একদিন এক সাংবাদিক স্যার কে জিজ্ঞাসা করেছিল, স্যার এই যে আপনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন তৈরি করেছেন
🌹🌹বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম🌹🌹
🌼🌼আসসালামু আলাইকুম🌼🌼
সর্বপ্রথম ঐ মহান আল্লাহ তা'আলার প্রশংসায় সেজদা অবনত হচ্ছি, যিনি এই করোনা মহামারীতেও আমাদের এবং আমাদের পরিবারকে সুস্থ, সুন্দর রেখেছেন। তার জন্য মহান আল্লাহতালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি ,আলহামদুলিল্লাহ।
❤️️❤️কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সেই মানুষটার প্রতি, যিনি সুখ খুঁজে না আপন নীড়ে, প্রাণের টানে এই আঙিনায় বারে বারে আসে ফিরে, যার চিন্তা ভাবনা এই স্বপ্নের প্ল্যাটফর্ম কে ঘিরে, যিনি সবসময় যুক্তিময় উক্তি দিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করেন, তিনি হলেন আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। যার অনুপ্রেরণায় আমরা সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে হাজারো শুকরিয়া,স্যার সুস্থ হয়ে আমাদের কাছে ফিরে এসেছে ❤️
💐💐 অল্প অল্প করে জীবনের গল্প💐💐
🌺 আশা নয় বিশ্বাস সকলেই মনোযোগ সহকারে পড়বেন,,🌺
আমি তাওহিদুল ইসলাম হানিফ। আমার বাসা টাঙ্গাইল। আমরা ৪ ভাই,বোন নাই।বড় ভাই গভমেন্ট জব করে।আর ছোট ২ভাই অনার্সে পড়ে। আমি ডিপ্লোমা শেষ করে, একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে অধ্যয়নরত আছি ।এবার মুল গল্পে ফিরে আসি।
আমি এসএসসিতে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র ছিলাম। আমাদের একটা ব্যবসায় উদ্যোগ সাবজেক্ট ছিল। সেই বইয়ের সফল উদ্যোক্তাদের জীবনী নিয়েই বেশি আলোচনা করা হয়েছে। আমি খুব মনোযোগ সহকারে সফল উদ্যোক্তাদের জীবনী পড়তাম। সফল উদ্যোক্তাদের জীবনী পড়ে আমার এত ভাল লাগত আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সেই ভালোলাগা থেকেই শুরু হয়ে গেল ভালোবাসা। সেই থেকেই স্বপ্ন দেখতে লাগলাম একজন উদ্যোক্তা হওয়ার। এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হলাম। একবছর ইন্টার মিডিয়েটে পড়লাম। বাবা মার স্বপ্ন ছিল আমাকে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়াবে। আমি ডিপ্লোমাতে ভর্তি পরীক্ষা দিলাম। শরীয়তপুর পলিটেকনিক আমার চান্স হলো। এখন বাবা-মার কথা হলো আমাকে ইন্টারমিডিয়েট বাদ দিয়ে ডিপ্লোমাতে ভর্তি হতে হবে।আমার উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন যেন মুহূর্তের মধ্যে বিলীন হয়ে গেল। যাইহোক বাবা-মার কথামত ডিপ্লোমাতে ভর্তি হলাম সুদূর শরীয়তপুর পলিটেকনিকে। সেই দীর্ঘ পদ্মা নদী পার হয়ে যেতে হতো শরীয়তপুর। শুরুতে যাইতে ভালোই লাগতো, পদ্মা নদীর বুক চিরে জাহাজে ভাসতে ভাসতে চাইতাম অনেক মজা লাগতো। কিন্তু কিছুদিন পরে আর ভালো লাগে না,বাড়িতে ছুটিতে আসলে আর যাইতে মন চায় না, এতদুর জার্নি করা অনেক কষ্ট লাগতো। তাই ঠিক করলাম যেভাবেই হোক আমাকে ট্রানস্ফার নিতেই হবে। যেই কথা সেই কাজ এক সেমিস্টার পর টাঙ্গাইল পলিটেকনিকে ট্রানস্ফার নিলাম। অচেনা অজানা এক জায়গায় এসে কোনভাবে মন বসছে না। কিছুদিন পর টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ছাত্রাবাসে একটা সিট পেলাম। এখানে এসে অনেকের সাথে পরিচয় হলো, অনেক নতুন বন্ধু পেলাম। সবার সাথে আড্ডা, মজা মাস্তি,বিকেলবেলা মাঠে খেলাধুলা করা সব মিলিয়ে সময়টা অনেক ভাল কাটতে লাগলো। সত্যি বলতে আমার জীবনের সোনালী সময় পার করছি টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ছাত্রাবাসে। এই তিন বছর সময় টা আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। এত হাসি, এত