দাদী - এটা কি হইলো আমারে কি মানুষ মনে হয় না
ঈশানা প্রতিদিন ১১টায় ঘুম থেকে উঠে। আজ হাটবার বলে মোবাইলে এলার্ম বাজিয়ে রেখেছিলো ৮টায় ঘুম থেকে উঠবে৷ ঠিক ৮টায় মোবাইলে এলার্ম বাজলো ঈশানার ঘুমও ভেঙ্গে গেলো। আজ হাটবার এ যেনো এক ঈদের দিনের মতো৷ তাছাড়া এবার তো স্যার বলেছে ৯তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত ঈদের বেচাকেনা চলবে। সবাই কতকিছু নিয়ে আসবে৷ তাইতো ঈশানা আজ গোসল করার সময়ও পাবেনা৷ খাবারতো মা-ই মেখে খাইয়ে দেয়৷ তাই ঈশানা ঘুম থেকে সোজা ওয়াসরুমে চলে গেলো দাদিকে গতকাল রাতেই বলেছিলো কাল আমাকে ৯টায় মনে করিয়ে দিও হাটবারের কথা৷ দাদি বয়স্ক মানুষ ঈশানার কথায় তেমন গুরুত্ব দেয়নি৷ ঈশানা আপন মনে গোসল করছে৷ ঈশানা গোসল করছে আর আপন মনে গুনগুন করে গান গাইছে। প্রায় ১ঘন্টার বেশি হয়ে গেলো ঈশানা গোসল করছে৷ ঈশানা গোসল করে ঠিক ৯ঃ৪৮মিনিটে বের হলো৷ ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে ড্রেসিং টেবিলে বসেই চোখটা পড়লো পিছনে থাকা ঘড়িটার দিকে। ঘড়ি দেখেই তো ঈশানার চক্ষু চরকগাছ। হায়! এদেখি প্রায় ১০টা বেজে গিয়েছে। অন্যদিকে ঈশানার দাদী আপনমনে পান ছেচনি তে পান ছেচে খাচ্ছিলো৷ ঈশানা গিয়েই কানের কাছে এক চিৎকার৷
ঈশানা - বুড়ি! ইচ্ছেমত পান খাচ্ছো? কাল রাতে তোমায় আমি কি বলেছিলাম? দেখলে তো আমি হেরেই গেলাম৷ ভেবেছিলাম সবার আগে হাটে গিয়ে দেখবো৷ আজ সবার আগে কে এসেছে? কি এনেছে৷
( ঈশানার দাদী পুরোই বোকাবনে চলে গেলো। তার কানের মধ্যে কে যেনো বাজি ফুটিয়েছে সে কিছুই শুনতে পায়নি)
দাদী - এটা কি হইলো? আমারে কি মানুষ মনে হয় না? আমি বুড়া মানুষ - তুই কাল কি বলছিস তা যদি আমার মনেই থাকতো? আমি কি তোকে না ডেকে পারি? আমার আর কাছের মানুষ কে আছে বল।
ঈশানা - কেন? এতো ভূলে যাও কেন? কাল রাতেই তো শোয়ার আগে বললাম৷ আমাকে একটু মনে করিয়ে দিয়ো আজ হাটবার।
দাদী - কি বলে পাগলী, থাকিস তো শহরে এখানে আবার হাট পেলি কই? তাছাড়া কোরবানির তো এখনও অনেক দেরি৷ যে অবস্থা যাচ্ছে হাট এবার বসবে কিনা কে জানে? আর তুই তো মেয়ে মানুষ গরুর হাটে তোর কাজ কি?
ঈশানা - ধুরু বুড়ি। তুমি সারাজীবন বুদ্দুই থেকে গেলো৷ একটা বললে আরেকটা বুঝে বসে থাকো। গরুর হাটের কথা তোমায় কে বলছে শুনি? দিলে তো মেজাজটা খারাপ করে৷
দাদী - থাক বোন! আর রাগ করিস না৷ আমার ভুল হয়েছে৷ কিসের হাটের কথা বলছিস তাহলে। আমাকে বুঝিয়ে বল। আমি তো ভেবেই পাচ্ছি না। এই করোনার মধ্যে তুই হাট বা পেলি কই আর যাবিই বা কেমনে? আচ্ছা তোর সাথে কে কে যাচ্ছে আর ? গাড়ি কি চলে রাস্তায়?
ঈশানা - ঐ তো সেই, যা বললাম৷ কি বুঝাই আর কি বুঝো? ।
দাদী - কি তাহলে? আচ্ছা আমি চুপ হয়ে গেলাম তুই বল।
ঈশানা - আমি তোমায় মাঝে মাঝেই বলিনা। দাদী আমি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন নামে একটা ফেসবুক গ্রুপে এড হইছি।
দাদী - কি জানি? সে কি আমার মনে আছে?
