স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে এর ৬০০ তম দিন
প্রতিটি দিনই স্পেশাল মূহুর্ত পার করি নির্দিষ্ট একটি সময়ে আর তা হলো রাত ১০-১১ টার মধ্যে কারন হচ্ছে আমাদের ফাউন্ডেশনের প্রিয় লেখক, লেখিকা ভাইবোনেরা তাদের অসাধারণ প্রতিভার লিখনি দ্বারা স্ট্যাটাস অফ ডে হয়ে থাকেন।আর প্রিয় Md Iqbal Hossain ভাই তার পোস্টের মাধ্যমে আমাদের এই বিজয়ের ধ্বনির বার্তা দিয়ে থাকেন প্রতিদিন।
বিশেষ করে আমি বিজয় অর্জনকরী লিখাগুলোর নিয়মিত একজন পাঠক।বেশ ভালো লাগে যখন সবার লিখাগুলো মুগ্ধ হয়ে রাতের নিরিবিলি পরিবেশে পড়া শুরু করি।যখন লিখাগুলো পড়ি তখন মনে হয় প্রতিটি লিখার মাঝে একেকটা বর্ণে, শব্দে,বাক্যে এক অদ্ভুত অনুভূতি প্রকাশ পাচ্ছে।প্রকাশ পাচ্ছে জীবনে এগিয়ে যাওয়া আনন্দ,হেরে যাওয়ার কষ্ট। প্রকাশ পাচ্ছে স্বপ্নবাজ মানুষের স্বনের পৃথিবীটা।
নদীর যেমন জোয়ার, ভাটা আছে ঠিক তেমনি মানুষের জীবনে এরকম পরিবর্তন ঘটে।জোয়ার, ভাটা ঘটে আমাদের জীবনে।নানা মূখী সমস্যা এসে আমাদের ঘিরে ফেলে, তারমধ্য থেকে সমাধান বের করে আবার পথ চলা শুরু করি।ঠিক সেরকম স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে হয়ে থাকে।
হাজারো লেখক,লেখিকা প্রতিটি তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাচ্ছেন।তার মধ্য থেকে কেউ বিজয়ী আবার কেউ বিজয়ী নন।আসলে জীবনে হার জিত থাকবেই।আলো আছে বলেই আন্ধকার নেমে আসে,কিন্তু রাতের অন্ধকারে চাদের আলো,আকাশের মিটিমিটি তারা কম আনন্দিত করে না।
কোন কোন সময়ে পরাজয় আমাদের সফলতার পথ দেখায়।এজন্য আবার সফলতা পাবার আশায় আমরা শুরু করি নিজেদের কাজ।অসংখ্য লিখা প্রতিদিন আমাদের ফাউন্ডেশন আসে কিন্তু তার মধ্যে থেকে বিশেষ গল্পগুলো, লিখাগুলো নির্বাচিত হয়।আমিও এই অসাধারণ অনুভূতির শরীক হয়েছিলাম।
এই অসাধারণ স্বর্গীয় অনুভূতি প্রতিটি মানুষের হৃদয় আনন্দিত করে,জাগ্রত করে।ফিরে পেয়েছি উদ্দীপনা, সাহস, অনুপ্রেরণা যেদিন আমি স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে হয়েছিলাম। ইনবক্সে ভিড় করেছিল আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ভাইবোনের
অভিনন্দন
জানানোর ভালোবাসার।যা আমাকে মুগ্ধ করে।আজও মনে পড়ে ফাউন্ডেশনের সেই ৯০০ তম দিনের কথা।সেদিনও সৌভাগ্য হয়েছিল স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে হওয়ার।জানি না আমি লিখতে পারি কিনা তবে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন আমাকে লিখতে বাধ্য করে বার বার।আজকে শুধু স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে নয় আমার কিছু অর্জন এবং আরো কিছু অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আরো কিছুক্ষন সাথেই থাকবেন ভালোবেসে।
এ পর্যন্ত ৮৪৮টি পোস্ট, ৭৮ টি ভিডিও সেশন,৩ বার স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে, ১ বার টপ ২০ এ স্থান,এবং একবার টপ ১০ এ স্থান।
সেই ৩য় ব্যাচে যুক্ত হই,ভালোমানুষের মিলন মেলায়।শুরুতে এক্টিভ ছিলাম না,৬ষষ্ঠ ব্যাচে এক্টিভিটি শুরু করি, স্যারের সেশন অনুশীলন করি,কিন্তু ৩য় ব্যাচ থেকে স্যারকে ফলো করতাম।
টপ ২০ ক্লাব সদস্য
এটা নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে আমার বড় একটা অর্জন।কারন এখানে অনেক প্রতিযোগিতা করে, চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে হয়ে ইতি মধ্যে আপনারা সকলেই জানেন।প্রচুর সময় দিয়ে এই বিজয় অর্জন করতে হয়।যেদিন থেকে এই সিস্টেম চালু হয়,নিজের মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ কাজ করে।সেটা বাস্তবায়ন হয় ২০২০ সালের জুন মাসে।
