মরে যাওয়া কোন সমস্যার সমাধান নয়, বরং বেঁচে থেকে সমস্যা সমাধানের লড়াই করে যাওয়াটাই জীবন।"
আস্সালামুআলাইকুম।
সমম্ত প্রশংসা আল্লাহ্র ।
#উদ্যোক্তা_হয়ে_উঠার_গল্প
👉"মরে যাওয়া কোন সমস্যার সমাধান নয়, বরং বেঁচে থেকে সমস্যা সমাধানের লড়াই করে যাওয়াটাই জীবন।"
🎯সময়কে মানিয়ে নিয়েছি উদ্যোগ জীবনের সাথে। কারন এই সময়ের সাথে জড়িয়ে আছে নানা জড়তা।
স্বপ্ন ছিলো ব্যাংক জব করবো, সেভাবে নিজেকে তৈরিও করেছি, কিন্তু বাচ্চাদের কথা ভেবে আর করা হলো না।
একটা সময় এসে জীবনের কঠিন সময়গুলো আমাকে খুব ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিলো, আমি কে? আর চেনা মানুষগুলো হয়ে গেলো অচেনা। যেন কোন অন্যায় তাদের কাছে বাঁধা নেই, আমাকে নিশ্চিন্ন করতে। অন্যায়ের প্রতিবাদ যেন হিংস্র করে দিচ্ছে তাদের।
কিছুতেই সুখ যেন সহ্যই হচ্ছে না। চারদিকে শুধু অন্ধকার, মনে হয় যেন মরেই শান্তি। তাতেই দেখি তারা আরো মহাখুশি। এতটুকু ভাবতে নারাজ তারা অবুঝ শিশুদের কি অপরাধ!! ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। মাথাটা যেন বালিশে দেয়াটা ভীষণ যন্ত্রণার। বাঁচবো কি মরবো এটাই ছিলো মাথার ভিতর। তখন শুধু মহান আল্লাহ্কে সিজদায় বলতাম.... হে আল্লাহ্ আমার জন্য তুমিই যথেষ্ট। হাজার মানুষ সেখানে তুচ্ছ।
এরপর থেকে কেন জানি, আমার ক্ষতির মধ্য দিয়ে উল্টো উছিলা তৈরি হলো উদ্যোক্তা হওয়ার। (আলহামদুলিল্লাহ্) তখন সুযোগ ও অনুপ্রেরণা এ দুটো কাজে লাগাই। আস্তে আস্তে হতাশা দূর হতে থাকে। শুরু করে দিলাম কাজ।
রান্না যেহেতু ভালো পারি সেটা নিয়ে শুরু হলো যাত্রা। মোটামোটি ভালো চলছিলো ,হঠ্যাৎ করোনায় প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়াতে, বিক্রি কমে গেলো। রান্নাঘরে বেশিক্ষণ থাকলে অসুস্থ হয়ে যাই।
পাশাপাশি বেবি কাঁথারও কাজ চলছিল। নানান ঝামেলায় সেটাও বন্ধ।
তখন আরো খারাপ লাগা বেড়ে গেলো। না থামিয়ে থাকা সম্ভব নয়, আমাকে বাঁচতে হলে কিছু একটা করতে হবে। মাথা আইডিয়া আসলো চারদিকে ভেজাল, আমাকে মানুষের সেবা করতে হবে খাঁটি পণ্যের মাধ্যমে। শুরু করে দিলাম মশলা নিয়ে কাজ।
দেখি এই ব্যবসায় ভালো সাড়া পাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ্
এটাকে ধরে রাখার চিন্তা, বেড়ে গেলো রিপিট ক্রেতা।
সবাই যেন আমাকে ভরসা করছেন খাঁটি পণ্যে। ধীরে ধীরে ব্যবসাটা বাসায় বসে একটু বাড়াতে থাকি কিছু ফুড আইটেম নিয়ে। সেটাও ক্রেতার বিশ্বাসযোগ্য। সব মিলিয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস আরো দৃঢ় হলো। শুকরিয়া
এই সবকিছুতেই পরিবারের সাপোর্ট ছিলো আমার জন্য বড় হাতিয়ার। আর এর পেছনে সবচেয়ে বিশেষ ভূমিকা দুই চারজন মানুষের, যেটা উঠে আসুক কখনো আমার সফলতার গল্পে। ইনশাআল্লাহ্
