একজন ভালো উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য, কি কি করনীয় তা জানার জন্য অনলাইন ঘাঁটতে ঘাঁটতে একদিন আমাদের প্রাণপ্রিয়- জনাব ইকবাল
🌹একটি ছোট্ট জীবনের অসমাপ্ত গল্প। 🌹
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
🙋আমি মারজানা মৌ ,
🌴 শত বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতা অতিক্রম করে একটি ছোট্ট চারাগাছ শাখা প্রশাখা মেলে যেমন একটি বিশাল বৃক্ষে রূপ নেয় ,তেমনি জীবনের অনেক দুঃখ ক্লান্তি, পাওয়া, নাপাওয়ার সমীকরণের মাধ্যমে একটি জীবনের ছোট ছোট ঘটনার সমন্বয়ে তৈরি হয় সুন্দর একটি গল্প।
👪নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন হল- একটি প্রানের, ভালোলাগার, ভালোবাসার ও ভালো মানুষের সমাহার। এটি একটি দক্ষতা অর্জন ও শিক্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম ,যার প্রতিষ্ঠাতা জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার । যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম ও একনিষ্ঠতার সাথে 5 লক্ষ সদস্যদের একত্রিত করেছেন । স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতার সাথে সহস্ত্র শ্রদ্ধা ও বিনম্র ভালবাসা জ্ঞাপন করছি |
প্লাটফর্মের প্রাণপ্রিয় ভাই বোন সকলকে জানাই আমার প্রাণঢালা আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
🙋 আসসালামু আলাইকুম
🌹আপনাদের সকলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।🌹
প্রথমেই শুকরিয়া আদায় করছি মহান রাব্বুল আলামীন এর উপর, যিনি ১৮ হাজার আশরাফুল মাখলুকাত এর মধ্যে আমাদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী "মানুষ" হিসাবে সৃষ্টি করেছেন এবং অফুরন্ত নেয়ামতে ভরিয়ে রেখেছেন। আল্লাহ তায়ালার কুদরতের শুকরিয়া আদায় করছি হাজার কোটি কোটি শুকরিয়া "
🤲আলহামদুলিল্লাহ।🤲
👸🙋 আমার এই ছোট্ট জীবনের অসমাপ্ত গল্পটি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি ----------------
👪আমার পরিবার ঃ আমি একজন মুসলিম মা বাবার আদর্শ ও গর্বিত সন্তান। বাবা হলেন ইসলামিক মাইন্ডের একজন সৎ পথে পার্জনকারী ব্যবসায়ী। পরিবারে বাবা মার আমরা 4 সন্তান । দুই ভাই , দুই বোন। আমাদেরকে আদর্শ ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য অতুলনীয় প্রচেষ্টা করেছেন বাবা মা।
👸আমার শৈশব ও শিক্ষা জীবন ঃ
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমি ছিলাম বাবা-মার তৃতীয় সন্তান। আমাকে প্রথমে নূরানী শিক্ষা, মসজিদে ইসলামিক শিক্ষা ,সম্মানিত কোরআনের হাফেজ দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি বর্ণমালা জেনারেল আদর্শ স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। সেখানে আমি দুই বছর শিক্ষা গ্রহণ করি।
তৃতীয় পর্যায়, ভালো শিক্ষা নিতে পারব বলে আবার মডেল স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। সেখানেও দুই বছর পড়াশোনা করি।
