আমার অসহায় বৃদ্ধ মা বাবাকে নিয়ে কি করবো বুঝতে পারছি না।
আমার বাস্তব জীবনের গল্প, একটু সময় নিয়ে সবাইকে পড়ার অনুরুধ করছি ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
সন্মানিত প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?
আশা করি পরম দয়ালু আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানীতে সকলেই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। আমি ও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
শুরুতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার স্যার এর প্রতি,
যার প্রচেষ্টার মাধ্যেমে আমরা এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি।
পেয়েছি পাচঁ লক্ষ ভালো মানের একটি সুন্দর পরিবার, এই প্লাটফর্মের সকলেই অনেক আন্তরিক। পেয়েছি ভালো মানুষদের ভালোবাসা।
আমি খাদিজা ইসলাম,
আমাদের পরিবারে আমার দাদা-দাদি, মা-বাবা সহ আমরা ৩ বোন মিলে আমরা সদস্য সংখ্যা ছিলো মোট ৭ জন।
আমাদের পরিবারে আমার বাবার ছিল আরো দুই ভাই ছিলো মানে আমার কাকা। দাদার দেওয়া বাড়ির বিটা ছিল মাএ ৬ শতক জায়গার উপরে। আর দানের জমি ছিল ৩ গোন্ডা,
কাকারা যখন নিজের বুঝ বুঝতে শিখলো তখন আমার দুই কাকা বিয়ে করে আলাদা হয়ে যায়,
কারণ আমার বাবার তেমন রোজগার ছিল না। খাওয়ার লোক ছিল বেশি তাই, আমার বাবার পড়াশোনা কিচুই ছিল না, তেমন চালাক চতুর ও ছিলো না । আমার বাবা একেবারে সহজ সরল একটা মানুষ ছিলেন। আমাদের পরিবারে ছিল অনেক অভাব,
পেটে ছিল না খাবার, পড়নে ছিল না পোশাক, এক বেলা খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে আমাদের দিন কাটতো। এই দিকে বাবা যা কাজ পেতো তাই করতো,,, এমনিতে কোন হাতের কাজ জানাছিলো না তাই পারতো শুধু রিক্সা চালাতে।
রিক্সা চালিয়ে যা পারতো সংসারের খরচ তা নিয়ে আাসায় ফিরতো। অনেক সময় আবার খালি হাতে ও ফিরতে হতো। কারণ গ্রামের কয়েক জন লোক ওনাকে বুলিয়ে ভালিয়ে তাদের কাজে ব্যাবহার করতেন।
কোনো টাকা দিতেন না এই নিয়ে বাবা মায়ের মধ্যে অনেক জগড়া ও হতো। রোজগার করা নিয়ে, তাদের জগড়া দেখে আমি অনেক ভয় পেয়ে যেতাম।
কস্ট ও পেতাম এভাবে দিনের পর দিন না খেয়ে কত দিন চলা যায় বলেন ?
আমার দাদা-দাদু ও খাবারের জন্য অনেক কষ্ট পেতেন। লোকের ঘরে ঘরে জেতো একটু খাবারের জন্য ।
তখন থেকে আমার মা শুরু করে লোকের বাড়ি গিয়ে কাজ করা।
কাজ করে যে খাবার টুকু পেতেন নিজে না খেয়ে আমার দাদা-দাদু ও আমাদের খাওয়াতেন। এমনি করে অনেক কস্টে দিন কাটতে থাকে আমাদের।
আমার মা অনেক কষ্টের কাজ করতেন, যখন দেখলেন মা কাজ করছে তখন বাবা তেমন কাজ করতে চাইতেন না।
বাবা আজে বাজে মানুষদের সাথে মিশতো।
আমার মনে আছি তখন আমি স্কুলে যেতাম ক্লাস টুতে পড়ি। প্রিয় বন্ধুগন আমার জীবনের গল্প লিখতে গিয়ে আমার দুটি চোখ দিয়ে অনবরত অশ্রু ঝড়ছে। তার পর ও আজ নিজের লজ্জাকে বিলিন করে আপনাদের সামনে লিখতে বসলাম।
স্কুল জেতাম গায়ে ছিল না একটা ভালো জামা। মানুষের দেওয়া অনেক পুরাতন ময়লা জামা পড়ে স্কুলে যেতে হতো। পায়ে ছিল না কোনো জুতা সেটা ও অন্যের দেওয়া ছিলো। এভাবে স্কুল জেতে হতো আমার।
তখন খুব খারাপ লাগতো আমার সাথের ছেলে মেয়ে গুলো কতো সুন্দর জামা গায়ে দিয়ে স্কুলে যায়,,, কত সুন্দর জুতা স্কুল বেগ নিয়ে স্কুল আসতো তাদের দিকে তাকিয়ে থাকতাম।
আর বাড়িতে ফিরে মাকে বলতাম মা বলতো কারো ভালো কিছু দেখে নিজেও এসব পাওয়ার ইচ্ছে করলে এটা লোভ হবে ?