ঈশানা - দাড়াও, আজ তোমার মনে রাখার জিনিস আনবো।
দাদী - আর আমার মনে রাখা। তোর দাদা যে কবে বিয়ে করে তার ঘরে যে আনছিলো তাই তো মনে নাই।
ঈশাকা - হাহাহা! তাই নাকি বুড়ি৷
মা সকালের নাস্তা নিয়ে ঈশিকার দাদীর রুমে আসলো৷
মা - আম্মা, অনেক তো পান খেলেন, এবার না হয় একটু নাস্তা খান।
দাদী - দাও, বৌমা৷ আমরা দাদী নাতনী মিলে। তোমায় আরো বেশি জ্বালাই৷
মা - আম্মা যে কি বলেন না৷
ঈশিকা মোবাইলে ফেসবুকে ডুকেই নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর ফেসবুক গ্রুপে ঢুকলো৷
ঈশাকা - ওম্মা! এতো দেখছি রমরমা কান্ড। দেখো মা, দেখো দাদী কতজনে কত কিছু নিয়ে হাটে এসেছে৷
দাদী - কই দেখি তোর হাটের জিনিস। [ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে] তোর মোবাইল হাটে তো অনেক জিনিস পাওয়া যায় রে বোন। সরিষার তেলও আছে দেখছি।
ঈশিকা - দাদী এটা অনলাইন হাট মোবাইল হাট না৷ আর এখানে শুধু সরিষার তেল না। আমাদের এই হাটে সুই থেকে শুরু করে বাজারে পাওয়া যায় এমন সব জিনিসই আছে৷ এই দেখো আমাদের একজন কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার নিরব ভাইয়া কত্তোকিছু এনেছে৷
দাদী - দেখি ; দেখি ;
মা - হলো তো অনেক। নে এবার খেয়ে নে।
ঈশীকা - হা..... (মা মুখে খাবার পুরে দিলো৷)
মা - দেখ তো খাঁটী নারিকেল তেল আছে নাকি?
দাদী - খাঁটি সরিষার তেল থাকলে বলিস তো?
ঈশিকা - কি লাগবে তোমাদের? দেখো নিরব ভাইয়ার কাছেই নারিকেল তেল, সরিষার তেল, ঘি, মধু, কালোজিরার তেল সব আছে। আর দেখো ভাইয়া কতো ভালো মনের মানুষ তার সকল পন্যের বিক্রয়মূল্য হতে ১০/- টাকা করে পথশিশুদের কল্যাণে খরচ করবে৷
মা - আচ্ছা মা, তুই তাহলে তোর যা ভালো লাগে অর্ডার কর। আর আমার জন্য নারিকেল তেল আম্মার জন্য সরিষার তেল অর্ডার কর৷
দাদী - ঠিক বলেছে বৌমা৷
ঈশীকা - তোমাদের অর্ডার কনফার্ম। আজ সারাদিন আমি হাটে ঘুরবো৷
ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম,
হাটে চলে আসলাম। দেশি সব পন্য নিয়ে।
Mr. Online Shop এর অর্গানিক সব কালেকশন নিয়ে হাজির হলাম সবার আগে৷ ভেজালের এই ভিড়ে মানুষের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে দেশি সব পন্য নিয়ে #Mr_Online_Shop এর এবারের আয়োজনে থাকছে।
সরিষা ফুলের মধু - মাত্র ৪০০/- টাকা কেজি।
লিচু ফুলের মধু - ৫৫০/- টাকা কেজি৷
বড়ই ফুলের মধু - ৬০০/- টাকা কেজি।
সুন্দরবনের খাঁটি মধু - ৯৫০/- টাকা কেজি।
কালোজিরা ফুলের মধু - ৯০০/- টাকা কেজি।
ঘি - ১২০০/- টাকা কেজি।
খাঁটি নারিকেল তেল - ৮০০/- টাকা লিটার।
ঘানিতে ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেল - ২৫০/- টাকা লিটার।
কালোজিরার তেল - ১২৫০/- টাকা লিটার
আশা করি ভেজালের ভিড়ে খাঁটি পন্য সেবন করতে #Mr_Online_Shop এর পাশেই থাকবেন।
ভেজাল প্রমাণিত পন্য ফেরতযোগ্য ও প্রমানিত ব্যক্তিকে পুরষ্কারিত করা হবে৷
বিক্রিত পন্য যেকোনো সমস্যার জন্য ফেরতযোগ্য।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৬৭
Date:- ০৬/০৭/২০২১
মেহেদী হাসান নিরব
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
সদস্য রেজিষ্ট্রেশন টিম
ব্যাচ - ১১
রেজিষ্ট্রেশন নং - ৩১৮৩৪
টিম টাইগার্স বাগেরহাট
বর্তমান - সাভার