৬০০তম স্টেটাস অব দ্যা ডে হওয়ার_অনুভুতি প্রকাশ
আমার আব্বা একজন ক্ষুদ্র অতি সাধারণ ব্যবসায়ী।আব্বার জীবনে অনেক পরিশ্রম কষ্ট করেছেন।কিন্ডারগার্ডেনে থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝে আব্বার দোকানে গিয়ে বসতাম।হঠাৎ গিয়ে আব্বাকে মানুষের সাথে নিজের জীবনীর নিজের পরিশ্রমের গল্পের কথা বলতে শুনতাম আব্বার পরিশ্রমের কথা কষ্টের কথা শুনে ভীষণ কষ্ট হতো আমার ভিতরটা অন্ধকার হয়ে যেতো।রাতে ঘুমিয়ে চিন্তা করতাম আর চোখ দিয়ে অশ্র পড়তো ভাবতাম পড়াশোনার পাশাপাশি যতটুকু পারি আব্বা কে সহযোগিতা করবো।আমি ব্যবসা করে বুঝেছি
কিছুটা টের পেয়েছি অনুধাবন করেছি আব্বার কষ্ট।
কষ্টের বিনিময়ে
পরিশ্রমের বিনিময়ে
ধের্য্যশীল হয়ে লেগে থাকার বিনিময়ে একসময় ভালোকিছু হয়।
দ্বিতীয়ত আমার ইচ্ছা অন্যের অধীনে হয়ে কাজ না করে নিজে কাজ করবো নিজের একটা পরিচিত লাভ করবো।নিজের পরিচয়ে পরিচিত হওয়া।
কিন্ডার গাডেন লাইফ
একটা কিন্ডারগার্ডেনে পড়াশোনা করতাম।স্কুল ছুটি হওয়ার পরে বাড়িতে এসে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলায় মেতে উঠতাম।পুকুরে গোসল করা লাফালাফি করা।আহা কি আনন্দ ফিলিংস হতো দিন গুলো এখন ভীষণ মিস করি।
ক্লাস প্লে থেকে ক্লাস ফাইভ শেষের দিকে আসছে পরীক্ষা প্রস্তুতি চলছে টেষ্ট পরীক্ষা দিলাম পাস করলাম এখন সমাপনী পরীক্ষা দিলাম আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভালো একটা ফলাফল (৪.০০)নিয়েই পাস করলাম।আব্বা খুশি আম্মা খুশি
আব্বা আমারে জিগ্যস করছেন তোর স্বপ্ন কি?
আমি আঙ্গুল নাড়িয়ে নাড়িয়ে বলছি আমার বাংলাদেশের সফল একজন ব্যবসায়ী হবো।
হাই স্কুল জীবন
ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার উদ্দেশ্যে আব্বা আমাকে নিয়ে রওনা দিলেন।ভর্তি হলাম ষষ্ঠ শ্রেণিতে।ষষ্ঠ শ্রেণিতে
থাকা অবস্থায় হঠাৎ একদিন নন্দনপুর বাজারে যায়।
সেদিনের পর থেকে ব্যবসা আমাকে কাছে টানা শুরু করে।ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়ে ক্লাস সেভেনে উঠি।
স্বপ্নবাজদের মতো আমিও
স্বপ্ন দেখছিলাম ব্যবসা করি
আব্বা কে বললাম ব্যবসা করবো।আব্বা না বলুন।
প্লান টেকনিক কৌশল অবলম্বন করি আব্বা বুঝাতেই হবে।শত কষ্টের বিনিময়ে আব্বাকে আমার টেকনিক কৌশল দেখিয়ে বুঝিয়ে নিলাম।
সীমিত ছোট পুঁজি নিয়ে শুরু করবো
আমি হিসাব নিকাশ আপনার থেকে শিখছি
আপনার পাশে বসে মোটামুটি ব্যবসা সর্ম্পকে কিছু
জানছি শিখছি
আমাকে সুযোগ দাও আব্বা আমি ব্যবসা করবো।
নিজে নিজে ব্যবসা করলে ব্যবসা শিখতে পারবো
আর আপনি তো অাছেনই আমি যা বুঝি না আপনার থেকে শিখে নিবো।
কত কষ্ট বিনিময়ে লেগে থাকার বিনিময়ে আব্বা আম্মাকে বুঝলাম।
ক্লাস সেভেন থেকে ব্যবসা জীবন শুরু করি
আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে আম্মা আব্বা দোয়া নিয়ে
নিজের প্রতি নিজের আত্নবিশ্বাস রেখে ১৫০০০হাজার টাকা নিয়ে শুরু করেছিলাম ব্যবসা।আমার ব্যবসা জীবনের প্রথম দিনের ইনকাম ছোাট গাড়ি খরচ বাদ দিয়ে ৪৬৭ টাকা।সেদিনের ভালোলাগার ফিলিংস টা ভাষা প্রকাশ করে বুঝাতে পারবো না।সেদিন আব্বার মুখে মুচকি হাসি দেখেছিলাম আব্বার মুচকি হাসিটা
জীবনের প্রথম দিনের ইনকাম আমাকে অনেক অনুপ্রেরিত করেছিলো।পড়াশোনা বজায় রেখে শুধু বিকাল ২,৩,৪ ঘন্টা সময় দিতাম।আব্বা কাছ থেকে প্রতিদিন টাকা নিতাম তারপর আব্বার কাছে মাল বিক্রয় করতাম।দোকান ছাড়াই ব্যবসা করলাম
তারপর ছোট একটা দোকান ভাড়া নিলাম দোকানের মালিক আমার কাছ থেকে অগ্রিম কোনো টাকা নিলেন নাকেন আমার কাছ তিনি অগ্রিম টাকা নিন সেটা তিনিই ভালো জানেন।
প্রতিদিন বিকাল বেলায় ২,৩,৪ সময় দিতাম।এভাবে সময় দিতে দিতে চলে আসলো এস এস সি পরীক্ষা
টেষ্ট পরীক্ষা দিলাম ফলাফল ৩.৭৬.ছিলাম।তারপর দিলাম এস এস সি ফাইনাল পরীক্ষা।ফলাফল বের হল মোটামুটি ভালো ফলাফল(৪.০৬)পেয়েছি।
স্কুল লাইফ আর ব্যবসা
স্কুল লাইফে শুধু বিকালে ব্যবসায় সময় দিতাম আর রাতে পড়াশোনা করতাম।
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় আমার ইচ্ছা ছিলো পড়াশোনা বজায় রেখে ব্যবসা করা।আল্লাহর রহমতে করেছি..
