১যুগের_সুখ_দুঃখের_ভালোবাসার_স্বপ্ন_পূরনের_অসাধারণ_এক_অনুভূতি
#১যুগের_সুখ_দুঃখের_ভালোবাসার_স্বপ্ন_পূরনের_অসাধারণ_এক_অনুভূতি।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি আলামিন
নিজেকে মাঝে মাঝে একটু বেশি
ভালোবাসতে হয় তাহলে
ভালো থাকাটা আরো সুখময় হয়ে উঠে।
🌺🌺🌺৩১ জুলাই ১২তম বিবাহবার্ষিকী 🌺🌺🌺
****************শুকরিয়া আদায় করছি মহান আল্লাহ পাকের দরবারে যারা দয়ায় এখনও আমি ও আমার পরিবার ভালো আছে, সুস্থ আছে।আলহামদুলিল্লাহ। প্রিয় প্লাটফর্মের যারা সুস্থ আছেন ও অসুস্থ আছেন সবার জন্য দোয়া রইল সবাইকে আল্লাহ পাক শেফা দান করুন। হেফাজতে রাখুন।
**************কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় স্যারের প্রতি যার শিখার অনুপ্রেরণায় আজ আমি ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি। লেগে আছি সফলতা গল্প তৈরি করতে, লেগে থাকতে চাই সফল না হওয়া পর্যন্ত।প্রিয় স্যার লাখ তরুণ তরুণী আইডল।সঠিক দিকনির্দেশনার মূল কারিগর।স্যারের শিক্ষা নিয়ে অনেক সফল হয়েছেন, আবার অনেক সফলতার পথে হাটছেন।আবার কেউ আগামীতে শুরু করেছে বা করবে।প্রিয় স্যারে সেশন গুলো অসাধারণ জীবন কে বদলে দিতে। এই প্লাটফর্ম শুধু ব্যবসায়িক জ্ঞান নিয়ে থাকে না তার সাথে চর্চা করা হয় ভালো মানুষ হবার।প্রিয় প্লাটফর্ম যুক্ত হবার পর থেকে শুধু অর্জন করছি এবং সেই জ্ঞান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি ও যেতে চাই।
প্রিয় স্যারের জন্য অনেক অনেক 🤲🤲🤲দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। আল্লাহ পাক স্যারকে নেক হায়াত দান করুন। আমাদের মাঝে আরো অনেক দিন জ্ঞানের কারিগর হয়ে জ্ঞান বিতরণের করুন। 🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲আমিন।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺আজ আমি আমার অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন ছোট করে হলেও পূরন করতে পেরেছি।গ্রুপের ভালোবাসা প্রিয় ভাই বোনদের সাহায্য সহযোগিতায়। সেই স্বপ্ন পূরনের গল্প টা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি। আশা করি গল্পটা পড়বেন।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺গল্পের শুরুটা ২০০৮ সালে যখন HSC পাশ করে ভার্সিটি ভর্তির জন্য বিভিন্ন কলেজ ও ভার্সিটিতে ভর্তি পরিক্ষা দিচ্ছি। সেই সুবাদে পরিচিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহাগ খান নামের কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির সাথে। এক দুইবার কথা বলা, সাহায্য সহযোগিতা নেওয়ার ফাঁকে কখন যে ভালোলাগা ভালোবাসা হয়ে যায় । দুজনে টের পাই নাই। এভাবে চলে দীর্ঘ ৬ মাস।