একটা মেয়ে যখন কোন বিজনেস করে তাকে কতটুকু ধর্য্য ধরতে হয় তা আরেকবার নিজেকে নিজে প্রমান দিলাম।
কেমন আছো সবাই?
অনেক দিন পর আসলাম।
আজকের দিনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা তোমাদের মাঝে শেয়ার করতে আসলাম
একটা মেয়ে যখন কোন বিজনেস করে তাকে কতটুকু ধর্য্য ধরতে হয় তা আরেকবার নিজেকে নিজে প্রমান দিলাম।
আমার সাথে আজকে সারাদিন কি হলো সবার সাথে শেয়ার করতে চাই।
আজ সকাল দশটায় ঘুম থেকে উঠলাম,ছোট বোন ডেকে উঠালো বললো ক্লাইন্ট আসছে,ফেসিয়াল আর প্লাক করবে তো একজনকে বললাম তুমি ফেসিয়াল করো তারমধ্যে আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি প্লাক করে দিবো,পার্লার যেতেই বেস্ত হয়ে পরলাম, তারমধ্যে আজ আরো দুইজন স্টাফ নেই
তারা বাড়িতে গেছে।
আমি আর একজন আছে,যার কারনে খুব বেস্ততায় সময় যাচ্ছিলো,মোবাইল হাতে নেওয়ার সময় পাই নাই, এরই মধ্যে অনেক ম্যাসেজ আসছে মোবাইলে আমি সিন করার সময় পাই নাই, কিছুক্ষন পর মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুকে ডোকার চেষ্টা করলাম দেখি যে আমার ফেসবুক অ্যাপ কাজ করছে না,
একটু টেনশনে পড়ে গেলাম পরে ভাবলাম হয়তো কিছুখন পর ঠিক হয়ে জাবে,আমি আমার বেস্ততায় রয়ে গেলাম। স্টাফ না থাকাতে আজ আমার একটু কষ্ট বেশি হচ্ছে। যখন দুপুর ২ টা বাজে হাজবেন্ড Rajib Dk দোকান থেকে আসলো দুজন একসাথে ভাত খাবো তাকে মোবাইল টা দেখালাম ফেসবুক টা কেন চালু হচ্ছে না একটু দেখো,সে দেখে বললো তোমার ফেসবুক হ্যাক করার চেষ্টা করছে সে ও ক্লিয়ার কিছু বুজতে পারছে না,তখন টেনশনে আমি আর খেতে বসলাম না তাকে খাবার দিয়ে পার্লারে চলে আসলাম।
সে ফোনটা দোকানে দেখাতে নিয়ে গেল সেখানে কনফার্ম হলো আমার ফেসবুক হ্যাক করার চেষ্টা করছে অনেক বার কিন্তু করতে পারে নাই, তাই তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে,আমি তো টেনশনে শেষ কারন আমার ক্লাইন্ট বেশির ভাগ আমার সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করে, তাছাড়া আমার এতো কষ্টে বড় করা পেইজ কিছুই ভালো লাগছিল না আবার সারাদিন কিছু খাইনাই কি যে একটা অশান্তি আবার বিজনেস সামলানো।
এই প্রথম আমার মনে হচ্ছিল যে এখন আর ক্লাইন্ট না আসোক খুব অশান্তি লাগছিলো।
তোমরা হয়তো ভাববে একটা ফেসবুকের কারনে এতো অস্থিরতা?
কিন্তু না এটার মধ্যে আমার বিজনেসের কাজ বেশি ছিল তাই এমন করেছি।
কিছুক্ষন পর একটা আন্টি আসল তার মেয়েকে ফেসিয়াল করাবে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম কি ফেসিয়াল করবেন সে বললো ভালো ফেসিয়াল যেটা আছে ওটাই করবে তো আমি দাম বললাম, দাম শুনে তার চোখ কপালে ওঠে গেল না না এতো দাম দিয়ে করাবে না,অন্যা পার্লারে আরো কমরাখে।
তো আমি বললাম আন্টি আপনি যেখানে কম পাবেন সেখানেই কাজ করাবেন সেটাই স্বাভাবিক কিন্তু মেয়ে বলতেছে আমি আপুর এখানে করবো যাইহোক কিছু টা কম রেখে কাজ শুরু করতে বললাম আমার স্টাফ কে,তারপর শুরু হলো আন্টির কথা আমার সাথে।
১/ আন্টি-অন্যা জায়গায় আরও কম রাখে আপনি কেন বেশি রাখেন,
আমার উওর- আন্টি আমি যে মেডিসিন ব্যাবহার করি সেটার দাম বেশি তাই আমার এখানে দামটা হালকা বেশি।
২/আন্টি-এতো বড় পার্লার নাকি এটা বাসা,
আমি না এটা শুধু পার্লার আমার বাসা আলাদা।
৩/ আন্টিওহ এতো বড় পার্লার?কাজ হয় নি ভাড়া কতো দেন পুষে নি আপনার?
