সকল মানুষের একটা নিজেস্ব গল্প থাকে
আসসালামু আলাইকুম।
সকল মানুষের একটা নিজেস্ব গল্প থাকে।
#আমারও_একটি_গল্প_আছে_যা_সবার_নিকট_শেয়ার_করতে_চাই।
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি এই মহামারী করোনার পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের সুস্থ রেখেছেন সেই মহান আল্লাহকে এবং যাকে সৃষ্টি না করলে দুনিয়া সৃষ্টি করতেন না তার নামে দুরুদ পরে।
আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি যার কারণে এমন একটি প্লাটফর্ম এর সাথে নিজেকে জড়ানোর সুযোগ পেয়েছি তিনি হলেন আমার প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার, ফাউন্ডার, নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন।
আমি আলাউদ্দিন সুজন। বাড়ি নাটোর জেলা, বাগাতিপাড়া থানায়। আমি একজন মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির সন্তান। আমি সহ আরো ৩ বোন। আমি সবার বড়। বাকি সবাই ছোট।
শুরু থেকে আসি। আমার দাদা ছিলে নদী ভাংগা এলাকার লোক। বার বার নদী ভাংগার কারনে বাড়ী বার বার চেঞ্জ করতে হতো। আমার দাদাসহ আমার বাপ চাচারা নাটোর চলে আসেন। আসার পর অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে থাকে। যেখানে দুবেলা ভাত খাওয়াই মুখ্য সেখানে লেখা পড়া কিভাবে সম্ভব? তাই আমার বাবা চাচারা খুব বেশি লেখা পড়া জানতেন না। একটা সময় দিন মুজুরের কাজ করতেন বাবা ও চাচারা। দাদা বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় মক্তবে ধর্মীয় শিক্ষা দিতেন। দাদাও খুব বেশি পড়াশুনা না থাকলেও অনেকের কাছে তিনি ছিলেন শিক্ষা গুরু। তার হাত ধরেই লেখা পড়ার হাতেঘড়ি। তার ছাত্র/ ছাত্রীরা অনেকেই স্কুল কলেজ/ ভার্সিটির শিক্ষক ছিলেন। অভাবের সংসারে থেকে খুব বেশি পড়াশুনা করতে পারেন নাই আমার বাবা- চাচারা। তারপরও যতদুর পড়েছিলেন তার বদোলত বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে সরকারি চাকরি করতেন। বাবা ১৯৮৪ সনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। শুরুতে বেতন পেতেন মাত্র ২০০ টাকার মত। অভাবের সংসারে এই সামান্য বেতন দিয়ে অনেক কষ্টে দিন যেত। ধীরে ধীরে উন্নতি জীবন যাপন শুরু হলো। এর মধ্য ছোট চাচাও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিলেন।
এখন আসি আমার কথায়- আমি ২০০৪ সনে এসএসসি পাশ করি এবং ২০০৬ সনে এইচএসসি পাশ করি। মোটামুটি ভাল ছাত্র ছিলাম ২টাতেই ১ম শেণি ছিল। এইচএসসি পাশ করা পর্যন্ত আমাদের সংসার উচ্চ মধ্যবিত্ত জীবন যাপন করে যাচ্ছিলাম। বাবা চাকরি থেকে অবসর নিলেন ২০০৫। অবসরের পর বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারনে যেখানেই ইনভেস্ট করেছেন সেখানেই লস হয়েছে। আমি অনার্স করার জন্য রাজশাহীতে ভর্তি হই। এর মধ্যে বাবা তার জমানো সকল অর্থ ও কিছু ধার নিয়ে প্রাইভেট কার ক্রয় করেন। আমি অনেক বার না করা সত্ত্বেও গাড়ি কিনে নিয়ে আসেন। শুরু হলো নতুন সমস্যা। গাড়ি কেনার পর বিভিন্ন সমস্যায় নিয়মিত পরতে থাকেন। আমি আগেই বলেছি জমানো সকল অর্থ ব্যায় করে ফেলেছেন গাড়ি কিনতে। কিন্তু গাড়ি মেরামত করতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিন ১০ হাজার থেকে ২০হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে। মায়ের/ ছোট বোনের জন্য বানানো গহনা বিক্রি করে গাড়ি মেরামত করতে হয়েছে। এর পরও যখন সমস্যা থেকে বের হতে পারেন নাই তখন জমি বিক্রি/ বন্ধক রেখে গাড়ি মেরামত করেছেন। বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা লোন তুলে গাড়ি মেরামত করতে হয়েছে।
শুরু হলো কষ্টের জীবন।
এক সময় এমন অবস্থা দেখে আমি রাজশাহী থেকে চলে আসি। বন্ধ হয়ে গেল আমার পড়াশোনা। পড়াশোনা বাদ দিয়ে বাবার সাথে সময় দেই। তারপরও সমস্যা থেকে যখন বের হতে পারছি না গাড়ি বিক্রি করে দেই পানির দামে। মানে মাত্র ১,৮০,০০০ টাকায়। গাড়ি বিক্রি করে এনজিও এর লোন শোধ করে দেই। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেংগে পরে।
আমি তো অলরেডি পড়া বাদ দিয়েছি। আমি যখন এইচএসসি পাশ করি বাবা আমাকে ওয়াদা অনুযায়ী কম্পিউটার কিনে দিয়েছিলেন। কম্পিউটার কেনার পর থেকেই আমি খুব আগ্রহের সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামের কাজে খুবদ্রুত এক্সপার্ট হয়ে উঠি। এলাকায় সকল মানুষের কাছে খুব দ্রুত পরিচিত লাভ করতে থাকি। ২০০৬ সালে আমাদের এলাকায় শুধু আমি ১ম কম্পিউটার চালাই। আমি ফ্রিতে মানুষের বিভিন্ন কাজ করে দেই। নিজের দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে এই ভেবে।
২০০৮ সালে আমি একটি কম্পিউটার দোকানে ফ্রিতে কাজ শুরু করি। প্রায় ৪/৫ মাস কাজ করি। কোন বেতন এমনকি ঈদের বোনাসও পাইনি। কাজ ছেড়ে নাটোর একটি মোবাইলের দোকানে সেলসম্যানের কাজ নেই পেট ভাতায়। কোন বেতন ছাড়া। উদ্দেশ্য নতুন কিছু শেখা হবে। সেখান থেকে ১ বছর এর মত সুনামের সহিত কাজ করি।
সাল ২০১০, মোবাইল দোকানে থাকা অবস্থায় ঢাকায় পরিচিত একজনের চাকরির অফারে ঢাকায় যাই। উদ্দেশ্যে ঢাকায় চাকরির পাশাপাশি কম্পিউটারের নতুন নতুন প্রোগ্রাম এর কাজ শিখবো। কিন্তু আশায় গুড়ে বালি। যার জন্য ঢাকায় কাজে আসলাম সে আমকে ডেসটেনিতে অফার করে আমি সরাসরি না করে দেই। আমি যেহেতু অনেক আশা নিয়ে ঢাকায় আসি তাই আমি কিছু না করে বাড়ি ফিরতে চাই না। তাই সকাল থেকে চাকরি খুজতে লাগলাম। দেওয়ালে বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি দেখে। ১ম দিনেই কাজ পেলাম। কম্পিউটারের দোকানে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে। বেতন ৩৫০০ টাকা।
আমি যেহেতু ডেসটিনি করবো না তাই ২য় দিন থেকে কাজে যোগ দিলাম। আমি এখানেও খুব দ্রুত সুনাম অর্জন করতে থাকলাম। ২ মাসে আমাকে বেতনের সাথে দুপুরের খাবার বিল ফ্রি করে দিলেন। ৩য় মাসে আরো ১ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি করে দিলেন। আমি প্রতিমাসে ২৫ -৩০ হাজার টাকা বেশি সেল করেও দিয়েও মালিকের মন পাওয়া ভার। মালিককে বেশি লাভবান করেও মন যোগাতে না পেরে ছেড়ে দিলাম এই চাকরি। শুন্য হাতে বাসায় চলে আসলাম। কোন কাজ শিখতে পারলাম না!
