#কষ্ট কষ্ট বাবাকে না পাওয়ার কষ্ট#
#কষ্ট কষ্ট বাবাকে না পাওয়ার কষ্ট#
*শুরুতে আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের সুস্থতা কামনা করছি। স্যারের সাথে থেকে যারা দ্বায়িত্ব পালন করছেন এডমিন মডারেটর ভাই ও আপুদের জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
*আজকে আমি আমার জীবনের একটি সত্য কষ্টের কথা শেয়ার করব। জানি লেখাটি বড় হবে তার পর ও দয়া করে সবাই পড়বেন। আমার মত অনেকের কষ্ট আছে।
এবার মূল কথায় আসি
*আমারা তিন ভাই বোন ছিলাম ২ বোন ও এক ভাই ভাই বড়। ছোটো বেলা থেকে শান্ত ছিলাম তিন ভাই বোন।
* আমার বাবা ছাত্র অবস্থায় বিয়ে করে এবং গোপন রাখে। পরে আমার দাদা দাদী জানলে তারা কিছু দিন পরে নতুন করে অন্য জায়গায় ছেলের বিয়ে দেয়। বাবা রাজি ছিল।
* পরে জাকঝমক ভাবে বিয়ে হয়। কিছু দিন ভালোচলছিল। আমার ভাই যখন মার গরবে তখন দাদা মারা যায়। আর শুরু হয় অশান্তি বাবা তার আগের বউকে বাড়িতে নিয়ে আসে। সংসারে ঝামেলা শুরু হয়।
*সেই ঝামেলা মধ্যে ভাই পৃথিবিতে আসে। সংসারে অভাব অনটন লাগে । প্রতিদিন জগরা এর ভিতর আস্তে আস্তে আমারা দুই বোন দুনিতে আসি।।
* আমারা তিন ভাই বোন মা বাবা। বাবার আগের বউ এর ঘরে তিনটা সন্তান। পরিবারে শুধু অশান্তি । বাবা কৃষক ছিল তাতে সংসার চলেনা।
* আমার মা আমাদে কথা ভেবে আমাদের মানুষ করার জন্য ঢাকা চলে আসে একটা কারখানায় চাকরি করে। ভাই আমি দাদির কাছে থাকি ছোটো বোন আমার খালার কাছে থাকে তারা ভালোকরে খেতে পারত না তাদেরই চারটি মেয়ে ছিলো। কিছুদিন পরে বোনের ডায়রিয়া হয় ও চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। কিন্তু মা বোনের লাশ দেখতে পারেনি কোনো খবর পায়নি কারণ মা ঢাকায় থাকত তখন মোবাইল ছিল কম। চিঠির প্রচলন ছিল।
* বাবা তার আগের বউকে নিয়ে ঢাকা চলে যায়। মা চাকরি করে আমাদের টাকা দেয় লেখাপড়া করার জন্য আমারা লেখাপড়া করি ও আস্তে আস্তে বড় হই।যখন আমি প্রাইমারি তে পড়ি তখন দাদী মারা যায় ভাই এস এস সি দেয়।তখন ফুফুর কাছে থাকি। লেখাপড়া করি আমি ইস্কুলে যেতাম ঘরের সব কাজ সেরে এসে আবার করতাম।এর ভিতর কথা না শুনলে মাইর খেতাম। যাক এভাবে এস এস সি পাস করি।
* এর পর ফুফাতো বোনের ছেলের দেখাশুনা করার জন্য আমাকে ঢাকা পাঠিয়ে দেয়। তার ছেলে দেখতাম এইচ এস সি ভর্তি হলাম৷ আস্তে আস্তে দিন গেল পাশ করলাম।
*বি এ কলেজে ভর্তি হব তখন মা অসুস্থ হয়। মাকে নিয়ে চলে আসি মামার বাসায় মিরপুরে মার চিকিৎসা করি। ও একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে চাকরি করি।টিউশন করি এ ভাবে দিন যায়। ৷ একদিন দেখি অফিসে বসে প্রিন্সিপাল স্যার তার মেয়েকে আদর করে চুমু খায়। আমার দেখে বাবার কথা মনে পড়ল ও চোখে পানিএসে পড়ল।আমি কোনো দিন বাবার আদর পাইনি। এর ভিতর আমার ভাইর সরকারি চাকরি হয় । আমি বিয়ে পাশ করি।
*ভাই আলাদা জায়গায় বাড়ি করে। মাকে আমাকে গ্রামে নিয়ে যায়।কারণ আমি বড় হয়ে গেছি বিয়ে দিতে হবে।তাই ঘটক লাগানো হোলো প্রস্তাব আসে কিন্তু বাড়িতে না এসে ফিরে যায়। কেউ আসলে ও হয়না কারন গ্রামের মানুষ কুটনামি করে। মেয়ের বাবার দুই বিয়ে থাকলে সেই মেয়ে ভালো হয়না আরও অনেক কিছু। যাক তার পর আল্লাহ রহমতে বিয়ে হয় ২০১৯ মাঝামাঝি সময়ে।
*সেখানে আদর ভালোবাসা পাই ঠিকই কিন্তু অভাব ছাড়ল না। আমার শশুরকে বাবা ডাকি নিজের বাবার মত কিন্তু তাতে শুখ পাই না। বাবার হাতের কোন একটা খাবার খাইনি। আজ বড় হয়েছি বিয়ে হয়েছে বলতে পারব না। বাবা কোনো দিন কিছু এনে দিছে আর মা সেটা রান্না করে দিছে আমরা তাই খেয়েছি।বাবা মা থেকে ও কাছে ছিলোনা বলে অনেকের অনেক খারাপ ব্যবহার পেয়েছি।
* আজও বাবা কে মিস করি যদি অন্য কোনো বাবাকে দেখি তার সন্তানকে আদর করে লোভ সামলাতে পারি না।দোয়া করি বাবা ভালো থাক।
*আজ এখানেই শেষ করছি।বাকি গল্প অন্য দিন লিখব
*মনের গল্প আজ নিজের বলার মতো একটি প্লাটফর্ম থাকার কারণে শেয়ার করতে পারলাম।
Nila Handicrafts
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৮৬
Date:- ০২/০৮/২০২১
নাম :নিলা আক্তার
ব্যাচ নং : ১২
রেজিষ্ট্রেশন নং :৪৩৪২৩
নিজ জেলা :ঝালোকাঠি
ব্লাড :বি পজেটিভ
বর্তমানে ঢাকা মধ্য বাড্ডা