এরকম একজন বাবার মেয়ে হতে পেরে।
........... বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম................



যিনি আমাদের সবার প্রিয় স্যার। প্রিয় আইডল। সুদক্ষ মানুষ তৈরি করার কারিগর। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের মডারেটর এবং এডমিন প্যানেলের প্রতি।

তারসাথে আমার ছোট একটা পেইজ Jahan Fashion এর পক্ষ থেকে সবাইকে প্রীতি-শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করছি।


.......আজ আমি আমার নিজের গল্প শেয়ার করতে চাই। আমার ছোটবেলা থেকে শুরু করে উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প.....


আমার বাবার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল
থানার নওমালা গ্রামে।
আমার বাবা ছিলেন একজন চাকরিজীবী।আমার বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন।একনামে সবাই তাকে চিনতেন।এখনো বাউফলে কাশেম পঞ্চাইতের নাম বললে অধিকাংশ মানুষই তাকে চিনে। এদিক থেকে আমি খুব লাকি 
এরকম একজন বাবার মেয়ে হতে পেরে। বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। বাবার যখন লিভার ক্যান্সার ধরা পড়লো তখন মনে হলো দুনিয়া অন্ধকার
বাবাকে বাচানোর জন্য সকল ধরনের চেষ্টা করা হলো। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। সবাইকে ফাঁকি দিয়ে বাবা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। দুনিয়ার সকল জায়গা থেকে খবর আসে কিন্তু আমার বাবার খবর আর আসে না।







আমার বাবার জানাজা হয় নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজের মাঠে। আলহামদুলিল্লাহ বাবার জানাজায় ৩-৪ হাজার লোক হয়েছিলো। কতটা ভালো মানুষ হলে তার জানাজায় এত লোকের সমাগম হতে পারে। আমার বাবারা ৪ ভাই ছিলেন।বাবা ছিলেন বড়।বাবা মারা যাওয়ার পড়ে একে একে আমার দুই চাচাও মারা যায়...সেই একই মরণঘাতী ক্যান্সারের ছোবলে।




















ক্লাস থ্রি পর্যন্ত ওই স্কুলে পড়ি৷ তারপরে ভর্তি হই... এ.কে.স্কুল & কলেজে। ক্লাস ৮ পর্যন্ত ওই স্কুলে পড়াশোনা করি। এরমধ্যে ১৯৯৩ সালে আমার নানা মারা যায়
।বড়মামা এবং ছোটমামা বিদেশে চলে যায়।


তারপর এইটের পর নাইনে এসে ভর্তি হলাম নিজ জেলা পটুয়াখালীর বাউফল থানায়।বাউফল আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ১৯৯৮ সালে এস.এস.সি পাশ করি।


আমার সেজোমামা শহিদুল ইসলাম ওই স্কুলের ই গনিতের সিনিয়র শিক্ষক এবং আমার মামিও ওই স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা। আমার সেজোমামা আমার কাছে একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি।আমি আমার জীবনে যদি কাউকে সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়ে থাকি তাহলে সেটা হচ্ছে উনি।এতো বড় হয়ে গেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত ওনার সামনে দাড়িয়ে কথা বলতে ভয় পাই। দোয়া করি আমার মামার জন্য আল্লাহ যেনো ওনাকে নেক হায়াত দান করে। 





আমার হাজব্যান্ড পল্লী বিদ্যুৎ এ চাকরি করে। ২০০২ সাল থেকে আমি শরীয়তপুরে আছি। ২০০৫ সালে আমার বড় মেয়ের জন্ম হয়।
আমি আমার সংসারে সব সময় কিছু না কিছু করে করে যেতাম বাচ্চাদের পড়াতাম মেশিনে সেলাই কাজ করতাম।
তার পর আমি ২০০৭ এসে শরিয়তপুরের একটা লোকাল এনজিও এস.ডি.এস এ চাকরি করি। ২০১৩ সালে আমার আবার একটা কন্যা সন্তান হয়।তখন মেয়েকে রাখবো কার কাছে কাজের লোকের কাছে মেয়েকে রাখবো না। সেই ভেবে চাকরিটা ছেড়ে দিলাম। চাকরি ছাড়ার পর আবার ঘরে বসে সেলাই কাজ করতাম।








আলহামদুলিল্লাহ আমি আমার ভিতর অনেক পরিবর্তন উপলব্ধি করতে পারি, নিজের পিছনের ভুলগুলো শুধরে প্রচন্ডভাবে লেগে থাকা শিখে গিয়েছি এবং আমার কাজের প্রেমে পড়ে গিয়েছি।


নাজমুন নাহার নেলি
ব্যাচঃ ১৩ তম
রেজিষ্ট্রেশন নংঃ ৫৯৬৮৮
জেলাঃ পটুয়াখালী
বর্তমানে কাজ করছি শরিয়তপুর থেকে......