আমি দোকান নিয়ে ব্যাবসা স্টাট করবো কিন্তু টাকার গুছ নেই কি করবো মায়ের একটা গরু ছিলো বিক্রি করলাম টাকা হলো মাত্র ৩০হাজার।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম।
প্রথমেই শুকরিয়া জানাই মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে যিনি আমাকে আজও পর্যন্ত সুন্দর এই ধরণীতে সুস্থ রেখেছেন এবং ভালো মানুষের বিশাল এই প্লাটফর্ম এর সাথে যুক্ত রেখেছেন,আলহামদুলিল্লাহ।
কৃতজ্ঞতা জানাবো আমাদের প্রিয় মানুষ সকল তরুণ তরুণীর ভালোবাসার পাত্র নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা তৈরির কারিগর হাজারো যুবক যুবতীর আইডল জনাব, ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি।
স্যারের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে আকুল আবেদন স্যারকে পুরোপুরি সুস্থতা দান করো, আমরা মন খুলে দোয়া করবো স্যারের জন্য।
ইনশা আল্লাহ।
সবার জীবনের একটি গল্প থাকে কিন্তু আমার জীবনের গল্পটা একটু আলাদা
আজ আমি লিখবো আমার জীবনের হতাশা ও সফলতার গল্প, সকলে ধৈর্য সহকারে পড়বেন এবং ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।
আমার পরিবারঃ
আমরা তিন ভাই, আমার বাবা মা এবং আমার দাদি আমাদের যৌথ পরিবারে মোট ছয়জন ছিলো । আমার বাবা একজন কৃষক। আগে বাবার জীবনের কাহিনীটা একটু বলে নেই, আমার দাদার বাড়ি ছিলো বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় তার আর্থিক অবস্থা খুব ভালো ছিলো। দাদার প্রায় তিন কানি জমি ছিলো। তিনি কোন কাজ করতেন না, দাদা আস্তে আস্তে সব জমি বিক্রি করে দেয় সর্বশেষে ছিলো বাড়িতে প্রায় ৪বিঘা জমি সেটা ও বিক্রি করে দেয়। তারপরে দাদা আমার বাবা, চাচা, দাদি সব সহ সবাই খুলনায় চলে যায়। দাদা একসময়ে একেবারেই নিঃস্ব হয়ে যায়।আমার বাবার বয়স ছিলো তখন ছয়/সাত বছর। দাদা রেগুলার কাজ কররত না সংসারে অনেক অভাব। আমার দাদা কাজ শুরু করলো এক জমিদারের গরু রাখাল হিসাবে এবং দাদীও অন্যের বাসায় কাজ করে এভাবেই চলে তাদের ছয় জনের পরিবার প্রায় ১০ বছর। তারপর বাবা এবং তার পরিবার মিলে চলে আসেন বরগুনা জেলার তালতলীতে বাবার নানা বাড়ি। বাবা তালতলীতে এসে অন্যের পরে থাকা একটা খালি জমি নিলো কৃষি খামারের জন্য এবং সেখানে বাড়ি ঘর তুললো এবং রেন্টি,চাম্বল ও মেহগুনি সহ নানান রকম গাছের নার্সারি শুরু করলো,
খুঁজে পেলো এক নতুন জীবন। খুব ভালো চললো বাবার নার্সারির ব্যবসা এবং ভালো ভালভাবে লাভবান হতে লাগল এই নার্সারি থেকে। তখন বাবা কৃষি ধান চাষও করে। তিন জন রাখলো কাজের লোক এবং প্রায় ১৫-২০টি গরু হয়ে যায় বাবার। তারপরে বাবা বাড়ি করার জন্য জমি কিনল,আব্বু আমার দাদার কিছুই পেলো না এভাবেই উঠে আসা আমার বাবার।
আমার ছাত্র জীবনঃ
