আজ_বলব_আমার_জীবনের_গল্প
🌼🌼বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 🔰⭕
🌹আসসালামু আলাইকুম 🥰
#আজ_বলব_আমার_জীবনের_গল্প,, ✌️
🤞সবাই শুনতে প্রস্তত তো ???
🕋প্রথমেই শুকরিয়া আদায় করছি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে। যিনি আমাকে সুন্দর পৃথিবীতে পাঠিয়েছে এবং আমাকে ও আমার পরিবারকে সর্বদা সুস্থ ও ভালো রেখেছেন।আলহামদুলিল্লাহ।
💥💥লাখো কোটি দুরুদ ও সালাম প্রেরণ করছি মহান রব্বুল আলামিনের প্রিয় হাবীব, আমাদের প্রিয় নবী (স.) এর রওজা মোবারকে।
🌼🌹🌼তার পরে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি, আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের কাছে । যিনি আমাদের জন্য এতো সুন্দর একটা ভালো মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন । যে প্লাটফর্মে প্রতিনিয়ত তৈরী হচ্ছেন নতুন নতুন উদ্যোক্তা ও ভালো মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ। যার প্রজ্ঞা, জ্ঞান, আদর্শ সময় এবং চিন্তা, চেতনা,ও অভিজ্ঞতা আমাদেরকে দিয়েছে নতুন জগতের সন্ধান। আল্লাহ স্যারকে দীর্ঘ হায়াত দান করুন। এভাবে যেন নতুন প্রজম্মকে সঠিক পথ দেখাতে পারেন।আমিন🌹
🌷🌷🌷ফাউন্ডেশনের সেশন চর্চায় নিজের পরিবর্তন দেখে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। 🌷🌷🌷
________________________________________________
🌿#আমার_স্বপ্নঃ
আমরা সবাই স্বপ্নবাজ মানুষ। স্বপ্ন দেখতে সবাই ভালোবাসে।কারও স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়া,কার ও স্বপ্ন খুব সামান্য। ছোট হোক বা বড় সে তো কেবলি স্বপ্ন। স্বপ্ন ছাড়া বাঁচা যায় না কখনো?
সবাই চায় পৃথিবীতে একদিন সবাই তাকে চিনবে,জানবে।একদিন সে সবার সামনে ভালো ভালো কথা বলবে আর সবাই তার কথা শুনবে আগ্রহী হয়ে যেমনটা প্রিয় মেন্টর এর কথা সবার শুনি।
আমি ও স্বপ্নবাজ একটি🙋♀️ মানুষ। আমি ও স্যারের ছাত্র হিসেবে এমন স্বপ্নগুলো বুনছি নিজ বাগিচায় শুধু ফল হয়ে বের হওয়ার অপেক্ষায়।
🌷আমার স্বপ্নগুলো ছিলো আকাশ ছোঁয়া। সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিলো📚 পড়াশোনা করে ডিফেন্স এ যোগ দিয়ে দেশ ও দশের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করবো, মানবসেবা করব। কিন্তু সেই স্বপ্ব পুরুন হলো না, হেরে গেলাম নিজের কাছে😰। কারন আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী (দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী)। আমি আপনাদের মতো সাভাবিক দেখতে পাই না। আমাকে বর্তমানে ১৬৬৫ পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করতে হয়।
🍀তাই সে স্বপ্ন বাদ দিয়ে শুরু হলো উদ্দ্যোগত্তা হওয়ার স্বপ্ন, বিজনেস ম্যান হওয়ার স্বপ্ন।আমি কখনো ছোট স্বপ্ন দেখতাম না,দেখি না।
"জন্ম হোক যথাতথা,
কর্ম হোক ভালো"।
