বাবা পেশায় একজন কৃষক কিন্তু তা বলে আমি নিজেকে ছোট মনে করি না।
সাথে সাথে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা উৎসর্গ করছি আমার এই প্রিয় প্লাটফর্মের প্রিয় ভাই ও বোনদেরকে, যারা আমাকে প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে শক্তি যুগিয়ে যাচ্ছেন প্রাণের এই গ্রুপের লেগে থাকার জন্য।
প্রিয় গ্রুপের প্রিয় ভাই ও বোনেরা, যদিও আমি দশম ব্যাচ থেকে এই গ্রুপের সাথে যুক্ত আছি, কিন্তু তেমন ভাবে অ্যাক্টিভ থেকে কিছু লিখব সেই সুযোগ হয়নি। তাছাড়া কী লিখবো, কীভাবে লিখবো, কেমন করে লিখবো, কীভাবে গ্রুপে একটিভ থাকা যায় সেই কৌশল সহ এসব কিছু নিয়ে ভাবতে ভাবতেও কিছু সময় চলে গেছে।
যাইহোক আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।
আমার জীবনের কিছু ঘটনা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি। আমার লেখা থেকে যদি সামান্যতমও কিছু উপকার হয় আপনাদের তবে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো।
নিম্নমধ্যবিত্ত একটি পরিবারে আমার জন্ম।
বাবা-মা এবং আমি সহ আমরা ৫ ভাই এবং একটা মাএ বোন। নিম্নমধ্যবিত্ত হলেও আমাদের সংসারে একটা সুখ আছে, যেই সুখ অনেক টাকা ওয়ালার ঘরেও দেখা যায় না অনেক সময়।
বাবা পেশায় একজন কৃষক। কিন্তু তা বলে আমি নিজেকে ছোট মনে করি না। কারণ আমি জানি এবং বিশ্বাস করি কোন কাজই ছোট নয়,যদি সেটা হয় কষ্টে অর্জিত সৎ পথের রোজগার।
দুনিয়ার সকল বাবা-মা'ই তাদের সন্তানদের নিয়ে বড়ো বড়ো স্বপ্ন দেখেন, আমার বাবা-মা'ও তার ব্যতিক্রম নন।
খুব হাঁসি খুশিতে প্রাইমারি জীবন শেষ করি। পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা শেষ করার পর আমার বাবা-মায়ের স্বপ্ন আমাকে ভালো স্কুলে পড়াশোনা করাবেন। সেই লক্ষ্যে বাবা আমাকে সীমিত অর্থনৈতিক সক্ষমতার মধ্যেও কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে দেন। তারপর আমি খুব ভালো একটা হাইস্কুলে চান্স পাই এবং ভর্তি হই। অত্র স্কুল থেকে ২০১৫ সালে আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো রেজাল্ট নিয়ে আমি এসএসসি পাস করি।
পরিক্ষা শেষে বাড়িতে আসি। সবাই খুশি, ইতিমধ্যেই চাচাতো বোনের বিয়ে ঠিক হয়। আর সেদিন থেকেই নেমে আসে আমার জীবনে ঘোর অন্ধকার।
হার মেনে নেওয়ার নাম জীবন না,
লড়াই করে বেঁচে থাকার নাম'ই জীবন!
আমি ছোটবেলা থেকে সকলের নয়নের মণি ছিলাম।
আমি সব সময় সবাইকে নিয়ে হাসি খুশি থাকতে ভালোবাসি। বিয়ে বাড়িতে সবাই যখন হাসি-খুশি, আনন্দ নিয়ে ব্যস্ত তখন আমি দৌড়ে ঘরে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে পরে গিয়ে চোখে খুব বড় রকমের আঘাত পাই। হঠাৎ করেই কিছু দেখতে পাই না। বিয়ে বাড়ির সকল আনন্দ উৎসব যেনো শোকে পরিনত হয়ে গেলো। বাবা ও বড় ভাইয়েরা মিলে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে ডাক্তার, বাবা ও ভাইকে পরামর্শ দিলো উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে।
তখন বাবা ডাক্তারের কাছ থেকে ৫ দিনের ঔষধ নিয়ে বাড়িতে আসলো আমাকে নিয়ে। বাড়িতে আসার পরে শুরু হলো নতুন যুদ্ধ।
ব্যথার শহরে ব্যথার গল্প কাকে শুনাবো এখানে প্রতিটি মানুষের একটা দীর্ঘশ্বাস গল্প রয়েছে
এরই মধ্যে আমার দু'ভাই বিয়ে করে নেয়। ভালোই ছিলো সংসারে সুখ। কিন্তু আমার অসুস্থতা যেনো সকলের জন্য নিয়ে আসে বিস্বাদময় জীবন। দুই ভাবি যখন শুনে ভালো চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন এবং আমাকে ঢাকা নিতে হবে তারা বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে, তাদের মত করে যৌথ পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যায়।স্বার্থপর মানুষের কাছ থেকে মনুষ্যত্ব আশা করা উচিত নয়, এরা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি হয়ে গেলে মানুষকে ছুড়ে ফেলে দিতে দুবার ভাববে না ।
জীবন সংজ্ঞা মিলাতে পারলাম না। আমি ভেতর থেকে ভেঙে পড়েছ সেটা কাউকে বুঝতে দেই না কারন লোকে ভেঙে পড়া বাড়ির ইট পর্যন্ত তুলে নিয়ে যায়। এই পরিবারে যুক্ত হওয়ার বলতে পারি। আপনারা শুনতে পারেন । জীবন নিয়ে গল্প লেখা
অনেক সহজ.....
