এরপর আবার আমি নতুন স্বপ্ন দেখি উদ্যোক্তা হব:
💐বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম💐
🌹আসসালামু আলাইকুম 🌹
আজকে আমি আমার বাস্তব জীবনের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বলবো।
🤲প্রথমেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মহান সৃষ্টিকর্তার উপর যিনি আমাদের এই করোনা মহামারী ভিতরেও আমাদেরকে সুস্থ রাখছেন। এজন্য শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ🤲
💞প্রথমে আমি ধন্যবাদ জানাই প্রিয় মেন্টর ভালো মানুষ তৈরি করার কারিগর মানবতার ফেরিওয়ালা শ্রদ্ধেয় প্রিয় স্যার জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর প্রতি। এত সুন্দর একটি প্লাটফ্রম তৈরি করে দেওয়ার জন্য ।আর এই প্লাটফর্ম তৈরি না করলে চেনা হতোনা হাজারো ভালো মানুষের সাথে এবং ভালো মানুষের পরিবারের সাথে আমি আরো একবার ধন্যবাদ জানাই প্রিয় স্যার ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। স্যালুট স্যার💞
আজকে আমি আমার বাস্তব জীবনের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বলব আশা করি আপনারা ধৈর্য সহকারে গল্পটা পড়বেন।
🌺আমার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠার যমুনা নদীর চরের মধ্যে আমার ছাত্র জীবন ভালোই চলছিল এবং তখন আমি ছাত্র অনেক ভালোই ছিলাম জেএসসি পাস করে যখন নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হলাম আর তখনই আমার জীবনের এক ভয়ঙ্কর বাধার সম্মুখীন হলাম তা হচ্ছে আমার ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞান বিভাগে পড়া কিন্তু যমুনা নদীর এপার বাড়ি থাকার কারণে যাতায়াত সুযোগটা ছিল খুবই কম । আর তা বাধা হয়ে দাড়ালো দুঃখের সাথে আমাকে বেছে নিতে হলো মানবিক শাখা আর সেখান থেকেই আমার পড়াশোনার আগ্রহ টা কমে এতটাই নিচে গেল যে এস এস সি রেজাল্ট হল খারাপ কোনরকম পাস করলাম।🌺
🍂আমার স্বপ্ন :
আমার ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল সডিফেন্সে চাকরি করার আমি আমার স্বপ্নের দিকে আগাচ্ছিলাম কিন্তু ভাগ্যটা সহায় হলনা না লিখিত পরীক্ষায় এক বার এবং আরেকবার মেডিকেলে আমি বাদ পড়ে যাই
আসলে মূল সমস্যা ছিল টাকা ।টাকা দিতে পারলে চাকরি হবে ঔআর টাকা না দিতে পারলে চাকরি নাই।
যেহেতু আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান এত টাকা পাবো কোথায়। টাকা না দিতে পারায় আমার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।🍂
👉👉এরপর আবার আমি নতুন স্বপ্ন দেখি উদ্যোক্তা হব:
এইচ এস সি দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার পাশাপাশি আমি একটা চাকরি নেই আর চাকরি নেওয়ার পর থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলাম যে কথা সেই কাজ যখন আমার এইচএসসি পরীক্ষা গনিয়ে আসলো তখন চাকরিটা ছেড়ে বাড়িতে চলে আসি। আর বাড়িতে এসে প্রথমে ৪টা টার্কি মুরগির বাচ্চা ৩২০০ টাকা দিয়ে টাঙ্গাইলের একটি ফার্ম থেকে ক্রয় করে নিয়ে আসলাম প্রচন্ড শীতের মধ্যে বাচ্চাগুলো লালন-পালন করতে লাগলাম এবং আমি নিজ হাতে ভ্যাকসিন ওষুধ খাওয়াইয়া বড় করলাম। হঠাৎ দেখি টার্কির বাচ্চা গুলোর ডিম দিতে শুরু করছে। তখন আমি চিন্তাভাবনা করলাম বাচ্চা ফোটাবো দেশি মুরগি দিয়ে টার্কি মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটালাম। বাচ্চা এবং ডিম বিক্রি করে ভালো একটা প্রফিট পেলাম। কিন্তু সেটাকে বেশিদিন টিকাতে পারলাম না কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে। আর তখন আমি এই ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়িয়ে হয়ে গেলাম বেকার। কিছুদিন পর থেকে আমাকে ফ্যামিলি থেকে চাপ দিতে থাকে এবার কিছু একটা কর চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াও। তখন আমি আরো হতাশ হয়ে ভেঙ্গে পড়লাম এখন চাকরি পাব কোথায়। দেড় মাস পর থেকে বাবা-মা এবং বড় ভাইদের নানান কথা শুনতে লাগলাম। হঠাৎ মাগরিবের আজানের সময় আমার ফোনে বড় ভাইয়ের একটা ফোন আসলো আর বলল তুই এখনি চলে আয় আমি আর দেরি না করে তখনই রওনা দিলাম। পরদিন সকালে ভাইয়ের সাথে একটা অফিসে আসলাম আমার কাগজপত্র দেখে চাকরি কনফার্ম হল আর সেই থেকে লেগে আছি এখন অব্দি।
👉👉কিভাবে এই গ্রুপে আসা: 2020 সালের অক্টোবর ও নভেম্বরের মাঝামাঝি দিকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ওবায়দুল্লাহ আমিন প্রবাসী ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয় এবং আমাকে বন্ধু বানিয়ে ফেলে তো আমি যখন হতাশাগ্রস্ত আমার জীবনের গল্প বলি তার কাছে তখন তিনি আমাকে বলেন নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশনে কি তুমি অ্যাড আছো আমি বললাম না। সেটা কি? উনি আমাকে ইনভাইট করলো এবং বললো একসেপ্ট করে লেগে থাকো এবং রেজিস্ট্রেশন করে ফেলো তুমি একদিন সাকসেস হবেই। আর তখনই আমি রেজিষ্ট্রেশন করে ফেললাম ১৩ তম ব্যাচের শুরু থেকেই আমি লেগে থাকি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করতেছি এখন অব্দি লেগে থাকার ।
💝 এবং স্যারের অনুপ্রেরণায় আবার স্বপ্ন দেখতেছি উদ্যোক্তা হওয়ার সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন সাকসেস হতে পারি।💝
আর সেদিন আপনাদের সফলতার গল্প শোনাবো।
শুনাবো উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প
আর বেশি কিছু লিখে আপনাদের মহা মূল্যবান সময় নষ্ট করতে চাই না ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আল্লাহ হাফেজ।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৬৬
Date:- ৪/০৭/২০২১
💞ধন্যবাদান্তে💞
মোঃ আজিজুল হাকিম
ব্যাচ নাম্বার: ১৩
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার: ৫১২৫৯
উপজেলা: ভুয়াপুর
জেলা: টাংগাইল
বর্তমান অবস্থান: ময়মনসিংহ