হঠাৎ করে একদিন বলে চলে বিয়ে করে ফেলি নিজেরদের সংসার নিজেরা এখন থেকে গোছাতে থাকি একসাথে। তখন দুজনে ছিলাম স্টুডেন্ট সে পড়তো অর্নাস ৩য় সেমিস্টারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে । আর আমি কেবল ভর্তি হলাম অর্নাস ১ম বর্ষে বাংলায় কবি নজরুল সরকারি কলেজে। তারপর নিজেদের ইচ্ছে শক্তি উপর ভর করে বাবা - মা কে আমাদের কথা জানালাম দুই জনই দুই পরিবার কে।পরিবর্তে একটা সময় রাজি হলো। বিয়ে হলো পরিবারের সম্মতিতে কিন্তু কোন প্রকার অনুষ্ঠান ও আয়োজন ছাড়া। বড় ভাই একটু নারাজ ছিলো যার কারনে এতো ঘটা করে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয় না। তখন এ বিষয় টা খেয়াল করি নাই আমার বিয়ে টা কেন ঘটা করে হলো না এটা ফিল করি অনেক দিন পর। নরমাল কোন বিয়ে হলে বিশেষ করে ভায়ের মত অনুযায়ী হলে তার ইচ্ছে ছিলো খুব বড় আয়োজন করবে আমার বিয়েতে কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠেনা।যখন এ বিষয় টা মনে পরে বিয়ে একবারি হয় তো সেই আনন্দ টা একবারই সবাই পায় কিন্তু আমার সেই আনন্দ টা উপভোগ করা হয়ে উঠে নাই। যাইহোক তারপর সব কিছু ঠিকঠাক মতো শেষ হলো।শুরু হলো নতুন জীবনের সূচনা।
🌺🌺🌺বিয়ে হবার পর থেকে কেন জানি মনে হতো এখন আর বাবা মার কাছ থেকে কোন খরচ নেওয়া উচিত হবে না।বিয়ে হলে সাধারণ হাসবেন্ড একজন নারীর সব খরচ বহন করে কিন্তু সে সময় আমার হাসবেন্ড টিউশনি করে চলতো বিয়ের পর সেও তার বাবার কাছ থেকে কোন টাকা নিতো না। টিউশনি ও আমি একটা ছোট প্রাইফেট স্কুলে জব শুরু করলাম।দুজনের সামান্য ইনকাম দিয়ে চলছিলো নতুন সংসার।এভাবে ১ টা বছর পার হলো ১ম বিবাহবার্ষিকীতে দুজনের পরিক্ষা রেজিষ্ট্রেশন ফি জমা দেওয়ার জন্য অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। যার কারনে কেউ কাউকে কোন প্রকার গিফট দিতে পারি নাই। কষ্ট টা একটু বেশি ছিলো তারপর শান্তি ছিলো দুজনকে সবসময় বুঝেছি।এটাই বড় পাওয়া।
🌺🌺🌺এভাবে ছাত্র জীবন, চাকরি জীবন ও সংসার জীবন দুজনে একসাথে পারি দিতে লাগলাম। চলতে চলতে ২য় বিবাহবার্ষিক আসলো। এবার সামান্য কিছু টাকা দিয়ে গিফট কিনে সারপ্রাইজ দিলাম। দুজন দুজনকে দিতাম কিন্তু ঠিক কাউকে বলতাম না এটা মেরেজডে গিফট লজ্জা লাগতো।তারপর থেকে ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আমি আমাদের মেরেজডে তে হাসবেন্ড কে গিফট করতাম।দিন যত যেতে থাকে তত জবের বেতন বাড়ে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকি। কিন্তু ২০১৬ সালে আমার ১ম সন্তান গর্ভে আসার ৮ মাসের সময় শিক্ষকতা পেশা থেকে মেটারনিটি লিভ নিয়ে আসি। তখন আলহামদুলিল্লাহ আমার হাসবেন্ড ভালো জব করে। সংসার ভালো চলছে।