কাজে এখনো কিছুটা বাঁধা পাই মাঝে মাঝে। তারপরও থেমে নেই। চালিয়ে যাচ্ছি মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে। আমার উদ্যোগ জীবনের ১বছরে আমি ঘরে বসে মশলা ও ফুড আইটেম বিক্রি করেছি প্রায় ২লাখ ৩০হাজার টাকার উপরে ও অর্ডার কমপ্লিট করেছি ৩৩৫টি। রিপিট ক্রেতারা আমাকে এ সাপোর্টগুলো দিয়ে যাচ্ছেন। আলহামদুলিল্লাহ্
👉তবে এখানে আমি গল্প বলতে গেলে সবকিছুর জন্য "নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশন" প্লাটফর্ম ও জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার ছিলো আমার জন্যে খুব অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ। যার উছিলায় হাজার উদ্যোক্তা তাদের জীবনকে বদলাতে পেরেছেন খুব সুন্দরভাবে। আলহামদুলিল্লাহ্
এখন শুধু এটুকু ভাবি আমাকেও বাঁচতে হবে অনেকের মাঝে ও অনেকের জন্য। লড়াই করে যেতে হবে আমার আত্নসম্মানের জন্য৷ এখন এটাই আমার মূল লক্ষ্য। ইনশাআল্লাহ্
এ প্লাটফর্মে আসার পর স্যারের প্রতিটি দিক নির্দেশনা আমার সাহস ও আত্নবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দেয় দিগুণ৷ তার মধ্যে ধৈর্য্য, জেদ, সততা ও আত্মবিশ্বাস এটা আমার মধ্যে কাজ করে বেশি৷
এখানে এসে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি৷ অনেক ভাই বোনদের মাঝে কথা বলার সাহস পেয়েছি৷ সেশনচর্চা ও মিটআপে নিজে উপস্থাপনা করার সুযোগ পেয়েছি৷ কথা বলার জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারছি কিছুটা৷ অনেক দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাচ্ছি৷ এভাবে সবার মাঝে আমার পরিচিতি বাড়ছে৷ এই গ্রুপের অনেকে আমাকে মানসিক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন৷ এখন আমার কাছে নিজেকে একা ও অসহায় মনে হয় না৷
গল্পটা অনেক বড়। তারপরেও অনেক যুদ্ধকাহিনী ধমে রেখেছি সফল হওয়ার অপেক্ষায়। আমি চাই আমার গল্প পড়ে, আপনারাও হতাশা থেকে বের হয়ে নিজের জীবনটাকে গুঁছিয়ে নেন এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে। যেখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এখানে ভালো মানুষের চর্চা হয় ও আত্নসম্মান বৃদ্ধি পায়৷ জাজাকাল্লাহ্ খাইরান
👉"আপনি যখন কষ্ট পাবেন, তখন সেই কষ্টকে প্রেরণায় রূপান্তরিত করার চেষ্টা করুন, হাল ছাড়ার কারণ হিসেবে নয়।"
🤲আর সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন ব্যবসায়ের মাধ্যমে সবাইকে সেবা দিতে পারি ও সফল ব্যবসায়ী হতে পারি ৷ আমিন
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৯০
Date:- ০৬/০৮/২০২১
🔸আমি জান্নাত লুবনা। কাজ করছি ঢাকা মালিবাগ থেকে ফুড ও মশলা নিয়ে।
🔹সত্ত্বাধিকারীঃ লুবাস
নাম : গোলে জান্নাত লুবনা
ব্যাচ নং : ১২
রেজিস্ট্রেশন নং : ৫৩১৭১
জেলা : ফেনী
বর্তমান অবস্থান :মালিবাগ ,ঢাকা
রক্তের গ্রুপ : এ পজিটিভ
https://www.facebook.com/LoobusFood