সবসময় ভাবতাম যে আমাকে এমন কিছু করতে হবে যেন সমাজের মানুষের উপকারে আসতে পারি। আমি দেশপ্রেমিক একটি ছেলে, অনেক ভালবাসি আমি আমার দেশকে, মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি যখন নানা/নানুর কাছে শুনতাম, গান শুনতাম তখন খুব😢 কান্না পেতো। তখন তাদেরকে বলতাম সে সময় যদি আমি থাকতাম তাহলে অবশ্যই যুদ্ধে যেতাম, কিন্তু স্যার যখন বলেন, অন্যের জন্য কর্মস্থান তৈরি করাটা হল সবচেয়ে বড় দেশ প্রেম, তখন আমার অনেক ভালো লাগে, ভিতরে ইচ্ছে, জিদ থাকে, যে ইনশাআল্লাহ আমি সফল উদ্যেক্তা হবই এবং অন্যের জন্য কর্মস্থান না করা পর্যন্ত থেমে যাব না ইনশাআল্লাহ।
বুকভরা অনেক সাহস আর ইচ্ছে পুষতাম , কিন্তু আমার স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবে কিভাবে রুপান্তরিত করব, সেই গাইডলাইন সেই সাহস পেতাম না। যা আমি "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন " এর মাধ্যমে পেয়েছি।
😢আমি সবার মত নয়,😢
⭕আমার জীবন গল্পটি অন্যরকম, আমি ৩য় শ্রেণি
তখন থেকে চশমার ব্যবহার শুরু করতে হয়। তখন ব্যবহার করতাম ৭০০ পাওয়ারের গ্লাস , আর এখন ১৬৬৫ পাওয়ারের, সময়ের সাথে সাথে আমারে চোখের অক্ষমতা বৃদ্ধি হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানে আমার ভবিষ্যৎ এ সুস্থ হব কী-না।
🔰তখন থেকে বুঝে গেলাম আমি অন্যদের মত নয়, অনেক এ অন্য ভাবে দেখে, সেই থেকে আমি আমার মত বড় হই। বন্ধুবান্ধব যারা আছে সবাই আমাকে অন্য চোখে দেখে। আমার সাথে মিশতে চাইতো না। এমকি কোন খেলাধুলায় ও অংশগ্রহণ করতে দিত না।
🔰✅ তবে হ্যাঁ, আমি যে ব্যতিক্রম এটা নিয়ে আমি কোনদিন মন খারাপ করিনি। কারণ আমি যখন রাস্তায় আমার থেকে ও অসচ্ছল যাদের চোখই নাই, হাত-পা নেই, কথা বলতে পারে না এমন মানুষ দেখি থাকি। তখন নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, কারন তাদের থেকে আমি অনেক ভালো আছি। আমি তো কথা বলতে পারি হাত-পা ও ঠিক আছে, শুধু চোখে একটু কম দেখি। তাই এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমার কোন দুঃখ ছিলনা।
#জীবনের_গল্পঃ
মানব জীবন নাটকের চেয়েও নাটকীয়। বাস্তব জীবনের একেক টা অংশ নিয়েই তৈরী হয় গল্প বা নাটক। প্রতিটি মানুষের জীবনে থাকে নিজের চাওয়া পাওয়ার একেকটা গল্প যা একান্ত তার নিজস্ব। হতে পারে তা সুখের অথবা দুঃখের। কিন্তু এই গল্পটা যার জীবনের সেই বুঝে এই গল্পটা তার কতটা জুড়ে আছে।
#আমার_জীবনের_গল্পঃ
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এ দেশের আনাচে কানাচে প্রায় ১৩০০ নদীর বাস। তেমনি একটি নদী মেঘনার কোল ঘেসে রয়েছে চাঁদপুর জেলার একমাত্র ধনাগদা নদীর তীরে অবস্থিত উপজেলা মতলব দক্ষিণ । যাকে আমরা খীরের শহর নামেই চিনি। এই মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ২০০২ সালের শুরুর দিকে এক মধ্যবিত্ত পরিবারের আমার জন্ম। যদিও আমাদের বংশ অনেক নামকরা ছিলো এবং পূর্ব পুরুষদের অবস্থা ভালোই ছিলো। পরিবারের ৩ সন্তানের মধ্যে আমি ছোট । ছোট বেলা থেকে বাবা, চাচা, জেঠা, ফুফু ও অন্যান্য সকল আত্মীয় স্বজনের অনেক আদরের ছিলাম। ছিলাম মায়ের কলিজা।
