স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজের সাথে আঠার মতো লেগে থাকতে চাই।
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজের সাথে আঠার মতো লেগে থাকতে চাই।ইনশাআল্লাহ!! আমি পারব। আমাকে পারতেই হবে।
🌸👉👉 সম্মানিত বন্ধুগণ আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাস্তব জীবনের গল্প শেয়ার করব।👇👇
আমি ফারজানা উর্মি বিনতে ফায়েজ।
ব্যাচ নং ঃ ১৫;
রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ঃ ৬৯১৪৭;
জেলা ঃ নরসিংদী।
😐স্বভাবে ঃ
পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো পড়াশোনা দায়িত্বশীল না হলেও মেধায় পিছিয়ে ছিলাম না।সমমেধার অধিকারী হলেই কি হবে,, যেমন কর্ম তেমন ফল,,।তাই রেজাল্ট বরাবরই খারাপ হয়।স্বাভাবিক!! স্বভাবে মেয়ে আমি খুবই দুরন্ত ও প্রাণবন্ত।
-------- পথ চলা --------
"" ছুটছি আমি থামায় কে""
সেই দুরন্তপনা দিয়ে কেড়েছি হাজারো মানুষের স্নেহ ও ভালোবাসা। সেলিব্রেটি বললেই ভালো হবে😜।অশ্লীল চলাফেরা দিয়ে নয়।বরং ভদ্রতা,নম্রতা, সারল্যতা, দুরন্তপনা দিয়ে। একটু বেশিই প্রাণবন্ত ছিলাম বলতে পারেন। মেয়ে আমি সুন্দরী না তাদের তাকানোর চোখটি হয়তো অবাক।ছোট থেকে বড় আমার প্রতি সকলের আদর,স্নেহ ও ভালোবাসার গল্প যে কতো তার কোন ইয়ত্তা নেই।
🤲বাবা-মার স্বপ্ন ঃ
সব বাবা-মার স্বপ্ন হয়তো থাকে না- তার প্রথম সন্তাম মেয়ে হোউক, হয়তো অনেকর থাকে অনেকের থাকেনা। বাট আমার বাবা-মার স্বপ্ন ছিল তাদের প্রথম সন্তান হউক মেয়ে। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় বাবা মায়ের প্রথম সন্তান হয়েছে ছেলে। ভেবে ছিলো পরের জন হবে,, মেয়ে,, তাও হলো না। বাবা ভেবেছিলেন তৃতীয় সন্তান মেয়ে হবেই হবে । বাবা পেশায় একজন ডাক্তার। তাই ওনার কাজের খাতিরে যেখানেই যেতেন মাদ্রাসা, মসজিদ দেখলেই দান- সদকা করতেন "" আল্লাহ যেনো তাকে একটা কন্যা সন্তান দান করেন। অপরদিকে মা মনে মনে প্রতিজ্ঞা নিলেন,, যদি এবারো ছেলে হয়,, তাহলে মাদ্রাসায় পড়াবেন।আলহামদুলিল্লাহ! ভাই হাফেজ হয়েছেন খুব অল্প বয়সেই। ছেলে হওয়ায় বাবা আমার হতাশ হয়ে গেলেন,,,, কাকি মনি,জেঠী মনিদের কাছে বলতে লাগলেন। আমার মনে হয় আর মেয়ে হবে না। তারপর চতুর্থ সন্তান আমি জন্ম গ্রহণ করি । বুঝতেই পারছেন আনন্দ,,,,কেমন হবে,,, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস যেখানে আনন্দ উল্যাসে মেতে থাকার কথা কিন্তু সেই আনন্দ ভোগ করার সৌভাগ্য আর হলো না। কারণ মা আমার মৃত্যু পথযাত্রী। আনন্দ টা চরম কষ্টে পরিণত হলো। বেশ কয়েক দিন পর মা কিছুটা সুস্থ হলেন ; তখন মায়ের কাছে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়।মা খুশিতে আত্মহারা,,,যারাই আসছিলেন সবাইকে বলতে লাগলেন দেখো আমাকে আল্লাহ একটা ফুটফুটে মেয়ে দিয়েছেন । আমি নাকি খুবই সুন্দর হয়েছিলাম । যেমনটা সব বাচ্চারা হয়,, আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। দাদির বাড়ি, নানির বাড়ির সবার ছোট ও তিন ভাইয়ের এক বোন আমি বেশ আদরেই বেড়ে উঠছি। আদর ভালোবাসার কোন কমতি ছিলো না।
👩🦳স্কুল জীবন ঃ
