আমার জীবনের বলার মতো একটা গল্প👥
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করতেছি
এই প্রথম ইকবাল বাহার স্যারের কথায় লিখতে শরু করলাম
👥আমার জীবনের বলার মতো একটা গল্প👥
👉আমি অতি সামান্য একজন মায়ের ঘরের সন্তান। সবাই ভাবছেন শুধু আমার মায়ের কথা বললাম ,বাবার কথা বললাম না। তো তাহলে বলি আমার বাবা একজন গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন। সে মাদক জগতের এমন কোন নেশা নাই যে সে করতেন না। তিনি আমারে ও মাকে কে দেখাশোনা করতো না বরং আমার মায়ের সাথে সবসময় মারধর ঝগড়া লেগে থাকত।
👉অনেক সময় বাবাকে তার নেশা ও দ্বিতীয় বিয়ের কারণে জেলখানায় থাকতে হতো । আমার মা অন্যের বাসায় কাজ করতো।ট্রাক থেকে ইট বালু নামিয়ে আমাকে লালন-পালন করতো ।সেই টাকা দিয়ে বাবাকে জেলখানায় দেখতে যেত।
👉 বাবার অসহ্য নির্যাতন আর সাহায্য না করতে পেরে। আমাকে নিয়ে মা চলে আসলো। তারপর আমার মা-ও আমার ভবিষ্যৎ কথা চিন্তা করে, দিতে সম্বন্ধে রাজী হল। আমি ও আমার মা নতুন একজন গার্জেন পেলাম, সে আমাকে অনেক ভালোবাসে এবং আদর করে। আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলাম,
👉বেশ কয়েক বছর আমরা সুখে কাটলো আমাদের জীবন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস সুখ আর বেশিদিন রইল না। সেই ভাল মানুষ টি দোকান করত একদিন হঠাৎ করে দোকানে আগুন লেগে যাওয়ায় তার মৃত্যুবরণ হয়
👉 আমাদের সংসারে আবার দূরদর্শা নেমে এল। তখন আমাদের কোন বাড়িঘর ছিল না থাকতাম ভাড়া করা বাসায়।
👉আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি আমার মা টাঙ্গাইল শহরে একটি কোচিংয়ে আয়ার কাজ শুরু করে। আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি মুরগির দোকানে কাজ করি। শুরু হলো আমার ক্লাস সেভেনে পড়া ছাত্রজীবনে কর্ম।
👉প্রতিদিন সকালে মুরগির দোকানে যেতাম মা যেত কোচিংয়ের এভাবে দোকানে পাশাপাশি লেখাপড়া করা শুরু করলাম। মাঝখানে আমি দেড় বছর রাজমিস্ত্রির কাজ করেছি।
👉অতঃপর আমি ক্লাস সেভেন, এইট, নাইন, টেন, এসএসসি পরীক্ষা দিলাম। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার মায়ের দোয়ায় 2012 সালে 3.96 পেয়ে উত্তীর্ণ হলাম।
👉কলেজে লেখাপড়া করতে হবে তাই চলে এলাম অচেনা এক ভাইয়ের মাধ্যমে স্টুডিওতে যোগদান করি, আমার তখন আমার বেতন ধরা হলো ৩০ টাকা এরপর কাজ শিখতে সময় লাগলো প্রায় ১ বছর আমার মা তখন কোচিং আয়ার এর কাজ করেন।
👉স্টুডিওর মালিক মানিক মামা আমাকে কখনোই 32 টাকা দেয় নাই। কিন্ত একদিন ২৯ টাকা দিয়ে আমাকে বলেন আর টাকা নেই আমি মনের খুব কষ্ট পেলাম ।
👉পরবর্তীতে পাশে একটি ল্যাবের কাজ শুরু করি আমার বেতন ধরা হলো 3000 টাকা। আমার ও আমার মায়ের সংসার মোটামুটি চলতে লাগলো। কয়েক বছর পর সেই ল্যাবটি নষ্ট হওয়ার কারণে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হলাম।
👉তার পর এইচ এস সি পাশ করলাম আবার সেই মানিক মামার দোকানে আসলাম। বেতন ধরা হল ৪০০০ হাজার টাকা এভাবে চলতে লাগলাম। মামা আমাকে হঠাৎ করে তার দোকান দেওয়ান প্রস্তাব করেন
👉তখন বলে দোকান দিতে পারি আমাকে কিছু টাকা দে। কিন্তু আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। পরে সে তার ভাতিজির সাথে আমার বিয়ে ঠিক করে দোকান আমাকে দে।
👉আমার ব্যবসার খুব একটা অভিজ্ঞতা না থাকার কারণেই এবং কোন রকমের ডকুমেন্ট না থাকার কারণ। সে আমার কাছ থেকে পুনরায় দোকান ফিরিয়ে নেয়।