আমি ছোট বেলা থেকেই একটু নম্র ভদ্র ছিলাম ক্লাসে কোনো দিন উৎশৃঙ্খল সৃষ্টি করি নি। পড়াশোনায় মোটামুটি ভাল ছিলাম কিন্তু ইংরেজিতে একটু কাচা ছিলাম তবে অংকে ভালো ছিলাম। আমি যখন পঞ্চম শ্রেণীতে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে যাবো তখনকার একটা কষ্টের কথা না বললেই নয়। আমি আমার স্কুলে প্যান্ট পরে যেতাম না কারণ আমার প্যান্ট ছিলো না, বছর শেষে এসে গেলো পরিক্ষা,শর্ত ছিল প্যান্ট পড়েই পরিক্ষা দিতে হবে তখন কোথায় পাবো প্যান্ট, আমাদের পরিবার সে সময়ে একটু অভাবে ছিলো। আমার এক বন্ধুর প্যান্ট ছিলো তিনটি ওর কাছে বললাম বন্ধু আমাকে একটি প্যান্ট দিও আমি পরীক্ষা দিয়ে আবার ফেরত দিবো। সে কথা এখন মনে পড়লে দু চোখ থেকে অস্রু চলে আসে। আর এখন এই আমি কাপড়ের দোকান দেই, বছরে অনেক কাপড় গরিবদের দেই। যাইহোক এভাবেই দিলাম পঞ্চম শ্রেনীর পরীক্ষা।
পঞ্চম শ্রেনী পাশ করার পর লাউপাড়া সাগর সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম।
শুরু হলো হাইস্কুল জীবনঃ
এখানেও অনেক কষ্ট অনেক পরিশ্রম এর মাধ্যমে শুরু করলাম পড়াশোনা। স্কুলে সময় মতো যেতাম এবং বাড়ি এসে আবার আব্বার সাথে নার্সারির কাজে সাহায্য করতাম কিন্তু পড়াশোনার হাল ছাড়লাম না। এভাবেই ষষ্ঠ, সপ্তম,অষ্টম,নবম,দশম শ্রেনী পার হয়ে যায়। এবার এসে গেলো এস,এস,সি পরীক্ষা। পরীক্ষা দিবো কিন্তু ফরম ফিলআপ এর টাকা নেই কিভাবে দিবো পরীক্ষা। মা বললো যেভাবে হোক পরীক্ষা দিতে হবে,মা কোন উপায় না পেয়ে মায়ের ছিলো একটা নাকের লোলক সেটা বিক্রি করে দেয় এবং সে টাকা দিয়ে ফরম ফিলআপের টাকা দেই।তারপরেই এস,এস,সি পরীক্ষা দেই। মায়ের ভালবাসার কাছে পৃথিবীর সব কিছুই তুচ্ছ।
এস,এস,সি পরীক্ষার পর ভাবছিলাম নিজের কিছু একটা করতে হবে অনেক দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। আমার ফুফাতো ভাইয়েরা ঢাকায় থাকতো আমি চিন্তা করলাম তাদের কাছে যাবো, বাড়িতে যদি বলি যেতে দিবে না তাই পালিয়ে ঢাকা চলে আসি। ঢাকায় গিয়ে ফুফাতো ভাইদের বলি আমায় একটা চাকুরির ব্যবস্থা করে দাও, ওরা অনেক চেস্টা করে তেমন কিছু করতে পারলো না পরে আমরা এক দূরসম্পর্কের ফুফু আমায় একটা গার্মেন্টস এর চাকরি দিলো তখন ২০১২ইং সাল ছিল প্রাথমিক অবস্থায় বেতন দিতে চেয়ে ছিলো মাত্র ৭০০০টাকা।তাও আমি কাজ
করতে ছিলাম সেখানে মাস খানেক কাজ পরে এস,এস,সির রেজাল্ট দিলো,পরিবারের সবার একই কথা ছিল গ্রামের বাড়ি চলে আসো কলেজে ভর্তি হবা। তাদের কথা রেখে চাকুরি ছেড়ে দিয়ে চলে আসলাম বাড়িতে কলেজে ভর্তি হলাম।
শুরু হলো কলেজ জীবনঃ
আমি প্রথম ভর্তি হলাম কুয়াকাটার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজে কিন্তু সেখানে থাকা খাওয়ার সু ব্যবস্থা ছিলো না, তাই একবাড়ি লজিং থাকলাম দুটো বাচ্চা পড়াতাম ভালোই কাটছিলো দিনগুলো কিন্তু সেখানের ছোট বাচ্চা গুলো অনেক দুষ্ট ছিলো, একদিন পড়ার জন্য ডাকছিলাম তারা দৌড়ে তেঁতুল গাছে উঠলো আমি তাদের ডাকি তারা আমায় অকথ্য ভাষায় অনেক গালি গালাজ করলো, পরে আমার আর ভালো লাগছিলো না আমি বাড়ি চলে আসলাম । তারপর আমাদের বরগুনার তালতলী ডিগ্রি কলেজ এ ট্রান্সফার হলাম এখানে এসে একজন বন্ধুর বাসায় থেকে ক্লাস শুরু করলাম কারণ আমার বাসা থেকে কলেজ ১৫কিলোমিটার দূর। তালতলীতেও অনেক কষ্ট করেছি লজিং ছিলাম,ম্যাচে ছিলাম, বন্ধুর বাসায় ছিলাম যাইহোক সংক্ষেপে শেষ করি অনেক লম্বা হয়ে যাচ্ছে এখানেই এইচ,এস,সি শেষ করি।