আনন্দ উল্লাসের মাঝে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আমার সেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নের কথা। পঞ্চম পর্বে এসে আমার সেই হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নটা আবার ডানা বাঁধতে শুরু করলো। আমাদের ইনস্টিটিউটে প্রতিবছর এক সপ্তাহব্যাপী খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। সেই খেলাধুলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যাকে প্রধান অতিথি করা হয় তিনি হলেন আমাদের ইনস্টিটিউটের এক বড় ভাই। তিনি আমাদের এই ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেছেন। আজ তিনি অনেক বড় উদ্যোক্তা,অনেক বড় কোম্পানির মালিক। তার দেওয়া বক্তব্যে আমি অনেক অনুপ্রাণিত হলাম এবং মনে মনে ভাবলাম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েও উদ্যোক্তা হওয়া যায়। এতে করে আমার উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ আরো বেড়ে গেল। পড়াশোনার দিকে কোন খেয়াল নাই, দিন রাত শুধু একটাই চিন্তা ভাবনা কিভাবে আমি একজন উদ্যোক্তা হব। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল আতিক। আতিক ছিল পড়া পাগল ছাত্র। সারাদিন শুধু পড়াশোনা করতো। এদিকে আমার পড়াশোনা তো গোল্লায় যাচ্ছে। ওর সাথে আমার মনের কথাগুলো শেয়ার করলাম। আতিক আমাকে বলল-তুই ছোট বয়সে কিভাবে উদ্যোক্তা হবি। এসব চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে মন দিয়ে পড়াশোনা কর ভালো জব করতে হবে। ওর এসব কথা শুনে আমার বিল গেটসের একটা গল্প মনে পড়লো, বিল গেটস বলেছিল আমার বন্ধু সবগুলো সাবজেক্ট এ পাস করেছিল, সে আজ একটা কোম্পানির ম্যানেজার ,আমি কিছু সাবজেক্টে ফেল করেছিলাম তাই আজ আমি সেই কোম্পানির মালিক। সত্যি বিল গেটসের গল্পটা আমার মনে রীতিমতো দাগ কেটেছিল। বড় বড় ডিগ্রী লাভ না করেও সফল হওয়া যায়। আমাদের দেশে এমন অনেক বড় বড় কোম্পানির মালিক আছে যারা প্রাইমারি পাশ করেনি, অথচ তাদের কোম্পানিতে দেশি-বিদেশি সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী লোকেরা কাজ করছে। তাই আমার মনে একটা প্রশ্ন বারবার ভেসে ওঠে, আমার যেটা চাকুরী সেটা কিন্তু কোম্পানি মালিকের বিজনেস, সে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য আমাকে ব্যাবহার করবে, তাহলে আমি কেন আমার স্বপ্ন পূরণে নিজেকে ব্যবহার করতে পারব না। প্রতিনিয়তঃ এসব চিন্তা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে যাই নিজেই জানিনা। এভাবে আমার স্বপ্ন আমার চিন্তা ভাবনার সাথে লুকোচুরি খেলতে লাগল প্রতিনিয়ত। আস্তে আস্তে সময় ঘনিয়ে এলো, বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেল। ডিপ্লোমা শেষ হলো। মানে একাডেমিক প্যারা শেষ ।এবার আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবার পালা। চোখেমুখে হাজারো স্বপ্ন নিয়ে আমার ইচ্ছার কথা বাড়িতে জানালাম যে,আমি বিজনেস করতে চাই, আমার কথা শুনে তারা যেন আকাশ থেকে পড়লো। কোনভাবে তারা আমার প্রস্তাবে রাজি হল না। আমি তো একদম হতাশ হয়ে গেলাম ।এখন আমি কি করবো কিছু বুঝতে পারছিনা ।যেহেতু পরিবারের কাছ থেকে কোন সাপোর্ট পেলাম না। পরে নিজে নিজেই উপলব্ধি করলাম নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজেকেই কিছু একটা করতে হবে। পরে আমি ঢাকা বাড্ডাতে রবি টাওয়ারের একটা ব্যান্ডর কোম্পানিতে জব নিলাম। এই জবের কোনো টাইম টেবিল ছিল না ।যখনই অফিস থেকে ফোন দিবে তখনই যেতে হবে। যদি রাত দশটার সময় ফোন দিয়ে বলে এখন আমাকে সিলেট, চট্টগ্রাম কিংবা বরিশাল যেতে হবে। কোন অজুহাত চলবে না, যেতেই হবে ।এভাবে রাত নাই দিন নাই শত কষ্টের মাঝেও কাজ করতে থাকলাম। কারন স্বপ্ন তো একটাই আমাকে বিজনেস করতেই হবে।