মা বলতে,,, কারো দিকে তাকাইস না,,, পরের জিনিসে লোভ করা ভালো না। লোভে পাপ পাপে মিত্যু, মায়ের কথা শুনে চুপ হয়ে যেতাম।
জানেন কতো দিন না খেয়ে বৃষ্টিতে বিজে স্কুল জেতে হয়েছে। আমরা অসহায় গরীব বলে হতো ক্লাসে কেউ আমার সাথে মিসতে চাইতো না। কারন ময়লা জামা কাপড় পড়নে থাকতো।
আমাকে দেখলে স্যারেরা ও জেন ঘৃণা করতো পোশাক দেখে কি করবো মা বলতো জি তবুও স্কুল জা এক্টু পড়াশোনা জানা থাকলেও জীবনে কাজে লাগবে। এভাবেই চলতে থাকে আমার কষ্টের দিন গুলো , সংসারের অবস্থা দিন অনেক খারাপ হতে লাগলো মা একা আর কুলাতে পারছে না। তার পর মা একটা সময় সিদ্ধান্ত নিলেন আমাকে এক বাড়িতে কাজে দিয়ে দিবেন।
কারন মা আমাদের কষ্টটা আর নিতে পারছিলেন না। একটা মানুষ কত দিন না খেয়ে থাকতে পারে। মায়ের চিন্ত হলো কাজে দিয়ে দিলে আমার মেয়েটা দুই বেলা দুই মোঠো ভাত পেট ভরে খেতে পারবে। সুন্দর সুন্দর জামা কাপড় পরতে পারবে। যেই চিন্তা সেই কাজ। একটা ফ্যামিলির সাথে মা কথা বলে
আমাকে কাজে দিয়ে দিলেন।
তখন আমার বয়স ছিলো মাএ ৯ বছর। জীবনের প্রথম নতুন বাসা নতুন কাজের স্থল, মায়ের কথা মতো ঐ বাড়িতে গেলাম। প্রথম কয়দিন একটু কাজ কমই দিয়েছিলেন। কয়েক দিন যাওয়ার পর ওনাদের সবার সব জামা কাপড় দোয়া থেকে শুরু করে বাড়ি সমস্ত কাজ আমাকে দিয়ে করাতেন।
আমার জন্য কাজ গুলো খুব কষ্টের ছিলো।
একদিন মা আমাকে দেখতে আসছিলো। তখন মাকে বিস্তারিত বলে আমি মায়ের সাথে বাড়ি চলে আসি।
মা আবার আামকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন। স্কুলে যাওয়া শুরু করি।
ছোট মানুষ অনেক কিছুই তো চাওয়া পাওয়া থাকে নিজের ইচ্ছে মতো ভালো কোন খাবার আা ভালো কোন পোশাক অশাক পেতাম জুটতো না।
তখন নিজের কাছে খুবই কষ্ট হতো ,
একদিন তো না খেয়ে স্কুলে চলে গিয়েছেলাম ২ ৩ ঘন্টা ক্লাস করার পারে বিরতির সময় দিয়েছিল আমার মাথায় হঠাৎ চক্ক আসে অঙ্গেন অবস্থায় মাটিতে লোটে পড়ে যাই।
পরে আমার আর কিছুই মনে ছিল না।
প্রায় ২/৩ ঘন্টা পর চোখ খুলে দেখি আমি বাড়িতে শুয়ে আছি। পরে শুনলাম স্যারেরা নাকি আমাকে বাড়িতে এনে দিয়ে গেছে।
মাঝে মাঝে মনে হতো পৃথিবীর মানুষ গুলো এতো নিষ্ঠুর কেন। কেউ সারা দিনে একবেলা খেতে পায় না। আর কেউ খাবার ডাজবিনে অনায়েশে ফেলে দেয়। হায়রে নিয়তির খেলা।
সত্যি বলতে আমাদের এই দূরসময়ে দূর অবস্থায় চমাদের চসে পাশের কেউ একবার এসে জিঙ্গেস ও করেনি যে তরা কি খেয়ে আছিস নাকি না খেয়ে আছিস।
যাই হোক কষ্টের কথা লিখতে লিখতে কলমের কালি শেষ হয়ে যাবে কিন্তু লেখা শেষ হবে না।
দিন যায় মাস যায় এমনি করে খেয়ে না খেয় দিন পার করতে লাগলাম।
আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি, তখন সালটা ছিলো ২০০৮ সাল।
তখন বাবা হঠাৎ করে বলে উঠলো বাবা বিদেশে যাবে। বাবার প্রস্তাবে ফ্যামিলির কেউ রাজি হলো না।
পরে আমার দাদা-দাদু অনেক কষ্টে ওনাদের রাজি করালেন আমার বাবা দানের জমি ছিল একটা তরকারি করার মতো জমি ছিল একটা এই দুইটা জমি বিক্রি করে আরো কিছু টাকা দার করে বাবা সৌদি আরব গেলো।
ওখানে গিয়ে দেখে কাজ ছিল সবজি মাজরায় কাজ অনেক করা লাগে বেতন অনেক কম ৮ হাজার টাকা আবার খাবার নিজের, কোনো রকম দেশে ৫ ৬ হাজার টাকা দিতে পারতো, এতে করে কোনো রকম আমাদের পড়াশোনা আর খাওয়া দাওয়ার টাকা হয়, আমার খুব ইচ্ছে ছিল পড়ালেখা করার কিন্তু ভাগ্যে ছিল অন্য কিছু,
