''''৬০০ তম দিন স্ট্যাটাস অব দা ডে অনুভুতি ''''
একজন মানুষ এত্ত সংগ্রাম করে বড় হয়েছেন, পেয়েছেন সফলতার উচ্চ শিখর। এখন তো তার সুখ করবার, আরাম করবার সময়। কিছু মসজিদ মাদ্রাসা বা অসহায় দুস্থ দের সাহায্য করবার মাধ্যমে তিনি কিন্তু পূন্য অর্জন করেই নিজের দায়িত্ব শেষ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি এরপরও ভেবেছেন সমাজের এমন এক শ্রেণির মানুষের কথা যারা খেয়ে পড়ে সুন্দর বাচতে পারে হয়তো কিন্তু নিজের মান উন্নয়ন করতে পারেন না। পেটের ক্ষুধার মত মনের ক্ষুধাও অনেক ক্ষুরধার।
স্যার তার মূল্যবান সময় দিয়েছেন এক ঝাঁক তরুন থেকে নানা বয়সি হতাশাগ্রস্ত, দিক ভুলা, অতি সাধারণ মানুষকে উদ্যমি, উদ্যোগী, ভালো মানুষ হতে এবং তা বিনামূল্যে। আট দশটা রিনাউন্ড অর্গানাইজেশানের মত সবাই পাচ্ছে আপডেটেড শিক্ষা।
ভালো লিখতে পারা
ভালো বলতে পারা
সাংগঠনিক জ্ঞান
ম্যানেজেরিয়াল স্কিল
প্রশিক্ষণ দেয়া নেয়া কি নেই এই প্রানের ফাউন্ডেশনে!
স্যার, আপনার জন্য আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে অবিরত দোয়া।
লেখার মধ্যে একটা প্রতিবন্ধকতা কি জানেন?
লেখার মধ্যে লেখকের অশ্রুসিক্ত চোখ দেখা যায় না। স্যার আপনি বহু বছর হাসি মুখে বেঁচে থাকুন আমাদের মাঝে।
ভালো মানুষ হবার জন্য প্রয়োজন দরকার ভালো চর্চা। আপনি ভালো বলতে বা লিখতে না পারলে কখনোই ভালো মানুষ হিসেবে অন্যের কাছে পরিচিতি পাবেন না।পারবেন না ভালো উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হতে।
রিওয়ার্ড বা পুরস্কার হল, ভালো মানুষ বলুন আর সফলতাই বলুন, তা তৈরি করবার সর্বোত্তম হাতিয়ার। ছোট বাচ্চাকেও তার পছন্দের খারাপ বা খেলা, কার্টুন দিয়ে আমরা অনেক কিছু শিখিয়ে নেই। তবে বড়দের বেলায় ব্যাতিক্রম কেন হবে বলুন?
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন SOD মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত নিজের মেধা চিনতে পারছি, গঠনমূলক লেখা লিখতে ও শিখতে পারছি, পারছি চর্চা করতে। এই চর্চা যেমন আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি প্রভাব ফেলছে আমাদের ব্যবসায়ী/ উদোক্তা জীবনে। আজ যারা আধুনিক গেজেটে বাংলা লিখতেই পারত না, তারাও বাংলা লেখাতে এক্সপার্ট হয়েছে, এক্সপার্ট হয়ে গেছে নিজের অনুভূতি প্রকাশে। মেধাকে করতে পারছে আরও শানিত। আর SOD এওয়ার্ড-এ ভূষিত হয়ে নিজে যেমন তার কাজের তথা লেখার অনুপ্রেরণা পাচ্ছে, তেমনি অন্যরা আপনাকে SOD হতে দেখে নিজে লিখবার, চর্চা করবার অনুপ্রেরণা পাচ্ছে।
আজ তার ৬০০ তম দিন। আমাদের কত্তগুলো ভাইবোন এই ৬০০ দিনে নিজের মেধা যাচাই তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে সফলকাম হয়েছে, অনুপ্রেরণা পেয়েছে ভাবা যায়! আজ আমি গর্বের সাথে বলতে পারি নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিটি ভাইবোন এক একজন অসাধারণ কন্টেন্ট রাইটার।
ধন্যবাদ Nurun Nabi Riyaz ভাইকে যিনি এই চমৎকার উদ্যোগটি প্রস্তাবনা করেছেন এবং শ্রদ্ধেয় Iqbal Bahar Zahid স্যার সেটিকে বিবেচনা পূর্বক এমন চমৎকার একটি কার্যক্রম আমাদের উপহার দিয়েছেন।
ধন্যবাদ Md Iqbal Hossain ভাই, যিনি SOD জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, সুনিপুণ ভাবে পালন করছেন বিচারকের দায়িত্ব।