কিন্তু গল্পের মতো করে জীবন সাজানো অনেক কঠিন.!
যেখানে বাতাস নেই সেখানে শুন্য,
যেখানে বুকে টানার দায় নেই-
সেখানেই মহাশুন্য ।
আমাকে মা বাবা ও ত্যাগ করতে পারে না।
ঐ সময়ে আমার মনে হয়েছিলে আল্লাহ্ কেনো আমাকে তুলে নিলো না। আমার জন্য আমার বাবা- মায়ের কত লাঞ্ছনা, গঞ্জনা শুনতে হচ্ছে। বাবা তখনো হাল ছেড়ে দেয়নি। বাবা সকল ঝড় বুকে চাপা দিয়ে,মাঠের কিছু জমি বিক্রি করে আমার চোখের চিকিৎসা জন্য ঢাকায় নিয়ে আসে। বেশ কিছু দিন পার হলো হাসপাতালের বিছানায়। শুধু অনুভব করতে পারতাম বাবা-মা আমার জন্য কত কষ্ট পাচ্ছে। স্বপ্নটার মৃত্যু সেদিনই হয়েছিলো?
যেদিন বাস্তবতার নীচে আবেগটা চাপা পরেছিলো।
"কষ্ট মানুষকে পরিবর্তন করে...
আবার কষ্ট মানুষকে শক্তিশালীও করে...
প্রতিটি কষ্টকর অভিজ্ঞতাই...
আমাদের জন্যে নতুন শিক্ষা!"
মাঝে মাঝে চিন্তা করতাম কত হাসি, আনন্দ ছিলো আমাদের পরিবারে, সবকিছু যেনো তাসের ঘরের মতো দমকা হাওয়ায় উড়ে গেলো। শুধু মনে হতো এই সবকিছুর জন্য আমি দায়ী। আমার জন্য সব নষ্ট হয়ে গেলো।
যাইহোক, অবশেষে আমি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলাম। একসপ্তাহ পরে আমার এসএসসি পরিক্ষার রেজাল্ট বের হয়। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো ফলাফল পেলাম।
বাবা- মায়ের ইচ্ছে আরো পড়াশোনা করি। আমারও অনেক ইচ্ছে ছোট বেলা থেকে, পড়াশোনা করবো, মানুষের জন্য কিছু করবো। বাবা কলেজে ভর্তির বিষয় নিয়ে বড় ভাইয়ার সাথে আলোচনা করে। ভাইয়া বলে ওতো বরাবার ভালো ছাত্র,তাহলে ওকে কলেজে ভর্তি করা উচিত। ঠিক তখনই দুই ভাবি আমার কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে আজে বাজে কথা শুনাতে শুরু করে
বাবা- মাকে। তখন লেখাপড়া করার স্বপ্নটা দেখা বন্ধ করে দিলাম। বাবার সাথে কৃষিকাজ করতে শুরু করি।
আমার দুলাভাই আমাকে অনেক স্নেহ করেতেন।
সে সবসময় আমাকে তার ছোট ভাইয়ের মত দেখেন। কারন হলো, তার কোন ভাই নেই।
আমার সব বন্ধুরা মিলে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করে ফেলে । তার মধ্যে দুলাভাই আমার একজন বন্ধুর কাছ থেকে শুনতে পারলো যে, আমি কলেজে ভর্তি হবো না। তখন দুলাভাই তাদের বাড়িতে আমাকে যাওয়ার জন্য ডাক পাঠায় এবং কলেজে ভর্তি না হওয়ার কারন জিজ্ঞেস করে।
তখন আমি তাকে সবকিছু খুলে বলি। তারপর দুলাভাই ও আপু আমাকে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য সবরকম সাপোর্ট দিবে বলল। অতঃপর আপু ও ভাইয়ার কথায় আমিও আবেদন করে ফেলি আলহামদুলিল্লাহ্।
তো কলেজে ভর্তির সুযোগ মিলে গেলো।
কিন্তু আরেকটি সমস্যা তৈরি হয়ে গেলো।
বাড়ি থেকে কলেজ অনেক দূর হয়ে যায়।
প্রতিদিনের গাড়ি ভাড়া আসতো ১০০৳ করে, এতে আমার টিফিনে খাবার টাকাটাও থাকতো না।
অপরদিকে কলেজে আসা-যাওয়া নিয়ে ভাবিরা নানানভাবে মাকে কথা শুনাতো। আমিও কলেজ শেষ করে বাড়িতে গেলে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতো।
তারা নানানভাবে আমার পড়াশোনা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা করে।
