""""জীবন থেকে লিখা
"""""জীবন থেকে লিখা, পড়ার অনুরোধ রইল """'"""
👮♂️👮♂️লোকে বলে বাবা মায়ের আকাঙ্খা ধণ তাদের বড় সন্তান আর সবচেয়ে আদরের ও স্নেহের ছোট বা শেষের সন্তান। বড় বা প্রথম আর ছোট বা শেষ এই দুয়ের মাঝেই বাবা মায়ের সকল স্নেহ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তাহলে মেজ সন্তান???
বড় আর ছোটোর গোলকধাঁয় বাবা মায়ের স্নেহ ভালোবাসার আড়ালে পড়ে রয় তাদের মেজ সন্তান। শান্তর জীবনেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি,শান্ত পরিবারের মেজ সন্তান আমার লেখা শান্ত কে নিয়ে।
অত্যান্ত ডানপিঠে শান্তর চঞ্চলতায় অতিষ্ঠ পরিবার পরিজন।গ্রাম্য বাল্য জীবনের পূর্ন স্বাদ গ্রহন কারি শান্ত তার কর্মের জন্য শুধু মাত্র বাবা কে ভয় পেত। তার যথেষ্ট কারন ও ছিল।নির্দোষ হলেও অভিযোগের ক্ষেত্রে শান্ত তার বাবার চোখে অপরাধী এবং তার জন্য অনেক মার হজম করতে হতো।বড় ভাই অথবা ছোট বোন তাদের ভুলের জন্য শাস্তি ও অনেক সময় তাকে পেতে হতো। তাই বাবার দর্শন থেকে নিজেকে বিরত রাখাই শান্তর জন্য উত্তম ছিল। শান্তর মা ও তার সাথে একই আচরণ করতো। দুরন্ত শান্ত দিন শেষে ঘরে ফিরে বাবা মায়ের আদর স্নেহ ভালোবাসা পেতে মন আন্চান করতো। কিন্তু সারা দিনের কর্মের কোনটা য় না বাবা মা বকা দেয় তার ভয়ে থাকতো সে।👮♂️👮♂️👮♂️
👨🏫👨🏫👨🏫 স্কুল জীবনে শান্ত কখনো ভালো ছাত্র ছিলনা। দুরন্তপনা ও মারামারি জন্য শিক্ষক গন ও তাকে শাস্তি দিত। কিন্তু কোন ভাবেই তাকে কন্ট্রোল করা যেত না। গ্রামে ও স্কুলে সকলেই ভয় পেত শান্তকে।যখন সময় ছিল সকল বিষয়ে পাশ না করলেও ওপরের ক্লাসে পদান্নতি পাওয়া যেত তারই ধারাবাহিকতায় শান্ত হাইস্কুলে। 👨🏫👨🏫👨🏫
⚽⚽⚽স্কুল ফুটবল ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স জন্য সকল শিক্ষক গনের নজর কাড়ে শান্ত।সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত লোকমান হোসেন একজন টগবগে যুবক শান্তর স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক। তিনি শান্ত কে স্নেহ করতে শুরু করলো।তার অনুপ্রেরণায় শান্ত লেখা পড়ায় কিছুটা মনোযোগী হতে শুরু করলো।
যখন ক্লাস নাইনে জীবন বদলানোর মত ঘটনা ঘটলো শান্তর জীবনে।এক রাতে শান্ত তার অনুসারীদের নিয়ে এমন একটি কাজ করে যার উদ্দেশ্য ছিল গ্রুপ লিড দেবার জন্য অস্ত্র কিনবে।কিন্তু আল্লাহ সহায় তা হলো না। শান্তর বাবা প্রতিরাতে খবর রাখত শান্ত ঘরে আছে কিনা। সেই রাতে শান্ত কে ঘরে না পেয়ে তার বাবা এলাকায় খোঁজ করে এবং শান্তর কর্ম সম্পর্কে অবগত হয়। শান্ত তার নির্ধারিত কাজ শেষে ঘরে ফিরে এবং ঘুম থেকে উঠে সকালে বাড়িতে এক দরবার হল দেখে যার আসামি শান্ত। জীবনে অনেক অপরাধ করছে শান্ত বিনিময়ে তার বাবা তাকে অজস্র বার শান্তি দিয়েছে।