ছাত্রী হিসেবে খুব খারাপ ছিলাম না। বরাবরই রোল নাম্বার সংখ্যা "১ " নাম্বার টা সব সময় আমার জন্যই থাকতো। ছাত্রী হিসাবে আমি বরাবরই মেধাবী ছিলাম । তাই ক্লাসে শিক্ষকরা অনেক বেশি আদর করতেন ।শিক্ষকদের আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত না হওয়ার জন্য পড়াশোনার প্রতি খেয়াল টা বরাবরই থাকতো।
বাবার মোটামুটি ব্যবসা থেকে আয় যা হতো, তাতে সংসারে কখনো হয়তো অসচ্ছলতা হয়তো দেখি নাই । তবে বিলাসিতা বলতে যেটা বুঝায় , ওরকম কিছুই সম্ভব ছিলনা । শখের বায়না ধরার আবদার টুকু বাবার জন্য যে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা ছোটবেলা থেকেই অনুভব করতাম ।
✌️ স্টুডেন্ট ভালো ছিলাম বলে, ছোটবেলা থেকেই সবাই বাবাকে বলতো, আপনার মেয়ে ডাক্তার ,ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
সবার মুখে মুখে শুনতে শুনতে নিজের মাঝে একটা সুন্দর স্বপ্ন তৈরি হয়।
কিন্তু যখন ক্লাস ফোরে পড়ি , বাবাকে কেউ একজন হুজুর ব্যক্তি বলেছিলেন যে, মাদ্রাসায় পড়ালেখা ভালো । বাবার ইচ্ছার পরিবর্তন ঘটে এবং আমাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়।
👩⚕️ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটা যে হৃদয়ের মাঝে ধারণ করেছিলাম তার জন্য কি কি পড়াশোনা করতে হবে তা জানতাম না ।
কিন্তু ডাক্তার হলে মানব সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে পারব, বিনা টাকায় অসহায় মানুষের সেবা করতে পারব, এমনটা হাজারো ভাবনা আমার মাথায় আসতো।
👩⚕️😂 যখন ক্লাস নাইনে তখন জানতে পারলাম সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা না করলে ডাক্তার হওয়া যায় না। নিজের অজান্তে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল ।তখন আর মাদ্রাসা থেকে ফিরে আসার সুযোগ ছিলনা।
নিজেকে মানিয়ে নিলাম এই ভেবে যে, আমি যদি ভালোভাবে পড়াশোনা করে মানুষের মত মানুষ হই, তাহলে ষমানুষের সেবা আমি একদিন ঠিকই করতে পারব।
মাদ্রাসা থেকে ভালো রেজাল্ট করে দাখিল কমপ্লিট করি এবং মহিলা কলেজে ইন্টারে ভর্তি হই।
👰 বিবাহিত জীবন ঃ
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
সময়ের সাথে সাথে আমার জীবনে আসে এক পরিবর্তন। এস এস সি পাশ করার পর ইন্টারে প্রথম বর্ষে পড়াকালীন আমার বাবা মা বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের পরেও পড়াশোনার ভীষণ ইচ্ছাটা মাথা থেকে সরাতে পারিনি কখনো ।
মাদ্রাসায় সাইন্স ছিলনা। তাই মহিলা কলেজে কমার্স নিয়েছিলাম কিন্তু সে স্বপ্নটা ও পূরণ হয়নি। শ্বশুরবাড়ি গ্রামে বলে কোন প্রাইভেট পড়তে পারবো না, কলেজ করতে পারবোনা । তাই ছয়-সাত মাস পরে সাবজেক্ট চেঞ্জ করে “ আর্স ” নিতে হয়।
🏠শ্বশুর আলয়:-) =====================