কিছু কারনে ২০১২ সালে আমার সহ পরিবার ঢাকা মোহাম্মদপুর চলে যাই । চাঁদপুর থেকে চলে আসার পরই আমাদের জীবনের চরম মুহূর্তের দেখা মিলে। নতুন জায়গায় এসে বাবা কি করবে ভেবে পায়না। অবশেষে আমাদের মুখে খাবার তুলে দিতে পরের কাজ করতে শুরু করেন। অথচ বাবাকে এর আগে কখনো এতো পরিশ্রমের কাজ করতে হয় নি।শুরু হয় আমাদের দিন এনে দিন খায় অবস্থা। একদিন বাবার কাজ না থাকলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হতো। থাকার ভালো ঘর ছিলো না। মাঝেমধ্যে প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে ঘরের চালা তুলে নিয়ে যেতো। গুটিসুটি মেরে সবাই ঘরের এককোণে বসে থাকতাম। কিন্তু আমাদের এই দুঃসময়ে আমাদের আত্মীয় স্বজনরা সবসময় পাশে ছিলো।
#মা :-
আম্মু আমার সবচেয়ে ভালো বন্দু, আমি আমার সাথে ঘটে যাওয়া সব মায়ের সাথে শেয়ার করতে সাধচন্দবোধ করি। আমার প্রথম ভালোবাসা আমার আম্মু, আমার প্রথম সাপোর্ট আমার আম্মু। আম্মু ও আমাকে অনেক ভালোবাসে, আমার যত আবদার করি সব আবদার পরুন করতে চেষ্টা করেন। আমাদের সংসারের জন্য - আম্মু একজন যোদ্ধা সরুপ, তিনি অনেক কাজ করতেন আমাদের জন্য, ব্রাক এর পুষ্টি ডিপার্টমেন্ট এ কাজ করতো , তারপর আবার ব্রাক এর যক্ষা বিভাগে ও কাজ করেন । ঢাকা যাওয়ার পরে কোথায়ও কোনো কাজ না পওয়ায় - বাবুর্চির কাজ করেন। আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করেন,, অবশেষে বলি অনেক ভালোবাসি আম্মু তোমাকে ।
#বাবা :-
সে তো একজন সুপারম্যান। আমার ছোটবেলা থেকে দেখতাম, আব্বু কৃষি কাজ করে। আবার কড়াত কাজ করতো,,, নাও বুঝতে পারেন,,, আসলে গাছ কাটার কাজ করতো, পাশাপাশি কৃষিকাজ করতো যা বেশিরভাগ ঐ বড় ভাই দেখাশুনা করতো, আব্বু অসুস্থ হলে পুরা পরিবার অসুস্থ হয়ে পরত - কারন তখন আব্বুই ছিল একমাত্র উপার্জন কারি,
যখন এই লোকটার যক্ষা দেখা দেয় আমাদের পুরা পরিবারে একটা ধস নামে,,, আমাদের খাবার নাই, এমন দিন যায় না খেয়ে, তখন এমন হয়েছে, কাকি জেডিরা যেই নষ্ট ভাত শুকাইতো ঐ গুলা খোজে আনতাম,, আবার ঐগুলা রান্না করে খাইতাম। তারপর ঢাকা চলে যাই, ঐখানে আব্বু অনেক যায়গায় কাজ করে, একদিন কাজ পাইতো আরেকদিন নাই,,, খেয়ে না খেয়ে দিন যাইতে লাগলো,,, তখন আমার বড় খালু কিছু টাকা দিয়া ২ টা চায়ের প্লাক্স কিনে দেয়,, তখন আব্বু হেটে হেটে ফুটপাতে চা বিক্রি করা শুরু করে । এর পর কিছু টাকা হলে বড় খালু আবার আব্বুরে ওনার কারখানার সামনে ছোট করে একটা টং তুলে দেয়। ঐটায় চা বিক্রি শুরু করি,, এরপর ঐ আমাদের সংসারটা একটু ভালো চলে,,,
#শিক্ষা_জীবনঃ
নিদিষ্ট বয়সে শুরু হয় আমার শিক্ষা জীবন। লেখা পড়াই সব সময়ই ভালো ছিলাম। ২০১২ সালে যখন ৫ম শ্রেণীতে পড়ি তখন বাবা আমাদের নিয়ে চলে আসেন ঢাকা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলায়।
সেবছর বছরের অর্ধেক চলে যাওয়াই আমাকে আর স্কুলে ভর্তি নেইনি, কারণ সেবছর সমাপনি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন করা হয় , যা আমার করা হয়নি। একস্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হওয়ার কারণে। এরপর ২০১৩ সালে আমি সমাপনি পরীক্ষা দেই।
