দায়িত্ব যেখানে কাঁধে এসে যায় বয়সও সেখানে হার মেনে যায়
👉যেই প্রিয় মানুষটি আমাদের কে প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছেন,,, আপনাদের ফ্রী প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন । প্রিয় স্যারের দেখানো পথ আমরা তরুন তরুনীরা অনুস্বরন করছি। সেই প্রিয় মানুষটির প্রতি আমার অনেক অনেক দোয়া ও ভালেবাসা এবং সব সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে যাবো ইনশাআল্লাহ ।
🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻
👉সকলের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার রেখে স্বরন করছি, আমাদের প্রিয় প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত সম্মানিত প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ + সহযোদ্ধা, ও সহপাঠী যারা যুক্ত আছেন নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সাথে তাদের সবাইকে।
যেই সকল দায়িত্বশীল প্রিয় ভাই ও বোনেরা শত কর্ম ব্যস্ততার মাঝে থেকে ও কিছু সময় দিয়ে এই প্লাটফর্মের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সকলের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা ও দোয়া রইলো। সবাই যেন ভালো মানুষের পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্ত হতে পারেন।
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
👉দায়িত্ব যেখানে কাঁধে এসে যায় বয়সও সেখানে হার মেনে যায়
আজ আপনাদের সাথে এই গল্প টাই তুলে ধরছি দয়া করে কেউ না পড়ে কমেন্ট করবেন না।
👉 নিজের জীবনের এক অধ্যায় থেকে নেওয়া এক পর্ব
কাল্পনিক নাম রতন........
👉আজ থেকে কয়েকটা বছর আগে আমরা কাজিনরা আমাদের এক মামার সাথে ঢাকা শিশু পার্কে ঘুরতে যাই। তখন আমার বয়স কত এই ১৫ কি ১৬ হবে।আমরা পার্কে ঢোকার কিছুক্ষণ পরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়।তখন আমরা সবাই জায়গায় গিয়ে বসে বৃষ্টি থামার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।তখন রতন নামের একটা ছেলে আমাদের কাছে বাদাম নিয়ে আসে খুবই কম বয়সের দেখে আমাদের সবার অনেক মায়া হয়। ছেলেটা দেখতেও অনেক ভালো।এইদিকে বৃষ্টির জন্য আমরা পার্ক থেকে বেরোতে পারছিনা।তাই সবাই বসে গল্প করছিলাম ছেলেটা ও পাশে একট জায়গায় বসা। হঠাৎ মামা ছেলেটাকে কাছে ডেকে আনলো, এনে জিজ্ঞেস করলো যে ওর মা বাবা কোথায় ও কেন এই বয়সে বাদাম ফেরি করছে।তখন ও বললো ওর মা বাবা কেউ নাই দুজনেই মারা যায়। এই বলে ও ওর জীবন কাহিনী বলতে লাগলো।ওর বাবা নাকি অনেক বড়লোকের সন্তান ছিল ওর বাবা ওর মাকে ভালবেসে বিয়ে করে।কিন্তু ওর মা ছিল একেবারে গরীব।তাই রতনের বাবার পরিবার ওদের বিয়েটাকে মেনে নেয়নি ঠিকই কিন্তু বাড়ি থেকেও বের করে দেয়নি।
👉বিয়ের পরে রতনের বাবা যখন বাড়ী থাকতো না তখন ওর মায়ের ওদের পরিবারের সবাই নানান নির্যাতন।রতনের বাবা মায়ের বিয়ের ২ বছর পরে রতন পৃথিবীতে আসে।
মানুষ বলে না যে "দুঃসময় শক্তিশালী মানুষ তৈরি করে, আর শক্তিশালী মানুষ সুসময় তৈরি করে। সুসময় দুর্বল মানুষের জন্ম দেয়, আর দুর্বল মানুষ দুঃসময় তৈরি করে।"রতনের মায়ের জীবনেও তাই হল অভাগীর কপালে স্বামী সুখ সইলো না।রতনের জন্মের দুই বছর পরে রতনের বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।তখন রতনের দাদা দাদী রতনদের বাড়ী থেকে বের করে দেয়।তারপর ওরা মা ছেলে মিলে ঢাকায় ওর মায়ের এক আত্মীয়ের বাসায় উঠে।রতনের মা পড়ালেখা জানতো তাই মহিলা কারো দয়ায় বাচবে এট মানতে পারেনি দিনে কয়েকটা বাচচাকে পড়াতো আর রাতে পাশের বাসার একটা মহিলার কাছে সেলাই শিখতো।কিন্তু বিধাতা যাকে সুখ দেবে না ঠিক করেই রাখছে সে সুখি হয় কি করে।রতনের মাও একদিন অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়।রতনের তখন ৫ বছর বয়েস।এই বয়সে কি করবে ছেলেটা।এইদিকে মা শিক্ষা দিয়েছে মরে গেলেও যেন কারো কাছে হাত পেতে কিছু না নেয়।জীবনে যাই করবে তা যেন নিজের পরিশ্রম দিয়ে অর্জন করে নেয়।ওর মা নাকি সবসময় বলতো
