যতই নিষ্ঠুর হউক বা যতই কষ্ট হোক তা সয়ে নিতে হয়।
👍জীবনের বাস্তবতার বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যতই নিষ্ঠুর হউক বা যতই কষ্ট হোক তা সয়ে নিতে হয়। মেনে নিতে হয় জীবনের প্রয়োজনেই।
জীবনে কষ্ট আসলে মানসিক ভাবে যতটুকু ভেঙ্গে পড়বে জীবন তার দিগুণ পিছিয়ে যাবে।
জীবনের বাস্তবতা যারা মেনে নেয় তারা জীবনের আনন্দগুলো উপভোগ করে,,,জীবনকে উপভোগ করে।
👍কষ্ট ও দুঃখগুলো থেকে তারা শিক্ষা নেয়।
একমাত্র আপনিই আপনার জীবনকে পরিবর্তন করতে পারেন।
👍আপনার চিন্তাধারার সাথে অন্য মানুষের চিন্তা _ধারা এক নাও হতে পারে।
👍খারাপ সময়ের অন্ধকার মাঝে মাঝে আমাদের জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল মহত্ত্বে দরজা খুলে দেয়।।।।
👍আপনি একা যে সপ্ন দেখেন তা কেবল একটি সপ্ন। এবং যে সপ্নটি আপনি সবার সাথে দেখেন তা বাস্তবতা।।।।
🤦♀️🤦♀️🤦♀️🤦♀আমার জীবনের কিছু বাস্তবতা তুলে ধরলাম,,,, আপনাদেরকে ধৈর্য সহকারে পড়ার অনুরোধ করছি,,,,,,,,
2015 সাল যখন দাখিল পরীক্ষায় পাশ করলাম পাশ করার পর আমি চলে যাই ফেনীতে একটা মসজিদে চাকরি পাই চাকরির পাশাপাশি ফাজিলফুর ওয়ালীয়া ফাজিল মাদ্রাসায় পড়তে থাকি
⭐সেখানে এই চাকরীর পাশাপাশি পড়ালেখার পাশা পাশি আমি ফেনী একটা কিন্ডারগার্টেনে চাকরি নেই ওখানেই আট মাস চাকরি করি পাশাপাশি পড়ালেখায় চালিয়ে জেতে থাকি মসজিদ তো আছেই এরই মধ্যে আমার মাথায় সবসময় কাজ করে আমি ব্যবসায়ী হব ব্যবসা করব আমি ব্যবসা করতে চাই কিন্তু আমি যখন ব্যবসা কথা বলি ফ্যামিলি ভাই-বোন কেউ আমাকে টাকা দেয়না
🥲 আমি এরপরে 2017 সালে যখন আমি বিয়ে করে ফেলি বিয়ে করার পর একটা কোম্পানির ডিলারশিপ নেওয়ার জন্য চেয়েছিলাম কিন্তু কেউ আমাকে টাকা দেইনি না দেওয়াতে বিদেশে আসার সেষ্ট করতে থাকি সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা খরচ করে সৌদি আরব আসতে হয়
আমি এখানে প্রথমে একটা দোকানে চাকরি নিয়ে ফ্রি ভিসায় আসি পরে মরুভূমির মাঝে কাজ করার পর সেখান থেকে আমি আরেকটা মসজিদে চাকরির একটা সন্ধান পাই তখন আমি শহরে চলে আসি শহরে এসে মসজিদের কাজ করতে থাকি পাশাপাশি বিকেলবেলা ঘোরাঘুরি করি কাজের জন্য এদিক-সেদিক বলি কোন কাজ পাচ্ছিনা
এই দিকে বাবা অসুস্থ হয়ে গেছেন বাবা অসুস্থ হয়ে যাওয়াতে আমার উপর আরো চাফ বেড়ে গেলো তিনি একটা দোকান করতেন এখন আর পারতেছে না পুরা ফ্যামিলি তখন আমার উপরে ভর করে আছে যত টাকা পাইতাম চেষ্টা করতাম তাদেরকে দেয়ার জন্য এভাবে করতে থাকি
এর ফাঁকে আমি একটা লন্ডি দোকান শুরু করি শুরু করার পরে আমার অভিজ্ঞতা না থাকার কারণেই ইন্ডিয়ানের ধোকায় পড়ে যায় সেই এক মাসে প্রায় বাংলা ৮০ হাজার টাকা লস দিয়ে থাকি এরপর আমি দেখতে পাই এখানে থেকে আমার কোনো লাভ হবে না সাথে সাথে ঐ কাজটা ছেড়ে দেই
কিন্তু আমি বিজনেস করবো এটা নিয়ে আমার সারাক্ষণ টেনশান আমি অন্যের চাকরি করতে পছন্দ করি না বাট আমাকে করতে হচ্ছে আমি বিজনেস করার জন্য এমন কোনো একটা ওয়ে পাচ্ছিনা আমার তেমন কোনো কাজও জানা নেই বাংলাদেশে থাকতে একটু ইলেক্ট্রিকের কাজ শিখেছি
