ছোট বেলা থেকে আমি স্বাধীনচেতা, নিয়ম নীতি খুব একটা ভালো লাগেনা।
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম"
#______________জীবন__থেকে__নেওয়া______________
শুরুতেই লাখ ও কোটি শুকরিয়া জানাই মহান আল্লাহর কাছে , যিনি আমাদেরকে এবং আমাদের পরিবারের সবাইকে সুস্থ্য ও নিরাপদ রেখেছেন।
আশা করছি ভালবাসার প্রিয় গ্রুপ "নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন" এর সকল প্রিয় আপু ও ভাইয়ারা, যে যেখানেই আছেন ভালো আছেন ও সুস্থ আছেন।
★ "জীবন থেকে নেওয়া" লেখাটি পড়েই হয়তো বা বুঝতে পারছেন যে আমি নিজের সম্পর্কে কিছু লিখতে চাচ্ছি, আসলে অনেকেরই জীবনের সুন্দর মূহুর্তের কথা লিখেছেন প্রিয় গ্রুপে, আমি কখনও লিখিনী তাই আজ আপনাদের সাথে আমার সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করব।
>>>>>>>>নিজের সম্পর্কে কিছু কথা>>>>>>>>>>>>
পরিচয়ঃ
"""""""""""""
মোঃ আল আমিন অর্ণব
ঠিকানাঃ বাচামারা,দৌলতপুর, মানিকগঞ্জ।
পরিবারে মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই আছেন,
এগারো সদস্যের যৌথ পরিবার আমাদের।
শিক্ষা জীবনঃ
''"""""""""""""'''''"'""""
আমি জন্মগতভাবে অজপাড়া গাঁয়ের ছেলে, তাই শিক্ষা জীবন শুরু হয় একটু দেরিতেই। নিম্ন মাধ্যমিক শেষ করেছি নিজের গ্রামের বিদ্যালয় থেকে, আমি কিছুটা চঞ্চল প্রকৃতির ছিলাম ছোট বেলা থেকে, পড়াশোনায় খুব একটা মনোযোগি ছিলাম না, তাই আর নিজ বাড়িতে থাকা হলো না। আমাকে চাপে রাখার জন্য পাঠানো হলো পাবনা আমার খালার বাড়িতে, এবং সেখানে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভর্তি হতে হয়। কিন্তু সেখানেও থেমে থাকেনি আমার চঞ্চলতা, শুরুতেই নতুন যায়গায় নতুন বন্ধু-বান্ধ জুটিয়ে নিয়েছি অল্প দিনেই, তারপর ছুটে চলেছি লাগামহীন দুরন্ত ঘোড়ার মতো।
এভাবে চলতে চলতে সামনে এলো মেট্রিক পরীক্ষা, কোন রকম প্রস্তুতি নিয়ে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করলাম এবং কৃতকার্যও হলাম আলহামদুলিল্লাহ।
মেট্রিকপাশ করার পরে আবার চলে এলাম নিজ জেলা মানিকগঞ্জে, ভর্তি হলাম আই এ, মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে, তারপর বি বি এ (অণর্স) অধ্যায়নরত।
খন্ড কালিন চাকরিঃ
"""""""""""""""""""""""""""""
অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে প্রথম চাকরিতে যোগদান করি পুরান ঢাকার পল্টনে, একটি প্রাইভেট কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার হিসেবে। প্রথম চাকরি তাই মনে হতো অনেক নিয়ম এবং অনেক পরিশ্রম, তাই তিন মাস পরে চাকরিটা ছেড়ে দেই ব্যবসা করার সপ্ন নিয়ে। কিন্তু ব্যবসা আর করা হলো না কারণ, পরিবার ও আত্নীয় স্বজন সবাই মিলে ব্যবসার বিরোধিতা করে ।
পরে বাধ্য হয়ে আবার চাকরি নিতে হয়, এবার চাকরি পাই একটি বিদেশি মালিকানা বস্ত্রশিল্প কারখানায়, আমি সেখানে কাপড় সম্পর্কে নতুন কিছু জানতে পারলাম, ব্যবসায় সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাই এবং আমদানি ও রপ্তানি সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম । আমার কাজ ছিল খুবই ইন্টারেস্টিং, আমি আমার কাজে উপভোগ করতাম, ব্যবসা করার মতো মানসিকতা নিয়ে চাকরি ছেড়ে দেই আট মাসের মাথায়।
চাকরি ছাড়ার পর আবার ব্যবসা করতে বাধা প্রাপ্ত হই, সবাই মিলে ব্যবসার ঘোর বিরোধিতা করে, কিছু দিন পরে মনটা দূর্বল হয়ে পরে তাই আবার চাকরিতে ফিরে যাই, এবারও পোশাকশিল্পের উৎপাদন ও রপ্তানি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাই, এবার একমাস পরেই চাকরি ছেড়ে দেই এবং কাউকে না জানিয়ে ব্যবসা শুরু করি ইনশাআল্লাহ।
কেন ব্যবসার জন্য চাকরি ছেড়েছি?