শ্বশুরবাড়ি আমাকে তুলে নিয়ে যায় সেখানে সদস্যসংখ্যা - 2 জন, আমার অসুস্থ শাশুড়িমা ও আমি । আমার হাসবেন্ড জব সূত্র ঢাকা থাকতেন। তাই শশুর বাড়ির সকল দায়িত্ব আমার একাই নিতে হয়েছিল। শ্বশুরবাড়ির সবাইকে সামলিয়ে নিজের পড়ালেখা চালিয়ে নিতে অনেক ঘাত প্রতিঘাতের সম্মুখীন হতে হয়েছে। শ্বশুরবাড়ি কেউ আমার পড়াশোনার বিষয় টাকে মেনে নিতে চাইতো না । কারণ আমার শাশুড়ি ক্যান্সারের রোগী । বিছানায় ছিলেন বলে সর্বক্ষণ তার কাছে থাকতে হতো। শিশু বাচ্চার মতন করে সার্বক্ষণিক সেবা যত্ন করতে হত। বিয়ের পরে বৌ দের লেখাপড়া শ্বশুরবাড়ির কেউই মেনে নিতে পারতেন না। তাই লুকিয়ে লুকিয়ে রাত জেগে জেগে পড়তাম ।
✍️বছর ঘুরে আসলো আমার ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা,সারা বছর কোন ক্লাস করিনি, কোন প্রাইভেট পড়ি নি , তার পরেও আমাকে পরীক্ষা দিতে হবে। শ্বশুরবাড়ি থেকে “পরীক্ষার কেন্দ্র” ছিল চার থেকে পাঁচ ঘন্টা দূরের পথ। শাশুড়ি তখন ভীষণ ভাবে অসুস্থ। শাশুড়িকে কার কাছে রেখে যাব? কি করব ? তখন একটা বছর গ্যাপ যায়। কিন্তু উদ্যমী মনটা তবু থেমে থাকেনি। পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি এবং পরের বছর পরীক্ষার প্রিপারেশন নিয়েছি।
আমার পাশের এক চাচি শাশুড়িকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে ম্যানেজ করে শাশুড়ি মার কাছে রেখে আমি পরীক্ষা দিতে যেতাম। এইভাবে ইন্টার পরীক্ষা দিয়ে আল্লাহর রহমতে ভাল রেজাল্ট নিয়ে পাস করি।
🛌শাশুড়ির অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আমি আমার শাশুড়িমাকে ভীষণ ভালবাসতাম । দায়িত্ব পালনে কোন রকম ছাড় দিতাম না। তাই বউ হিসেবে শ্বশুর বাড়ির সুনাম কুরিয়েছি। “ভালো বউ” নামে উপাধি পেয়েছি।
👉কিন্তু আমার তো পড়াশোনার ইচ্ছা। ইন্টার পাশ করেছি ।
এখন অনার্স করার কথা ভাবছি। কিন্তু এত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে কিভাবে আগাবো? মনটা ভেঙে গিয়েছে কখনো কখনো। আবার স্বপ্ন পূরণের প্রবল ইচ্ছা থেকে নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি।
🌹হাজবেন্ডের দেওয়া বাজারের খরচ থেকে সেভ করে করে পড়াশোনার খরচ অনেকটাই নিজে চালানোর চেষ্টা করতাম। আমার ইচ্ছার ওপর তার কখনো বিরোধিতা ছিল না।
🌹আসলে “ মানুষের ইচ্ছা থাকলে সেটা যে পূরণ করা সম্ভব ” তার বাস্তব প্রমান আমি নিজে। 🌹
😌অনার্স তৃতীয় বর্ষের থাকা কালীন,,,,,,,, শাশুড়ির অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে । দিন রাত ঘুম নেই । একটা মুহূর্তের জন্য আমি চোখের আড়াল হতাম না। কাছে নিয়ে সারারাত বসে থাকতাম। রমজান মাসের দ্বিতীয় রাতে আমার হাতের উপর আমার প্রাণপ্রিয় শাশুড়ি মা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে এবং আমাকে একা করে না ফেরার দেশে চলে যান। এই শোক আমার সহ্য করার মতো ছিল না । মায়ের কোল থেকে সন্তান যেমন হারিয়ে যায়, শাশুড়ি মা ও তেমনি আমার কোল থেকে হারিয়ে গেছেন । এখন কে আমাকে মৌ মৌ বলে মধুর সুরে ডাকবে? আমি আর মনে করতে পারছিনা। মনে পড়লেই দুচোখ ভরে অঝোর ধারায় অশ্রু ঝরে। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। মায়ের স্মৃতি গুলো আর প্রকাশ করতে পারছিনা।------------------------------------------------
🤲আমার শাশুড়ি মার জন্য সবাই দোয়া করবেন আমার মা যেন বেহেস্তবাসী হন🤲
