তারাও আমাকে চিনেনা। আমিও তাদেরকে চিনিনা। তবুও কথায় বলে - রক্ত কখনও আলাদা হয়না
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম।
পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি৷
আমার প্রানপ্রিয় ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যকে জানাই সালাম৷
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের নমস্কার, আদাব ও অন্যান্য ধর্মালম্বীদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি। যার অশেষ রহমত, নিয়ামত ও বরকতের বিনিময়ে আমিসহ আমার সকল প্রিয় ভালোমানুষ গুলো এখন সুস্থ, সুন্দর ও ভালো আছে৷ আল্লাহর কাছে লাখো, কোটি শুকরিয়া। তিনি এমন ভয়াবহ দূরাবস্থাতেও আমাদের সকলকে ভালো রেখেছেন৷ তার এই নিয়ামত ও বরকতপূর্ণ দুনিয়ার আলো, বাতাস, খাবার ও বাসস্থান দিয়ে আমাদের দয়া করছেন।
তারপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মেন্টর আপনার আমার আইকন, আইডল জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়া তোলা লক্ষ মানুষের শিক্ষাঙ্গনে আমাকে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। প্রতি নিয়ত, প্রতিটি মূহুর্তে এই বিদ্যালয় হতে আমি কিছু না কিছু শিখেই চলেছি। সবই সম্ভব হয়েছে এই মহাপুরুষটির বদৌলতে। তাই তার কাছে আমি চিরঋণি।
তারপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় পরিবারের প্রতিটি মানুষের প্রতি৷ আজ তারা যদি না থাকতো তাহলে হয়তো এই পরিবারটি আমি পেতাম না৷ তারা যদি না থাকতো হয়তো এতো এতো শিক্ষাও আমি কোথাও পেতাম না৷ এতো এতো ভালোবাসা এই পরিবারে তা কেউ যুক্ত না হলে জানতেই পারবে না।
সর্বদা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি আমার গর্ভধারিনী মায়ের প্রতি। তার লক্ষ কোটি ত্যাগের বিনিময়ে আমি এই পৃথিবীর আলো দেখতে পেয়েছি। এখনো পাচ্ছি৷ হয়তো তার ত্যাগগুলো না থাকলে আমার জন্ম হতো৷ বা হলেও আমি জীবন থেকে এখনের এই শিক্ষা গুলো নিতে পারতাম না৷
আসলে আমি সবাইকে একটা ঘটনা শোনাতে চাচ্ছি৷ কারণ, আমি কোনো কবি বা সাহিত্যিক নই৷ নই কোনো গল্পকার বা ঔপন্যাসিক। আমি কোনো ইতিহাসবিদও নই। আমি খুবই সাধারণ অতি সাধারণ একজন ভালো মানুষ। একজন সেচ্ছাসেবক বা ভলান্টিয়ার। ভালো মানুষ এজন্যই বলছি কারণ আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে৷ তাহলে আমি তো খারাপ মানুষের পরিবারের মানুষ না৷ আমি একটা আদর্শ ও ভালো মানুষের পরিবারের মানুষ। হ্যাঁ, আপনি হয়তো ঠিকই ধরেছেন। আমি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর পরিবারের একজন ভালো মানুষ। এতো গুলো ভালো মানুষের সাথে আমি অবশ্যই একজন ভালো মানুষ। আর তাইতো আজ নিজের পরিবারের মানুষের সাথে একটা ঘটনা বলবো৷
আমার কষ্টগুলো আলাদা করে শোনানোর মতো অতিরিক্ত কোনো মানুষ নেই। আর, আমি মনে করি। এতো বড় একটা পরিবার এতো এতো আপনজন৷ আমি কেনো আমার কষ্ট বুকে নিয়ে ঘুরবো। আমি আজ বলবো আমার কষ্টের কথা৷