আমার প্রথম স্ট্যাটাস SOD হবার অনুভুতি আপানাদের কাছে বলি। আমি এই ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়েছি তার এক মাস হতে দুই দিন বাকী। চাঁদপুর সেশন চর্চা ক্লাসে চাঁদপুর জেলা এম্বাসাডর, আমাদের প্রিয় ভাই Mezbah Ahamed আমাদের বলেছিলেন কেন আমরা SOD হবার জন্য লিখি না, কালই লিখুন আপনারা।
তখনও SOD ব্যাপারটি ভালো করে বুঝি না। পরে জানলাম। এই কোরবানি ঈদের কয়েকদিন আগের কথা। আমি রোজা রাখব বলে সেহেরিতে উঠেছি। ফজরের নামাজ পরে আর ঘুমালাম না। ভাবলাম একটা লেখা লিখি। লিখলাম আমার জীবনের অনুপ্রেরণার গল্প। আমার চাঁদপুর জেলা টিমকে জানালাম Mahabub Alam ও Amena Akter আপুকে। আপু বলল এখিন ঈদ হাট চলছে। আপনি কি এখন দিতে পারবেন। মন খারাপ হল। আপু বুঝতে পেরে বললেন, গল্পে গল্পে সেল পোস্ট লিখতে পারবেন আপু? ওটা এখন দিলে ভালো হয়। আমি পরের দিন সকালে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। প্রায় ৭ টা বাজে। হটাৎ মনে পড়ায় আমি ২৫-৩০ মিনিটের মধ্যে একটা গল্পে গল্পে সেল পোস্ট লিখলাম, আগের দিনের চাঁদপুর সেশন ক্লাসে অনিয়মিত সদস্যদের জন্য বলা কথার আলোকে। ভয়ে ভয়ে তাড়াতাড়ি পোস্ট করলাম। এপ্রুভ ও হল, কিন্তু ওই দিন আমাদের প্রিয় ভাই, Humayun Kabir ভাইয়ের বাবা মারা যাওয়ায় সবার মন খারাপ। জেলা মেসেঞ্জার গ্রুপে লিংক দিয়ে বলতে পারলাম না যে কমেন্ট করে অনুপ্রেরণা দিতে। দুপুরের পর Diyab Khan ভাই আমাকে নক দিয়ে বকা। আমি কেন জানাইনি কাউকে।
সবাই তখন আমাকে কমেন্ট করে উতসাহ দিতে লাগল। প্রায় ৪৫০+ কমেন্ট। রাতে দেখলাম সবাই আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। আমাকে Shathi Akter আপা খুজে নিয়ে এড করালেন কমিউনিটি ভলান্টিয়ার মেসেঞ্জার গ্রুপে ৩ এ। এখানেও সবাই অভিবাদন জানাচ্ছে। জীবনের জন্য এটা কতটুকু পাওয়া তা আমি জানি না। কিন্তু ঠিক ওই সময়টাতে আমার অসম্ভব রকম ভালো লেগেছিল। নিজের জীবনে পাওয়া আর সব অর্জনের মত অন্যতম অর্জন।
SOD হবার মাধ্যমে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন সদস্য পায় কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ভলান্টিয়ার হবার সুযোগ। আলহামদুলিল্লাহ কতটা সম্মানের তা। ফাউন্ডেশনের জন্য কাজ করবার কত সুযোগ তৈরি হয়। নিজেকে নিয়ে যাওয়া যায় এক ধাপ এগিয়ে।
আমার প্রথম স্ট্যাটাস SOD হওয়া নিয়ে এতটা গল্প কেন বললাম জানেন? কারণ আমার সফলতা আমার একার প্রচেষ্টায় আসে নি। অনেক গুলো ভাইবোনের ভালোবাসা আর সহযোগিতা ছিল যা বলবার নয়।
আমি ফাউন্ডেশনের অনেক শ্রদ্ধেয় ভাইবোনের লেখা পড়ে অনেক অনুপ্রেরণা পাই, Cm Hasan, নিঝুম আমিন, Jahangir Khan, Mohammed Iftekher Alam, @Nurun Nabi Riyaz, Sagar Banik, mezba Ahmed, Md Abul Khair সহ আরও অনেকেই, যাদের মেনশন দিতে পারলাম না। আমি এরপর আরো দুইবার সহ মোট তিনবার আমার স্ট্যাটাস SOD হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬০০
Date:- ১৯/০৮/২০২১
আমি সাহিদা সুমি
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
কাজ করছি হোমমেড চকলেট নিয়ে
পেজঃ Chocolate Fiction
১৪/ ৬৫৮৪২
চাঁদপুর সদর