আমার উওর আন্টি আপনাদের দোয়াই মোটামুটি ভালো চলে দোয়া করবেন।
৪/আন্টি-আপনার জামাই কি করে, পোলা মাইয়া আছে নি,শশুর বাড়ি কই তারা কেমন মানুষ আরো ইত্যাদি।
আমার উত্তর আন্টি আমার মেয়ে দুজন, স্বামী চাকরি করে দোয়া করবেন সবাইকে নিয়ে যেন ভালো থাকতে পারি।
৫/আন্টি -ওবা আমার মেয়েরে যে ফেসিয়াল করে দিচ্ছেন এটা সুন্দর হইবো নি ভালা করি দিবেন যেন সাদা হয়ে যায়,
আমার উত্তর- আন্টি ফেসিয়াল করলে ফর্সা হয়না স্কিনের ময়লা দুর হয় স্কিন ভালো থাকে বয়সের ছাপ আসে না, ওনি না ভালো করি করে দিবেন যেন সাদা হয়ে যায় আমি আচ্ছা আন্টি।
৬/আমাদের বাড়িতে কতজন ক্রীম মাখে ফর্সা হয়ে গেছে ওটা আছে নি?
আমি বললাম না আন্টি আমার কাছে ওই ক্রীম নাই তাছাড়া দ্রুত ফরসা করে এমন জিনিস ব্যাবহার না করাই ভালো স্কিন কেনছাড় হতে পারে ।তারপর কিছুকন নিরবতা আমার কি যে আশান্তি লাগছে বুজাতে পারবো না,তারপর ওনার সাথে ভালো করে কথা বলে যাচ্ছি।
৭/ তার কিছুখন পর উনি আমাকে বলছে ওবা আপনি ফেসিয়াল করতে পারেন না, নিজের পার্লার দুই দিন পরপর করবেন তাইলে সাদা হয়ে যাবেন, আমি আন্টি নিজের জন্য সময় হয় না,,,করি যখন সময় পাই।
৮/আন্টি-এতো টাকা কি করো জামাই কাম কাজ কিছু করে নি বাড়ি টারি আছে নি?-
আমি আন্টি জামাই এতো দিন দেশের বাহিরে ছিল এখন দেশে আসছে চাকরি করে শশুর বাড়ি আছে আবার জামাই এস্টা করে জায়গা নিছে দোয়া করবেন।
৯/শাশুড়ী আয়ে নি, ভালো নি নাকি জ্বালাই,দেয়র ভাসুর কিছু আছে নি,আমি দেবর দুই জন সবাই ভালো।
১০/ ওবা কিছু মনে করেন নি এতো কথা জিগায় যে,
আমি -না আন্টি, কথা বলতে আমার ভালোই লাগে।
এরই মধ্যে মেয়ের ফেসিয়াল শেষ হলো,চলে গেল আন্টি,
কতটা দর্য্য থাকলে খালি পেটে মাথায় টেনশন নিয়ে তারসাথে স্বাভাবিক ভাবে কথার উওর গুলো দিলাম। আর আমি আমার ফেসবুকের টেনশনে শেষ কিছুখন পর এক ক্লাইন্ট ফোন করে বললো আপু আপনাকে ম্যাসেজ দিচ্ছি সিন করেন না মোবাইলে কল দিছি একটা পুরুষ ধরছে পরে আপনার পেইজ থেকে আরেকটা নাম্বার যোগার করলাম,এই কথা শুনে টেনশন আরো বেড়ে গেলো তাকে বুজায় বললাম আপু আমার ফেসবুক সমস্যা করছে যে ফোন ধরছে ওটা তোমাদের ভাইয়া ফেসবুক ঠিক করার জন্য বাজারে নিয়ে গেছে।
এমন করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল হাজবেন্ড কল করে বললো ফেসবুক কিছুটা ঠিক হয়ে আসছে প্রচুর রিপোর্ট করছে আর হ্যাক করার চেষ্টা করছে যদি ও বা করতে পারে নাই।
,তার এক ভাগনী দেশের বাহির থাকে ও ঠিক করে দিছে আরো কিছু কাজ আছে এগুলো বাসায় এসে ভাগনীর সাথে ভিডিও কল করে সিকিওর করা হবে,আমি খুব খুশি অল্প করে ভাত খেলাম আর ফ্রিজ থেকে খাশির মাংস নামালাম তাকে কিছুটা খুশি করার জন্য কারন সে খাশির মাংস খুব পছন্দ করে,আজ আমার মন খারাপ দেখে সেও অনেক মন খারাপ ছিল অনেক চেষ্টা করছে আমার ফেসবুক টা ঠিক করার জন্য, অবশেষে সে বাসায় এসে ভাগনীর সাথে প্রায় এক ঘন্টা ধরে ভিডিও কল করে সব সিকিওর করলো আমি নিশ্চিত হয়ে রান্না করে সবাই মিলে ভাত খেলাম, আর এখন এতো বড়ো কাহিনী লিখতে বসে গেলাম তোমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, এতো কষ্ট করে লিখাটা পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ, ভালো থাকবে সবাই, দোয়া করো আমার জন্য। আর সবাই সবার অনলাইন মাধ্যম গুলো সিকিওর রাখবে না হলে আমার মতো বিপদে পড়তে পারো।
এবার সবাই বলো আজকের এই গল্প থেকে কি শিখতে পারলে?
ধন্যবাদ প্রিয় স্যারকে,,নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন গ্রুপ আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।যেখানে আমরা মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি ও নিজেদের বিজনেস প্রমোট করতে পারি।
নিচে আমার পেইজ লিংক দেওয়া আছে
নাম :- সঞ্চিতা বণিক
ব্যাচ :- দশম
রেজি :- ১৬২৭১
জেলা :- ফেনী,ছাগলনাইয়া
ব্লাড গ্রুপ :- ও পজিটিভ
প্রতিষ্ঠান : সেঁজুতি বিউটি ওয়ার্ল্ড পার্লার