সময়টা এরকম এক বর্ষাকাল। ২০০৯ সালের এপ্রিল বা মে মাস৷ গ্রীষ্মের শেষ প্রায়। তখন আমি ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ি। স্কুলে প্রতিবছরের মতো গ্রীষ্মকালীন ছুটি দিয়েছে৷ আমরা তখন সাভারে থাকি। আমি ছোটো থেকেই সাভারে বড় হয়েছি৷ আমাদের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট এ৷ এর আগের গ্রীষ্মে বৃষ্টিপাত বেশি ছিলো বলে মা আমাকে নিয়ে বাড়িতে যায়নি। স্কুলের ছুটি ছিলো ১৩ দিন। মা, প্রিন্সিপাল স্যারকে বলে আরো ৭ দিন বাড়িয়ে ২০ দিন ছুটি নিয়ে বাড়িতে গেলো। আমার বাবা নেই। মারা যায় নি। হারিয়ে গেছে। আমরা হারিয়ে ফেলেছি বাবাকে। এই নিষ্ঠুর দুনিয়ায় অসহায়ত্বের কাছে হারিয়ে ফেলেছি বাবাকে। সে অন্য নারীর মায়ায় আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে৷ তাই কোনোদিনই বাবার সাথে কোথাও যাওয়া হয়ে ওঠেনি আমার৷ আফসোস টা আফসোসই রয়ে যায়। আমরা বরাবরের মতো মামার ঘরে উঠলাম। আমার বয়সটাও অল্প ৯ কি ১০ বছর হবে। আমরা সকালে বাড়িতে পৌঁছেছি বিকেলে আমার একটা মামি এসেছে আমাকে দেখতে। আমার মা আমি হওয়ার আগে থেকেই পান খেতো। তাই মা বাড়িতে গেলেই অনেকে পান খেতে হলেও মামার ঘরে আসতো৷ তো মামিও মায়ের কাছ থেকে একটা পান চেয়ে মুখে পুরে দিয়ে বললো, -
মামি - মেহেদীর মা, হুনছি মেহেদীর বাফে বাড়ী আইছে। পোলাডায় তো বাফেরে দেহার জইন্যে পাগল৷ তুই এট্টু যাবি নাহি পোলাডারে লইয়া৷।
মা মামির মুখের উপর সোজা না করে দিলো৷ বললো - আমার পোলা আমি পালতে আছি৷ কেউ কি আমার খোঁজ নেয়। পোলা দেহাইতে আবার গাঙ পাড়ি দেবে । আমার পোলা কোনো জাগায় যাবে না৷
মামি - তাও এট্টু ভাইব্বা দেহিস৷
মামি এই কথা বলে চলে গেলো।
মা রাতে ঘুমায়নি৷ আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে সারারাত কান্না করলো৷ ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করলো৷
সকালে যেনো কি ভেবে আমার একটা খালাতো ভাইকে খবর দিয়ে আনালো। আমাকে সুন্দর করে সাঝিয়ে গুছিয়ে কাপড় চোপড় পড়িয়ে তার হাতে দিয়ে বললো- শাকিল, ওরে নিয়ে ফুলহাত্তা যাবি ওরে ওগো বাড়ি নিয়া যা৷ ওর বাফে বলে বাড়ি আইছে। ইট্টু দেহাইয়া আন। তার কাছে একটা ব্যাগ আর কিছু টাকা দিয়ে দিলো৷
আমি ভাইয়ার সাথে বের হলাম। মনে অনেক আনন্দ। আমি এই প্রথম আব্বাকে দেখতে পারমু। অনেক রাস্তা হাটলাম৷ সকালে নাস্তা খেয়ে আমরা বের হইছি৷ দুপুর হয়ে গেলো আমরা নদীর পাড় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি নি৷ ভাইয়া বললো। এই তো আর অল্প একটু রাস্তা৷ আমার আর পা চলছিল না৷ আমি জীবনে কোনেদিন এতো রাস্তা হাটিনি। তবুও মনে মনে একটা আনন্দ ছিলো। আজ বাবাকে দেখতে পারবো৷ কিছুক্ষণ পড়েই আমরা খেয়া ঘাট চলে আসলাম। তখন সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে। জানিনা আর কতদূর। ভাইয়া আর আমি খেয়ায় নদী পাড় হলাম৷ ওইপাড় গিয়েই বাজার