রক্তবিন্দু বিক্রি করে তোমাকে ডাক্তারী পড়াবো
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে এমন কিছু গল্প থাকে যা জানার পর অন্যকে নাড়া দেয়। আমিও তেমন একটা গল্প এখানে শেয়ার করছি।
আমার মা,বাবার অনেক আদরের সন্তান ছিমাম আমি। আমরা তিন ভাই তিন বোন ছিলাম। সবার ছোট আমি। বাবা ছিলেন একজন সরকারী চাকরীজিবী।( প্রকোশলী ও গনপুর্ত মন্ত্রণালয়).বাবা কে দেখেছি চাকরির পাশাপাশি বিজনেস করতো।বড় ভাই ও পড়াশোনা শেষ করে বাবার সাথে ব্যবসা দেখতো। আর মেজো ভাই ও ছোট ভাই ছিলো প্রবাসী। এখনো ছোট ভাই প্রবাসে।বড় বোনের বিয়ে হয় আমার জন্মের পর পরই, মেজো বোনের বিয়ে হয় আমি যখন ক্লাস ফোরে এ পড়ি ৯১ সালে।এরপর,মা, বাবা আর আমি শুধু ঘরে। এরমধ্যে বড়ভাই বিয়ে করে বউ নিয়ে নিজের ব্যবসা তৈরি করে আলাদা হয়ে চলে যায়।এরপর বেশ কিছু বছর ভালোই চলছিলো সব কিছু। বাবা মা র দেখা শুনা ঘরের অনেক দায়িত্ব যেমন মাস শেষে বাসার গ্যাস, কারেন্ট, টি এন্ড টি ও পানির বিল, এবং মা বাবার অসুখে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া, নিজেদের বাড়ির অফিসিয়াল অনেক কাজ প্রায় সব বাবা আমাকে দিয়ে করাতো। ভাইয়ারা বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতো সেগুলোর হিসাব রাখা কোথায় কত টাকা খরচ হতো সব কিছু বাবা আমাকে দায়িত্ব দেয়।খুব আদর ভালোবাসা ও আনন্দ নিয়ে থাকতাম।কাজ গুলো আমিও করতাম।এরমধ্যে আমার পড়াশোনা।আবার আমার কাজ শিখার আগ্রহ ছিলো খুব বেশি। মা বাবা চাইতো না। বলতো লাগবে না পড়াশোনা কর তুমি ডাক্তার হবে।বাবা বলতো তুমি যদি ভালো রেজাল্ট করো আমি প্রয়োজনে আমার শরীরের শেষ রক্তবিন্দু বিক্রি করে তোমাকে ডাক্তারী পড়াবো।কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিলো আমি যাই হই কিন্তু হাতের যত কাজ আছে আমি শিখবোই।আমি নিজে কিছু করার চেষ্টা করবো। এরমধ্যে গলায় একটা স্বর্নের চেইন ছিলো কাউকে না জানিয়ে আমি ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় অই চেইন বিক্রি করে আমি ব্লক, বাটিক,এম্বুশ,ব্রাশ পেইন্ট,জারদৌসি,হাজারী বুটিক এমন আরো অনেক কাজ শিখেছি। গান শিখেছি গানের স্কুলে ভর্তি হয়ে। আমার এস এস সি পরীক্ষা এরমধ্যে আমার আঁকার হাত ছিলো ভালো। বায়োলজি, জুলুজি,এসব প্যাক্টিক্যাল খাতা নিজে নিজেই আঁকতে পারতাম। আমার খাতা দেখে এবার অনেকেই তাদের প্যাকটিক্যাল খাতা আঁকতে দিতো ১ টা খাতায় ১৫/২০ টা চিত্র থাকতো। টাকা নিতাম ২০০ করে। আমার পরীক্ষা এরমধ্যে কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা ও খাতা আঁকতে দিতো। যাই হোক এরমধ্যে পরীক্ষা দিলাম রেজাল্ট ও ভালো হলো।