🌺🌺🌺কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে আমার কর্ম জীবন আর ফিরা হয় না। ২০১৬ সালে জুলাই মাসে ৩১ তারিখ আমার হাসবেন্ড কে শেষ বার আমার উপার্জনের টাকায় একটা শার্ট ও প্যান্ট দিয়েছি। তারপর বর্তমান পর্যন্ত আর কোন গিফট দিতে পারি নাই আমাদের বিবাহবার্ষিকীতে। আসলে হাসবেন্ডর টাকা তো থাকে আমার কাছে কিন্তু নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে কিছু কিনে নিজের ভালোবাসা মানুষ গুলোর জন্য কিছু করতে পারার আনন্দ ও শান্তিটা একটু যেন বেশি থাকে। সেটা যদি অল্প বা বেশি দামি যেটাই হোক আনন্দটা পণ্যের দাম টা থেকে ৩গুন বেশি হয়।তা বলে বুঝানোর ভাষা নাই।
🌺🌺🌺তো সেই ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একটা ছোট কষ্ট কাজ করতো আমি আমার মাঝে হাসবেন্ড কে কোন গিফট দিতে পারছি না।আগে আমি জব করতাম বাহিরে সবসময় যেতাম। নিজের পছন্দের গিফটা কিনে রেখে দিতাম সারপ্রাইস হিসেবে।কিন্তু দীর্ঘ দিন এই সারপ্রাইজ দিতে পারি না সে দিলেও নিজের ভিতর একটা কষ্ট কাজ করতো আমি যদি দিতে পারতাম ভালো লাগতো।কিন্তু কিভাবে দিবো আমার নিজের কোন টাকা নাই হাসবেন্ড টাকা দিয়ে হাসবেন্ড কে গিফট দেওয়ার ভিতর কোন আনন্দ ও শান্তি খুজে পেতাম না তাই আর দেওয়া হতো না।
🌺🌺🌺বর্তমান ২০২১ সালে স্যারের অনুপ্রেরণা ও শিক্ষা নিয়ে ছোট করে শুরু করি উদ্যোক্তা জীবন অনলাইন বিজনেস যাত্রা। প্রথমে হোম মেইড ফুড পরে সিজনাল সব আচার নিয়ে কাজ করে ভালো সারা পাই।যদিও এই ছোট বিজনেসের যোগান দাতা আমার হাসবেন্ড তারপরও মূল অর্থ আমি ফেরত যোগ্য বলে শুরু করি। সব কিছু কেনা কাটা আমার হাসবেন্ড করে দেয় কিন্তু আমি হিসাব রাখি কত টাকা সে খরচ করছে । মোট হিসাব করে যখন বিসনেজ শুরু করলাম তখন দেখলাম ভালো একটা টাকা সে ইনভেস্ট করছে তাই আমিও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে লাগলাম। মোটামুটি ভালো সারা পেলাম গ্রুপ থেকে আচার ও পাশাপাশি ড্রেস সেল করে যা থেকে আমার হাসবেন্ড মূল টাকা কিছু টা ফিরত দিলাম যদিও টাকা নেওয়া হচ্ছে বেশি। ফেরত দিচ্ছি আস্তে আস্তে। চলছে ভালো। মুল টাকা থেকে ভালো একটা টাকা আমার নিজের পারিশ্রমিক হিসেবে রইল আমার কাছে। যেটা কে আমি আমার নিজের টাকাই বলতে পারি।
🌺🌺🌺এই টাকা টা আলাদা করার একটা বিশেষ উদ্দেশ্য ছিলো।যে এবার আমাদের বিবাহবার্ষিকী ১২ বছর পূর্ণ হবে।তাই চাইছিলাম এমন একটা গিফট এরেন্জ করবো যা আমার হাসবেন্ড কে খুশি করতে পারবো ও আমিও আবার সেই হারানো আনন্দ ও শান্তি টা পাবো। যে আনন্দটুকু গত ৫ বছর আমি পাই নাই।তো সেই থেকে চিন্তা করতে লাগলাম কি দেওয়া যায়। ১২ তম বিবাহবার্ষিকিতে একবার ভাবলাম ওর জন্য ভালো মানের একটা শো বা ড্রেস কোড দেই যা ওর অফিস কাজেও আসবে।পরে চিন্তা করে দেখলাম। আলহামদুলিল্লাহ অফিসিয়াল ড্রেসের তার কোন কমতি নাই সে আবার সৌখিন ব্যক্তি। সবসময় ড্রেসাপের সৌন্দর্যের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখে।