আমি নবম শ্রেণিতে নতুন ওঠলাম, তখন আমার এক খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে পরিচিত হলাম আমার এক খালাতো ভাইয়ের সাথে।
তখন প্রেম ভালোবাসা এসব বুঝতাম না । ওনি আমাকে অনেক পছন্দ করতো। কিন্তু আমি ওনাকে কেনো জানি সহ্য করতে পারতাম না।
ওনাকে দেখেলে আমার বিরক্ত লাগতো তারপর থেকে ওনি আমাদের খোঁজ খবর নিতে শুরু করলো। চমার সাথে ফোন দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করতেন।
বার বার বিরক্ত করার পর এবার আমিও মাজে মাজে কথা বলতে শুরু করলাম। ওনার সাথে এভাবে একদিন ওনি বলেই দিলো ওনি আমাকে অনেক ভালোবাসে, এবার আমারও ওনার প্রতি ভালো লাগা কাজ করে।
এভাবে আমাদের দুজনপর মধ্যে একটা সম্পক তৈরী হয়ে যায় । ধীরে ধীরে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে।
একটা সময় এমন পর্যায় যায় যে দুজনে দুজনকে ছাড়া বাচবেনা।
তখন ওনার পরিবার ছিল একটু টাকা পয়সা ওয়ালা ওনারা মানবে না এইদিকে আমার মা ও টের পেয়ে আমাকে আর কথা বলতে দেয় না।
ওনার সাথে কথা না বলতে পেরে আমিও অনেক কষ্ট পেতাম।
এর পারে ওনি ওনার বাবা মাকে হুমকি দিলো যে আমাকে না পেলে ওনি বিষ খাবে গলায় পাশি দিয়ে মারা যাবে।
এরপর ওনারা রাজি হলো বিয়ে দেওয়ার জন্য তারপর ২০০৯ সালের ২৫ শে আগস্ট আমাদের বিয়ে হয়ে জায় তখন আমার বয়স ছিল মাএ ১৪ বছর।
এই বিয়ে টাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড়ো ভুল বিয়ের প্রথম কয়েক দিন সবাই একটু ভালো ছিল এরপর শুরু হলো আমার ওপর অত্যাচার অবিচার। আমার বাবার কিছু নেই আমরা ফকির তাদের টাকা পয়সা দেখে নাকি আমার মা লোভ সামলাতে পারে নাই তাই তাদের ছেলের পিচে আমাকে লেলিয়ে দিয়েছে এইসব কথা প্রতি নিয়তো আমাকে শুনতে হতো।
এরপর শুরু হলো তাদের ছেলে কে কিছু দেয় নি এখন টাকা দিয়ে কোনো ব্যাবসা দরিয়ে দেওয়ার জন্য আমার বাবা মা কি ভাবে দিবে এতো টাকা বলতেছে।
যে ১ লাখ টাকা দিতে হবে না দিলে আমার মায়ের সাথে আমি কোনো কথা বলতে পারবো না।
এমন কি বাবার বাড়ি আস্তেও পারবো না, আমার খালা ছিল অনেক লোভী ও নিস্টুর মনের মানুষ আমার ওপর ভিবিন্ন ভাবে অত্যাচার শুরু করে দেয়।
ভালো করে খেতে ও দিতো না। আমাকে জমিতে নিয়ে চাষা বাদের অনেক কাজ করায়।
আবার বাড়িতে ও সব কাজ রান্না বান্না বাড়ি ঘর, গরু চাগল সব কাজ আমি একা করা লাগে।
তারপর ও মুখ বুজে সব মেনে নিয়েছি। মাকে কিছু বলি না আমার জীবন টা যেন অনেক অন্ধকারে আছন্ন হয়ে পরেছে।
সব সময় আমার কাজের দোষ দরে অামাকে অনেক বিস্রি ভাবে গালাগালি শুরু করে দিতেন।
তারা এখন আমার স্বামি ও আমার পাশে নেই ওনার বাবা মা ভাই বোনেরা জা বলে তাই শুনে ওনার সাথে রাগ করে কতো দিন না খেয়ে ছিলাম, সবকিছু মিলিয়ে এবার আমি অনেক অসুস্থ হয়ে পরি।
এবার আমার মায়ের জন্য আমার খুব খারাপ লাগতো মাকে একটু দেখার জন্য মন পাগল হয়ে গেলো এর মধ্যে ওনাদের বাড়ির কোনো লোকের সাথে আমাকে মিশতে দেয় না।
কথা বলতে দেয় না, কথা বলতে দেখলে অনেক গালাগাল করতো।
আমার জীবনটা এমন ভাবে বিষাক্ত করে তুললো কি করবো কিছু বুঝতে পারছিলাম না। শুধু মাকে দেখতে খুবই ইচ্ছে হচ্ছিলো মাকে না দেখলে যেনো আমি মরেই যাবো।
আমার এমন অবস্থা হয়েছিলো।
আমি তাদের বাড়ির এক মহিলাকে ফোন দিয়ে মা কে কল দিয়ে কান্না করে মাকে আসতে বলি।
পরের দিন মা আসে আমার হাসবেন্ডের বাড়িতে। মা আসলে আমার হাসবেন্ড মাকে বলে আপনি টাকা নিয়ে আসে নাই কেন ?