এস এস সি পাস করলাম এরপর ই আমার বাবা মারা যায় ৯৮ সালে।বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মোটামুটি কষ্ট বুঝতে শুরু করি। বাবা মারা যাওয়ার চার দিন পর বড় ভাই ভাবী তাদের দুই বাচ্চা সহ আমাদের সাথে থাকতে চলে আসে।এতোদিন কোনো খোজ খবর ছিলোনা।এরপর বাবা মারা যাওয়ার এক মাস সতেরো দিন পর বাকী দুই ভাই বিদেশ থেকে আসে। ছোট ভাই ৩ মাস থেকে চলে যায় আর মেজো ভাই বিয়ে করে ৬ মাস পর বউ কে আমাদের কাছে রেখে চলে যায়।তখন বাসায় বড় ভাইয়ের পরিবার আর মেজো ভাবী, মা এবং আমি। এরমধ্যে আমার ইন্টার পরীক্ষা। বাবার শুন্যতা টা এখন থেকে বুঝা শুরু হলো। ভাইয়ারা যার যার মতো বিদেশ আর ভাবীদের কাছে মা আর আমি যেন এক কঠিন বোঝা হয়ে গেছি।এসব দেখে আমি টিউশনি করতে থাকি এবং একটা কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে যব নেই, আঁকা আঁকি চলছে কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের। এরমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষা আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
এবার বাবার স্বপ্ন মেডিকেলে পড়বো।পয়েন্ট আছে পড়ার।মেডিকেলের জন্য মোটামুটি রেটিনা কোচিং সেন্টার এ কোচিং ও করলাম নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে।বেসরকারি মেডিক্যাল এ পরীক্ষা দিলাম টিকেও গেছি বাট টাকা লাগবে সাত লাখ।বাবা তো নেই কে দিবে টাকা??? বিদেশে দেশে ভাইদের জানালাম ভাইয়ারা উত্তরে বলল তাদের অনেক সমস্যা ঠিক অই মুহুর্তে এতো টাকা দিতে পারবেনা। তারা ফোন করে মাফ চাইলো যে তারা দুঃখিত।হয়ে গেলো সব এলোমেলো।
আমি এবার আমার একটা স্বপ্ন ছিলো সংবাদ পাঠিকা হওয়া।। সেই কথা ভেবে অনার্সে পড়ার প্রস্তুতি নিলাম। তখন অনার্স পড়তে হলে ৯০ মার্কস লাগতো।আমার ৯০+ মার্কস ছিলো ৪ সাব্জেক্টে। বাংলা,ইংরেজি,ইসলামের ইতিহাস আর জুলজি।এরপ্র ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে জুলজি ছাড়া বাকী তিন বিষয় পেলাম। ভর্তি হলাম ইংরেজি বিভাগে। এক সপ্তাহ ক্লাস করে দেখি কঠিন লাগছে।ট্রান্সফার করে বাংলায় আসলাম। এটা দেখি আরো বেশি কঠিন কিন্তু আর ট্রানফারের সুযোগ নেই। তখন বাংলায় ভর্তি হয়ে আছি।ক্লাস তেমন করিনা। স্কুল জব ধরে রাখতে হবে।
আমার স্কুলে শিক্ষকতা, টিউশনির কিছু টাকা জমিয়ে কিছু শাড়ি কিনে এনে ব্লক,বাটিকের কাজ করা শুরু করলাম। আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশি রা আমার শাড়ি,ক্রিস্টাল শো পিস মোমের শো পিস কিনতে লাগলো।আস্তে আস্তে চটগ্রামের কয়েকটি মার্কেটে পাইকারী দিচ্ছিলাম। এরমধ্যে ঘরের মধ্যে অশান্তি ভাবীদের খারাপ ব্যবহার খুব কস্ট দিতে লাগলো। তখন দিশেহারা হয়ে একটা ইনসুরেন্স কোম্পানিতে যব করি। একই ঘরে আলাদা বাজার করে ভাবীদের থেকে আমি আমার মা কে নিয়ে আলাদা খাওয়া শুরু করি।