মাথায় প্লান ব্যবসা করবো। কিন্তু আমাদের বংশে যে কেউ ব্যবসা করেন নাই। তাই আমাকে দিয়ে ব্যবসা হবে না বলে বাসা থেকে টাকা দিতে রাজি হলেন না। শেষ পর্যন্ত যখন রাজি হলেন তখন ব্যবসা আর করা হলো না বিভিন্ন কারনে।
২০১১ সাল, বাসা বসে থাকি বলে ছোট চাচার বাসায় ডাকলো। ছোট চাচার ছোট ছেলেকে পড়াশুনা দেখাতে হবে। চাচা তখন র্যাবে ছিলেন তাই নাঃ গঞ্জ থাকতেন। আমি চাচার বাসায় থাকতে শুরু করি। চাচাতো ভাইকে পড়াই। আমি প্রাইভেট পড়াতাম না শুধু প্রতিদিন যা প্রাইভেট টিচারের পড়তেন তাই পরিক্ষা নিতাম। চাচাতো ভাই তখন ক্লাস ৫ এ পড়তো। তার বড়টা ৮ শ্রেণিতে ভর্তি পরিক্ষা দিবে পিপারেশন নিচ্ছে। আমি তারও পড়াশোনা দেখভাল করতে থাকলাম। পাশা পাশি নিজের চাকরির পড়াশোনা করতে থাকলাম।
সাল ২০১২, চাচাতো ভাই ক্লাস ৫ এ সবগুলো তে এ+ নিয়ে পাশ করলো, তার বড়টা ৮ শ্রেণিতে তামিরুল মিল্লাতে চান্স পেলো। আমি এর মধ্য একটা চাকরিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে যোগ দিয়ে ৭ দিনের ট্রায়াল অফিস করলাম। বেতন না মেলার কারনে চাকরিতে যোগ দেওয়া হলো না। তারপর একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন হাউজে ১ মাস চাকরি করি। অসুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে আর যোগদান করাব হয় নি।
চাচা র্যাব থাকায় চাচার পরিচিত একটি গার্মেন্টস এ সহকারী মার্চেন্টডাইজার হিসেবে যোগ দিলাম। যোগ দেওয়া পর বিভিন্ন বায়িং হাউজে সেম্পল দেখাতে থাকলাম। রাত ৩/৪টা বেজে যেত বাসায় ফিরতে। এভাবে মাস ২ মাস কাজ করলাম। ২ মাস ধরে বেতন দেন না। খুব কষ্টে জীবন অতিবাহিত করতে লাগলাম। রিক্সা ভাড়া বাচায়ে হেটে হেটে বিভিন্ন বায়িং হাউজে যেতাম। রিক্সা ভাড়ার টাকা বাচিঁয়ে খাবার কিনে খেতাম। বেতন না থাকায় ৭ দিন শুধু এনার্জি প্যাক বিস্কুট১ পেকেট + চায়না কমলা ১টি করে খেয়ে অফিস করেছি ও সারাদিন থেকেছি। এই ৭ দিন আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের দিন গেছে। এমন অবস্থায় যখন আর থাকতে পারলাম না চাচাকে ফোন দিলাম। ফোন দিয়েই অনেক কেদেছি। তার পর এমন অবস্থার কথা বললাম। চাচাকে বলে চাকরি থেকে ১মাস আগেই রিজাইন লেটার জমা দিয়েছি।
পরের মাসে চাকরি ছেড়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে আবার ব্যবসার চিন্তা শুরু করি। আমি কম্পিউটার ভালো জানতাম বলেই কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার দিতে চাই। পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় বাবা জমি বিক্রি করে আমাকে টাকা দিলেন কিন্তু যার দোকান কিনতে চেয়েছিলাম ব্যাংকিং জটিলতা থাকায় আর নেওয়া হয় নাই। ঢাকায় থেকে ফেরার আগে একটি ইন্টারভিউ দিয়ে বাসায় আসছিলাম সেটিতে জয়েন্ট করবো বলে বাসা থেকে সব কিছু নিয়ে বের হই।
