গল্পে গল্পে সেল পোস্ট
গল্পে গল্পে সেল পোস্ট
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় প্লাটফর্ম এর সবাই আশা রাখছি ভালোই আছেন।
এই পরিস্থিতি আমরা যারা ভালো আছি আসুন সকলেই একবার মহাণ রবের প্রতি শুকরিয়া আদায় করি। আলহামদুলিল্লাহ ❤️❤️❤️❤️
বড্ড মন খারাপ। চারদিকে শুধু মানুষের বিপদ আপদ আর অসুখ বিসুখ।
এই আহাজারি যেনো প্রতিদিনের নিত্য রুটিন হয়ে উঠেছে। অসুস্থ থাকলে বুঝা যায় আসলেই সুস্থতা আল্লাহর দেয়া কত বড় নেয়ামত❤️❤️।
জানিনা মহান রব এই কোন কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছেন তার বান্দাদের থেকে।
আসলেই মহান রবের কি লীলাখেলা এমন এক ভাইরাস না চোখে দেখি না ছুতে পারিনা অনুভব করতে পারি না ঘ্রাণ নিতে পারি।😢
অথচ এই ছোট্ট অদেখা অচেনা ভাইরাস হাজারো মানুষকে মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দিচ্ছে।মানুষ মরণশীল আমরা তা জানি এবং মনেপ্রাণে বিশ্বাসও করি।
তাই বলে এই ছোট্ট ভাইরাসের হানাতে দিনে হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে খুবই পীড়াদায়ক।
এই ভাইরাসের ভয়ে মানুষ আজ ঘরবন্দী,,,
অনেকেই তো আছেন যারা দিনে এনে দিনে খায় কি হচ্ছে তাদের। কত বেলা অনাহারে আছেন কেই বা বলতে পারি😭😭😭
অনেক মধ্যবিত্ত রা আছেন যাদের মাসিক ঐ ইনকাম টা দিয়েই টেনে টুনে সংসার চলে।
তারা সজ কেউ বা চাকরী হারা কেউবা কাউকে বলতে না পেরে অনাহারেই দিন কাটাচ্ছেন পরিবার পরিজন নিয়ে।যারা মোটামুটি সামর্থবান ছিলো তারাও তাদের যথাসাধ্য হেল্প করার চেষ্টা করতেছে।
কিন্তু কতক্ষণ😢 একজনের হেল্পে ২/৪ দিন খেতে পারলো হয়তো আর বাকি দিন গুলো কেমনে কাটেবে/কাটতেছে তাদের😭😭
এই করোণা পরিস্থিতি ভাড়ার কারণেই অনেকেই বাসার দারোয়ান,, হেল্পিং হেন্ড,, ড্রাইভার এদের কে কাজে আসতে বারণ করে দিয়েছেন।
কি করার সকলেরই জানের ভয় রয়েছে।
মানুষ যতটা না করোণায় মরবে তার থেকেও অনাহারে,,ভবিষ্যত চিন্তায়
মানুষ মারা যাবে। আজ কয়েকদিন লকডাউন,,শাট ডাউন এর চিন্তায় অস্থির এক অবস্থা। বাসায় ছোট বেবী আছে,,,মা বাবা আছে,,তাদের নিয়েও চিন্তায় আছি।
তার মাঝে হেল্পিং হেন্ড হিসেবে এক খালাও আসেন। উনিও হয়তো এই পরিস্থিতিতে আর আসবেন না। খালাও এই কথা বলতেছেন।
আবার এই দিকে দেখি খালা টা ছোট বোনের সাথে কথা বলতেছেন বিভিন্ন বিষয়ে।
কথার এক পর্যায়ে বলতেছে উনি অন্য যে বাসা গুলো তে কাজ করেন ওখানে এক বাসার গৃহীনী খালাকে টাকা দিয়েছে ১০ কেজি চাউল কিনে গুড়ো করে দেয়ার জন্য।
আবার আরেক বাসার আরেকজন দিছেন মসলা পাতি,,,হলুদ,,মরিচ কিনে দেয়ার জন্য। তো খালা এগুলো আমার বোনের সাথে বলতেছেন,,,আরো বলতেছেন একে তো বৃষ্টি তার উপর উনি ৪/৫ টা বাসায় কাজ করেন। সময় তেমন পান না কি করবে। তারপরও বাড়ি ওয়ালার মন রক্ষার্থে বললো করে দিবে,,,একটু মন খারাপ করে আছেন। তার উপর গত দিন নাকি ওনার শরীর ও খারাপ গেছে।
তখন আমার বোন বলতেছে আরে খালা এত মন খারাপ কেনো করতেছেন,,, এখন তো অনলাইনেই এসব পাওয়া যায়। তাছাড়া আপনার তো দূরে কোথাও যাওয়া লাগছে না আমার বোনই তো এসব অর্গানিক প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করেন। আপনি এক কাজ করেন আমার আপুকে হলুদ,,মরিচ,,মসলা,,ও গুড়ির অর্ডার দিয়ে দিন।তাহলে আপনাকে আর ঝামেলা পোহাতে হবে না।