ইন্সুইরেন্স প্রথম মাসে কমিশন হিসেবে বেতন পেলাম ১০২০০ টাকা।এরমধ্যে কাপড়ের ব্যবসা বন্ধ। সময় পাচ্ছিনা। বেতন পেয়ে মায়ের এক মাসের ঔষধ আর সবার জন্য সামান্য কিছু করে করে কেনাকাটা করলাম। নিজের জন্য কিছুই কিনি নি। হাতে কিছু টাকা রেখেছি অফিস ভাড়া হিসেবে।এরমধ্যে ভাবীরা আবার কি মনে করা আমাদের কে আবার এক করে নিলো। আমাদের বাজার তাদের বাজার একত্রিত করে ফেললো। অফিস থেকে এসে মা কে বললাম মা এসব কি??? মা বলে থাক তোর ভাবীরা তাদের ভুল বুঝতে পারছে।থাক বাদ দে। এর মধ্যে আমার একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক হয় তার সাথেই পরে বিয়ে হয়। ওর সাথে কলেজেই সম্পর্ক। আমি আমার বাসায় ও ওর বাসায় জানায়। ও আমাকে খুব ভালোবাসতো। আমাকে না পেলে গাড়ির নিচে মাথা দিবে আত্মহত্যা করবে। গরীবের ছেলে।আমার বাবার বাড়ির থেকে আমি কিছু নিবো তা দিয়ে এবং আমি পরিশ্রম করতে জানি। ইনশআল্লাহ সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে এই ভেবে বিয়ে করবো কিন্তু ফ্যামিলির অধিকাংশ মেম্বার ই রাজি নাই।তবুও মোটামুটি বড় করে অনুষ্ঠান করেই বিয়ে হলো।কিন্তু আমি পড়াশোনা বন্ধ করিনি।
যেই কথা সেই কাজ। এসব তো জীবনে দেখিনি কিন্তু দিনের বেলা আমি দেখতাম কিভাবে ওরা কি করে। তখন ছোট দেবর কে সাথে নিয়ে হারিকেন দিয়ে ধানের মাঠে গিয়ে আমি কাস্তে হাতে ধান কাটার কাজ করি।
দেবর রা মাথায় করে আনতো।এভাবেই গেলো ৬ মাস। এরমধ্যে আমার শ্বাশুড়ি ব্রেইন স্ট্রোক করে। উনার ভালো চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নিয়ে আসলাম। আসার পর আমাকে আমার মা ভাবি কেউ চিনতে পারছেনা। পুরাই চেঞ্জ।এসেই ভাড়া বাসায় উঠি কিছু নাই খালি বাসা।। বিয়ের ফার্নিচার তো সব বাড়িতে। হঠাৎ আসলাম। শ্বশুড় শ্বাশুড়ির জন্য সিংগেল একটা খাট আর টুকটাক কিছু জিনিস কিনি।আমরা ফ্লোরিং বিছানা করে থাকতাম। শ্বাশুড়ি আলহামদুলিল্লাহ ৬ মাসেই মোটামুটি ভালো হয়ে যায়। উনারা বাড়িতে চলে যায়। আমার পরীক্ষা এবং স্কুলের যবের এপ্লাই করেছি বাড়িতে থাকা অবস্থায়। অখান থেকে ডাক আসে জয়েন করার জন্য। রয়ে গেলাম আমি সাথে থাকলো দেবর দুইটা। ওরা আমার কাছে থাকবে যে যা করার করবে। পড়াশোনা, ব্যবসা।যাইহোক স্কুলে যাচ্ছি।যাওয়ার সময় রান্না করে রেখে যেতাম এসে দেখি ভাত নেই ওরা খেয়ে পাতিল টা উপুড় করে রাখতো। কখনো পাউরুটি, কখনো কলা খেয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিতাম।