তারপর আমি বাড়িতেই চলে আসি, ২০১৪ সালে গ্রামের "বহরী হাই স্কুল"এ ভর্তি হই। স্কুলের স্যারেরা সবসময় আমাকে অনেক স্নেহ করতো। পড়াশোনায় বিভিন্ন ভাবে হেল্প করত। নিদিষ্ট সময়ে ২০১৬ সালে "জে.এস.সি." পরীক্ষা দিয়ে নবম শ্রেণিতে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তি হই। অনেকেই নিষেধ করেছে যাতে এই বিভাগে ভর্তি নাই হই। প্রাইভেট টিউশন ইত্যাদিতে অনেক খরচ, কিভাবে সামলাবো। কিন্তু আমি পিছ পা হয়নি। এতে আমার হিসাববিজ্ঞান ম্যাম এই আমার মনে সাহস যুগিয়েছিলেন। তিনি বলতেন ক্লাসে তুমি মনযোগী হও প্রাইভেট পরতে হবে না। এভাবেই ২০১৯সালে "এস.এস.সি."পরীক্ষা দেই।
বর্তমানে আমি উক্ত বিভাগ এই এইচএসসি পরিক্ষার্থী
#স্কুলজীবন_এর_সৃতি :-
যখন মাধ্যমিক এর শিক্ষার্থী তখন একটা সরনীয় ঘটনা হলো, আমি কখনই কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এ অংশগ্রহণ করি নাহ । আমি যখন দশম শ্রেণিতে তখন মনে হলো একটা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা দরকার।
আমাদের আবার একটা অনুষ্ঠান আছে,,, ""যেমন খুশি তেমন সাঁজ"" আমি ভাবছি এটাতে অংশগ্রহণ করমু, যেই ভাবা সেই কাজ, আমি ও সাজবো, কী সাজবো বুঝতাছি নাহ,,, অতপর আমার একটা বন্দু বলল তুই মুক্তিযুদ্ধ নিয়া কিছু সাজ,,
পরে আমি সাজলাম, ""মুক্তিযোদ্ধা এখন ফকির"" সাজলাম ও সব স্যারদের ও অতিথিদের কাজ থেকে টাকা খুজছিলাম অনেকেই দিছিলো :- ৪২ ৳ পাইছিলাম । আমি তৃতীয় স্থান অধিকার করি, আর যে টাকা পাই ঐ টাকা দিয়ে বন্দুরা মিলে কিছু খাই।
✍️প্রকৃত ও ছোট। চাইলে সব পাওয়া যাই। আসলে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ বলে থাকে প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকরির অভাব হয় না। কই আমি তো ২০১৯ সাল থেকে সার্কুলার দেখে দেখে অনলাইনে আবেদন করতেছি। এই পর্যন্ত কয়টা আবেদন করছি ভুলে গেছি। গত ২ বছর যাবৎ করেই যাচ্ছি। কিন্তু, একটা থেকেও আমার কাছে কোন ফোন আসেনি, যে ইন্টারভিউ দিতে হবে বা পরীক্ষা দিতে হবে। তাই চাকরির আশা বাদই দিয়ে দিয়েছি। অবশেষে স্বপ্ন দেখি আমি একজন উদ্যোক্তা হব। স্বপ্ন অনেক আগে থেকেই দেখতাম, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়াতে অনেক উদ্যাক্তা ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি কারীর গল্প পড়তাম, তখন থেকেই নিজে কিছু করার ইচ্ছা জাগে।
⭕ অবশেষে উদ্যাক্তা হওয়ার লক্ষে গেল বছর শেষের দিকে ২০/১২/২০২০ ইং এ,। টিউশনি করে কিছু টাকা জামাই সেই টাকা এবং পরিচিত একজনের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে প্রোল্টি সেক্টর এ কাজ করার আশায় কিছু ব্রয়লার এর বাচ্চার অর্ডার দেই। আমাকে ব্রাওন কক এর বাচ্চা দিয়ে দেয়। তখন আমি চিনি না, কারন এই সেক্টর এ আমি নতুন। সমস্যা নাই পালতেছিলাম। হঠাৎ ৩৮ দিনের দিন একটা ভয়াবহ রোগ দেখা দিলে ঐ রাতেই ৫০% মুরগী মারা যায়, পরের দিন ডাক্তার আসে বলে বিক্রি করে ফেলতাম, এগুলার কোনো আশা নেই। ওজন তেমন ছিল না তাই কেউ নিল না। জীদ করে বাড়ির লোকদেরকে বিলিয়ে দিয়ে দেই। পরে ওনারা কিছু টাকা দেয়। যা একদম নুন্যতম ছিল।