মা টাকা দিতে পারে নাই দেখে মাকে সরা সরি এমন ভাবে অপমান করছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
আমি ভাবতে ও পারিনি যে সে আমার মায়ের সাথে এমন ভাবে আচরন করবে।
ঐ দিন ইচ্ছে হয়েছিলো আমি নিজের জীবন নিজে দিয়ে দেই।
আমি জানি আত্মহত্যা মহা পাপ, তাই ভেবে চিন্তে আর এই পাপ কাজটা করতে যাইনি।
মা তাদের অনেক রিকোয়েস্ট করচিল আমাকে ওনার সাথে নেওয়ার জন্য কিন্তু ওনারা আমাকে দেন নাই।
পরে মা বুকে অনেক কষ্ট নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। আমিও অনেক ধৈর্য্য দরে ছিলাম।
দেখি ওনারা ভালো হয় কিনা, আমার মা দার দেনা করে তাদের ৫০ হাজার টাকা ও দেয়।
আমার সুখের জন্য কিন্তু না তারা ৫০ হাজার পেয়ে আরো ৫০ এর জন্য আরো অত্যাচার শুরু করে।
আমি আর সহ্য করতে না পেরে মাকে কল দেই।
আমি বাবার বাড়ি চলে আসবো আর ওনারা আমাকে যেতে ও দেয় না। তাই আমার মা একটা সি. এন.জি ভাড়া করে এনে লুকিয়ে আমাকে এখান থেকে নিয়ে যায়,
আমার মায়ের অপমান এর জন্য আমি আমার হাসবেন্ড কে আর মেনে নিতে পারিনি তাই নিজেই Diborc দিয়ে দেই,
এর ১ বছর পরে আমাদের পাশের গ্রামের থেকে আমাকে দেখতে আসে এসে ওনাদের পছন্দ হয়ে জায় ওনারা আমাকে আজকেই বিয়ে করে নিয়ে যেতে চাইছে। যেই দিন দেখতে আসলো সেই দিনই বিয়ে হয়ে গেলো।
ছেলে নাকি লাখে একটা অনেক ভালো খেতে খামারে সব কাজ করে এবার আমার শশুর আমার মাকে দরলো বিয়ান আপনের জেহেতু ছেলে নাই।
আমি আমার ছেলে টা কে আপনাকে দিয়ে দিলাম আমার একটাই দাবি আপনি আমার ছেলে টা বিদেশে পাঠান।
বিশা আমাদের হাতে এখন সব টাকা দিয়ে ফেলছি। আর ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বাকি আপনি যে ভাবেই পারেন আপনার মেয়ের সুখের জন্য যে ভাবেই হোক টাকা টা মিলাই দেন।
অনেক রিকোয়েস্ট করা আমার মা নিজের বাবার বাড়িতে গিয়ে হাত পেতে নিজের ভাইয়ের কাছে জমি বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসে দেয়। আর ওনারা বলছিলো ছেলে বিদেশে গিয়ে আপনাদের টাকা টা ফেরত দিয়ে দিবে।
মা মনে করেছে বিদেশ গেলে তো দিয়েই দিবে তার জন্য মা আরো ৬০ হাজার টাকা সুদে নিয়ে এসে আমার বরকে দেয়,
পরে আমার আমার বরকে বিদেশে না পাঠিয়ে শশুরের মেয়ের জামাইকে বিদেশে পাঠাইয়া দেয়।
এই টাকা দিয়ে পড়ে আমার হাসবেন্ড এই নিয়ে ওনার বাবা মায়ের সাথে ঝামেলা করে তাতে কোনো লাভ হয়নি।
এখন বাবা মাকে ও তো আর কিছু করা ও জায়না এরপর অন্য লোক এর কাছ থেকে বিশা নিয়ে ও সৌদি জায় তাও মাজরা বিশা আমার বাবার মতো এভাবে চলছে দিন কাল।
এদিকে আমার দুইবোন বিয়ের উপযুক্ত ঘরে। নানান লোকে নানান কথা বলা শুরু করেছে।
এতো তো কালো আরো বাবার নাই টাকা পয়সা। কিভাবে তাদের বিয়ে দিবে ?
আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ থাকে,, তারা কারো উপকার করতে পারেনা। তারা পারে শুধু অন্যের সমালচনা করতে।
আমি আমার বাবা মাকে বলে আমি দরকার হয় জতদিন বেচে থাকবো এখানে পরে থাকবো ভালো কোনো পাএ পেলে মেজুটা রে ও বিয়ে দিয়ে দাও আমার মেজু বোন টা ছিল একটু রোগা ও দুর্বল ওর টাইপেট জর ডক্টর দেখাইয়া ভালো করে চিকিৎসা করানো লাগছে।
সব টাকা পয়সা দেনা করে এবার মা হয়ে যায় প্রচন্ড অসুস্থ। কি করবো হাতে নেই কোনো টাকা।
কারো কাছে ধার ও পাই না। কি করবো বুঝতে পারছি না। এখন আমি আমার মায়ের বড়ো মেয়ে সব কিছু তো আমাকেই দেখতে হবে।
আমি ছাড়া তাদেরকে আর কে দেখবে আমার পরিবারকে।
মায়ের পচন্ড বুকে ব্যাথা আমার চোখের সামনে মা এভাবে মাটি গরিয়ে গরিয়ে কান্না করতেছে। আমার যে কি কষ্ট হচ্ছিলো সেটা বলে বুঝাতে পারবো না।
পরে আমার পরিচিত এক ভাবির কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ধার নিয়ে তারপর মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। ডাক্তার দেখে ঔষধ দিয়েছিলো। ঔষধে তেমন ফল পেলো না ।
মায়ের শরীর আরো অনেক খারাপ হয়ে গেলো পুরো শরীর পুলে যচ্ছে।
পরে ডাক্তার বলল্লো কুমিল্লা ভালো কোনো ম্যাডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর জন্য। আমার কাছে তো তেমন টাকা ও নেই পরে আমি এক মহিলার কাছে গিয়ে অনেক রিকোয়েস্ট করে টাকার বিনিময়ে লভ্যঅংশ দিবো বলে টাকা নিয়ে মায়ের চিকিৎসা করি মা ও একটু ভালো হয়। তার পর আমার মেজু বোনকে নিয়ে টেনশন। বোনকে দেখতে এলো বর পক্ষ তাদের ও পছন্দ হলো এবার বিয়ে হবে ওনাদের টাকা দেওয়া লাগবে এবার কি করবো লোকে ও নানান কথা বলে দুইটা মেয়ে একসাথে ইচ্ছে ছিল পড়ালেখা করাবে। ভাগ্যে ছিল না।
বাবা তখন বিদেশে আমার বাবা মাকে বলে আমি দরকার হয় জতদিন বেচে থাকবো ততোদিন বিদেশে পরে থেকে মানুষের দেনা পরিশোদ করবো।
তবুও মানসস্মান থাকতে মেয়েদেরকে বিয়ে দিয়ে দাও,,,,।
এরপর বিয়ে তো হলো তবে আমার বোন টা সুখে থাকতে পারেনি। ওর হাসবেন্ড শুধু অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলতো। টাকা পয়সা সব অন্য মেয়েদের পিছনে খরচ করতো। অথচ আমার বোনের কোনো খোঁজ খবর নিতো না।
আমরা আগে ভাবতাম ছেলের একটা সময় এমন করে বিয়ে করলে ঠিক হয়ে যাবে সংসারি হয়ে যাবে। হয়তো একটু সময় লাগবে। আর ভাবলাম যদি আল্লাহর রহমতে আল্লাহ একটা বাবু দেয়। তখন সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু না আমাদের ধারনা ভূল ছিলো।
আমার বোন অন্তসন্তা হলো কিন্তু জানোয়ার টা ঠিক হয় নাই এই অবস্থায় আমার বোনের অনেক সমস্যা হয় হঠাত ব্লিডিং শুরু হয় তখন আমার বোনের প্রেগন্যান্সির ৭ মাস চলে এই অবস্থায় ওর হাসবেন্ড বা ওর শশুর শাশুড়ী কেউ একটা বার ডাক্তার ও দেখায় নাই আমার বোনের এই অবস্থা দেখে আমরা কেউ আর ঠিক থাকতে পারিনি।
ওঁকে আমার বাবার বাড়ি নিয়ে আসি বরুড়া ডক্টরস হোসপিটালে নিয়ে ওর চিকিৎসা করাই।
তাও দেনা করে ৩ মাস পরে আমার বোনের অনেক পেট ব্যাথা করে মাজা ব্যাথা করে সারারাত একবারের জন্য ও চোখের পাতা এক করতে পারেনি আমার বোন আমি আর আমার মা পাশে বসে আছি ওর শাশুড়ী কে কল দিয়ে বল্লাম খালাআম্মা আপনারা একটু তারাতাড়ি আসেন ওর তো অবস্থা অনেক খারাপ।