সাল ২০১২ মে, এই মাসে ঢাকায় উদ্ভাস কোচিং সেন্টারে যোগদান করি। ঢাকায় কেউ না থাকায় উদ্ভাসের একটি বিল্ডিংএ ফ্লোড়িং করে থাকতে শুরু করি। চাকরিতে যোগদান করে ১ মাসের মধ্যে খুব দ্রুত সুনাম ছড়াতে থাকে। আমি প্রায় প্রতিদিন ১৬-১৮ ঘণ্টা অফিস করতে থাকি। প্রথমে ৭০০০ টাকা বেতনে শুরু করলেও কাজের মান ভালো করায় ৭৫০০ দিয়ে কর্ম জীবন শুরু করি। এভাবে প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট এ ৩৫০০-৪০০০ করে যোগ হয়ে ২৭০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন পাই। ওভার টাইম দিয়ে প্রতিমাসে প্রায় ২৯০০০-৩১০০০টাকা বেতন তুলি। আর এখানে দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর সুনামের সহিত চাকরি করি। অনেক কিছু শিখেছি এখান থেকে। ৬ বছর টানা এভারেজ প্রতিদিন প্রায় ১৬ ঘণ্টা অফিস করি। অফিস করতে করতে ক্লান্ত হয়ে উঠি। উদ্ভাসে থাকা অবস্থায় আবার পড়াশোনা শুরু করি। ঢাকায় থেকে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি করি।
সাল ২০১৭, চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। কারণ আমি চিন্তা করেছি এত দীর্ঘ সময় অন্যের অফিসে কেন সময় দিবো। নিজের অফিসে এত সময় দিলে একদিন আমি অনেক কিছু করতে পারবো এই ভেবে ব্যবসার চিন্তা ফাইনাল করি।
২০১৭ সালে সেপ্টেম্বরে চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হিসেবে যোগ দেই ডাকঘর উদ্যাক্তা হিসেবে। পাশাপাশি কম্পিউটার দোকান দেই। পর্যায়ক্রমে নিজের সততা, দক্ষতা ও পরিশ্রম দিয়ে সুনামের সাথে কম্পিউটার ব্যবসা, ফটোকপি ও একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে থাকি ব্যবসা করা অবস্থায় মাস্টার্স করি রাজশাহী কলেজ থেকে।
আমার প্রতিষ্ঠানে এখন ৪ জন লোকের কর্মসংস্থান করতে পারছি, পাশাপাশি বাড়ির ৯০% খরচ নিজে বহন করি। আর প্রতিবছর প্রায় ১০০ জন কম্পিউটার দক্ষ স্টুডেন্ট তৈরি করছি। আমার মাসিক নিট ইনকাম ছিল প্রায় ৬০০০০ টাকা।
এমন সময় চিনে করোনা শুরু হয়। বাংলাদেশেও করোনা পরিস্থিতির কারনে লকডাউন শুরু হয়। করোনার কারনে ব্যবসায় ধস নামতে থাকে। ট্রেনিং সেন্টার বন্ধ, দোকান বন্ধ। এমন সময় ছোট ভাই ক্যাম্পাস এম্বাসেডর শাহাবুদ্দিন এর ইনভাইটে "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" নাটোর টিমের উদ্যোগে তমালতলা কৃষি ও কারিগরি মহাবিদ্যালয়ে মিট আপে যুক্ত হই এবং এক একজন উদ্যোক্তার গল্প শুনে অভিভূত হই। স্যারের শিক্ষা নিয়ে আমার বিজনেস আরো অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে নিয়েছি এবং ধৈর্য ধরে লেগে থাকি। "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" এর বিভিন্ন সামাজিক প্রোগ্রামে অংশ গ্রহন করি। গত রমজান মাসে "নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন" এর হয়ে ১০০ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণে অংশ গ্রহণ করি। এসব বিষয় আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছে। স্যারের বিভিন্ন শেসন রপ্ত করে এ বছর প্রথম অনলাইনে আম বিক্রি শুরু করি। ১ম বছরই এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ মন আম সেল করেছি আলহামদুলিল্লাহ! মানুষকে সততার সঙ্গে বিভিন্ন জনপ্রিয় খাবার খাওয়াতে পারছি।
স্যারের শিক্ষা নিয়ে আমি বহুদূরে যেতে চাই। মানুষের সেবা করে যেতে চাই। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৮২
Date:- ২৮/০৭/২০২১
🔰নামঃঃ আলাউদ্দিন সুজন
🔰🔰 জেলাঃ নাটোর
🔰🔰🔰 রক্তের গ্রুপঃ এ+ (১৭ বার ডোনার)
🔰🔰🔰🔰ব্যাচঃ ১৪ তম
🔰🔰🔰🔰🔰রেজিঃ ৬৩৯০৭
🔰গ্রুপঃ স্পর্শ কম্পিউটার এন্ড ট্রেনিং সেন্টার ☑️
🔰🔰অনলাইন পেজঃ জনপ্রিয় ফুড.কম