⭕তখন প্রায় ৪০০০০৳ মতো লস হয় যা ছিল আমার ব্যবসায়িক মুলধন। এর মধ্যে ২৫০০০৳ ছিল ঋণ করা। এর পর ঋণের বোজা মাথায় নিয়ে আবার চাকরির দিকে ঝুকলে কোনো চাকরি পাই না। এই থেকে শুরু হল ফেসবুক, ইউটিউব গাটা গাটি বিজনেস আইডিয়া ধারণ করা। বিভিন্ন মোটিভেশনাল কথাবার্তা শুনি।
⭕হঠাৎ একদিন Firoj Mizi ( SF online shope ) ভাই এই গ্রুপে আমন্ত্রণ জানায়,,, এসে একটু গুরা গুড়ি করতে থাকি, অনেক ভালো লাগলো, একদিন রেজিষ্টশন এর পোস্টটি সামনে পরে, মনে হলো আমিও রেজিষ্টশন করে আজীব সদস্য হয়ে যাই,,,
যেই ভাবা সেই কাজ, রেজিষ্টশন করতে আমাকে সাহায্য করেছে,
Mezbah Ahamed (কৃষাণের হাসি এগ্রো) ভাই আর Younus talokder (দেশি মিঠাই) ভাই, তারপর শুরু হলো আমার জীবনে নতুন পথ চলা। তখন হঠাৎ একদিন স্বপ্নের মত স্যারের একটি ভিডিও আমার চোখের সামনে আসল, তখন থেকে স্যারের ভিডিও অনেক ভালো লাগতো, সেই ভিডিওটা ডাউনলোড করাছিল, বার বার দেখতাম,তারপর স্যারের সেশন গুলো অনুসরণ করতে লাগলাম।
✍️ #অনুভবঃ
প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে শুরু হল প্রিয় স্যারের প্রতি ভালো লাগা ভালোবাসা, প্রিয় ভাইয়া আপুদের প্রতি ভালবাসা, এই প্লাটফর্মের ভাইয়া আপুরা এতটাই ভালো, এতটাই আন্তরিক, তাদের সাথে কথা বলে মুগ্ধ হতাম। আমাদের প্রিয় স্যার সর্বদা একটা কথা বলেন, যে আমাদেরকে সবার আগে ভালো মানুষ হতে হবে, আমরা সবাই বুক ফুলিয়ে বলব, আমরা সবাই ভালো মানুষ, ঠিক তাই প্রিয় গ্রুপের সবাই আমরা ভালো মানুষ, আলহামদুলিল্লাহ। আমরা একে অপরের সহযোগী, আমরা কেউ কার ও ক্ষতি চাই না।
✍️ #গ্রুপে আসার আগেঃ
অনেক বড় বড় স্বপ্ন ছিল,
আছে, সেই স্বপ্ন অনুসারে গাইডলাইন আর সাহস পেতাম না, অনেক হতাশা, আর অনেক ডিপ্রেশন কাজ করত আমার মধ্যে। হেরে যাওয়ার ভয় থাকত, আমি কথা বলতাম পারতাম না কারো ও সাথে। এখন অনায়াসে আমি সবার সাথে কথা বলতে পারছি, যা আমার জীবনের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আমার অনেক রাগছিল সেটা কন্ট্রোল করতে পারতাম না। সেই আমি আজ স্যারের সেশন গুলোর মাধ্যমে নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে শিখেছি। কথায় আছে, রাগ করলেন তো হেরে গেলেন।আর আমি তো হারতে চাই না।
#গ্রুপে যুক্ত হবার পর আমার পরিবর্তন :-
সর্বপ্রথম আমি বলতে পারি যে আমি একজন ভালো মানুষ। কারণ প্রতিনিয়ত স্যার আমাদের কে শিখাচ্ছেন ভালো মানুষিকতার চর্চা। আমার স্বপ্ন অনুযায়ী হাঁটার সাহস পাচ্ছি, কাজ শুরু করার ভয়, হতাশা, ডিপ্রেশন এগুলো আমার জীবন থেকে মুচে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ। হতাশ কী সে জিনিসটাই আমি ভুলে গেছি। ব্যার্থ হলে মনে করি আমি তো এখন ও শুরুই করিনি। কোন জায়গায় ভুল আছে সেটা বের করে পুনরায় আবার শুরু করি। কারণ উদ্যােক্তা হতে হলে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। আর এভাবেই আমি পরিবর্তন হচ্ছি।