কিন্তু এইবারের পরিবেশ টা আলাদা যে পরিবেশের সাথে শান্ত র কখনো দেখা মেলেনি। পরিবারের সবাই স্তব্ধ শান্তর মা ও দাদি কান্না করছে। বাবা চুপ কিন্তু চোখে পানি, একটি থমথমে অবস্থা। বাবা কিছু বলার আগেই এক চাচা শান্তর হাত ধরে পালালো।দীর্ঘ ১৫ দিন নানার বাড়ি থাকার পরে নানা শান্তকে বাড়ি ফিরিয়ে আনলেন। এবং শান্ত কে শাস্তি না দেবার জন্য বললেন। নানার কথা মত শান্তর বাবা মা তাকে শারিরীক শাস্তি দিলো না।শান্ত লক্ষ করলো দশ গ্রামের মাতব্বর তার বাবা নিরব স্তব্ধ বাবার মুখ মলিন মায়েরও একই অবস্থা। শুধু দাদি শান্তর সাথে কথা বলতো।বাবার মানসিক অবস্থায় শান্ত খুব কষ্ট পায়।জীবনে অনেক অপরাধ করছে অনেক শাস্তি ও পেয়েছে শান্ত কিন্তু এবারের বিষয় টা আলাদা। শান্ত বুঝতে পারে তাকেও তার বাবা মা ভালো বাসে, তাকে নিয়েও চিন্তা করে তারা।তাই শান্ত বাবা মায়ের মনের কষ্ট দূর করার জন্য নিজেকে শুধরানোর কাজ শুরু করে। 💖💖
💖শান্ত ক্লাস নাইনে হঠাৎ প্রেমে পড়ে শান্ত। কারন একটাই শান্ত ভালো বাসা পেতে চায়।
আগেই বলেছি শান্ত লেখা পড়ায় একদমি ভালো ছিলোনা।কিন্তু স্কুল ও এলাকায় সকলকে অবাক করে সুনামের সাথে এস এস সি পাশ করে কলেজে ভর্তি হয় শান্ত।তখন শান্ত প্রেমে এতটাই মর্ত একদিন কলেজ ক্লাসে শিক্ষক সবাইকে বললো আই এ পাশ করে কে কি হবে। শান্তর জবাব....... আই এ পাশ করে আমি প্রথমে বিয়ে করবো।শিক্ষক সহ সকলে অট্ট হাসিতে হেসে উঠলো।
এরই মধ্যে শান্তর প্রেমের বিষয় টা পরিবারের সবাই অবগত হয়।বাবা একদিন রিমান্ডে নেয়, "শুনছি তুমি প্রেম করছো।" শান্ত সোজা সাপটা জবাব দেয় "হ্যাঁ বাবা। " বাবা বললো "বাদ দেও।" শান্ত" সম্ভব না বিয়েটা আমার পছন্দ মতই করবো। অন্য সবকিছু মানতে রাজি। " বাবা দেখলো শান্ত অবস্থা দৃঢ় তাই আর কথা বাড়ালো না।🤭🤭
🏅🏅🏅 শান্ত আই এ পরিক্ষা দিবে। কলেজের শিক্ষক গন বললো তুমি ভালো করে পড়লে স্টার মার্ক নিয়ে আই এ পাশ করবে।কিন্তু শান্ত তো শুধু পাশ করার জন্য পড়ে।আই এ পরিক্ষার রেজাল্ট হলো সামান্য মার্কের জন্য শান্ত স্টার পেলোনা।এবার শান্ত বুঝলো যে চাইলেই সে এটা অর্জন করতে পাড়তো।।
শান্তর রেজাল্ট দেখে তার বাবা তাকে ডেকে বললো তুমি চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় এ এ্যাডমিশন দিতে পারো। তবে ইংরেজিতে চান্স পেলে বীথি (শান্তর মনের মানুষ) সাথে তোমার বিয়েতে আমার কোন অমত খাকবে না।
বাবার কথায় শান্তর পালে নতুন হাওয়া যুক্ত হলো।