যাইহোক জবটা করার সুবাদে বাংলাদেশের প্রায় সব
জায়গায় ঘোরার সুযোগ আমার হয়েছে। এভাবেই দেড় বছর জব করার পর আমার কিছু টাকা মূলধন হলো। আমি জবটা ছেড়ে দিলাম। জবটা ছেড়ে দিয়ে আমি আমার কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণের দিকে অগ্রসর হলাম। আমি ছোটখাটো একটা বিজনেস শুরু করলাম ।আগে থেকেই আমার কৃষি ফার্মের প্রতি একটা ঝোঁক ছিল সেটা দিয়েই শুরু করলাম। বরাবরের মত পরিবারের সাপোর্ট তো পেলামই না বরং আশেপাশের লোকদের থেকে নানা ধরনের কথা শুনতে লাগলাম। পড়াশোনা করে এইগুলা করলে তাহলে পড়াশোনা করে কি লাভ হল। আরও কত ধরনের কটু কথা যে শুনতে হলো ,আমি শুধু শুনতে লাগলাম, কোন প্রকার প্রতিবাদ করিনি। আমি শুধু মনে মনে ভাবতাম, তাদের এই কথার জবাব আমি আমার কাজের মাধ্যমে দেবো। আজ যারা আমার সমালোচনা করছে, কাল তাদের মুখে আমি আমার সফলতার গল্প শুনবো। আমার সেই আশাটাওপূরণ হলো না, আমার ব্যবসায় 20 হাজার টাকা লস হলো। এখন আর নিজেকে মেলে ধরতে পারলাম না। নিন্দুকের তিক্ত সমালোচনা ,পারিবারিক চাপ সবকিছু মিলিয়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেল।আবার একবুক হতাশা নিয়ে ঢাকা চলে আসলাম জীবিকার খোঁজে। এখন আর কোনভাবেই হতাশা পিছু ছাড়ছে না।যেদিকে তাকাই শুধু অন্ধকার দেখি।এই করোনা মহামারীতে জবের যে বেহাল দশা তারা তো নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছি।এখন আমি কি করবো,কই যাব কিছুই বুঝতে পারছিনা। এভাবেই চলতে লাগল কিছুদিন। হতাশাগ্রস্থ মন নিয়ে, একদিন আমি ইউটিউবে মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে ছিলাম।হঠাৎ করে একটা ভিডিও আমার চোখে পরলো, ভিডিওটা টাইটেল ছিল এরকম বিনা পুঁজিতে কিভাবে ব্যবসা করা যায়। ভিডিও টাইটেল টা দেখে রীতিমতো রাগ হল আমার। বিনা পুঁজিতে আবার কিভাবে ব্যবসা করা যাবে। ভাবলাম হয়তো বেশি ভিউ পাবার আশায় এমন টাইটেল দিয়েছে। আজ কালকার ইউটিউবারদের তো এমনই স্বভাব, ভিডিও হেডলাইন দিবে এক রকম আর ভিডিও ওপেন করে দেখব আরেক রকম।তাই ভিডিওটি প্লে করলাম না।কিছুক্ষণ পর মনে হল অনেক তো প্রতারিত হয়েছি,আবার না হয় একবার প্রতারিত হই । যাই হোক পিছনে ফিরে এসে ভিডিওটি প্লে করলাম।আমি দেখতে পেলাম এক ভদ্রলোক চেয়ারে বসে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছে,কিভাবে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করা যায়। ভিডিওটি আমার এত ভালো লাগে বলে বুঝাতে পারব না। পরে আমি সেই ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে, প্লে লিস্টে গিয়ে আরো অনেকগুলো ভিডিও দেখলাম ।ভিডিওগুলো দেখে আমি আবার নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলাম। আর এভাবেই আমি নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর সাথে পরিচিত হলাম। পরে আমি ইনায়া ইসলাম বৃষ্টি আপুর সহযোগিতায় নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে রেজিস্ট্রেশন করলাম। তার পর থেকে আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন আমার অন্ধকার জীবনে আলোকবর্তিকা পরে উপস্থিত হলো। আমি যেন আমার হতাশ জীবনের অবসান ঘটিয়ে আলোর পথ খুঁজে পেলাম ।আমি স্যারের কথা মত 90 দিনের অনলাইন কর্মশালা অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শেষ করলাম। স্যার একটা কথা বলেছিল আগে তোমাকে শিখতে হবে ,পরে সেই অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে ।90 দিনের কর্মশালা শেষ না করে কেউ কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করবেনা।আর ব্যবসা শুরু করতে হবে স্বল্প মূলধন দিয়ে। তাই আমি স্যারের কথা মত স্বল্প পুঁজি (৫৭০০) টাকা দিয়ে,আমি আমার স্বপ্নের পথে পাড়ি জমালাম। আমি কিছু গার্মেন্টস আইটেম নিয়ে আমার ব্যবসা শুরু করলাম । আর এভাবেই আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরু হলো। স্যারের মহামূল্যবান একটা বাণী (স্বপ্ন দেখুন,সাহস করুন ,শুরু করুন ,লেগে থাকুন,) এই মূল্যবান উক্তিটি সবসময় মনেপ্রাণে ধারণ করে লেগে আছি ,আমি বিশ্বাস করি সাফল্য একদিন না একদিন ধরা দেবেই।