#গ্রুপ থেকে যা শিখেছিঃ
এই গ্রুপে এসে আমাদের সবার প্রিয় ইকবাল বাহার স্যার এর শিক্ষায় আমি এখন স্বপ্ন দেখতে শিখে গেছি। যে স্বপ্ন আমাকে ঘুমাতে দেই না। একজন সফল উদ্যোগক্তা হওয়ার স্বপ্ন আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে। স্যার এর সেশন গুলো পড়ে অনেক অনুপ্রেরণা পাচ্ছি যা আমি কোনো গ্রুপে পাই নাই। আমি নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি কারন আমি স্যার এর এক জন আজীবন ছাত্র।
#যা_শিখছি 👇
১|কি ভাবে একজন ভালো মানুষ হওয়া যায় তা প্রতিনিয়ত শিখছি?
২|কিভাবে নিজের পরিচয় তৈরি করতে হয়।
৩|যে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে তা থেকে কিভাবে সমাধান বের করতে হয়।
৪|নিজেকে একজন সৎ ও ভালো মানুষ হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
৫|কিভাবে সব সময় পজিটিভ থাকা যায়।
#যা_পেয়েছি :-
১. এ গ্রুপ থেকে আমি একটা ভালো মানুষের পরিবার পেয়েছি।
২. হাজার হাজার ভাই বোন পেয়েছি।
৩.নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
৪. স্যরের মতো সুযোগ্য ব্যাক্তির সান্নিধ্য পেয়েছি।
৫. শিখে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
⭕এই গ্রুপ থেকে কি শিখছি,,কি পেয়েছি তা লিখে শেষ হবে না। শুধু বলতে পারি আলহামদুলিল্লাহ যা পেয়েছি সবই আল্লাহর রহমত ও মা-বাবার দোয়ায় পেয়েছি।
🍁🍁এখন আমার জীবনে একটাই লক্ষ্য একজন সফল উদ্যোগক্তা হিসেবে সবার সামনে নিজেকে পরিচিত করব এবং নিজের জেলাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করব ইনশাআল্লাহ।
🤲🤲সবাই সবার জন্য দোয়া করব।
লিখায় ভুল হলে ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
🌷শেষান্তে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনারা যারা এতক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে আমার লেখাটা পড়েছেন, প্রিয় ভাই ও বোনেরা আমি স্বপ্ন দেখি একটি সুন্দর আগামীর......
🌄আমার জীবন চলার পথে আপনাদের দোয়া ভালোবাসা এবং সাপোর্ট আমার ভীষণ প্রয়োজন, আশা করছি ভালোবেসে পাশে থাকবেন সবসময়, পরিশেষে আপনাদের সবার সুন্দর ও সুখি জীবন কামনা করে সুন্দর হোক আপনাদের সবার আগামী জীবনের প্রতিটি দিনের প্রতিটি ক্ষণ, শুভ কামনায় আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি, ভালোবাসা অবিরাম...
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৯০
Date:- ০৬/০৮/২০২১
@ধন্যবাদান্তে@
নামঃ- মোঃ নাহিম গাজী
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর গর্বিত সদস্য
রেজিস্ট্রেশন নাম্বারঃ- ৫৭৩৯০
ব্যাচঃ- ১৩
রক্তঃ- এ প্রজেটিভ (A+)
জেলাঃ- চাঁদপুর
উপজেলাঃ- মতলব দক্ষিণ
মোবাইলঃ- 01878026932
ইমেইলঃ- nahimgazi993@gmail.com
🔰মুলধন, সঠিক সিদ্ধান্ত ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে এখনও কাজ শুরু করতে পারি নী।
ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই আমি আপনাদের সহ যোদ্ধা হিসেবে আসবো।