" মানুষ সে নয় যে অন্যের ঘাড় মটকিয়ে টাকার পাহাড় গড়ে,মানুষ তো সেই যে নিজের পরিশ্রম দিয়ে জীবনের সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে পারে।"
👉মায়ের এই বানীকে বুকে ধারন করে এই ছোট শিশুটি একটা কাজের জন্য লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকে।কে ওকে কাজ দেবে এত ছোট একটা বাচচাকে। কেউ দিল না অবশেষে এক আড়তের মহাজন ওর মায়ের অসুখের কথা শুনে ওকে মহাজনের কাছে টুকিটাকি কাজের জন্য রেখে দেয়।ব্যস এইভাবেই ছেলেটার কর্মজীবন শুরু হয়ে যায়।তখন রোজার মাস ছিল,চাঁদ রাতে বেতন পেয়ে রতন মায়ের জন্য একটা শাড়ী কেনে মা নাকি অনেক দিন নতুন শাড়ী পরেনি।তাই মায়ের জন্য শাড়ী আর ঔষধ কিনে মায়ের কাছে যায় গিয়ে দেখে ওদের ঘরের সামনে অনেক মানুষ, ভিতরে ডুকে দেখে ওর মা আর নেই বিধাতার ডাকে সাড়া দিয়ে ওর বাবার কাছে চলে গেছে।ওকে এই দুনিয়াতে সম্পূর্ণ একা করে দিয়ে।আজও ছেলেটা সেই শাড়ী নিয়ে ঘোরে মাকে দেবে বলে।
👉রতনের মা মারা যাবার পরে রতন ওই মহাজনের কাছে একেবারে চলে যায় লোকটাও নাকি অনেক ভালো।দুনিয়াতে চলার পথে হোঁচট খেতে খেতে রতন এখন জীবনের সংজ্ঞাটা অন্যভাবে দেয়, ওকে বড় হতে হবে।আর কোনো রতন যেন চিকিৎসার অভাবে তার মাকে না হয়।সে বড় হয়ে কোনো মাকে আর বিনা চিকিৎসায় মরতে দেবে না।এই দশ বছরের ছেলেটি সকাল থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত মহাজনের গ্যারেজে কাজ করে বিকাল বেলায় পার্কে এসে বাদাম বিক্রি করে এবং রাতের স্কুলে সে পড়াশোনা করে।তবু কারো কাছে হাত পাতেনি কারো দয়া নেয়নি নিজে দিন রাত পরিশ্রম করছে কিভাবে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো যায় তারজন্য।ওকে ওতো একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বলা যায়। যে নিজের চেষ্টায় নিজের পায়ে দাড়াতে চায়
👉সেইদিন ওর জীবনের এই করুন কাহিনী শুনে আমরা অনেক কেদেছি।আসলে রতনদের ঘুরে দাড়ানোর গল্প কেউ লিখে না।রতনদের কাছে নিজের বলার মত একটা ফাউন্ডেশন থাকে না তাই এইরকম হাজারো রতনের গল্প অন্ধকারে থেকে যায়।
রতনের কাছে হয়ত আমাদের এই নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনটা নেই+ ছিল না কিন্তু আমার কাছে তো আছে তাই আমি আমার এই প্রিয় প্লাটফর্মে ওর গল্পটা তুলে ধরলাম।এক বাবা মা হারা সন্তান নিজের জীবনে যেভাবে ঘুরে দাড়িয়েছে এই ছোট বয়সে নিজের অজান্তে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছে তা যদি আমি যেনে ও আপনাদের সামনে তুলে না ধরি তাহলে আমার মনে হল তার সাথে অন্যায় করা হবে।
👏👏👏👏👏👏👏👏👏👏👏👏👏👏👏👏
পরিশেষে আপনাদের সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমি যদি কোন ভুল ত্রুটি করে থাকি তাহলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৬৪
Date:- ০১/০৭/২০২১
নাম: ফৌজিয়া কলি
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ
ব্যাচ:13
রেজিঃ 58905
জেলা:লক্ষ্মীপর
কাজ করছিঃমেয়েদের থ্রিপিস,শাড়ী,বিছানার চাদর,হাতের তৈরি বিভিন্ন পুতির ব্যাগও বেতের ঝুড়ি ব্যাগ নিয়ে।
আমার পেইজঃ RK Fashion
https://www.facebook.com/fouziakoly1/