পরিশ্রম করেছি অনেক।
কলেজে ভর্তি হলাম।কলেজে তেমন যাওয়া হতো না মাঝে মাঝে যেতাম।ব্যবসায় সময় দিতাম
রাতে পড়াশোনায় যতটুকু পারতাম সময় দিতাম।
কলেজে উঠে ব্যবসা টা আরো বাড়ালাম।কলেজ লাইফে থাকা অবস্থায় দোকান ভাড়া দিতাম কারেন্ট বিল সহ ১৪-১৫ হাজার কামলা খরচ কারেন্ট বিল বাদ দিয়ে মোটামুটি ভালো একটা মুনাফার দেখা পাই।পরীক্ষা দিয়ে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উক্তীর্ণ হলাম।পড়াশোনা বজায় রেখে পাশপাশি ব্যবসা চলছে....
চলে এসেছে এইচ এস সি টেষ্ট পরীক্ষা শুনছি যারা ফেল করবে তাদের আটকানো হবে। পড়াশোনায় আরো মনোযোগ দিলাম টেষ্ট পরীক্ষায় পাস করলাম।এইচ এস সি পাস করলাম মোটামুটি ভালো ফলাফল(৪.০৮)।
কলেজ জীবন সমাপ্তি ঘটে আর সফলতা কিছু দেখা পাই।নিজের পরিশ্রামিক টাকা দিয়ে দশ লাখ টাকা কিছু জায়গা কিনেছি আমি যে বাজারে ব্যবসা করি সেখানে।ইনশাআল্লাহ চার পাঁচ মাস পরে সেখানে দোকান আর গুদাম করবো।
আল্লাহর রহমতে
আম্মা আব্বার
মানুষের দোয়ায়
ঘুরে দাঁড়িয়েছি
ঘুরে দাঁড়ানোর মতো একটা গল্প আল্লাহ তৈরি করে দিয়েছেন আমি সৎ পরিশ্রম ধের্য্যশীল হয়ে লেগে আছি
ইনশাআল্লাহ লেগে থাকবে।মানুষের ভালোবাসা দোয়া নিয়েই সামনে আরো এগিয়ে যাবে।
নিজের বলার মতো প্লাটফম যুক্ত /যুক্ত হওয়ার পরে নিজের পরির্বতন
স্যার
জনাব ইকবাল বাহার youtube চ্যানেলের বিডিও দেখি তারপর জানি স্যারের গ্রুপ পেইজ আছে। চার্জ দিয়ে পেইজ লাইক ফলো দিলাম।পোস্ট পড়ি ভালো লাগা শুরু হয়।গ্রুপে এড হয় গ্রুপের ভাই বোনদের শিক্ষাণীয় গল্পে গল্পে শিক্ষাণীয় পোস্ট পড়ি ভালোলাগে।
প্লাটফর্মের প্রতি ভালোলাগা ভালোবাসা সৃষ্টি হয় ভালোবেসে আপনত্ব করে নিলাম ১১তম ব্যাচ রেজিষ্টেশন করে।৯০দিন সময় দেওয়ার ফলে টের পেলাম নিজের বেসিকের উন্নতি হচ্ছে।একটা বিষয় সহজে পড়ে বুঝতে পারছি।৯০দিন স্যারের প্রতিটি সেশন
অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে স্যারের শিক্ষা গ্রহণ করলাম।
স্যারের দেওয়া শিক্ষা গ্রহণ করার ফলে নিজের আরো পরিবর্তন হচ্ছে সেটা নিজেই টের পাচ্ছি।যারা ৯০ দিন সেশন নিয়মত ভাবে পড়বে তারা নিজে নিজেই অনুধাবন করবে পারবে তাদের পরিবর্তন।
বেসিক স্কিল পরির্বতন হবে।
নিজের প্রতি নিজের আত্নবিশ্বাস তৈরি হবে।
ধের্য্যশীল লেগে থাকার মন মানসিকতা তৈরি হবে।
কথা বলার জড়তা দুর হবে
আসুন আমি আমরা সকলে
ইকবাল বাহার স্যারের দেওয়া শিক্ষা গ্রহণ করি
জীবনে তাগিদে স্যারের বাণীকে কাজে লাগিয়ে আরো এগিয়ে যাবো..
স্যারের নতুন নতুন শিক্ষা করবো
প্রতিযোগিতায় বাজারে নিজেকে ঠিকিয়ে রাখতে শিখার জানার বিকল্প নেই
স্যারের দেওয়া শিক্ষা মনোযোগ সহকারে গ্রহণ করবো।
মোঃতোফাজ্জুল ইসলাম
ব্যাচঃ১১তম
রেজিঃ নংঃ২৫৭৩৬
জেলাঃ হবিগন্জ
ফাউন্ডার এন্ড সিইওঃ
মা ধান চাউলের আড়ৎ
সিইও ফাউন্ডারঃ
মা ফিশারি লিমিটেড