যই প্রাণপ্রিয় মেন্টর বলেন---------
স্বপ্ন দেখুন
সাহস করুন
শুরু করুন
লেগে থাকুন
প্রিয় স্যার শুধু এই স্লোগান দিয়েই ক্ষান্ত হননি, তিনি প্রতিনিয়ত শিক্ষা দিচ্ছেন কিভাবে স্বপ্ন দেখতে হবে এবং কিভাবে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে কিভাবে একজন ভালো মানুষ হয়ে মৌলিক অধিকারের পরম স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন সেই শিক্ষাই দিয়ে যাচ্ছেন বিরামহীনভাবে।প্রিয়া মেন্টর আরো বলেন-----সব স্বপ্ন হয়তো সফল হবেনা কিন্তু তাই বলে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করা যাবে না। প্রয়োজনে নতুন নতুন স্বপ্ন দেখতে হবে।
💕💕আমি এই গুরুপে পদার্পণ করি সোহেল আরমান সোহেল এর হাত ধরে তিনি আমাকে নতুন করে স্বপন দেখিয়েছেন। সে বলেন ভাই আপনি আবার চেষ্টা করেন ইনশাআল্লাহ সফল হবেন। তাই আমি আবার চেষ্টা করার স্বরপথ নিয়েছি।💞💞💞ধন্যবাদ সোহেল আরমান সোহেল ভাইকে💕💕💕💕
জীবনে__ প্রতিষ্ঠিত__ হতে হলে __বিনয়ী__ খুব প্রয়োজন।_____
এই পৃথিবীতে যে ব্যাক্তি যত বেশি বিনয়ী হবেন তিনি ততবেশি তার লক্ষে এগিয়ে যাবেন। সবার কথা বাদই দিলাম শুধু আমাদের ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের কথাই ধরুন। আজ তিনি যদি বিনয়ী না হতেন তাহলে কখনই আমাদের মাঝে হয়তো নিজের বলার মত একটা গল্প প্ল্যাটফর্ম আমরা কল্পনাও করতে পারতাম না। কারন বিনয় মানুষকে নত হতে শেখায়, ধৈর্য্য ধরতে শেখায়, দুর্গম পথকে উপেক্ষা করে উদ্দাম বেগে এগিয়ে যেতে সাহস সঞ্চার করায়। আর আমাদের প্রিয় স্যার একজন অভিভাবকের মতো করে সেই নিজেকে উজার আমাদেরকে প্রতিনিয়ত শিখিয়ে যাচ্ছে কিভাবে আমার,স্বাবলম্বী হব মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে,,কিভাবে আমরা নিজেরা নিজেদের পরিচয় বুক ফুলিয়ে দিব,, করে তার কষ্ট, সেই কষ্টে নির্গত ঘামের বদৌলতে আজ আমরা এই মহা জনসমষ্টিকে একটি সুতোয় গেথে আছে বলে দেখতে পাচ্ছি। তাই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হজীবনে বিনয় লে, একজন মানুষ হিসেবে তার কাঙ্ক্ষিত সম্মান প্রাপ্তিতে এগিয়ে নিতে বিনয়ী হবার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
🌺🌺🌺💛💛💛🌺🌺🌺💜💜💜
_নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশান _
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৫৯
Date:- ২৬/০৬/২০২১
__আমি -মিজি মোঃ কামাল
NRB কমিউনিটি ভলেনটিয়ার ( নিজেরা বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন)
___ব্যাচ- নং ১৩
__রেজিস্ট্রেশন -নং ৫৩৫৮৩
___উপজেলা - দাউদকান্দি
___জেলা - কুমিল্লা
__ব্লাড গ্রুপ_ বি পজেটিভ
___বর্তমানে_মালয়শিয়া প্রবাসী