ছোট বেলা থেকে মা আমাকে হাতে ধরে সব ধরের কাজ শিখিয়েছেন।
জীবনের গল্প
আমার জীবনের গল্প।
আমি নোয়াখালীর অতি গ্রামের একটি সাধারন মেয়ে।ছোট বেলা থেকে মা আমাকে হাতে ধরে সব ধরের কাজ শিখিয়েছেন।
স্কুল কলেজ শেষ করে প্রথম পরিবার ছেড়ে একা শহরে আসি ভার্সিটি তে পড়ার জন্য।আমি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। কিন্তু ভার্সিটিতে বিষয় হিসেবে পাই বাংলা।তখন থেকে আমার জীবন যুদ্ধ শুরু।
যেহেতু আমি বিজ্ঞানের ছাত্রী এবং কোন বিজ্ঞানের বিষয় পাই নাই।তাই প্রতিনিয়ত ছোট হতে শুরু করলাম।আত্মীয় স্বজনরা থেকে শুরু করে বন্ধ বান্ধব সবাই ট্রোল করতো।তার পর এক বছর ড্রপ দিলাম।
কষ্ট করে নিজের জীবন থেকে এক বছর বাদ দিয়ে আবার অনার্সে বিষয় পাই পছন্দের। বিজ্ঞান বিভাগের একটি বিষয়।কিনতু সেটা আর সুখ রইলো না।প্রথম বর্ষে থাকা কালীন পৃথিবী জুড়ে আসলো মহামারী করোনা। সব কিছু বন্ধ।বাড়িতে চলে গেলাম।
আর লকডাউনে আমার জীবনের চুড়ান্ত লড়াই শুরু হলো।আমার সাথে সাথে আমার পরিবারের সবাইকে কথা শুনতে হতো মানুষের।গ্রামের মানুষরা তো কথা শুনাতে পিছু পা হয় না।আর এভাবে আমি আসতে আসতে ডিপ্রেশনে চলে যাই।টানা ১১ মাস ডিপ্রেশনে থাকি আমি।পাগলের মতো হয়ে যাই।সবাই শুধু বলতো বিয়ে দেয় না।মাইয়া মানুষকে শহরে একা একা রেখে কিসের পড়াশোনা। একা একা খারাপ কাজ করে।এমন হাজার রকম খারাপ কথা।এগুলো শুনতে শুনতে পাগল প্রায়।
ঠিক তখন আমার এক বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইয়া আমাকে বলে আমাদের এমন একটা গ্রুপ আছে।তুই সেখানে আড হয়ে কিছু একটা করতে পারিস।ভাইয়ার কথা শুনে যথা সময়ে আড হলাম।ভাইয়া সব বুঝিয়ে দিলো।সকলের পোষ্ট মনোযোগ দিয়ে পড়তাম।বিশেষ করে স্যার প্রতিটা পোষ্ট পড়তাম।
তারপর স্যারের ভিডিও গুলো থেকে শুরু করে সব সেশন ভালো ভাবে পড়ি।এবং রেজিষ্ট্রেশন করে নিই।আর উদ্দ্যোক্তা জীবন শুরু করি।কিন্তু এই জীবন টা ও ভালো যাচ্ছে না।প্রতি নিয়ত ট্রোলের সামনে পড়ছি।একই কথা সকলের।মেয়ে বিয়ে না দিয়ে কেন এইসব করাচ্ছে।
হাজার খারাপ কথা শুনেও আমি পিছু পা হবো না।আমি সততা এবং ধৈর্য্য সহকারে আমার কাজ করে যাবো।ইনশাআল্লাহ আমার সফলতা আসবে।আর আমাদের সকলের প্রিয় স্যার তো আছেই। আমার পরিবার ত আছেই।ইনশাআল্লাহ সবাই থাকলে আমি ও আসতে আসতে এগিয়ে যাবো। আমার পাশে এখন সবাই আছে।বিশেষ করে নোয়াখালীর সকলের প্রিয় আমাদের আব্দুল করিম মুন্না ভাইয়া।উনি সব সময় ভালো উপদেশ দিয়ে পাশে আছেন।সব ধরনের সাহয্য করছেন ভাইয়া।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং পাশে থাকবেন।
আমি যেন আমার স্বপ্ন পূরন করতে পারি এবং স্যারের সাথে সরাসরি নিজের গল্প বলতে পারি সবার কাছে।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৫৯
Date:- ২৬/০৬/২০২১
আমি রেবেকা সুলতানা নিপু
ব্যাচঃ১৪
রেজিঃ৬৪২৩৯
অনার্স ২য় বর্ষ,প্রানীবিদ্যা।
নোয়াখালী।
কাজ করছি
হ্যান্ড পেইন্টিং পান্জাবী
হোমমেড সকল ধরনের খাবার এবং সকল ধরনের আঁচার নিয়ে।
সকলের ভালোবাসা কামনা করছি।পাশে থাকবেন আমার।