শান্ত এ্যাডমিশন দিলো সামান্যোর জন্য ইংরেজিতে চান্স হলো না, চান্স হলো ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল এ। শান্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, এটা শান্তর প্রতি আল্লাহর রহমত।🏆
😥😥😥ফাস্ট ইয়ারেই শান্তর মা স্ট্রোক করে ডান সাইড প্যারালাইস্ড হয়ে যায়।যেহেতু শান্ত তার মাকে অনেক ভালো বাসে তাই মায়ের ভালো বাসা পাওয়ার জন্য মায়ের সেবায় আত্মনিয়োগ করে।অল্প সময়ের মধ্যে মায়ের প্রিয় ও স্নেহের সন্তান হয়ে ওঠলো শান্ত।মা শান্ত কে ছাড়া কিছুই বোঝে না যে বড় ছেলের জন্য মা আলাদা খাবার রাখতো সে বড় ছেলেকে কিছু দিবার জন্য মা শান্তর অনুমতির অপেক্ষা করতেন।
অনার্স সেকেন্ড ইয়ার হঠাৎ বিথীর পরিবার বিথীর বিয়ের জন্য ওঠে পড়ে লাগে। বিষয় টা শান্ত কে বিচলিত করে।তাই একদিন বিথীর বাড়িতে যায় এবং বিথীর মা কে বলে আপনারা নাকি বিথীর জ ন্য অন্য জায়গায় ছেলে দেখছেন । তার মা বলে হাঁ ঠিক শুনছো। আমাদের বিষয় টা আপনি তো সব জানেন ।তার মা বললো হ্যাঁ জানি।আরো বলে আমরা আমাদের মেয়ে কে প্রতিষ্টিত কোন ছেলের সাথে বিয়ে দিব। শান্ত বলে হ্যাঁ ভালো কথা আমিও তো প্রতিষ্ঠিত হবই।আপনারা যদি এমন সমস্যার সৃষ্টি করেন তাহলে পালিয়ে বিয়ে করা ছাড়া আমাদের কোন উপায় থাকবে না।তাতে আপনাদের মান সম্মান যাবে।আমি এটা করতে চাই না। বিথীর মা শান্তর দৃঢ়তা দেখে বলে তোমার বাবা কে আসতে বলো আমরা আলোচনা করে দেখি।😀 👳♀️👸
শান্তর মা কিছুটা সুস্থ হলে মাকে বুঝিয়ে তার বাবাকে রাজি করিয়ে পারিবারিক মতামতের ভিত্তিতে শান্তর ভালো বাসার মানুষ বিথী কে বিয়ে করে শান্ত।👸
😥😥 অনার্স ৪ র্থ বর্ষ মা খুবই অসুস্থ সামনে পরিক্ষা শান্ত মায়ের সেবায় ব্যাস্ত।একরাতে মা বলছে বাবা তুই চলে গেলে আমাকে কে দেখবে।আমার খুব কষ্ট হবে বলেই মা খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েন। মাকে একটু ইজি করার জন্য শান্ত সুখময় মুহূর্তের স্মৃতি চারন করে, তার সাথে ছিল শান্তর নানি।শান্ত, তার মা আর তার নানি এমনই এক আনন্দ ঘন মুহূর্ত যা বলে বুঝানো যাবে না।শান্ত তার মায়ের হাত পা ম্যাসেজ করছিল। তিনজন মিলে অনেক আনন্দ হাসি তামাশা করছিলো। আলাপ শেষে মা দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে বলে বাবা আমার যা ছিল সব তো তোমার বড় ভাই ও বোন কে দিয়েছি তোমাকে তো কিছু দিতে পারলাম না।শান্ত বললো মা তুমি শুধু দোয়া দিও তোমার দোয়া আমার জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া। মা বলল ঠিক আছে বাবা তোমার জন্য আল্লাহ কাছে আমার দোয়া থাকলো তুমি তোমার বড় ভাই ও বোনকে দেখ তোমার বাবার যত্ন নিও।