এইচ,এস,সি দেয়ার পরে চট্টগ্রাম চলে যাই আমার কাকার বাসায়। এক ভাবির মাধ্যমে গার্মেন্টসে চাকরি হয় ওখানে মাস খানেক কাজ করি কিন্তু অনেক কষ্ট হচ্ছিল বাড়িও আসি না কারন বাবার দিকে তাকালে আর আসতে পারি না বাবার কষ্টের টাকা আর কত খরচ করবো আর কত বাবার ঘারে বসে বসে খাবো তাই আসিনি।পরে এক দূরসম্পর্কের চাচার মাধ্যমে অফিসিয়াল চাকরি হয় সেখানে
মোটামুটি ভালই কাটছিল দিন গুলো কিন্ত চাকুরির বয়স তিন মাসের মধ্যে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পরলো অফিসে না বলে বাড়ি এসে পরলাম।পরিবারের সবার অনুরোধে এরপর গ্রামের বাড়ীতেই বসবাসা করতে লাগলাম।
উদ্যোক্তা হওয়াঃ
আমার কোনো দিনই ইচ্ছে ছিলো না আমি ব্যবসা করবো, আমি সবসময় স্বপ্ন দেখতাম ভালো একটি চাকুরি করব কিন্তু না তা আর হলো না। বাবা বললো তুমি ব্যবসা করো আমি বললাম কি ব্যবসা করবো, বাবা বললো কাপড়ে ব্যবসা। আমিতো কাপরের ব্যবসার ক ও বুঝি না। ব্যবসা করবো কিন্তু টাকা নেই কি করবো ভাবছিলাম হতাশার মধ্যে কাটছিলো দিনগুলো।অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য মাঝে মাঝে এক কাপরের দোকানে বসতাম। কাপরের দোকান দেবো কিন্তু টেইলার্স পাবো কোথায় তাই নিজেই শিখলাম কাজ। অন্যের কাজ থেকে কাজ শিখা এতই কষ্ট কারণ শিখাতে চায় না এবং অনেক ধৈর্য্য প্রয়োজন।
দিন আর রাত নেই ওস্তাদের কথার বাহিরে গেলে অনেক বকাবকি কিন্তু আমার মনে মনে একটা লক্ষ ছিলো যেভাবেই হোক আমার কাজ শিখতেই হবে।
আমি কাজের প্রেমে পরে গিয়েছিলাম, সত্যি বলতে আমি ঘুমালেও দেখতাম কাজ করছি।সত্যিই স্যারের অনেক কথা গুলো বাস্তব জীবনের সাথে মিলে যায় স্যার বলেন, আপনি যে কাজটি করবে সে কাজটির প্রেমে পরতে হবে এবং আরো একটি কথা এখানে মিলেছে ৯টা-৫টা ভুলে যেতে হবে, আমি যত দিন কাজ শিখছিলাম আমার কোনও নির্ধারিত সময় ছিলো না আমি যতো সময় পেতাম ততোটাই কাজ করতাম।
কিন্তু একটা কথা না বললেই নয় আমি এত কষ্ট করেছি কিন্তু আমার কাছে কষ্ট হচ্ছিল না। এ কাজটায় আমার ব্যবসায় এগোতে অনেক সহায়তা করছে, তাই এখানে ও স্যারের কথা মনে পরে কারন স্যার বলেন, আপনি যে কোন একটি কারিগরি শিক্ষা নিন এতে আপনি সবার চেয়ে একধাপ এগিয়ে থাকবেন। তাই অনেক কষ্ট করে কাজটা শিখে নিলাম।
ছোটো একটা উদাহরণ দেই আমার প্রতিবেশি কাপড়ের দোকান দিয়েছে কিন্তু তার কারিগর নেই থাকলেও একবার আসে আবার চলে যায় কাস্টমারদের ভাল সার্ভিস দিতে পারে না সে কারনে এখন তার বিক্রি নেই বললেই চলে, তাই এখন সে দোকান ছেড়ে দিবে আমাকে বললো তুমি আমার মালামাল রেখে দাও।
আমি বলব, আপনি যে কোনও একটি কারিগরি কাজ পারলে সবার চেয়ে একটু হলেও এগিয়ে থাকবেন এটা আমার বাস্তব জীবনের শিক্ষা।
ডিগ্রিতে ভর্তিঃ
চাইছিলাম অনার্স করবো কিন্তু বাবার দিকে তাকালে আর পারি না তারপর ফাঁকে ডিগ্রিতে ভর্তি হয়ে যাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে ক্লাস করি, আমার নিজের খরচেই চালাই ডিগ্রির পড়াশোনা এবং ব্যবসার মধ্যেই ডিগ্রি শেষ করি। মাস্টার্সে ভর্তি হইনি কারণ পরিবারের অভাব এবং পড়াশোনায় মন ছিলোনা বন্ধুরা অনেক অনুরোধ করছিলো কিন্তু আর করি নি লেখাপড়া। লেখা পড়ার যে কি মুল্য তা তখন না বুঝলেই এখন খুব ভাল ভাবেই বুঝি,তাই আমি যারা লেখা পড়া করতেছেন সবাইকে অনুরোধ করে বলতে চাই যত কস্টই হোক না কেন লেখা পড়া ছাড়বেন না।