আমার হাসব্যান্ড সংসারের ব্যাপারে ছিলো খুব উদাসিন। কোনো কিছুর তোয়াক্কা করতো না।তার পরিবারের মানুষের জন্য যথেষ্ট করতো।তার আলাদা একটা জগৎ ছিলো আমি পরে জানতে পারলাম।এরমধ্যে আমি মা হতে যাচ্ছি।
স্কুল,টিউশনি,সব মিলিয়ে চলছে কোনো রকম। এক বেলা খেলে আরেক বেলা না খেয়ে থাকতে হতো।এদিকে অনার্স পরীক্ষা ও চলে আসছে। পরীক্ষা দিবো হাসব্যান্ড তো বই ও কিনে দিচ্ছেনা। আমাকে পড়তে দিবেনা।আমি ফোনে ফ্রেন্ডদের থেকে নোট কালেকশন করে সামান্য কয়টা দিন পড়ার সুযোগ পেলাম। সাত মাসের সময় পরীক্ষার রুটিন দিলো। কি আর করা সেন্টার
আমারকোল জুড়ে আসলো আমার বড় মেয়ে। ও যেদিন হবে সেদিন ও আমি স্কুলে পড়াতে যাই। কখনো ছুটি কাটাতাম না। এই জন্য স্কুল কতৃপক্ষ শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকার পুরস্কার ও দিলো।মাতৃকালিন ৪ মাস ছুটি পেলাম।
এরমধ্যে মেয়ের খাবারের চাহিদা বাড়তে লাগলো কিন্তু আমি দিতে পারছিনা। মেয়ের ৬ মাসের সময় সি ই পি জেট বায়িং হাউজে অফিসিয়াল পোস্টে লোক নিবে। পরীক্ষা দিলাম ১০০ জন নিবে ৫ জন। তারমধ্যে আমি টিকে গেলাম। ৬ মাস চাকরি করলাম। বাসায় এসে মেয়েকে দেখে খুব খারাপ লাগতো। অফিস যাওয়ার পথে আমার বোনের বাসায় দিয়ে যেতাম।
আবার আরো ভালো বেতনে একটা NGO (DSK) তে লোক নিবে পরীক্ষা দিলাম হয়ে গেলো চাকরি। সেখানেও ৬ মাস করলাম প্রচুর কষ্ট। এরপর ছেড়ে দিয়ে জমানো কিছু টাকা আর আমার এক আত্মীয় কিছু টাকা দেয় আমাকে মোট ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে পার্লারের ট্রেনিং করি। ট্রেনিং করা অবস্থায় একটা পুরাতন পার্লার সেলের খবর পেলাম। একটা লোন করেছি তা দিয়ে আমার পার্লারের ম্যাডাম এর সহযোগিতায় ২০০৭ সালে পার্লার দেই।।
২০০৬ আবার চাকরির ফাকে মাস্টার্স পরীক্ষা ও দিলাম। তাও ভালো হলো।২০০৭ থেকে এই অবদি পার্লার দিয়ে বাড়ি করলাম,আরো একটা বিজনেস দিলাম লেডিস জুতা,জুয়েলারি ও বুটিক্স হাউজ।এরপর শেয়ারে দিলাম একটা কোচিং সেন্টার ৪র্থ শ্রেনি থেকে এইচএসসি পর্যন্ত পড়ানো হয়। যার বেনিফিট এক টাকাও নেই না বেনিফিটের টাকাটা অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ার খরচ বাবদ যায়।।এরপর ২০১০ এ আরেকটা মেয়ে সন্তান আমার কোল জুড়ে আসে। সংসার,সন্তান,ব্যবসা আবার সামাজিক কিছু সংঘঠন,( চাঁদের হাট)। ফুটবল ফেডারেশন ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র চট্টগ্রাম জেলার মহিলা সহ সম্পাদিকা হিসেবে আছি। মানুষের পাশে দাঁড়াবার খুব ইচ্ছা সব সময় ই বুকে লালন করে আসছি।এরমধ্যে কিছু ভুল মানুষের উপকার করতে গিয়ে নিজে অনেক লুজার হয়েছি