সকালে ঘুম থেকে উঠে শান্ত বিশ্ববিদ্যালয় যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।শান্ত মায়ের নিকট বিদায় নিতে গেলে মা জেগে আছে কিন্তু কোন কথা বলেছেনা।কাউকে চিনতেও পারছেন না শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন। শান্ত ডাক দেয় "মা" মা উত্তর দেয় না।শান্ত বলে মা আল্লাহ বলো, মা বলে "আল্লাহ।" শান্ত বলে মা কালেমা পড় মা বলে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।" শান্ত পরিক্ষা এখনো ১৫ দিন বাকি তাই ক্যাম্পাসে না গিয়ে মায়ের কাছেই থাকলো।কয়েকদিন চিকিৎসার পর একটু ভালো দেখে সে আবার ক্যাম্পাসে যাবার জন্য উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সেদিন আবার মা অসুস্থ হয়ে প্রচুর ব্লিডিং হয়।অনেক রক্তের প্রয়োজন বড় ভাই ও চাচির গ্রুপ একই থাকায় তারা রক্ত দিল। কিন্তু আরো রক্ত লাগবে।ডাক্তার রাজশাহী রেফার করলো। সারা রাত হসপিটাল থাকার পড় মাকে নিয়ে সকালে রাজশাহী যেতে হবে তাই শান্ত বাড়ি এসে সকল গোছগাছ সম্পর্ন করে।এরই মধ্যে বাবার ফোন কল "আপাতত রাজশাহী যাওয়ার দরকার নাই একটা ভ্যান নিয়ে আস।" শান্তর বুঝতে বাকি থাকে না।তাড়াহুড়ো করে হসপিটাল যায়।দেখে হসপিটালের এক কোনে বাবার চোখে অঝোরে পানি পড়ছে।।শান্ত মায়ের বেডে যায় মা তাকিয়ে আছে শান্ত কালেমা শাহাদাৎ পড়ে একটু পানি মায়ের মুখে দেয়। মা পানি পান করে আর শান্তর দিকে তাকিয়ে থাকে।শান্তর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। আর মায়ের হাত পা ম্যাসেজ করছে।আস্তে আস্তে মা নিস্তেজ হয়ে যায়। ডাক্তার এসে চেকআপ করে বলে মা আর নেই।মায়ের ভালো বাসা শান্তর জীবনে সইলো না।
অনার্স পরীক্ষা শেষে বাড়ি এসে শান্ত মেয়ে দেখে বাবাকে বিয়ে দেয়।তার যুক্তি বাবা যেন একাকিত্ব বোধ না করে। 👨⚖️
শান্ত চাকুরী করতে চায় না সে ব্যাবসা করতে চায়। তার ধারাবাহিকতায় পৌত্রিক পুকুরে মাছ চাষ শুরু করে।এক বছরের মধ্যে এলাকায় মৎস্য চাষি হিসাবে সুনাম ছড়াতে শুরু করে।কিন্তু সেটা বড় ভাইয়ের নজরে পড়ে পুকুরের ভাগ চায়। বাবা শান্তকে বলে আমি দু ভায়ের মধ্যে কোন ভাগ করতে পারবোনা তোমাকে লেখা পড়া শিখিয়েছি তুমি তোমার পথ দেখ। শান্তর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো তার স্বপ্ন বাস্তবতায় রূপ নেবার আগেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।সে বেকার হয়ে গেল। 😥
👨⚖️👨⚖️ বেশি পরিশ্রম ও অধিক আয়ের জন্য চাকরি হিসাবে শান্ত বেসরকারি চাকুরী পছন্দ করতো।তাই ব্র্যাক এন জি ও তে যোগদান করে।ব্র্যাকে প্রতিদিন ৭০...৮০ কি. মি সাইকেল চালিয়ে অফিস করতে হতো শান্ত কে।এরই মধ্যে তার ব্যাবসা দাড় করানোর জন্য চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়।
