যে চলার পথে রিস্ক মানুষকে নিতেই
আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন??আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি এখন কিছু টা।আল্লাহ পাক সুস্থ রেখেছে।ধন্যবাদ জানাই স্যারকে যিনি এত সুন্দর সু্যোগ রেখেছেন আমাদের জন্য। জিবনের কষ্ট গুলা শেয়ার করতে আসলাম আপনাদের সাথে।আমার ২ ভাই ১বোন মানে আমি নিজেই।৪বছর থাকতে বাংলাদেশ আসা নতুন জায়গা নতুন পরিবেশ প্রথমে ভালোই লাগত যখন কিনা বুজতাম না ভালো লাগা কাকে বলে।আর দাদা বাড়িতেও সবাই আদর ভালোবাসা উপর উপর একটা সময় বুজেছি মানুষ যা দেখা সেটা মনের না।অপছন্দও ছিলাম অনেকের কাছে কারন ছোট থেকে সাবার মুখের উপর জবাব দিতাম মিথ্যা বলে গেলে আজও সহ্য হয়না বুজতাম আর কষ্ট ও হত।বাংলা কথা বলতে না পারার কারনে পড়া লিখায় ও পিছিয়ে পড়লাম।২০১৫ SSC যখন দিলাম তখন থেকে কষ্ট যেন শুরু যখন বয়স ১৭ শেষে হটাত অসুস্থ ১৩ দিন ভর্তি হসপিতালে ঘর থেকে ছোট কাকা ছাড়া কেউ দেখতে গেলো না।ছোট কাকাকে ও বিদেশ থেকে আব্বু কল করে বলত খেয়াল করার জন্য। আব্বুতো বিদেশ আম্মু ছাড়া চোখে সব পর ভরসা একটা মাথায় উপর আল্লাহ আচে।আহা কতো কষ্টকর সময় বাড়ি থেকে কারো হাতে এক গ্লাস পানি উঠলনা ভাতের আশা তো বিলাসিতা তখন মানুষ গুলা আরও অপরিচিত হতে লাগল।কেউ আবার বলেছিল পাপ করছে তাই নাকি হসপিতালে আবার কারো মতামত সবার সংসার আছে কে কাকে দেখবে।হসপিতালে ভর্তি করিয়ে ছিল পাশের ঘরের চাচি আর কাকা যেখানে আমার ঘরে ভরা মানুষ।যারা দেখার তারা ঠিক গিয়েছিল যায়নাই ঘরে মানুষ। হসপিতাল থেকে এসেও গরম পানি পেয়েছিলাম পাশের ঘর থেকে। আস্তে আস্তে সুস্থ হলাম ঠিক ৫,৭ মাস পর আবার নতুন করে গলার সম্যস্যা শুরু হলো ঢাকা মেডিকেল ডাক্তার দেখালাম ডাক্তার পরিক্ষার কাগজ দেখে বলল অপারেশন করাতে এবারতো পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে আম্মু ও পাশেনাই আন্টি ছিল।আমরা চেয়েছিলাম অসুধের মাধ্যমে চেস্টা করতে কিন্তু সম্ভব হচ্ছিলনা।খাগড়াছড়ি জেলায় বেলছড়িতে এক ডাক্তার খুজ পেলাম যিনি army ডাক্তার ছিলেন কিন্ত তার মতামত গলা ছাড়া যদি অন্য জায়গা হতো তাহলে তখনই অপারেশন করে দিতেন তিনি।আশার আলোই খুজে পাচ্ছিলাম না শুধু মন বলতো ভালো হয়ে যাব আল্লাহ ভরসা এভাবে পথ খুজতে লাগলাম।ফুফুর বাড়ি থেকে চলে আসার ঠিক আগের দিন ফুফাতো বোন বলল তার বাসার পাশে একই সম্যস্যার রোগী ৩জন ভালো হয়েছে পরের দিন বাড়ি আসার কথা আর আসলাম না চলে গেলাম খাগড়াছড়ি মেইন শহরে। প্রায় দেড় বছর পর হোমিও অসুধ পাওয়ার পর একটু স্বস্তি পেলাম।হোমিও শেষে গিয়ে ডাক্তার টা মারা গেল আমার ও যেন আলো নিভে গেল হতাশায় ভুগতে লাগলাম বেশ সময় ধরে আবার ও নিজেকে স্থির করলাম সব ঠিক হয়ে যাবে এই বলে।কিন্ত আর পথই খুজে পাচ্ছিলাম না। মেজো আপুদের ঘরের পাশেই বিজিবি ক্যাম্প অইখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি বুজে এক বিজিবির সাথে কথা বললাম যিনি সবাইকে অসুধ দিচ্ছিলেন। আমি জানতে চেয়েছিলাম আমার সম্যস্যার সমাধান অপারেশন ছাড়া অন্য উপায় আছে কিনা কিন্তু তিনি ও সবার মত একই কথা বললেন কথা শুনে মন ভেংগে হাহাকার অবস্থা তিনি বুজতে পেরেছিলেন সাহস জুগিয়েছিলেন যে চলার পথে রিক্স মানুষকে নিতেই হবে কিন্ত আমি অপারেশন টাই চাচ্ছিলামনা সব শেষে বাসায় চলে এলাম চলে গেল অনেক টা সময় আর মন বলতো অপারেশন ছাড়াই ভালো হবাও কিভাবে কি হবে জানা নাই তবে হবে।আর মধ্যে প্লাটফরম চোখ রাখতে রাখতে মায়া বসে গেল ৩দিন পরই আইডিয়া ও পেয়ে গেলাম প্রিন্টিং নিয়ে কাজ করবো প্রায় ৯মাস সময় দিয়েছি কাজটা প্রতি রং করবো উঠে যাবেনা তো বিভিন্ন প্রশ্ন ইনশাল্লাহ আমার করা যত কিছু করেছি রং উঠে নাই আর উঠবেও না কারন এটা কাপড়েরই রং। রং এর দোকান খুজতেই চলে গেল প্রায় ৩মাস হতাশা কেটে গেল যেটা আমার জন্য খুব দরকার ছিল গত মার্চ থেকে কাজ শুরু করলাম।এর মধ্যে একদিন খুজ পেলাম একটা ঠিকানা কুমিল্লা থেকে আবার ট্রিটমেন্ট শুরু হলো আজ আমি ভালো হওয়ার প্রায় শেষ প্রান্তে সবার কাছে অনুরোধ রইল দোয়া করার যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাই।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৫৯
Date:- ২৬/০৬/২০২১
আয়েশা আক্তার মাহিন
ব্যাচ ৩য়
রেজি ১৭৬৮২
জেলা ফেনী
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার