প্রত্যেকটা সন্তানের জন্য তার মা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
আমার জীবনের গল্প।😃😃
প্রত্যেকটা সন্তানের জন্য তার মা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ।আর সেই ছোটবেলা থেকেই আমার মাকে দেখে জীবনের সবকিছু করার সাহস অনুপ্রেরণা পেয়েছি। বাবা সরকারি চাকরি করার বিধায় সবসময় বাবাকে এখানে-ওখানে দৌড়াতে হতো। আর বাবার সম্পূর্ণ কাজ একা হাতে সব করেছেন আমার মা। সাত ভাই-বোনকে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন সেই সাথে এমন কোন কাজ নাই, যা মা নিজের হাতে না করেছেন। সেলাই থেকে শুরু করে সব কিছু ।তাই সব সময় মাকে দেখে মনে হতো, আমিও জীবনে খুব এমন একজন মা হব, যাতে আমার সন্তানরা আমাকে নিয়ে প্রাউড ফিল করে ।তাই সব সময় মাথা কিছু একটা করা চিন্তা থাকতো ।বিয়ের পর সোনার হরিণের মতো সেই চাকরিটা পেয়ে গেলাম ।কিন্তু সন্তানের মুখের হাসি সন্তানের মায়া সবকিছু মনে করে চাকরিটা বিসর্জন দিয়ে,সিদ্ধান্ত নিলাম এমন একটা চাকরি করব যেখানে পুরোটা সময় সন্তানকে জুড়ে থাকতে পারি,ও ওকে সময় দিতে পারি। তাই শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নিলাম। প্রথম প্রথম বেতনের সাতে মানিয়ে নিতে কিছুটা কষ্ট হয়েছিল ।কিন্তু যখনই আমার সন্তানের হাসিমাখা মুখটা দেখেছি তখন জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলে সবকিছু মেনে নিয়েছিলাম। শিক্ষকতার পাশাপাশি সবসময় আমার উদ্যোক্তা স্বপ্ন ছিল। আমাদের দেশে প্রায় নাইন্টি পার্সেন্ট মানুষ জীবনের দুঃখ কষ্ট গুলো কে পাশ কাটিয়ে নিজের উদ্যোক্তা জীবনকে সফল করেছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আমার জীবনে এমন পরিস্থিতি কখনো আসেনি ।কিন্তু আমি একটা জায়গা থেকে নিজেকে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম ।আমার আশেপাশে এমন অনেক মানুষ জনকে আমি দেখেছি যারা বড় বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার পর জীবনে একটা প্রান্তে এসে ছেলেমেয়েদের সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে আজ তারা একাকীত্ব জীবন কাটাচ্ছে ।আবার কেউ কেউ একাকীত্ব জীবন থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য বৃদ্ধাশ্রমের গিয়েও থাকছে।আমাদের দেশে অনেক তাদের সন্তানরা দেশের বাইরে থাকছে। তাদেরকে দেখাশোনা করছে না।তখন আমার মাঝে মাঝে মনে হয় যে ,তারা যদি তাদের একাকিত্বতা, নিজের সন্তানদের শূন্যতা পরিপূর্ণ করার জন্য, প্রত্যেকটি মানুষ নিজের একটা কর্ম এর জায়গা তৈরি করতো,তবে অনেক মাঝে,ও কাজের মাঝে আনন্দের সাথে জীবন কাটাতো। যেখানে থেকে হাজার হাজার সন্তানরা তাদের দেখাশোনা করবে ,হাজার হাজার সন্তানদের সাথে তারা প্রত্যেকটা মুহূর্ত কাটাত,যেখানে তারা নিঃসঙ্গতা ও সন্তানদের অবহেলা ও শূন্যতা ভুলে থাকবে ।তাদের কে বৃদ্ধাশ্রম পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে না।দেশে কোন বৃদ্ধাশ্রম থাকবেনা। প্রত্যেকটা মানুষ তার কাজের মাধ্যমে নিজেকে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে রাখবে ,নিজেকে ভালোবাসবে,ও নিজের কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবে,ও সুন্দরভাবে এবং জীবনকে উপভোগ করবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমার সব সময় মনে হতো আমি একজন উদ্যোক্তা জীবন শুরু করব আমার ছেলেরা যখন নিজের জীবনের তাগিদে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজনে যখন ব্যস্ত সময় কাটাবে ,তখন আমি আমার শত কাজের মাঝে ,শত শত মানুষকে নিয়ে আমি আনন্দে দিন কাটাবো। আমার কাজের মাধ্যমে শত শত মানুষের মুখে হাসি ফোটাবো। অনেক মানুষের কর্মস্থানে জায়গা করে দেবো। আর সেই অনুপ্রেরণা আমি পেয়েছি এই প্লাটফর্মে এসে। আমার প্রত্যেকটা ইচ্ছা, চিন্তাভাবনা সবকিছুই সমস্যার সমাধানও আমি এ প্লাটফর্ম পেয়ে গিয়েছি। স্যার এর প্রত্যেকটা সেশন আমি একটা একটা করে পড়েছি। তখন আমার কাছে মনে হয়েছে ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি ইন ফিউচার আমার ছেলেরা এদেশে বাইরে পড়তে চলে যায়, আমার যেন একাকীত্ব জীবন কাটাতে না হয়। আমি যেন অসংখ্য মানুষের মাঝে থেকে আমি আমার জীবনটাকে উপভোগ করতে পারি। এবং অনেকগুলো সন্তানের মা হতে পারি। অনেকগুলো সন্তানের কর্মের জায়গায় তৈরি করতে পারি। একজন মানুষ হয়ে ,সবার আনন্দের কারণ হতে পারি।সে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমার উদ্যোক্তা হওয়ার জীবন। আর এ প্লাটফর্মে এসে নানা সেশন গুলি পড়ে ,স্যারের সাজেশন গুলি পড়ে ,নিজের কাজ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ আমি নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চাই। অনেক মানুষের কর্মের জায়গা তৈরি করতে চাই ।সবাই আমার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন । সত্যিই আমরা চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। কোন কিছুই আমাদের নাগালের বাইরে নয়। শুধু আমাদের একটু ইচ্ছা শক্তির অভাব ।আর সেই ইচছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের দিকে গুটি গুটি পায়ে আমি আগাচ্ছি। আমি নিঃসঙ্গ একাকীত্ব জীবন কাটাতে আমি চাই না। সকলের মাঝে আমার কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকতে চাই।
সবার জন্য শুভকামনা রইলো ।❤❤
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৬০
Date:- ২৭/০৬/২০২১
নোয়াখালীর মেয়ে,
দিলনাহার পলি ।
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার,
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন।
ব্যাচ ১২।
রেজিঃ নাম্বার ৪৪৮২৭।
পেশায় একজন শিক্ষিকা।
বর্তমান অবস্থান মিরপুর ঢাকা।
ওনার অফ নীলাম্বরীর কাব্য
Owner of Poly's Beauty Care .