অনেক পরিশ্রম এর পর দুবছর ব্র্যাক এর চাকরি ছেড়ে শান্ত দেশের সুনাম ধন্য বেসরকারি ব্যাংক UCBL এ যোগদান করে।চাকুরী সুবাদে শান্ত অনেক ট্রেনিং গ্রহনের সুযোগ পায়।তার উদ্দোক্তা হবার ইচ্ছে আরো দৃঢ় হয়।তার অদম্য ইচ্ছে সে উদ্দোক্তা হবেই।
ব্যাংকের চাকরি মোটা বেতন এসির বাতাস এতো আরাম আয়েস ছেড়ে উদ্দোক্তা? পরিবার সাপোর্ট দেয় না। কিন্তু শান্ত যে উদ্দোক্তা না হয়ে মরতে চায় না।।
🌵🌵🌵 কৃষি উদ্দোক্তা হবার জন্য কাজ শুরু করে শান্ত প্রথমে একটি নার্সারি স্হাপন করে এবং পরে পাশাপাশি উচ্চ মূল্যের ফল ও ফসল চাষাবাদ করে।কিন্তু সব ঠিক ঠাক চললেউ শান্তর প্রজেক্ট লস হয়।প্রজেক্ট লস হলে সেই প্রজেক্ট আবার শুরু করা শান্তর স্বভাব, সফলতা আসতেই হবে। উদ্দোক্তা তাকে হতেই হবে। তার প্রতিষ্ঠানে অসহায় দূর্বল লোক কাজ করবে এটা তার স্বপ্ন।
🏵️🏵️🏵️ উদ্দোক্তা জীবনে অন্ধকার ময় পরিস্থিতিতে আলোর সন্ধান পায় শান্ত।২০১৯ সালে নিজ প্রজেক্টে কাজ কররার সময় মোটিভেশনাল বক্তব্য শুনছিলো শান্ত, হঠাৎ সামনে আসে একটা ভিডিও। ভিডিও টি ওপেন করা মাত্র শান্ত এতটাই অভিভূত হয় যে সে তার প্রজেক্টে কর্মরত -সকলে বিশ্রাম নিতে বলে এবং তাদেরকে ভিডিও দেখায় আর বলে আমি এই চিন্তা নিয়েই কাজ করছি।আমি যে স্বপ্ন দেখি সেই ক্ষেত্রে এই ব্যাক্তি সফল তাই আজ থেকে এই ব্যাক্তি আমার শিক্ষক এবং পথ প্রদর্শক। আর তাই সেদিন থেকে ইকবাল বাহার জাহিদ শান্তর জীবনের আইডল।
শান্ত তিনাকে নিজের শিক্ষক হিসাবে গ্রহন করে " নিজের বলার মত গল্প" গ্রুপ এর ৬ ষ্ঠ ব্যাচে যুক্ত হয়।, ৯০ দিনের কোর্স এর মাধ্যমে শান্তর চিন্তা চেতনা আরো উন্নত হয়।অনেক প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান মেলে এই গ্রুপে।
প্রিয় মেন্টরের পরক্ষ দিকনির্দেশনায় শান্ত পরিকল্পনা করে আগে পরিবারের মধ্যে উদ্দোক্তার বীজ বপন করতে হবে তার পর নিজে উদ্দোক্তা হতে হবে।এই ধারাবাহিকতায় শান্ত তার বড় ভাই কে কাপড়ের দোকান, চাচাতো ভাই কে মৌসুমি ব্যাবসা, চাচিকে গরুর খামার এবং বাবাকে মাছ চাষে উদ্ভুদ্ধ করে।
এরই মধো শান্তর জীবনে একটা বড় বাস্তবতা সামনে আসে।বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার পরেও তাদের কোন বাচ্চা হয় না।তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া তে যায় সেখানে ভেলোরের সি এম সি হসপিটালের ডাক্তার গন বলেন যে তার স্ত্রী কখনো মা হতে পারবেনা।
ডাক্তারের কথা শুনে বিথী খুব ভেঙ্গে পড়ে। তাকে কোন ভাবেই বোঝানো যায় না যে সে কখনো মা হতে পাড়বে না। বিথী শান্তকে বলে আমার জন্য তুমি বাবা হতে পাড়বে না এটা আমি মানতে পাড়ছি না তুমি আবার বিয়ে করো।