উনি বলে আগো মা ডরাইয়ো না এটা প্রসব ব্যাথা না এমনে পেট ব্যাথা করে হয়তো, আসে নাই সারা রাত এভাবে কাটার পরে সকালে ডাক্তার নিয়ে আসছে আমার মা।
ডাক্তার এসে সেলাইন দিলেন ইনসুলেন যা যা প্রয়োজন সবই দিলেন তবুও কেনো কাজ হলো না।
আমাদের সাথে আবার আমার পাশের বাড়ির এক দাদি আছে জিনি বাচ্চা প্রসব করতে মানুষ কে সাহায্য করতেন এভাবে আরো দুই দিন চলে যায়।
এর পরের দিন আমার বোনের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গেছে।
সে অনেক জোরে জোরে কান্না করে আর বলতে থকে মা গো আপনাদের আল্লার দোহাই লাগে আমারে বাচান ও আপু গো আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাও। তখন আমার আর মায়ের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গেছে।
মনে হচ্চে আমার বোনকে বুজি বাচ্চা নিতে বলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলাম এই বুজি বোন কে হারিয়ে ফেললাম কতো জগরা হতো বোনে বোনে জামা কাপড় খাবার নিয়ে কেন এমন করলাম বোনটার সাথে তখন আমিও অনেক গাবরে জাই ওর হাসবেন্ড কে ফোন দিলাম ভাই আফরুজা তো অনেক অসুস্থ তুমি একটু আসোনা ওকে হোসপিটাল নিতে হবে সে বলে আমার কাছে একটা টাকাও নাই আর আমার কাজ আছে জেতে পারবো না।
কতটা অমানুষ হলে এই মূমর্ষ্য এই ধরনের কথা বলতে পারে।
আমাদের কান্না দেখে আমার এক যেঠি ওনি বলতেছে যে টাকার জন্য মানুষ এভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে নাকি।
তোরা রেডি হো আমি টাকা দিবো তোরা পরে ব্যাবস্থা করে দিয়ে দিস। আমি আমার মা আমার বোন কে হোসপিটাল নিয়ে যাই এবার ডাক্তার সব টেস্ট গুলো করে বলতেছে যে গর্বের মধ্যে বাচ্চা অনেক মোটা ও বড় হয়ে গেছে।
তাই নরমাল ডেলিভারি হবে না সিজার করা লাগবেই।
ওর জরায়ুর মুখ ও খোলে না তাই বাদ্য হয়ে সিজার করা লাগচে আমার বোনের ফুট পুটে একটা ছেলে বাবু হয়েচে এবার ওর শশুর শাশুড়ী তো মহা খুশি হয়ে আসচে নাতি হয়েচে আমার ইচ্ছে হইচিলো কয়টা কথা শুনিয়ে দেওয়ার জন্য পারিনি বিবেক বাদা দেয় যে যেমন তেমনি থাকুক না শুধু শুধু কথা বারিয়ে লাভ কি।
এরপর ৬ দিন ছিলাম হাস্পাতালে খাওয়া খরচ মেডিসিন খরচ টোটাল মিলিয়ে আসচে ২৫ হাজার টাকার মতো যে দিন হাসপাত থেকে চলে আসবো সেদিন বোনের হাসবেন্ড আসচে তার ছেলে কে দেখতে জদি ১ কেজি ফল হাতে করে আন্তো মনটাকে বুজাতাম তাও আনেনি।
হসপিটালের বিল দেওয়ার সময় যখন বোনের শাশুড়ী কে বল্লাম। তখন ওনি বলে মা আমাদের কাছে এখন একটা ও টাকা নাই।
তোমরা এখন দাও আমরা পরে যা পারি দিয়ে দিবো। তখন আমিও কথা টা না বলে পারিনাই আপনারা তো মানুষ না মানুষের বেশ দরে আছেন।
সুদে যখন টাকা লাগান তখন ঠিক পারেন ছেলের বউ এর চিকিৎসার জন্য শুধু টাকা থাকে না।
আপনার ছেলে ও দিবে না আপনারা ও দিবেন না আমরা আমাদের বোন কে বিয়ে দেওয়াটাই বোদয় আমাদের অপরাধ ছিলো।
তাই সবাই মিলে আমাদের এই শাস্তি দিচ্ছেন।
টাকা দেয়নি আর কি করার আমরা যখন হসপিটালে নিয়েছি আমরাই হসপিটালের বিল পরিশোধ করতে হবে।
এরপর ও ৫ মাসের মতো বাবার বাড়ি ছিল কেউ কোনো খোঁজ খবর ও নেয় নাই।
৫ মাস পর এসে বোনকে নিয়ে যায়। এইদিকে আমার ছোট বোন দেখি কার সাথে জানি সারা দিন সারা রাত কথা বলে। স্কুল থেকে এসেই কথা বলে,মেসেন্জারে চ্যাট করে। তখন আমি বল্লাম সুইটি দেখ আমরা তিন বোন দুজনের বিয়ে হয়ে গেছে বাকি রইলি তুই তুই একটু মনোজোগ দিয়ে পড়াশোনা কর তোর ওপর আমাদের সবার অনেক আশা।