আমি দোকান নিয়ে ব্যাবসা স্টাট করবো কিন্তু টাকার গুছ নেই কি করবো মায়ের একটা গরু ছিলো বিক্রি করলাম টাকা হলো মাত্র ৩০হাজার। এ টাকায় কিছুই হয় না কি করবো মাথায় কাজ করছিলো না। চলে গেলাম আমার আব্বুর বন্ধুর কাছে বললাম আমি দোকান দিবো আমার কিছু টাকা দরকার সে বললো কত টাকা আমি বললাম ৩০ হাজার টাকা কিন্তু সে আমায় ৭০ হাজার টাকা দিল। আরেকজন আত্নীয় ২০হাজার টাকা দিলো, সব টাকা দিয়ে দোকানের জন্য ঢাকা থেকে কাপড় কিনব কিন্ত ঢাকার মার্কেট আমি ভালো চিনি না এখন কি করবো? আব্বুর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে নিয়ে গেলাম ঢাকায়। কিছু কাপড় কিনে চলে এলাম বাড়িতে,আলহামদুলিল্লাহ দোকান উদ্ভোধন করলাম, সবাই দোকানের মাল দেখে হাসে কারণ মাল কম ছিল আমার মন ভেঙ্গে গেলো ভালো লাগছিলো না বিক্রিও তেমন হতো না কি করবো ভাবছি দোকান ছেড়ে দেব আবার ছেড়ে যেতে ও পারি না। যাইহোক লেগে থাকলাম ধীরে ধীরে বিক্রি বাড়তে লাগলো, এখন আবার মনে পরে গেলো আমাদের প্রিয় স্যারের কথা গুলোঃ-
সপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং লেগে থাকুন সফলতা আসবেই, ইনশাআল্লাহ।
তাই আমি লেগে থাকলাম আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় এখন অনেক ভালো বিক্রি হয় এবং পারিবারিক ভাবে অনেক ভালো আছি।
আমি বলবো অনেকে হোচট খায় তারপর আর উঠে ধারায় না, বলে আমার দ্বারা আর হবে না আমি আর পারবো না। সে কারণেই আমরা ভালো কিছু করতে পারি না।আমাদের নিরাশ হলে হবে না ধৈর্য ধারন করতে হবে, সততা ও নিষ্ঠার সহিত কাজ করতে হবে তাহলে সফলতা কেউ ঠেকাতে পারবে না।
আমার জীবনে আরও অনেক দুঃখের কথা আছে কিন্ত সব কথা ফাউন্ডেশনে প্রকাশ করতে পারছি না।আজকে জীবনের গল্প লিখতে লিখতে কখন যে দু নয়ন হতে অশ্রু গড়িয়ে বুক ভেসে গেল বুঝতেই পারলাম না।
আমি সকলের আন্তরিক দোয়া,সহযোগিতা ও ভালবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই,প্রিয় ফাউন্ডেশনের প্রিয় ভাই ও বোনদের সাথে ভলেন্টিয়ারিং করতে চাই, সেই সাথে উদ্দোক্তা হয়ে সমাজের অবহেলিত অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই,সবাইকে আমার জন্য দোয়া করার অনুরোধ করছি।
আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার জীবনের গল্পটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
পরিশেষে সকলের সুস্বাস্থ্য ও মজ্ঞল কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম,আল্লাহ হাফেজ।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৮৮
Date:- ০৪/০৮/২০২১
ধন্যবাদান্তেঃ
নামঃ মোঃ নজরুল ইসলাম।
ব্যাচ নং১১
রেজিঃনং৩১৪৬৮
জেলাঃসৈকত সৌন্দর্যের বরগুনা।
উপজেলাঃতালতলী
ব্লাডগ্রুপ ঃA+
পেশাঃউদ্যোক্তা
বিজনেস পেজ লিংকঃhttps://www.facebook.com/Sani-fashion-bd-102630465131201/