হটাত করে একটা কোম্পানির সন্ধান পেয়ে যাই একটা কোম্পানি নতুন এসেছে আমাদের দেশে ওয়াসা এর মত কোম্পানির কাজ পনি রিপেয়ারিং ফ্যাক্টরিতে আমি ড্রাইভার হিসেবে কাজ নিয়ে থাকি আমি এক সপ্তাহ কাজ করার পরে আমার মাথায় আসলো আমিও তো ইলেক্ট্রিকের কাজ করতে পারি আমি তখন ম্যানেজারকে বললাম স্যার আমি আপনার সাথে ইলেকট্রিক কাজ করতে চাই তখন ম্যানেজার আমাকে বলল তুমি তো কিছুই জানোনা তুমি কি কাজ করবা এখানে
আমি বললাম স্যার আমি লেবার হিসাবে ওদের সাথে কাজ করব আমি ওদেরকে সাপোর্ট করব তখন উনি বললো ঠিক আছে তুমি কাল থেকে শুরু কর আমার সাথে যারা কাজ করতো তাদের বেতনের অর্ধেক আমার বেতন নির্ধারণ করা হলো আমি ড্রাইভিং করতাম পাশাপাশি কাজ করতাম আমার সাথে যারা ছিল তাদের বেতন আমার ডাবল ছিলো কিন্তু আমার লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছিল আমি কোন কাজ জানিনা আমাকে একটা কাজ শিখতে হবে যুদ্ধ শুরু করলাম
পাকিস্তানি ইঞ্জিনিয়ার আমাকে দিয়ে অনেক কাজ করাইতেছে আমার কষ্ট দেখে একজন ফিলিফাইনি ইঞ্জিনিয়ার বলল তুই আমার সাথে থাক আমি তোকে কাজ শিখিয়ে দিব তুই যদি কাজ পারোস তোকে দিয়ে এত কাজ করাতে পারবে না তারা এরপরে আমি ওদের সাপোর্ট করতাম পাশাপাশি আমি ফিলিপাইন ইঞ্জিনিয়ার ম্যানুয়াল তার নাম তার সাথে কাজ করা শুরু করি তারা যখন বসে থাকে আমি সবসময় ফিলিপাইনের পিছনে পিছনে ঘুরতাম তখন সে আমাকে কাজ শিখা তো থাকে আমি তাকে শুধু প্রশ্ন করত আমাকে কাজ এটা কি সেটা মাঝে মাঝে শট দেয় গালি দেয় আমি কিছু মনে না করে লেগে আছি তার সাথে
এভাবে করতে করতে প্রায় এক বছর কেটে যায় আলহামদুলিল্লাহ তিন মাস পরে যখন আমাদের কোম্পানীর ম্যানেজার আসে পরে আমাদের সবাইকে টেস্ট করার জন্য নিয়ে যায় আমরা পাঁচজন ছিলাম একজন একজন করে সবাইকে প্রশ্ন করলেন ম্যানেজার তারা উত্তর দিতে পারছে না কিন্তু আমি যখন উত্তর দেয়া শুরু করলাম ম্যানেজার খুব খুশি হয়ে গেলেন ওইদিনে আমার বেতন 10 হাজার টাকা বাড়িয়ে দেন
👏 আমাদের স্যারের এই কথাটি আমার লাইফে বাস্তবায়িত হয়েছে ধৈর্য ধরুন লেগে থাকুন
আমি ধৈর্য ধরে লেগে থাকার কারণে তিন বছরের মাথায় আমি এখন সে কোম্পানির একজন সিনিয়র টেকনিশিয়ান আমার সহকারি হিসেবে ইন্ডিয়ান পাকিস্তানি ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেন আলহামদুলিল্লাহ
আমার লাইফের বাকি গল্পগুলো আর একদিন বলবো ইনশাআল্লাহ
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৫৯
Date:- ২৬/০৬/২০২১
নাম বাহার উদ্দিন মোল্লা
ব্যাচ ১৪
রেজিস্ট্রেশন ৬৫১৭৬
জেলা নোয়াখালী
বর্তমান অবস্থান সৌদি আরব দাম্মাম আল খাফজী
💢 Molla groups 💢
সত্যায়িত ১ মোল্লা অর্গানিক ফুডস 🥦🥥🍇
২ মোল্লা ডেইরি ফার্ম 🐄🐄🐑🐂🦓
৩ 10 মিনিটস মাদ্রাসা 📖📖
৪ মোল্লা ড্রিংকিং ওয়াটার 💦
https://www.facebook.com/Molla-Groups-110593314150107/