🌺🌺🌺তাই আমি চিন্তা পরে গেলাম কি করবো। তার পর আবার দুজন রাজকন্যা আছে তাদের কেও কিছু দিতে হবে। না হয় আবার তাদের মন খারাপ হবে।চিন্তা করতে লাগলাম ২০২১ সালে ফ্রেবরুয়ারী থেকে আইডিয়া খুজতে ছিলাম কি করবো।এমন কিছু একটা গিফট আনতে হবে যা আমার পরিবারের সবার জন্য হয়।কিন্তু আলাদা আলাদা করে কিছু কিনতে গেলে অনেক টাকা লাগবে অত টাকাও আমার বাজেটে নাই।তাই খুব দুঃশ্চিন্তা করতে লাগলাম।সময় হাতে আছে তাই আইডিয়া খুজতে লাগলাম কি করবো।
অবশেষে একদিন একটা লাইভ ভিডিও দেখতে পেলাম গ্রুপে হ্যান্ড পেইন্টিং কাজের উপরে। তখন মনে হলো হ্যান্ড পেইন্টিং এর কিছু গিফট করা যায় কি একটু ব্যতিক্রম ও সহজলোভ্য হবে। লাইভ ভিডিও টা করছিলো #সাদিয়া_আফরিন_জুঁই আপুর আইডি থেকে কিন্তু উপস্থাপন করেছেন তার হাসবেন্ড প্রিয় গ্রুপের সম্মানিত কোর ভলান্টিয়ার ও মডারেটর
#মোজাহিদ_অপু ভাই। তখন আসলে তাদের সাথে আমার ভালো পরিচয় ছিলো না তাই বুঝতে পারছিলাম না তাকে কিভাবে বলবো আমি খুব অল্প বাজেট আছে এটা দিয়ে কি কোন হ্যান্ড পেইন্টিং এর গিফট ক্রয় করা যাবে।তাই আর কথা বলা হয়ে উঠে নাই।
তারপর আরেক দিন তাদের প্রশিক্ষন ক্লাসে দেখলাম।তারা শাড়ি পেইন্ট করছে এবং বলতে ছিলো এটার কাপল সেট করা যাবে। বিস্তারিত জানতে আমি তাদের পেইজ ভিজিট করলাম।কাজ গুলো খুব পছন্দ হলো। কিন্তু প্রাইস সম্পর্কে ধারনা ছিলো না কত পরবে একটা কাপল সেট আর আমার দুই মেয়ের জন্য ২ টা জামা।বাজেটের মধ্যে হলে একটু কম আর বেশি তাহলে অর্ডার করবো। তারপর খুব সাহস করে ভাই কে নক করি। সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করি। তার পর জিজ্ঞেস করলাম।
ভাই একটা কাপল সেট ও সাথে ২ টা বেবি ফ্রোক বানাতে কত পড়বে।
ভাই তারপর ডিটেইলস দিলো কাপড়ের উপর ডিপেন্ট করে প্রাইস টা হবে।তো ভাই সব ডিটেইলস দিলে বললাম একটু পরে জানাবো কি করবো। মনে একটা সংশয় ছিলো অনেক দিন আমি কেনা- কাটা করি না তাই দাম ও কোয়ালিটি সম্পর্কে অনেক টা অনভিজ্ঞ। এখন বেবিদের কারনে মার্কেট যাওয়া হয় না। সব কেনা কাটা হাসবেন্ড করে।তাই পরের দিন ভাই কে নক করে বললাম সব ভেঙে ৩১ জুলাই আমাদের ১২ বছর বিবাহবার্ষিক অনেক দিন হাসবেন্ড কে কোন গিফট দেই না। চাইছিলাম এবার মেরেজ ডে দে একটা সারপ্রাইজ গিফট করবো। আসলে ও একটু খুত খুতে কাপড় সেলেক্টের ক্ষেত্রে তাই আমাকে একটু কাপড়ের দিকে ভালো মানের দিতে হবে।যেন অনলাইন থেকে কিনে ঠকেছি ভালো হয় নাই এটা যেন না বলে।তাহলে আমার সারপ্রাইজ নষ্ট হয়ে যাবে।অনেক দিন পর গ্রুপ থেকে কিছু টাকা আয় করছি।সেই টাকা দিয়ে আমি মেরেজডের জন্য সারপ্রাইজ গিফট কিনতে চাচ্ছি।ভাই আশা করি আপনি আমার কথা টা বুঝতে পারছেন।