টপ ১০ এ বিজয়ী হওয়াটাই এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। হাজারো প্রতিযোগিতর মাধ্যে ৩য় স্থান অধিকার করেছি ২০২১ জুলাই মাসে ১৩১ টি পোস্ট এবং ১৩৯০০ কমেন্টের মাধ্যমে।কোর ভলেন্টিয়ার, মডারেটর, কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর, জেলা অ্যাম্বাসেডর, উপজেলা অ্যাম্বাসেডর, কমিউনিটি ভলেন্টিয়ারগন
অভিনন্দন
জানিয়েছেন। অসাধারণ এক অনুভূতি ছিল।কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার হওয়া মানে তার লিখার প্রতিভা দেখানো,লিখার মাধ্যমে,গল্পের মাধ্যমে সকলের প্রিয় হয়ে উঠা,আলহামদুলিল্লাহ সেরা লিখার মাধ্যমে পরপর ৩ বার স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে হয়েছি।
উপজেলা অ্যাম্বাসেডরদায়িত্ব কি ভলেন্টিয়ারিং কি সেটা এই ফাউন্ডেশন আমার অনুপ্রেরণা। প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার আমার আইডল।এখান থেকে শিখি দায়িত্ব, ভলেন্টিয়ারিং,সামাজিক কাজ।মানিকগঞ্জ জেলার সকল সদস্য আমার এক্টিভিটি দেখে, সেচ্ছাসেবী মনোভাব দেখে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলা অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব দেন।স্যারের শিক্ষা নিয়ে সকলের ভালোবাসা, সাপোর্ট পেয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রেজেন্টেশন স্কিলস পোস্ট আমাদের ফাউন্ডেশনের অনেকগুলো স্কিলস এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রেজেন্টেশন স্কিলস।আর তা উন্নত করার জন্য স্যার কথা বলার জড়িতা কাটানোর ভিডিও করতে বলেন।তখন থেকে নিজেকে স্কিলস করার জন্য লেগে পড়ি,কারন এই অভ্যাসটা আমার খুব ভালো ছিল না।প্রথম দিকে নতুন মনে হলো, কিন্তু কিছুদিন কয়েকটা ভিডিও করার পর আমার কথার পরিমান বাড়তে থাকে।চালিয়ে যাই সেই ৬ষষ্ঠ ব্যাচ থেকে এই ভিডিও সেশন। যদিও আমি যুক্ত হই ৩য় ব্যাচে।একেকটা স্কিলস পর্যায়ক্রমে যুক্ত হতে থাকে এই ফাউন্ডেশনে।এ পর্যন্ত ৭৮ টি ভিডিও করেছি এই ফাউন্ডেশনে বাংলায়,ইংরেজিতে ৩,৪ টা হবে।
পোস্ট সংখ্যা পোস্ট করা এখন আমার ভালো লাগার একটি বিষয় হয়ে গেছে,লিখতে ভালো লাগে,এজন্য লিখে যাই।গ্রুপে জয়েন হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত ৮৪৮টি পোস্ট করেছি।প্রথমত টার্গেট ১০০০ পোস্ট করা।
এছাড়া ভলেন্টিয়ারিং হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন টিমে কাজ করছি।অসংখ্য মিট আপ করেছি,এই ফাউন্ডেশন থেকে দেশ এবং প্রবাসী ভাইবোনের সাথে।শুধু ঈদের পর যুক্ত হওয়া মিট আপগুলো তুলে ধরছি
১।মানিকগঞ্জ
২।শরীয়তপুর
৩।কুমিল্লা
৪।বগুড়া
৫।মরিশাস
৬।চাঁদপুর
৭।ওমান
৮।সৌদি আরিব
৯।ফরিদপুর
১০।পাবনা
১১।নোয়াখালী
১২।ধানমন্ডি জোন
১৩।ডুবাই
১৪।এন আরবি কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার মিট আপ
১৫।টপ ১০ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
১৬।রেজিষ্ট্রেশন টিমের মিট আপ
১৭।সাপ্তাহিক উপজেলা অ্যাম্বাসেডর মিট আপ
১৮।আফ্রিকার লাইব্রেরিয়া
১৯।মিরপুর টপ ১০ সংবর্ধনা মিট আপ।
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে পেয়েছি সবার ভালোবাসা, পেয়েছি ভালো মানুষের নেটওয়ার্ক,পেয়েছি ভালো মানুষের মিলনমেলা।পেয়েছি একজন আদর্শ শিক্ষক জনাব ইকবাক বাহার জাহিদ স্যার। একজন নিবেদিত প্রান হয়ে থাকতে চাই সবার সাথে।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬০০
Date:- ১৯/০৮/২০২১
সুমন আহমেদ হৃদয়
রেজিষ্ট্রেশন টিম
টপ ২০ ক্লাব
ব্যাচ-৩য়
রেজি-৪২১২
জেলা-মানিকগঞ্জ
উপজেলা অ্যাম্বাসেডর শিবালয়