বাজারে আমার চাচাতো চাচার সাথে দেখা হলো আমাদের। তারাও আমাকে চিনেনা। আমিও তাদেরকে চিনিনা। তবুও কথায় বলে - রক্ত কখনও আলাদা হয়না৷ তেমনি রক্তের টানে সে অনেক কথার পর আমার পরিচয় পেলো৷ বলল, আমার বাবার কথা গতকাল বিকেলেও বাজার-এ দেখছে৷ আজ এখন পর্যন্ত দেখেনি। তারপরও আমরা একবার খুঁজে দেখলাম সে বাজারে নেই৷ আমার পা ফুলে উঠেছে। আমি ব্যাথায় কান্নাকাটি শুরু করলাম৷ ভাইয়া আমাকে নিয়ে একটা হোটেলে বসেন। আমি আর ভাইয়া পুরি খেলাম। সন্ধ্যা হয়ে গেছে আমি মাকে না দেখে কান্না কাটি শুরু করলাম৷ বাবা কই? তাছাড়া, অন্ধকার আমার অনেক ভয় লাগে। আমার কান্না শুনে ভাইয়া আমাকে ধমকাতে শুরু করলো৷ কিছুক্ষণ পর ভাইয়া। আমাকে নিয়ে চাচাকে খুঁজে বের করলো৷ পরে আমার মামার শশুড় বাড়ীর ঠিকানা জানতে চাইলো৷ কারণ, কাছেই আমার মামার শশুড় বাড়ী। রাতটা কোনো ভাবে সেখানে কাটালাম৷ সকালে আমরা সেই নানুর বাড়ী ( মামার শশুড় বাড়ী) নাস্তা করে আমাদের বাড়ীর উদ্দেশ্যে বের হলাম৷ আমার দাদার বাড়ী এখান থেকে প্রায় ঘন্টা দুই এর রাস্তা। ভাইয়াও ভালো করে চিনতো না। অনেক কষ্ট করে। জিজ্ঞেস করতে করতে দুপুরের একটু আগে পৌঁছালাম৷ গিয়ে শুনি বাবা এসেছিলো তার ঘর নিয়ে যেতে। গতকাল সন্ধ্যায় নৌকায় করে সবকিছু নিয়ে চলে গিয়েছে৷ তার শশুড় বাড়ী। মানে আমার সৎ মায়ের বাড়ীতে৷ বাবাকে না পেয়ে মনটা আমার ভেঙ্গে গেলো৷ আমি সেখানেই অনেক কান্না করলাম৷ বাড়ীতে আমার বড় চাচা একা থাকতো৷ আমার কান্না শুনে অন্য বাড়ীর লোকেরা এসে সান্তনা দিয়ে গেলো তবুও তারা আমার মাথায় একটু হাত বুলালো না। আমি দুপুরে সেখানে রইলাম৷ তারা দুপুরে আমাদের কোনো খাবারও খেতে দিলো না৷ এক ফুফু ভাইয়াকে বলল তোমরা আমাদের ঘরে খাও৷ ভাইয়া না করে দিলো৷ পরে ফুফু বলল পুকুর পাড়ে তোমার আব্বার ভাগের নারিকেল গাছ আছে সেখান থেকে একটা নারিকেল খাও৷ ভাইয়া গাছ উঠে একটা নারিকেল পারলো৷ দা দিয়ে মাত্রই কাটবে ঠিক তখনই আমার বড় চাচী তার হাত থেকে নারিকেল নিয়ে বলল। নারিকেল পারছো কারে জিজ্ঞেস করে৷ সে বললো কেনো এটা ওদের বাড়ীর গাছ ও দুপুরে কিছুই খায়নি একটা নারিকেল ওর ভাগের কি ও খেতে পারবে না৷ বড় চাচী বলল ওর বাপের যা কিছু ছিলো নিয়ে গেছে। ওর বাপের কাছে আমরা টাকা পামু৷ টাকা দিয়া তারপর নারিকেল খাইয়ো৷ আমি একদম অবুঝ ছিলাম না৷ ভাইয়া এদের এরকম অমানবিক কথা - বার্তা আর বিচার শুনে রাগে আমাকে একটা থাপ্পড় দিয়ে আমাকে নিয়ে হাটা শুরু করলো৷ ভাইয়ার চোখ লাল হয়ে গিয়েছে৷ আমি বুঝতে পেরেছিলাম ভাইয়া অনেক কষ্ট পেয়েছে৷