তুই পড়াশোনা করে কোনো একটা চাকরি বাকরি করে বাবা মায়ের পাশে দারাতে পারবি,
ও বলে যে আপু চিন্তা করিস না তেমন কিছু আমি করবো না। আমি এমনি একটু ফাজলামো করি তুই আমাকে নিয়ে ভাবিস না।
এইদিকে আমিও পারিবারিক ভাবে সুখি না।
আমার আগের হাসবেন্ড এর কথা মনে পরে তাকে অনেক মিস করি, একদিন ওকে কল দেই বিচ্চেদের প্রায় ৫ বছর পরে কল দেই সে কি কান্না খাদিজা খাদিজা রে তুই কেমনে রে আমাকে চেরে চলে গেলি ভুল তো মানুষ এ করে আমি ও ভুল করচি তবে আমাকে মাপ করে দিয়ে একটা সুজুগ দিলে কি হতো ওর কান্নার সাথে আমিও কান্না করতেচি আর বলি এখন আর কিছু করার নাই অনেক দেরি হয়ে গেছে।
আগের সময় আর কোনোদিন ও ফিরে পাবো না ভালো থাকবেন বলে রেখে দেই।
কিন্তু নিজের বুক টা পেটে জাচ্চে কস্টে ওকে অনেক মিস করতাম কিন্তু ভাবলাম জা হওয়ার তা তো হয়ে গেছে হাসবেন্ড কে ওর জায়গায় বসানুর চেষ্টা করলাম। হাসবেন্ড কে ভালোবাস্তে চেষ্টা করলাম কিন্তু তবুও অকে অনেক মিস করতাম আমার হাসবেন্ড কিন্তু অনেক রাগি তবে সে সবসময় আমার পাশে ছিল।
ওর মা বাবা যন্ত্রনায় আমাকে নানান কথা বলতো। কোন বিষয় নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে এটা ওটা আনার জন্য আর আমার আরো বেশি কষ্ট হতো।
বিয়ের ৮ বছর হয়ে গেলো আমি এখোনো কোনো বাচ্চার মুখ দেখলাম না। একটা বিবাহিত মেয়ের জীবনে তার হাসি খুশিতে ভরে তার যখন সন্তান হয়। সেই কপাল আমার এখনো হয় নাই।
একটা মেয়ে যখন তার বিয়ের কয়েক বছর পর বাচ্ছা না আসে, তখন নিজের ফ্যামিলির মানুষদের মুখে কতো কটু কথা শুনতে হয় তা একমাএ আল্লাহ ভালো জানে।
এই ৮ বছরের মধ্যে ২/১ জন ডাক্তার ও দেখিয়েছি । দুজন ডাক্তারই বলেছেন আপনাদের দুজনেরি কিছু সমস্যা আছে।
তাই বেবি কনসেভ হয় না আমার মেজু বোন আমার চোট হয়ে ও সে মা হয়ে গেছে।
আর আমার কষ্টের কোনো শেষ নেই। বাবার বাড়ি গেলে দেখি আমার সমবয়সি আমার চাচাতো বোন সবার বাচ্চা দৌড়ে এসে তাদের জরিয়ে দরে।
মনে কোনো শান্তি নেই হঠাত মনে হলো আমি জদি কোনো ছোট এতিম একটা মেয়ে আনি ওকে মায়ের ভালোবাসা দেই খাওয়াই পড়াই আদর করি মানুষ করি তাতে সমস্যা কি।
কতো জায়গায় খুজলাম পেলাম না।
আল্লাহর দরবারে কতো চাইলাম হে আল্লাহ আমি জেনো নিশ্বাস ও নিতে পারচিনা আপনি আমায় একটা ছোট মা মিলিয়ে দেন।
আল্লাহ যাকে দেখলে আমার সব কষ্ট ভুলে যাবো। ঠিক কয়েকদিন পরে আমার এক ভাসুর কল দিয়ে বলে খাদিজা তোমার জন্য একটা মেয়ে পাইছি।
ওর মা বাবা ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। বাবা ও বিয়ে করে ফেলছে।
মা ও বিয়ে করে ফেলছে। ওরে লালন পালন করার মতো আর কেউ নেই।
আমি বল্লাম ওঁকে আমি মেয়েটাকে নিয়ে আসবো। হাসবেন্ড কে কল করে বুঝাইলাম এই এই ব্যাপার, আমি একটা মেয়ে পালতে চাচ্ছি। সে বললো সকালে আব্বা আম্মা আর আমার বোনদের কে নিয়ে গিয়ে নিয়ে আসো সেদিন রাতে একপোটা ও গুম হয় নি কখন সকাল হবে কখন মেয়ে টা কে আনবো।
অকে অনেক আদর করবো ভালোবাসবো অবশেষে নিয়ে আনি আমার কলিজার টুকরাটাকে মাটাকে ওর ৫ বছর বয়স ছিল, এখন মা ডাক শুনে অনেক শান্তি পাচ্চি লাখ শুকরিয়া আল্লাহর দরবারে এইদিকে ছোট বোন তো খাওয়া দাওয়া করে না কারো সাথে কথা ও বলে না।