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
ছোট বেলা থেকে আমি স্বাধীনচেতা, নিয়ম নীতি খুব একটা ভালো লাগেনা। আর যতোবারই চাকরি করতে গিয়েছি মনে হয়েছে বন্দী জীবন কাটাচ্ছি এবং অন্যের গোলামী করছি। আর কিছু চিন্তা ভাবনা আমার ঘুম হারাম করে দিয়েছিল তা হল, আমি যে চাকরি করছি তা অন্য জনের ব্যবসা। অর্থাৎ আমাকে দিয়ে ব্যবসার কাজ করিয়ে নিচ্ছে নাম মাত্র কিছু টাকা বেতন দিয়ে। আমাকে যে টাকা বেতন দেয় কোম্পানির মালিক, অবশ্যই তার কয়েকগুন বেশি আদায় করে নেয়। তাহলে আমি কি মালিকের ব্যবসা করে দিচ্ছি না? তার মানে আমি ব্যবসা করতে পারব।
সব শেষে এখন নিজের কাজ নিজে করছি, ছোট হোক বা অল্প কিছু হোক তাওতো নিজের ব্যবসা।
জীবনের কালো অধ্যায়ঃ
""""""""""""""""'''''""'''''''''''''''''''''""""'
প্রত্যেকের জীবনে একটা দূর্ঘটনা বা কালো অধ্যায় আছে, তেমনি আমার জীবনেও আছে তা হল রাজনীতি। স্কুল জীবনে মনের মধ্যে কখন যে রাজনীতির বীজ রোপিত হয়েছে তা বুঝতে পারিনি,কিন্তু মনের মধ্যে ছিল দেশ প্রেম ও দেশের মানুষের জন্য ভলবাসা, যখন থেকে রাজনীতির সাথে জারিত হয়েছি তখন থেকে আমার অনেক কিছু অজান্তেই হারিয়েছে। বি এন পি'র অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল করার কারণে আজও বি বি এ (অণার্স) অসমাপ্ত, ২০১৮ সালে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হই, ফলে পুলিশী হয়রানি ও বিরোধি দলের নেতা কর্মিদের অত্যাচারে কলেজে যাওয়াটা অসম্ভব হয়ে পরে। বিনা কারণে দুটি দেশদ্রোহী মামলার ঘানি টেনে আসছি দীর্ঘ সাত বছর যাবত, জানি না আরও কতো বছর চলবে।
গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পরে প্রিয় স্যার একটি সেশনে বলেছেন যে, দেশকে ভালবাসতে ও দেশের জন্য কাজ করতে রাজনীতি করার কোন দরকার নেই, শুধুমাত্র সদিচ্ছা থাকলে দেশের মানুষ ও দেশের সেবা করা যায়। স্যারের এই সেশন পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি থেকে অব্যহতি নেই কেন্দ্রীয় কমিটি বরবার চিঠি পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে অসুষ্ঠ রাজনীতি থেকে সরে এসেছি। এখন খুব সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করছি, আজ এখানেই শেষ করছি অন্য কোন দিন আবার লিখব ইনশাআল্লাহ।
কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা রইল এই যুগের জীবন্ত কিংবদন্তি ও হাজারো তরুণ তরুণীর আইডল জনাব" ইকবাল বাহার জাহিদ" স্যারের প্রতি, আজকে যে আমি ভালো মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে পারছি ও ভালমানুষের পরিবার পেয়েছি তা শুধু স্যারের জন্য। প্রিয় স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৮৪
Date:- ৩১/০৭/২০২১
_________________
🌷শুভেচ্ছান্তে,🌷
মোঃ আল আমিন
উপজেলা এম্বাসেডর দৌলতপুর,
ব্যাচঃ ১২ তম
রেজিষ্ট্রেশনঃ ৪১০২৪
জেলাঃ মানিকগঞ্জ।