পরে ভাই আমাকে আস্থাথ করলেন কোন চিন্তা করবেন না আপনার বাজেটের ভিতর ভালো মানের কাপড় দিয়ে করে দিবো। আপনি গ্রুপের এক্টিব মেম্বার ও আপনার মেরেজডের জন্য সারপ্রাইজ দিবেন হাসবেন্ড কে আশা রাখি আপনার সারপ্রাইজ চমৎকার হবে।ভায়ের খুব ভালো লাগবে ও পছন্দ হবে। আমাদের কাজ নিয়ে ভাই কোন প্রকার কথা বলতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
পরে অনেক বিশ্বাস ও সাহস নিয়ে ১০০০ হাজার টাকা এডভান্স করে অর্ডার করে ফেললাম।ভাই কে জুলাই মাসে অর্ডার করি ভাই কে সময় দিয়ে ছিলাম জুলাই ২৮ তারিখ পর্যন্ত। কিন্তু ভাই খুব যত্ন সহকারে কাপল সেট টা ২০ তারিখের মধ্যে শেষ করে আমার কাছে পাঠায়ে দেয়।
কাপল সেট টা আমার খুব পছন্দ হয়েছে।আমার মেয়েরা তো অনেক অনেক পছন্দ করছে। আমার হাসবেন্ড খুব পছন্দ করছে।সব দিক থেকে ভালোই বলেছে কাপড়,ডিজাইন ও কাজের কোয়ালিটি। সবচেয়ে বড় কথা প্রাই ৬ বছর পর শাড়ী পড়ার সুযোগ হলো।সব গুলো ইচ্ছে এক সাথে একদিন পূরন হবার আনন্দটা আমার কাছে মহাসাগরের মতো মনে হচ্ছে।
আলহামদুলিল্লাহ আমি খুব খুশি হয়েছি। আমার অনেক দিনের স্বপ্ন পূরন হলো।
🌺🌺🌺ইচ্ছে টা ছিলো ১২ বছর পূতি উপলক্ষে ঘরোয়া ভাবে একটা অনুষ্ঠান করবো বাবার বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ির সবাইকে দাওয়াত করবো।একসাথে কিছু সময় কাটাবো।কিন্তু কোরনা পরিস্থিতি সেই ইচ্ছে টা পূরন করতে দেয় নাই।কিন্তু তারপর অনেক খুশি আমি।
✅✅ইনকামের যেখানে কোন অপশন ছিলো না আমার সেখান থেকে গ্রুপের মাধ্যমে আমার এক্টিব থাকার কারনে সেল বাড়ছে বাড়ছে অনেক পরিচিতি।পূরন হলো ৫ বছর থেকে জমে রাখা স্বপ্ন। খুব ভালো কেটেছে আমাদের ১২তম বিবাহবার্ষিকী। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাইকে ও ভাবিকে। ভাবিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই।অনেক কষ্ট করছেন। ও অনেক দূত আমার কাজ টা করে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া ভাবি।দোয়া করি আপনার কাজের প্রসার আরো বৃদ্ধি পাক। ইনশাআল্লাহ আপনি সফল হবেন।দোয়া ও শুভকামনা রইল।
📌📌ভাই আমার জন্য শুধু কাপল সেটাই পাঠান নাই তার সাথে অনেক গুলো গিফট পাঠিয়েছেন মেরেজডের উপলক্ষে।
👉কাপল সেট সাথে দুই মেয়ের ফ্রোক
👉হ্যান্ড পেইন্ট করা ২ টি চুড়ি
👉হ্যান্ড পেইন্ট করা ১টি রকেট
👉হ্যান্ড পেইন্ট করা ১টি আংটি
👉শাড়ি ক্লিপ
👉একটা অার্কষনীয় চিরুনি
👉👉👉সব চেয়ে বিশেষ সেরা গিফট ছিলো সুন্দরবন রিফাইন করা #খাটিঁ_মধু।