✍️অসুস্থ শাশুড়ি মা কে নিয়ে পড়াশোনা চালাতে কষ্ট হলেও তা মানিয়ে নিয়ে নিয়েছিলাম দিব্যি।
🙋যাইহোক এভাবে কিছুদিন পর আবার আসলো অনার্স তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল ️পরীক্ষা তখন টাইফয়েড জ্বরে অসুস্থ থাকার কারণে পরীক্ষা দিতে প্রচন্ড কষ্ট হয়েছে । তারপরও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি এমনকি আল্লাহর রহমতে first-class রাখতে পেরেছি।
👉এখন বাকি আছে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা । সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
👸কিভাবে আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরুঃ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
🏠২০২০ সালে আসলো কঠোর লকডাউন মহামারী করোনা পরিস্থিতি। এখন আমি পুরো বাসায় একা থাকি ঘরটা পুরো ফাঁকা । সারাক্ষণ কান্নাকাটি করি শাশুড়ি মার জন্য। তখন হাজব্যান্ড বলে তোমার যা ভাল লাগে তাই করার চেষ্টা করো।এভাবেই মাথায় ঘুরতে থাকে নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য শুরু হয় অনলাইনে ঘাটাঘাটি।আমার ভালো লাগার স্বপ্ন গুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করবো সেই প্রচেষ্টা।
🙋আমি কিছু করতে চাই যেহেতু পড়াশোনা করেছি। চাকরি করে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাই তাহলে একটু নিজেকে শক্ত করতে পারব।
🌹ওপেন ভাবে কোথাও চলাফেরা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হতো না কারণ ছোটবেলা থেকেই পর্দানশীল ভাবে মানুষ করেছেন আমার প্রিয় মা বাবা।
চাকরিতে কোন স্বাধীনতা নাই । এমনকি আমি যেভাবে পর্দায় থাকতে চাই সেভাবে থাকা সম্ভব হবে না।
👉 তাহলে কি করা যায়? ছোটবেলা থেকে নিজের জামা মেশিনে সেলাই করে শুভ সকাল ও চুমকির,পাথরের কাজ করে বিভিন্ন ডিজাইন করতাম । এমনকি হ্যান্ডপ্রিন্টের কাজ জানতাম।
*** একদিন আমি ভাবি, আমি মেয়েদের ড্রেস নিয়ে কাজ করব। যেহেতু আমি ছোটকাল থেকেই এ ধরনের কাজে অভিজ্ঞ।তারপর থেকে ইউটিউবে বিভিন্ন বিজনেস আইডিয়া নিয়ে ভিডিও দেখতে থাকি। একটা মন্তব্য আমার খুব ভালো লেগে যায়।
"যে যেটা জানেন সেটা নিয়েই 100% মনোযোগ দিয়ে কাজ শুরু করে দিন ইনশাল্লাহ সফল হবেন"
❤️এরপর একদিন ছোট পরিসরে 2000 টাকার থ্রি পিস এবং 1000 টাকার রং নিয়ে হ্যান্ড প্রিন্ট এর কাজ শুরু করে দেই অনলাইনে এবং অফ লাইনে।বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি চলছে।
বর্তমানে থ্রিপিস ,হ্যান্ড প্রিন্ট এর কাজ, কটন প্লাজো মেয়েদের স্টাইলিশ প্যান্ট, নামাজি হিজাব, খিমার হিজাব,বেডশীট নিয়ে কাজ করছি।
👪এই প্লাটফর্মে কিভাবে জয়েন করলাম:====================
🌹 একজন ভালো উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য, কি কি করনীয় তা জানার জন্য অনলাইন ঘাঁটতে ঘাঁটতে একদিন আমাদের প্রাণপ্রিয়- জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের 13 তম ব্যাচের শুরুর দিকের ভিডিওতে বলছিলেন “ চাকরি করবো না চাকরি দেব ” ।