আমার হাসবেন্ড ওর জন্য একটা পাএ দেখচে সে জন্য ও অনেক রাগ এখন ও একজন কে ভালোবাসে তাকে ছাড়া সে বাঁচতে পারবেনা।
সে ও তাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। তখন আমি সে ছেলে টা অনেক বুজাইচি ফোনে কথা বলে সে ও মানে না আমার বোন ও মানে না দুজনি মরে যাবে।
আমার বোন দুইদিন দরে কিছু খাচ্চেনা আমার ও খুব খারাপ লাগতো সে বাঁচবেই না তাকে অনেক ভেবে চিনতে দুটো কে সাহায্য করলাম।
দুজনেই বিয়ে করে ফেলে কোড মেরিজ আমি জদি সাহায্য টা না করতাম যে কোনো একটা অঘঠন ঘটে যেতো পরিস্তিতি এমন ছিল তারপর ছেলে ওর বাড়ি জানিয়ে দেয় তার বাড়ি ছিল নোয়াখালী সে এইদিকে থাকতেন এস এস এর কাজ করতে ।
এখন ছেলে মা বাবা সবাই রাজি হয়ে গেছে প্রথম এসে কথা বলে পড়ে ওনারা ৬০ জন মেহমান এসে বোন কে তুলে নিয়ে জায় আলহামদুলিল্লাহ আমার বোন অনেক ভালো আছে ওদের পরিবারের লোকেরা ও অনেক ভালো তিন বোনের মধ্যে মেজু টা এ এখন কস্টে আছে তবুও স্বামির বাড়ি আছে এখন সমস্যা হয়ে গেলো বাবার অনেক টাকা দেনা হয়ে গেছে বাবা কে ও সৌদি থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে বাবা ও তেমক কাজ কর্ম করতে পারছে না বৃদ্ধ হয়ে গেছে।
যা পারে মাঠে কাজ করে মা ও অনেক অসুস্থ হয়ে গেছে বাবা এখন দেনা পরিশোধ করা মায়ের চিকিৎসা করা নিয়ে অক্ষম হয়ে গেছে এই নিয়ে মা বাবার এই দুরদসা নিয়ে আমরা মেয়েরা ও এখন সুখে নেই।
অসুস্থ মা আর দেনা গ্রস্ত আমাদের পরিবার অনেক কষ্টে জীবন যাপান করছে। আমি কিভাবে পারি একটা মেয়ে হয়ে মা বাবার পাশে দারাতে?
আমি জদি কোনো কাজ করি জেমস কোনো গারমেন্টস পেক্টেরিতে তাহলে আমি কতো টাকা এ বা পাবো আর আমার হাসবেন্ড চায় না আমি গার্মেন্টসে চাকরি করি,,তার কথার বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করলে আমার সংসার হাড়াতে হবে
আমার অসহায় বৃদ্ধ মা বাবাকে নিয়ে কি করবো বুঝতে পারছি না। নিজের তেমন এভিলিটি ও নেই মা বাবাকে সহযোগিতা করার মতো। আমি এখন আমার অসুস্থ বৃদ্ধ মা বাবাকে নিয়ে টেনশনে আছি। হতাশা ভড়া জীবন নিয়ে বেচে আছি।
আল্লাহ যদি আমার জীবনের বদলেও আমার মা বাবা কে মুক্তি করতো তাহলে হাসি মুখে জীবন দিয়ে দিতাম।
যাই হোক বাস্তব জীবনের গল্পগুলো সব সময় অনেক কষ্টের হয়। আমি আমার জীবনের গল্প শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তুলে ধরলাম। আল্লা আমাদের এখন এই ভাবে রেখেছেন। সবাই আমার বাবা মায়ের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন কোন একটা ব্যবস্থা করে।
আমার লেখায় যদি কোন ভূল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে লেখাটা পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের সকলের সহযোগিতা আমার একান্ত প্রয়োজন। আশা করছি পাশে থাকবেন। আপনাদের সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো, আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৮৪
Date:- ৩১/০৭/২০২১
ধন্যবাদান্তে.....
আমি খাদিজা ইসলাম।
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের একজন গর্বিত সদস্য।
নাম-খাদিজা ইসলাম
ব্যাচ - ১৪
রেজিস্টেশন - ৬৬৭৩৭
উপজেলা - বরুড়া
জেলা- কুমিল্লা