হঠাৎ বাড়িতে একদিন কলেজে যাওয়া নিয়ে ভাবি কটু কথা শোনাতে থাকে এবং সবকিছু আপু ও দুলাভাই এসে দেখে নেয়। এরপর তাঁরা আমাকে পরামর্শ দেয় কলেজের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করার জন্য।আমি সেই মতো বাড়ি থেকে চলে আসলাম কলেজ হোস্টেলে। সেখানে আমার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়।
সাইন্সের ছাত্র হওয়ায় আমি অনেক আগে থেকেই টিউশনি করতাম। হোস্টেলে থেকে পড়াশোনার পর যে সময় পেতাম সেটা আমি কলেজের সামনে লাইব্রেরিত দিতাম এতে খুব অল্প সময়ে আমি অনেকের সাথে পরিচিত লাভ করতে পারি। আমি নতুন করে আমার জীবন গুছাতে থাকি। বেশকিছু টিউশনি করাতাম, মাস শেষে ভালো কিছু টাকা উপার্জন করতে পারতাম এবং তা দিয়ে আমি নিজে খুব সুন্দরভাবে চলতে পারি আর বাকি টাকা বাবা-মায়ের জন্য বাড়িতে পাঠাতাম।
কলেজের হোস্টেলে আমার অনেক স্মৃতি ছিলো।
কত বেলা ও কত রাত যে বাবা-মায়ের কথা ভেবে চোখের পানিতে বালিস ভিজিয়ে ফেলেছিলাম তার কোন হিসেব নেই। এভাবে চলতে থাকায় বাবা-মা ও ছোট ভাইয়ের দায়িত্ব যে কখন আমার কাঁধে চলে আসে নিজেও বুঝতে পারিনি।
২০১৭ সালে এইচএসসি শেষ হলো ভালোভাবে। এরপর অনার্সে পড়ার অনেক ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু ইচ্ছেটা আর পূরণ হলো না কারণ, তখন মাথায় অনেক কিছু ঘুরপাক খাচ্ছিলো, বাবা-মা ও ভাইয়ের দায়িত্ব নিবো নাকি নিজের পড়াশোনা চালাবো!
সব বন্ধুদের কাছে এক এক করে ফোন দিতে লাগলাম যে, দেখি কেউ আমার জন্য একটা চাকরি যোগার করে দিতে পারে কিনা। অবশেষে একজনের মাধ্যমে আমি ঢাকা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাই। বেস ভালোভাবেই জবটা করতেছিলাম।
দু'মাস পরে ঈদ উপলক্ষে বাড়ি চলে আসি।
বাবা-মা ও ছোট ভাইয়ের জন্য কেনাকাটা করে বাড়ি আসলাম। বেশকিছুদিন পরে সকলের ভালোবাসা পেয়ে খুবই ভালো লাগছিলো আমার। কিন্তু হঠাৎ করে বাড়ি যাওয়ার পর আমি অসুস্থ হয়ে পরি। যার কারনে চাকুরী থেকে অনেক দিন অনুপস্থিত থাকতে হয়। তাই অনেক দিন অসুস্থ থাকার কারনে চাকুরীটা চলে যায়। আবার আমি বেকার অবস্থায় দু'মাস বসে থাকি।ভাবতে থাকি কীভাবে কী করবো। এক দিকে নিজের খরচ অন্য দিকে পরিবারের খরচ। সবকিছু মিলিয়ে আমি খুব টেনশনে পরে দিশেহারা হয়ে গেলাম।
তার কিছুদিন পরেই আল্লাহর রহমতে ও বাবা-মায়ের দোয়ায় হারানো চাকরি আবার ফিরে পাই।
কারন আমি যে বস এর সাথে কাজ করতাম সে অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তাই দুই মাস পরে আবার জয়েন করতে পারলাম চাকুরীতে।
সেই সময় থেকেই আমি উদ্যোক্তা জীবনে পা রাখি। আমি যেই বেতন পেতাম তা থেকে কিছু টাকা জমিয়ে আমার এক বন্ধুর বাড়িতে ছোট আকারে একটা খামার তৈরি করি। সেখানে ১৫০পিস হাঁস পালন দিয়ে শুরু করি। বাবা-মা পরিচর্যা করতে থাকে। এভাবে আমি একটু একটু করে ঘুরে দাড়াতে চেষ্টা কররি।
চাকুরী করতাম ঠিকই কিন্তু পড়াশোনার নেশাটা ছাড়তে পারিনি তখনও। যেহেতু ইন্টারপাস করার পর আমার প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্বেও অনার্সে ভর্তি হতে পারিনি তাই আমি এক বন্ধুর মাধ্যমে প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তি হয়ে নতুন করে পড়াশোনাটা শুরু করি। কিন্তু এক বছর শেষ হওয়ার পরেই চলে আসে এই করোনা মহামারী। তারপর থেকে বন্ধ, জানিনা কবে এই পরিস্থিতি অনুকূলে আসবে আর কবে আবার সেই পড়াশোনা শুরু করতে পারবো!
বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিলো আমি বাড়িতে সুন্দর করে একটা ঘর উঠাবো। তাই তাদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষে আমি আলহামদুলিল্লাহ্ সেটাও শুরু করে দিয়েছি।
আমার সবসময় নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস ছিলো আমি বাবা-মায়ের সব স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। ইনশাআল্লাহ্, আমি পারবো। বাবা-মায়ের পাশে থাকবো। আর আমার পিছনে সর্বদা শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিলো আমাদের সকলের আদরের, আমার একমাত্র বোন।
একটাই বিশ্বাস ছিলো যে এই মনে প্রবল ইচ্ছে থাকলে সব কিছু সম্ভব। সব সময় ভালো অবস্থা আল্লাহ্ রাখবেন না, খারাপ সময়ও আসবে। আবার একদিন না একদিন ঠিকই তিনি সব ঠিক করে দিবেন।
হ্যাঁ ঠিক করে দিয়েছেন। এখন আমি আলহামদুলিল্লাহ্ আমার বাবা-মা কে নিয়ে খুব ভালো আছি।
নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হওয়া।
আমার কাছের একজন বান্ধবী, বলতে পারেন পরিবারের পরে ও আমার সব। হতাশার কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন জীবনের উপায়হীন ক্ষণে আমার সেই প্রিয় বান্ধবীর মাধ্যমেই আমি একদিন এই প্লাটফর্মে এসেছিলাম। ও আমার জন্য অনেক করেছে এই পর্যন্ত৷সবসময় পাশে থেকেছে, ভালো পরামর্শ দিয়েছে। ও আমাকে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে দিয়েছিলো এই ফাউন্ডেশনে,এবং কিছু আইডিয়া নিয়ে কাজ করার জন্য উৎসাহ দিয়েছিলো।
১০০০ তম দিন উদযাপনের সময়ই আমার প্রথম পরিচয় আমার শরিয়তপুরের ভাইবোনদের সাথে।
খুবই চমৎকার একটি দিন কেটেছিলো সেদিন।
আমার স্বপ্ন
আমি জব করছি তবে স্যারের শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা আমাকে সফল উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দেখায়।
আমি একজন সফল উদ্যোগক্তা চাই।
আমি ২০০ মানুষের কর্মসংস্থান করতে চাই।
আমার মতো হাজারো বেকারের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে চাই। একটি আদর্শ ও বেকার মুক্ত দেশ গঠনে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে চাই। আপনারা সকলে দোয়া করবেন আমার জন্য। এছাড়াও আমার ভবিষৎ স্বপ্ন আছে, বয়স্ক মা-বাবাদের জন্য আবাসস্থল তৈরি করার। সকলেই আমার মহৎ উদ্যোগ সফল করার জন্য দোয়া করবেন।
সকলের সুস্থতাও মঙ্গল কামনা করে আজকের লিখার যবনিকাপাত টানলাম। সকলে ভালো থাকবেন আমার জন্য দোয়া করবেন।
আমা,,র লেখাতে ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যারা ব্যস্ততার মধ্যেও মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার লেখাটা পড়বেন তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৬৮
Date:- ০৭/০৭/২০২১
নাম মোঃ আরফান উদ্দিন আল-আমিন
ব্যাচ নং ১১
রেজি নং ৩০১৩১
জেলা শরীয়তপুর
বর্তমান ঢাকা লালবাগ জোন