👉আমি অনেক চিন্তা পরে গেলাম আমি এখন কি করবো পরবর্তীতে অন্য একটি দোকান যোগদান করি। আমার বেতন ধরা হলো 6000 টাকা। দোকানের কাজ এভাবে চলে গেলে প্রায় চার টি বছর।
👉পর্যায় ক্রমে বেতন বাড়তে বাড়তে আমার বেতন হল ১০,০০০ টাকা। তারপর যখন আমি দোকান মালিক কে বললাম আমার ভেতন কিছু বাড়িয়ে দেন।
👉সে বলল আর বেতন বাড়ানো সম্ভব না । থাকলেই থাকো না থাকলেই না থাকো
👉আমি চারদিকে অন্ধকার দেখতে লাগলাম। এখন আমি কি করবো কি করা উচিত কোন কিছু না ভেবে আমি চাকরি করতে লাগলাম সে 10 হাজার টাকা বেতনে চাকরির পাশাপাশি এখন আমি চিন্তা করি।
👉কিভাবে আমি নিজে কিছু করতে পারি এইভাবে আমি ইউটিউবে সার্চ দেই। পেয়ে যাই আমার অভিভাবক আমার মাথার মনি, আমার স্বপ্নপূরণের দ্রষ্টা ,স্বপ্নপূরণের পথ চলার, সঙ্গী জনাব ইকবাল বাহারের স্যার ভিডিও সেই 64 জেলা থেকে 64 জন কে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে
👉সেখান থেকে 10 মিনিট স্কুল থেকে পেয়ে যাই ব্যবসা করার আইডিয়া কলাকৌশল। প্রতিদিন যখন আমি কাজ থেকে সাইকেলে করে বাড়িতে আসতাম কানে হেডফোন লাগিয়ে স্যারের সেই মোটিভেশনাল কথাগুলো শুনতে শুনতে আসতাম
💜এবং কিছুদিন স্যার কে স্বপ্ন দেখেছি। 💜
👉এভাবে কেটে গেল আমার 6 মাস এখন আমি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিলাম ,কিন্তু আমার মা এবং আমার স্ত্রী ব্যবসা করতে নিষেধ করল। তারা বলল 10000 টাকা দিয়ে আমাদের ভালই চলতেছে ব্যবসা করার প্রয়োজন নাই।
👉বাধা আসল আমার পরিবার থেকেই তারপরও মা ও স্ত্রীকে অনেক বুঝিয়ে পরিশেষে রাজি করালাম। সামান্য কিছু আয় দিয়ে। দোকানটি আমাদের গ্রামে একটি বাজারের নিলাম ,দোকান নেওয়ার পর আশেপাশের মানুষ কানাকানি করতে লাগলো।
👉যেই দোকান 2 মাসও টিকবে না কেউ বলে ৬ মাস টিকবে না | কারো কোন কথা না শুনে আমি আমার মত স্যারের আদর্শে আমার ব্যবসা পরিচালনা করতে লাগলাম |
👉ইনশাল্লাহ প্রথম মাস থেকেই ভালই সাড়া পেয়েছি, এমন সময় স্যার ঘোষণা দিলেন বন্যার্থের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে। সালটা ছিল 02-08-2019 ইং গ্রুপে পোস্ট দিলাম, টাঙ্গাইল থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা করবে কিনা।
👉তখন টাঙ্গাইলে কাউকে না পেয়ে নিজ উদ্যোগে এবং ছোট ভাইদের সাহায্য নিয়ে যমুনা নদীর তীরে বন্যার মাঝে সামান্য কিছু সাহায্য নিয়ে এগিয়ে গেলাম তাদের মাঝে।
👉দোওয়া চেলাম স্যার এবং আমার ব্যবসার জন্য পরিশেষ আমি বলতে চাই। আমি যদি নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন এবং জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের স্যার কে না পেতাম। তাহলে আমার জীবনে কোন কিছুই হতো না আমি আমার অভিভাবক জনাব ইকবাল বাহার স্যার কে কোন কিছুর সাথেই তুলনা দিতে পারি না ।
💗 তিনি আমার স্বপ্নদ্রষ্টা স্বপ্ন বাস্তবায়নকরার কারিগর ।
এখন আমি নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী বলতে পারি ।💗
👉 আমার সাফল্য কিছু অংশ তুলো ধরা হল।
আমি একটি অল্প করে হলেউ জমি ক্রয় করেছি
একটি ঘর দিয়েছি, একটি ছোট করে কবুতরের খামার দিয়েছি, আমার দোকানে আমি মূলধন বাড়িয়েছি
সবাইকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সময় ধরে আমার জীবনের গল্প পড়ার জন্য।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৬১
Date:- ২৮/০৬/২০২১
👦মাজেদুল ইসলাম রুবেল
🇧🇩 টাঙ্গাইল ডিসটিক অ্যাম্বাসেডর
👨🎓ব্যাচ: ৪র্থ"
🖋️রেজি: 1221
📱 মোবা: 01746946872
স্টার্টআপঃ শান ডিজিটাল স্টুডিও এন্ড ইন্টারনেট