🥀🥀 নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে স্যারের প্রাপ্তি🥀
একদিন এক সাংবাদিক স্যার কে জিজ্ঞাসা করেছিল, স্যার এই যে আপনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন তৈরি করেছেন, এখানে প্রতিনিয়তঃ আপনি মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, আসলে এখানে আপনার প্রাপ্তিটা কি। স্যার তখন হেসে উত্তর দিলো,আমার ভালো ঘুম হয়। সাংবাদিক তো স্যারের উত্তর শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। এই ঘুম তো সেই সাধারন ঘুম নয়,মানুষের জন্য ভালো কিছু করার প্রশান্তির ঘুম। আমাদের 90 দিনের প্রশিক্ষণ এর শেষ দিন অর্থাৎ হঠাৎ 90 তম দিনে স্যার একটি কথা বলেছিলেন, আপনাদের কাছে আমার নিজের কোন চাওয়া নেই ।আপনাদের উন্নতি,সফল হওয়া ও ভাল থাকাই আমার চাওয়া ।কোন একদিন আমার মৃত্যুর পর বাংলাদেশের অথবা পৃথিবীর কোন এক প্রান্ত থেকে আমার মৃত্যুর সংবাদ শুনে কোন এক তরুণ অথবা তরুণীর চোখ থেকে টুক করে একটু পানি যদি ঝরে পড়ে এবং যদি বলে আহা এই ইকবাল বাহার নামক শিক্ষকের কারণে তার জীবনটা একটু হলেও বদলে গেছে,এটাই আমার প্রাপ্তি। আজ আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি স্যারের চাওয়া আজ সফল হয়েছে। আমাদের সবার প্রিয় স্যার যখন অসুস্থ ছিল, তখন পুরো প্ল্যাটফর্ম যেন স্থবির হয়ে গিয়েছিল। আমাদের প্রিয় স্যারের রোগমুক্তির জন্য বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী ভাই ও বোনেরা,মহান আল্লাহ তালার দরবারে যেভাবে দোয়া প্রার্থনা করেছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। যেখানে বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক নেতা মারা গেলে দেশের জনগণ খুশিতে আলহামদুলিল্লাহ পড়ে। সেখানে আমাদের প্ল্যাটফর্মের নেতা অসুস্থ হয়ে যাওয়াতে প্ল্যাটফর্মের প্রত্যেক ভাই ও বোনেরা স্যারের জন্য অশ্রুসিক্ত হয়েছেন। স্যারের জন্য অনবরত দোয়া প্রার্থনা করেছেন,দোয়া ইউনুস পড়ে প্রিয় স্যারের সুস্থতা কামনায় আল্লাহর দরবারে হাত তুলেছেন।আমি মনে করি এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসাই স্যারের কাঙ্ক্ষিত সেই প্রাপ্তি।🥀🥀🥀🥀🥀
🌺🌺🌺নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে আমাদের প্রাপ্তি🌺🌺🌺🌺
স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রম সততা ও নিষ্ঠার সাথে তিল তিল করে যে স্বপ্নের ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন,আজ আমরা সেই ফাউন্ডেশনের গর্বিত সদস্য,সেটি হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ।এই প্লাটফর্মে লক্ষ লক্ষ ভালো মানুষ পেয়েছি বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত যাদের আমরা চিনিনা জানিনা অথচ আজ তাদের সাথে আমাদের সবার একটা নেটওয়ার্কিং অর্থাৎ সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে সেটাই আমাদের প্রাপ্তি ।একটা সময় আমরা নিজেদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নকে হারিয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলাম আজ সেই আমরাই নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখি, এটাই তো প্রাপ্তি,যে বসে ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয় , নেশার অন্ধকার জগতে হারিয়ে যায়, আজ সেই বয়সের তরুণ তরুণী উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে।