জীবনে এতো কষ্ট করলাম। এতো কিছু করলাম কিন্তু সব কিছু কার জন্য করলাম। আজকে আমি সর্বশান্ত হয়ে গেলাম এসব ভেবে ভেবে ডিপ্রেশনে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি গতবছরের শেষের দিকে মেয়ে দুইটা আর আমি আত্ম হত্যা করে ফেলবো।এক গ্লাস দুধের সাথে বিষ মিশিয়ে তিনজন খেয়ে এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবো। বেঁচে থাকার কোনো ইচ্ছাই ছিলো না।কিন্তু অই মুহুর্তে স্যারের কিছু ভিডিও আমি ইউটিভি লাইভে দেখতে পাই। তখন স্যারের ভিডিও ও কিছু পোস্ট আমার মন টাকে বদলে দেয় আমি আবার বেঁচে থাকার এবং স্বপ্ন দেখার সাহস করি।। এই ভালোবাসার গ্রুপে রেজিষ্ট্রেশন করতে চাই বলাতে কয়েকজন আমাকে সাহায্য করতে আসে। কিন্তু আমি এই গ্রুপের আমার খুব প্রিয় আপু @জেসমিন আক্তার জুই আপুর হাত ধরে এই পরিবারে পদচারণা। এরপর শিবচর মাদারীপুর এর Ruhul Amin Haque ভাই আমাকে বিভিন্ন সময় অনেক সহযোগিতা করে। স্যারের সেশন থেকে শুরু করে সব কিছু ভাইয়া আমাকে বুঝিয়ে দেয়।আপু ভাইয়া দুজনের কাছে আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। এরপর অনেক ভালোবাসার আপু ভাইয়াদের পাই। যা আমার আপন ভাই বোন দের থেকে পাওয়া কস্ট ভুলিয়ে দিয়েছে।তবুও আমি আমার ভাই বোনদের জন্য মা বাবার জন্য এবং এই পরিবারের অভিভাবক আমার প্রান প্রিয় স্যার সহ সকল আত্মার ভাই বোনদের জন্য অনেক অনেক দোয়া করি। আল্লাহ সবাইকে ভালো ও সুস্থ রাখুক সুস্থতার সহিত দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুক।
এখন আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি মন মানুষিকতার দিক থেকে এবং ব্যবসা বানিজ্য সব কিছু নিয়ে ভালো আছি। অনেক ভাই বোনের সাথে পরিচিত হয়ে নিজের ভাই বোন দের কাছ থেকে পাওয়া অনেক কষ্টের স্মৃতি ভুলে গেছি। স্যারের কাছে ও এই প্লাটফর্মের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ রইলাম। সবার জন্য শুভ কামনা। আমার জন্যও সবাই দোয়া করবেন। হারানো সকল অর্জন যেন নতুন করে আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ করে সফলতায় পৌঁছে অসহায় মানুষ ও পথশিশুদের কাছে গিয়ে দাড়াতে পারি।
আমি একজন সিংগেল মাদার আমার জীবন চলার পথ টা খুব একটা সহজ নয়।কিন্তু তারপর ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ভালো থাকার চেষ্টা করেছি। জীবনে কারো ক্ষতি করিনাই।পারলে উপকার করেছি। তার উছিলায় হয়তো আল্লাহ এখনো ভালো রেখেছে।
আমরা নারী আমরাও পারি ইনশাআল্লাহ
জীবনের কঠিন আরেকটা গল্প আছে সেটা আরেকদিন শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। সময়ের অপেক্ষায় আছি।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৬৯
Date:- ০৮/০৭/২০২১