শান্ত বিথীকে বলে আমি তোমাকে ভালো বাসি আমি তোমার শত্রু নই।
শান্ত বলে আমার সুখ শান্তি তোমার মধ্যে
শান্ত বিথীকে বোঝায় সন্তান না হলেও শান্ত চলতে পারবে কিন্তু বিথী কে ছাড়া কঠিন হবে।
সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য শান্ত বিথী চেষ্টা করে তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
আল্লাহ চাইলে কিনা সম্ভব
শান্তর একমাত্র বোন ভাই- ভাবিকে সন্তান উপহার দিবার পরিকল্পনা করে, কনসেভ করার পর তার স্বামীকে বলে এবং পরে সবাই জানতে পারে।
সকলে শুনে খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে, কারণ শান্তর বোনের আরও দুই টি সন্তা আছে যাদের ডেলিভারি সিজারের মাধ্যমে করাতে হয়েছে। এবার ৩য় স্টেপ তার জীবন নিয়ে সংকিত সবাই।
ভাইয়ের জন্য এমন ত্যাগ পৃথিবীতে বিরল।মাত্র ৭ দিনের ফুটফুটে বাচ্চা ভাবির কোলে তুলে দেয় এমন বোন কয়জনের ভাগ্য মিলে।শান্ত চায় তার সন্তান ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর শিক্ষা নিয়ে কখনো চাকরি করবে না চাকরি দিবে।
শান্তর দীর্ঘ দিনের উদ্যোগ তিলে তিলে একত্রিত হতে থাকে। ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর পরক্ষ দিকনির্দেশনায় তার স্বপ্নের প্রজেক্ট এর নাম দেয় "রহিমা কৃষি শোধন" মোছাঃ রহিমা বেগম শান্তর মা। রহিমা কৃষি শোধন বাংলার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করছে।উচ্চ মূল্য ফল ও ফল চাষাবাদ ও চারা উৎপাদন ছাড়াও সার বীজ কীটনাশক সহ উন্নত কৃষির সকল যন্ত্র সরবরাহ করে শান্ত।দূরন্ত চঞ্চল শান্ত বর্তমানে সত্যি অনেক শান্ত।তারা আচার আচারণে এলাকার মানুষ মুগ্ধ। সবাই তাকে নম্র ভদ্র পর উপকারি সৎ মানুষ হিসাবে চিনতে শুরু করেছে।।শান্ত ও রহিমা কৃষি শোধন এখন ব্যান্ড হতে চলেছে। মানুষ এখন বিশ্বাস করে শান্ত বা কৃষি শোধন কাউকে খারাপ পূণ্য দেবে না।কারন শান্তর শিক্ষক শিক্ষা দিয়েছে "পন্য নয় বিশ্বাস বিক্রি করে ক্রেতার আস্থা অর্জনই উদ্দোক্তার জীবনের চরম সফলতার যাদুর চাবিকাঠি।"
আমার লেখার মাঝে কোন প্রকার ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং বলবেন ভুল শুধরে নিব। ইনশাআল্লাহ ।
সকলের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনায়......
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৫৯
Date:- ২৬/০৬/২০২১
আমি
কৃষক আব্বাছ উদ্দিন
🏅🏅 ব্যাচ ৬
✍️✍️✍️রেজিঃ১৯০৭
🏆🏆🏆🏆জেলা এম্বাসেডর
🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩 জেলা নাটোর