ভাইয়া আমাকে নিয়ে বাজারে চলে আসলো৷ হোটেলে ঢুকে আমাকে পুরি আর চা খাওয়ালো৷ এদিকে আমার মনে বাবাকে দেখার অনেক ইচ্ছা৷ ভাইয়াকে আবার বললাম৷ ভাইয়া আব্বাকে কি আমরা পাবো না৷ ভাইয়া আমাকে চুমো দিয়ে বলল একটু অপেক্ষা কর একটু পর ট্রলার আসলে আমরা যাবো৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাবো? ভাইয়া বলল তোমার আব্বুকে খুঁজতে৷ আমিতো আনন্দে আত্মহারা৷ ভাইয়া আবার সেই চাচাকে খুঁজে বের করে আমার সৎ মায়ের বাড়ির ঠিকানা নিল। বিকেলে আমরা নারিকেলবাড়ীয়ার উদ্দেশ্যে ট্রলারে উঠলাম৷ সন্ধ্যার একটু আগে আমরা ট্রলার থেকে নামলাম এবং ভাইয়া ঠিকানা অনুযায়ী সেই বাড়িতে গেলো৷ কিন্তু, দূর্ভাগ্য আমার গিয়েও বাবা সেখানে পেলাম না৷ সে যেনো কোথায় গেছে তারা জানেনা৷ আমার সৎ মা ভাইয়াকে বলল তুমি কোন সাহসে আমার স্বামীরে খুঁজতে এখানে আসছো৷ ভাইয়া কিছু বলতে যাবে অমনি সে বলল আমার মান-ইজ্জত আছে৷ আমি তোমাদের সাথে উল্টাপাল্টা কিছু বলতে চাই না৷ তুমি চলে যাও৷ ভাইয়া কষ্ট পেয়ে আমাকে নিয়ে হাটা শুরু করলো৷ আমার মনে আছে আমরা রাত দুইটায় খেয়া ঘাটে পৌঁছে বসেছিলাম৷ রাতে কোনো খেয়া চলে না৷ সকাল হওয়ার পর ভাইয়া আমাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসলো৷ আমার কষ্টটা রয়েই গেলো৷ আমি বাড়িতে এসে অনেক কান্না করছিলাম৷ না খেয়ে ছিলাম৷ মা জিদ করে আমাকে অনেক মেরেছিল। আমি সেই মার খেয়ে অনেক অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম৷
আর কোনোদিন আমি সুযোগ পাইনি আমার বাবাকে দেখার৷ আমরা আবার সাভারে চলে আসছিলাম। কিন্তু, এতো প্রতিক্ষার পরও সেই বাবা নামক ব্যক্তিটিকে দেখা হয় নি। আমি আবার একবার বাড়িতে গিয়েছিলাম৷ বাবা নাকি রাতে আমাকে দেখতে আসছিলো৷ কিন্তু দূর্ভাগ্য আমার দেখা হয়নি তাকে৷
আমি অনেক ফোন করেছি তাকে সে ফোন রিসিভ করে হ্যালো বলার পরই৷ মোবাইল এর অন্যদিকে আমার সৎ মায়ের গালিগালাজ শুনতাম। অনেক চেষ্টা করেছি বাবাকে একটু দেখার৷ সেই দেখার স্বাদ আমার আজও পূরণ হয়নি৷ আমার কাছে আমার বাবার একটা ছবিও নেই৷ আমি অনেক খুঁজেছি তাকে৷ সে আমাকে এড়িয়ে চলে৷ আমার বাবা আমার সামনে আসে না৷ অনেক মিস করি বাবা নামক এই ভীতু মানুষটাকে৷ অনেক ভালোবাসি তাকে৷ আমি তাকে খুব বেশি মিস করি৷ আমি দোয়া করি সে যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক৷ আল্লাহ তাকে সুস্থ ও সুন্দর রাখুক৷
সমাজের প্রতিটি পুরুষের কাছে হাতজোড় করি৷ প্রয়োজন হলে পায়েও পড়বো৷ কেউ যেনো এমন কাজ না করে। তাহলে, হয়তো আমার মতো এমনও হাজারো নিরব কান্না করবে প্রতিটি রাতে৷
সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৬৩
Date:- ৩০/০৬/২০২১
আমি মেহেদী হাসান নিরব।
#কমিউনিটি_ভলেন্টিয়ার। ( নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন)
সদস্য - রেজিষ্ট্রেশন টিম। ( নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন)
ব্যাচ - ১১
রেজিষ্ট্রেশন নং - ৩১৮৩৪
নিজ জেলা - বাগেরহাট।
বর্তমান অবস্থান - সাভার।
পেশা - অ্যাসিস্টেন্ট অপারেটর এন্ড বারকোড্ কিউসি।
কর্মস্থল - এভেরী ডেনিসন - প্যাক্সার বাংলাদেশ লিঃ ( ডিইপিজেড)।
পড়াশুনা - বিবিএস দ্বিতীয় বর্ষ৷
ক্যাম্পাস - ধামরাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
রক্তের গ্রুপ - ও পজিটিভ।