🌺🌺🌺আমার মেয়েরা সারা বছর মধু খায়।যদিও ডাবর হানি কিনে খাওয়ান হয় বেশি।কিন্তু ভায়ের মধুটা খেয়ে অনেক ভালো লাগলো।আমি একটু খেতে পেরে ছিলাম।আমার মেয়েরা ডেলিভারি পাওয়ার দিনই সব শেষ করে ফেলছে।#খুব_ইয়াম্মী_লাগছে এটা আমার মেয়েদের কথা। আমি বলবো অনেক সময় মধু খেলে কেমন যেন একটু লাগে কিন্তু ভায়ের মধুটা অসাধারণ একটা টেস্ট পেলাম।আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। একটু মধু দিয়ে মধুর প্রকৃত স্বাদ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।ইনশাআল্লাহ আগামিতে আপনাকে মধু অর্ডার করবো।
প্রিয় কোর ভলান্টিয়ার ও মডারেটর Mujahid Opu ভাই দীর্ঘদিন ধরে মধু নিয়ে কাজ করছেন। কখনো অর্ডার করা হয় নাই।কিন্তু কাপল সেটের সাথে মধু দিয়ে ভাই লোভ লাগায়ে দিলো।ইনশাআল্লাহ সামনে অর্ডার হবে মধুরও।
ভাই কাজ করছে মধু নিয়ে মধু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভায়ের মধুর পেইজটা ভিজিট করবেনঃ👇👇👇
✅✅https://www.facebook.com/PureHoneyOrganic/
Sadia Afrin Jui ভাবি হ্যান্ড পেইন্টিং কাজের বিস্তারিত জানতে অবশ্যই ভিজিট করবেনঃ👇👇👇
✅✅https://www.facebook.com/RongchapHandPainting/
🌺🌺🌺পরিশেষে বলতে চাই আজ আমার স্বপ্ন টা পূরণ করতে পেরেছি প্রিয় স্যারের কথা ও অনুপ্রেরণায়। নিজেকে পরিবর্তন করতে পেরেছি নতুন ভাবে। শিক্ষক হওয়া স্বপ্ন ভাঙ্গা আমি নারী আজ ঘরে বসে উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দেখিছি।শুধু দেখছি না স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য শুরু করছি।আমি পারছি ও আগামিতেও পারবো।আমার সেই সাহস এখন আছে।আমার কাছে এখন এরকম একটা প্লাটফর্ম ও মেন্টর আছেন যার কথা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজ অল্প দিনের ইনকাম দিয়ে আমার ছোট একটা স্বপ্ন পূরন করতে পেরেছি।আগামীতেও পারবো ইনশাআল্লাহ। সবাই দোয়া ও উৎসাহ দিয়ে আমার পাশে থাকবেন। প্রিয় প্লাটফর্ম সবার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো। আল্লাহ পাক আমাদের হেফাজতে রাখুন, ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৮৬
Date:- ০২/০৮/২০২১
সকলের দোয়া প্রাপ্তি 🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
_________________________________
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেনের গর্বিত সদস্য
✳️আমি সাথী আক্তার
✳️কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
✳️রেজিষ্ট্রেশন টিম মেম্বার
🛑ব্লাড মেনেজমেন্ট টিম মেম্বার
🏆টপ 20 ক্লাব মেম্বার
✳️ব্যাচঃ১২
✳️রেজিঃ৩৭৯৫৫
✳️জেলাঃ মুন্সিগঞ্জ ও পটুয়াখালী
✳️বর্তমান অবস্থান মিরপুর
✳️কেরানীগঞ্জ জোন মেম্বার