তখনও আমি আমার স্বপ্নের দিকে ছুটিনি।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
#আমার_জীবনের_গল্প
সকলকে একটু সময় নিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।
আসসালামু আলাইকুম
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি মহান রবের অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।
আমি প্রথমেই হৃদয়ের গভীর থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি আমাদের সবার প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে। যিনি "" নিজের বলার মত একটা গল্প"" র মত এত সুন্দর একটি প্লাটফর্ম আমাদের উপহার দিয়েছেন।
আজ আমি আপনাদের সামনে আমার ব্যক্তি জীবনের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি।
#যাহোক শুরু করছি জীবনের বাস্তবতাকে নিয়ে আমার নিজের বলার মতো একটা গল্প।
তখন সালটা ছিল ২০১১। মাত্র ইন্টারমিডিয়েট শেষ করেছি। পারিবারিক কারণে হোক বা ব্যক্তিগত কারনে পড়ালেখাটা আর হয়ে উঠেনি। করতে থাকলাম চাকরির সন্ধান। চরম হতাশার মাঝে খুজতে খুজতে পেয়ে গেলাম সেই সোনার হরিন।চাকরি। একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে। ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন কোঃ। যার মাসিক বেতন ৪০০০/-। তখন ২০১৩ সাল।
তো ডেলিভারী কস্ট সব মিলিয়ে প্রায় ৬০০০/- পেতাম।তা দিয়ে কোন রকমে চলে যেত।
তারপর আস্তে আস্তে বেতন কিছুটা বাড়ল। তবে নিজের কোন স্বপ্ন না থাকায় সেই টাকাও খরচের কোটায় গিয়ে শেষ হত।
এভাবেই প্রায় পাচটি বছর শেষ হল। কিন্তু নিজের বলতে কোন মুলধন ছিল না।
তারপর হঠাৎ চলে আসল মাহেন্দ্রক্ষণ। করে ফেললাম বিয়ে। দেখতে দেখতে আল্লাহতায়ালা একটি কন্যা সন্তান দান করলেন।
তখনও আমি আমার স্বপ্নের দিকে ছুটিনি।
হঠাত একদিন ডেলিভারির কাজ শেষ করে এসে রাতে লকারে টাকা রেখে পরের দিন আবার কাজে যাই। রাতে ফিরে এসে দেখি লকার ভাঙ্গা এবং টাকা নেই। পরে কোম্পানীর নিয়মানুযায়ী টাকা আমাকেই জরিমানা দিতে হয়। যেহেতু আগে কোন টাকা জমাইনি সেহেতু অনেক ধার দেনা করে সেই টাকা শোধ করতে হয়।
তারপর চাকরিটা ছেড়ে দেই। চাকরি পাওয়ার আগে যে হতাশায় ছিলাম। তার চেয়ে অনেক বেশি অন্ধকার দেখতে লাগলাম।কারন তখন বউ বাচ্চা সব রয়েছে।
এভাবে প্রায় ছয় মাস চলে গেল। এরপর এক বন্ধুর কোম্পানী থেকে একটা ফুড আইটেম ডিলার নিলাম। সেখানেও নতুন প্রডাক্ট থাকায় টিকতে পারলাম না।
বাধ্য হয়ে আবার চাকরি খুজতে শুরু করলাম। সবশেষে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে গেলাম। চাকরির পাশাপাশি নিজে কিছু করার ভাবনা আসতে লাগল। উদ্যোক্তা বিষয়ক কিছু ভিডিও দেখতে থাকি। এক পর্যায়ে ভাবলাম ব্যবসা করতে হলেওতো আমার অনেক মুলধন লাগবে। তাহলে আমি কি করব। তখন চিন্তা করলাম বিদেশ যাব। যেই চিন্তা সেই কাজ। চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিদেশের জন্য চেষ্টা করতে লাগলাম।
কিন্তু কথা আছে না অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়।
আমার ও ঠিক সে রকম অবস্থা। ভিসা পাওয়ার পরের দিন সর্ট সার্কিট হয়ে বাড়ীতে আগুন লাগল। পুড়ে গেল সাজানো সংসার। ঘর টিন সহ সব পুড়ে গেল।
তারপর মানুষের কাছ থেকে এবং ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে চলে আসলাম বিদেশ।
আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল একটি কেম্পানী পেলাম।
সব মিলিয়ে বেশ ভাল বেতন। আস্তে আস্তে ধার দেনা শেষ করার পাশাপাশি ঘর বাড়ী সব ঠিক করে এখন আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভাল আছি।
তবে এখন একটাই চিন্তা আমি দেশে গিয়ে কি করব।
সবসময় চিন্তা করতাম উদ্দ্যোক্তা হব। সেই জন্য উদ্যোক্তা বিষয়ক পেজগুলো ফেসবুকে ফলো করতাম।হঠাত ১১ তম ব্যাচের মাঝামাঝি আমার এলাকার এক ছোট ভাই (As Aslam)আমাকে """ নিজের বলার মত একটি গল্প"" গ্রুপ থেকে ইনভাইট দেয়।
তারপর থেকে গ্রুপ টাকে ফলো করতে থাকি এবং ১২তম ব্যাচে এসে রেজিষ্ট্রেশন করি।
এরপর প্রতিদিনের সেশনগুলো বুঝতে শুরু করি এবং সে অনুযায়ী নিজেকে পরিচালনা করছি।
ইনশাআল্লাহ দিন যত যাচ্ছে নিজের মধ্যে এক ভিন্ন আমি কে দেখতে পাচ্ছি।
আমার মনে হচ্ছে সত্যি এখন আমি আমার স্বপ্নকে ছুতে পারব।
সেই আশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
ইতিমধ্যে আমার স্বপ্নের বীজ বপন করেছি।যা আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন।
আর সেই বীজটি হল""@শ্রেষ্ঠ বাজার লিমিটেড ""
আপনারা সকলে আমার এবং আমার প্রতিষ্ঠান এর জন্য দোয়া করবেন।
আমি সকলের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলব। আপনারা প্রিয় গ্রুপটাতে লেগে থাকুন। নিজে স্বপ্ন দেখুন, সে অনুসারে কাজে সময় দিন, সফলতার সোনালী সুর্য খুব শীঘ্রই দেখা পাবেন।
সবশেষ,
প্রিয় স্যারের প্রতি হ্রদয়ের গভীর থেকে ভালবাসা জানিয়ে শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৫৯
Date:- ২৬/০৬/২০২১
👇ধন্যবাদান্তে👇
✅মোহাম্মদ এম আলী
⭕ কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
⭕ রেজিষ্ট্রেশন টিম মেম্বার
✅ব্যাচঃ ১২
✅রেজিঃনংঃ- ৩৬১০৫
✅জেলাঃ টাঙ্গাইল ।
✅বর্তমান অবস্থানঃআল কাছিম সৌদি আরব
পেজঃ
https://www.facebook.com/শ্রেষ্ঠ-বাজার-104494994905510/
Website:
http://sresthobazar.soppiya.com/