🌹🌹🌹প্রিয় প্ল্যাটফর্ম কে নিয়ে আমার স্বপ্ন 🌹🌹🌹
আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের এই প্লাটফর্ম অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তাগণ একদিন আন্তর্জাতিক মানের প্রোডাক্ট উৎপাদন করে, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে নতুন রূপে তুলে ধরবে। আজ প্রতিটি সেক্টরে বিদেশি প্রোডাক্ট গুলো আমাদের বাজার দখল করে আছে। আমাদের হাজার হাজার পোশাক শিল্প কারখানা থাকার পরও আমরা মার্কেটে গিয়ে বলি ভাই চায়না ব্যান্ডের প্যান্ট দেখান,বিদেশি কসমেটিক দেন ,এটা দেন,সেটা দেন। এর একটাই কারণ আমাদের দেশীয় পণ্যের প্রতি অনাস্থা। আমরা মনে করি আমাদের সব কিছুতেই ভেজাল মিশে আছে। তাই আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তারা মানসম্মত শতভাগ বিশুদ্ধ প্রডাক উৎপাদন করে,আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে দেশীয় পণ্যের প্রতি হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস কে ফিরিয়ে আনবে। আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়া হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পকে
নতুন রূপে ফিরিয়ে আনবে। এভাবেই নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তারা প্রতিটি পণ্যের দেশীয় ব্যান্ড তৈরি করবে আর আমাদের দেশের মানুষ দেশীয় পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করে অনেক উপকৃত হবে এবং সেই সাথে আমাদের অর্থনৈতি সমৃদ্ধ হবে।
বাংলাদেশে ভ্রমণকৃত বিদেশি পর্যটকগণ আমাদের দোকানে গিয়ে বলবে,প্লিজ গিভ মি সাম প্রোডাক্ট প্রিপেয়ার্ড বাই নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন ইন্টারপ্রেনার। তখন গর্বে বুকটা ভরে যাবে।
আজ না হয় কাল নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই আমার এই স্বপ্ন পূরণ হবে।আজ থেকে 50 বছর পর, মহান আল্লাহ তাআলা যদি আমাকে ঐ সময় পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখে,আমি আমার নাতিকে গর্ব করে বলবো,এই দেখো আমাদের প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তাদের তৈরিকৃত পণ্য ব্যবহার করছি, বুঝলে নাতি দেশীয় ব্র্যান্ড। তখন আমি কল্পনাতে আবার 50 বছর আগের জীবনে ফিরে আসবো।প্রিয় প্ল্যাটফর্মের সাথে কাটানো সময়গুলোর কথা মনে করে চোখের কোনে দুফোঁটা জল এসে যাবে। খুব বেশি মনে পড়বে, আমাদের একজন ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার ছিল।💐💐💐💐
🌿🌿 অনেকক্ষণ ধৈর্য ধরে এই অদমের গল্পটা পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।🌿🌿🌿
❤️❤️❤️❤️❤️পরিশেষে আপনার মত সর্বজন শ্রদ্ধেয় মার্জিত ও সুশিক্ষিত ব্যক্তি কে প্ল্যাটফর্মের মেন্টর হিসেবে পেয়ে আমরা আনন্দিত উৎফুল্ল্য উচ্ছ্বসিত ।আমাদের প্ল্যাটফর্মের সংরক্ষণ সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান ও আপনার অভিভাবক সুলভ নিরপেক্ষ আচরণ আমাদের নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে, আমরা বিশ্বাস করি।❤️❤️❤️❤️❤️
💛💛আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন কামনা করে,
আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, আল্লাহ হাফেজ।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৮৮
Date:- ০৪/০৮/২০২১
🌻🌻🌻ধন্যবাদান্তে:🌻🌻🌻🌻
🌺🌺🌺 নাম: তাওহীদুল ইসলাম হানিফ
🌸🌸🌸 ব্যাচ নং: 12
💐💐💐 রেজিস্ট্রেশন:৪৯৯৭৫
🌹🌹🌹 নিজ জেলা:টাঙ্গাইল