এমনকি নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশনে বিনামূল্যে 90 দিনের শিক্ষা দেওয়া হয়। স্যারের এই কথাগুলো আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে আমার আগ্রহ ও ইচ্ছে শক্তি অনেক বেড়ে যায়। সাথে সাথেই আমি স্যারের পার্সোনাল আইডিতে নক করি। এমনকি স্যার সাথে সাথে আমার কে রেস্পন্স করেন ।
🌹স্যার ধন্যবাদ জানিয়ে রেজিস্ট্রেশন এর লিংক এবং নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন সম্পর্কে ডিটেলস জানান। এরপরে আমি আরো উদগ্রীব হয়ে ওঠি এবং এই গ্রুপে জয়েন হই । কিন্তু রেজিস্ট্রেশন কোন একটা কারণে করতে পারতেছিলাম না শুধু পেন্ডিং দেখাচ্ছিলো। আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়ি কি করব? কিভাবে করবো? এরপর আমি পার্সোনালি অনেক ভাইয়া-আপুদের নক করি তাদের সাথে কথা বলি।
🌹অবশেষে সৌভাগ্যক্রমে জি এম শাকিল ভাইয়া ও আবির আহমেদ ভাইয়ার সহযোগিতায়14 তম ব্যাচে রেজিস্ট্রেশন ও পিরোজপুর জেলার মেসেঞ্জার গ্রুপে সংযুক্ত হই।
যেদিন আমি রেজিস্ট্রেশন করি মেসেঞ্জার গ্রুপে এড হই সেই দিনই প্রথম অনলাইন সাপ্তাহিক মিটআপে অংশগ্রহণ করি। এরপর থেকে আমি প্রতিনিয়ত মিট আপে অংশগ্রহণ করছি।
✍️স্যারের 90 টি সেশন প্রতিনিয়ত চর্চা করি ।সেখান থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি তা বলে শেষ করা যাবেনা।
সংক্ষেপে যদি বলিঃ ======================
👉প্রথমে একজন প্রকৃত ভালো মানুষ হিসেবে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিক প্রস্তুতি পেয়েছি।
👉অল্প পুজিতে কিভাবে বিজনেস শুরু করবো তার ধারণা পেয়েছি।
👉বিজনেস চালানোর দক্ষতা অর্জন করছি ।
👉নিজের স্বপ্ন কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হয় তা শিখেছি।
👉মানুষের উপকার ও মানবিক কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
👉চাকরি করব না চাকরি দেব মানসিকতা অর্জন করেছি।
👉স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন লেগে থাকুন সফলতা একদিন নিশ্চয়ই আসবে।
🌹আরো বিভিন্ন স্কিল শিখছি প্রতিনিয়ত। প্ল্যাটফর্মের আজীবন সদস্য হিসেবে সবাই সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে চাই ।
🙋সত্যি বলতে আমার চলার পথে হাজারো সমস্যা আসুক কিন্তু স্বপ্ন পূরণের যে প্ল্যাটফর্ম আমি পেয়েছি সেটা আমার চলার পথে শক্তি জোগাবে, অনুপ্রেরণা দিবে। স্যারের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
👪আমার প্রিয় ভাই-বোনেরা আপনার মূল্যবান সময় থেকে আমার অসমাপ্ত গল্পটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
🤲আপনাদের সকলের শুভ কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
🤝আল্লাহ হাফেজ
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৮৫
Date:- ১/০৮/২০২১
🌹কৃতজ্ঞতা স্বীকার:-🌹
👉নাম:- মারজানা মৌ
👉ব্যাচ নং:- 14
👉রেজিস্ট্রেশন নং:- 67075
👉জেলা:- পিরোজপুর
👉বর্তমান অবস্থান:- চিটাগং
👉পেজ লিংকঃ