ওমা কি কও তোমার বোন এগুলো করে কই আগে তো কইলানা
আসলে খালা আগে তো এই বিষয়ে কথা হয়নি তাই।
ও,, তাইলে আমি এক কাজ করুম সাইদের আম্মু আর সবুজের আম্মুরে (সেই বাসায় কাজ করেন ওনারা) কমু।
আচ্ছা,,,তখন আমার বোন আমারে ডাকতেছে আপু এই দিকে আয়। খালা কে তোর পণ্য গুলো দেখা।
আমি আমার মোবাইলে খালাকে প্রডাক্ট গুলো দেখালাম।
খালার তো নিজের স্মার্ট ফোন নেই তাই।
আরেক টা কাজ করলাম খালাকে একটা কাগজে আমার পেজ নেম ও আমাদের ফাউন্ডেশন এর নাম লিখে দিলাম।
বললাম খালা এই কাগজ টা আপনি ঐ বাসার আন্টি দের দেখাইয়েন,,,বলিয়েন ফেসবুকে সার্চ দিলেই আমার পেজ Fashion Food BD আসবে। ওখানেই ওনাদের প্রয়োজনীয় প্রডাক্ট অর্ডার করতে পারবেন। আর এই নিচের নাম টা হলো আমাদের ফাউন্ডেশন এর নাম। আমাদের ফাউন্ডেশন এ জয়েন হতে বলিয়েন ওনাদের।
তাহলে এই পরিস্থিতি তে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।আমাদের অনলাইন হাট থেকেই নিতে পারবে সকল প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি।
ওমা এগুলা কি কন🙄🙄 অনলাইন হাট আবার কি,,,আবার কি স্যারের কথা কন।
খালা এই টা হলো আমাদের নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন।
এখানে আমাদের শ্রদ্ধেয় মেন্টর প্রিয় Iqbal Bahar Zahid স্যার আমাদের সবাইকে উদ্যোক্তা বিষয়ক কর্মশালা দিয়ে থাকেন। প্রতিটি ব্যাচে ৯০ দিনের কর্মশালা দিয়ে থাকেন প্রিয় স্যার ওনার সেশনের মাধ্যমে। আর আমাদের এই প্লাটফর্মে প্রত্যেক মঙ্গলবার অনলাইন হাট বসে।
এই হাটে উপস্থিত থাকেন ৬৪ জেলা ও ৫০ টির ও বেশী দেশের সদস্যরা। আমরা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল প্রডাক্ট এই প্লাটফর্ম থেকেই নেয়ার চেষ্টা করি। এই হাটের জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতা সকলেই অপেক্ষা করি সারা সপ্তাহ জুড়ে। আবার প্রত্যেক সপ্তাহে সেরা ক্রেতা কে পুরষ্কৃত ও করা হয়।
আরে খালা আপনার সাথে কথা বলতে বলতে আমি তো হাটে উপস্থিত হওয়ার কথাও ভুলে গেছি।🤭
দাড়ান আমি আমার পণ্য গুলো হাটে তুলে নি।
হাট হাট হাট হাট
আমাদের কাছে যেসব মসলাপাতি বা রান্নার সামগ্রী পাবেন
*হলুদ গুড়াঃ ৩০০ টাকা
*মরিচ গুড়াঃ ৪৫০ টাকা
*ধনিয়া গুড়াঃ৩২০ টাকা
*জিরা গুড়াঃ ৫৮০ টাকা
*চিকন জিরা ও শাহী জিরা মিক্সড গুড়াঃ৬৫০ টাকা
*মাছের মসলাঃ ৫৮০ টাকা
*মাংসের মসলা (২২ পদ)ঃ ৭০০ টাকা
*চটপটি মসলাঃ১০০ গ্রাম ৩৫ টাকা
*লাল চিনি (গোটা)ঃ ৮৫টাকা
*লাল চিনি (পাউডার) ১৫০ টাকা
*চা পাতা (ক্লোন) ৪৮০ টাকা
*চা পাতা (রেগুলার) ৪২০ টাকা
*চাউলের গুড়া(আতপ চাউল) ৮০ টাকা
*চাউলের গুড়া (মিক্সড) ১১০ টাকা
* ড্রাইফ্রুটস ১২০০ টাকা
*লাল আটা ৫৫ টাকা
*চটপটি প্যাকেজ ১১০/৮০ টাকা
*কাচা ফুচকা ২০০ টাকা
সেমাই পিঠা ৩৫০ টাকা
*কাঠ বাদাম ৯০০ টাকা
*কাজু বাদাম ১০০০টাকা
*পেস্তা বাদাম ১৭৫০ টাকা
*চিনা বাদাম ১৮০ টাকা
*কালোজিরে তেল ১৭৫০
*নারিকেল তেল ১২৫০
*সরিষার তেল( কাঠের ঘানি ২৫০,)
*সরিষার তেল( গরুর ঘানি ৩৫০)
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৬২
Date:- ২৯/০৬/২০২১
নওশিন তারানুম
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
নবম ব্যাচ
রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ঃ১২৬২৮
জেলাঃ ফেনী