বড় ভাই সন্ধ্যায় যখন পড়তে বসত আমি পাশে দাঁড়িয়ে দেখতাম ও শুনতাম। তখন ছোট ছিলাম - কিছুই বুঝবো না এটাই স্বাভাবিক। বয়স তখন চার বছর । ভাইয়াকে বলতাম ভাইয়া আঙ্গুল ধরে ধরে একটু পড়ো না আমি দেখবো। শুধু দেখতাম,,,,
বুজতাম না কিছুই। বর্ণমালা সব পারি। ভাইয়ার পড়া দেখে মনে হলো এই পড়া দিয়ে হবে না। ভাইয়াদের মতো রিডিং পড়ব। তাই একদিন মাকে বললাম মা আমাকে রিডিং পড়া শিখায় দাওনা । মা """ আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ """ বানান করে বলে দিলো। ব্যাস,, আমি শিখে গেলাম। বানান করে পড়িনি; সরাসরি রিডিং পড়ে ফেললাম। মাও খুশি আমিও খুশি। ভাইকে যেয়ে বললাম ভাই আমি তোমাদের মতো পড়তে পারি।আনন্দে লাফালাফি!! ভাই বলল --তাই নাকি। আমি বললাম 'ইয়েস'। ভাই আমাকে একটা যুক্ত বর্ণ দিয়ে বলল এটা পড়তো।সেটাও বলে ফেললাম। তাই বাবা মা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিলেন স্কুলে ভর্তি করাবেন। পরের দিন বাবা স্কুলে নিয়ে গেলেন ভর্তি করানোর জন্য। স্কুলে গেলাম,,,,স্যার বললেন ভর্তি করানো যাবে না। প্রথমত আসন্ন বার্ষিক পরীক্ষার ২২ দিন বাকি।দ্বিতীয়ত আমার বয়স খুবই কম।বাবা বললেন পরীক্ষা দেওয়াবেন না,,, শুধু স্কুলে আসা যাওয়ার অভ্যস্ততা আনানোর জন্য অনুমতি দিতে। আমার প্রথম ইন্টারভিউ। স্যার আমাকে বাংলা রিডিং পড়তে দিলেন ; বেশ পড়লাম। তারপর দিলো গণিত ;২+২ এর যোগফল বলতে।যোগ- বিয়োগ তো শিখিনি।বুদ্ধি খাটিয়ে আঙ্গুলে গুনে বলে দিলাম ৪।যদিও এখনো সবাই আমাকে গণিতের জিনিয়াস ডাকে। এবার ইংরেজি,,,, দিলো রিডিং পড়তে। কিভাবে বলি ; পারি না যে।লেখাটার উপর আঙ্গুল রাখলাম,,, ৩০ সেকেন্ডের মতো চুপ ; তখন স্যার বললেন what আমি বলতে শুরু করলাম...
what is your name?
স্যার আবার বললেন my; আমি আবার বলতে শুরু করলাম....My name is Urmy.
যা কিনা বড় ভাই বাড়িতে পড়াইতো।মজার বিষয় হলো সেখানে এটাই লেখা ছিলো।শুধু Urmy জায়গায় Tina ছিলো। বেশ ক্লাস করার অনুমতি পেলাম। ক্লাস করি কিন্তু আমার রোল কল করে না। বাড়িতে এসে কান্নাকাটি,,,, সবার রোল কল করে আমার রোল কল করে না। পরের দিন বাবা গেলেন ; আমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য যেন একটা রোল দেন। একান্ন জন স্টুডেন্টের পর আমার রোল বায়ান্ন দিলো।২২ দিন অতিবাহিত হলো ; পরীক্ষায় ও অংশগ্রহণ করে ফেললাম। স্যাররা ও কিছু বলেন নি। উত্তীর্ণ হলাম অষ্টম স্থান অধিকার করে। সেই থেকে স্যারদের খুব আদরের হয়ে উঠি। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ১ম কিংবা ২য় ছাড়া কখনো ৩ য় হইনি।কিভাবে হতাম জানিনা ; পড়াশোনা কিন্তু করতাম না। ফাকিবাজতে যার মন।ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে ২০ এর ভিতর থাকতাম। যা আমার পরিবারে একেবারেই বেমানান। সবাই ফার্ট গার্ল,ফার্স্ট বয়,, আমি ২০ এর ভিতর 🤦♀️।।
🙍♀️কলেজ জীবন ঃ
ফাকিবাজি আরো বেড়ে গেলো।বাসা ভাড়া করে থাকি,,আহা কি আনন্দ!! পড়তে বলার কেউ নাই। কলেজ টু বাসা, বাসা টু কলেজ।মাঝখানে শুধু খাওয়া ঘুম।আঙ্কেল পেশায় এডভোকেট। ওনার বাসায় ভাড়া থাকি।দুরন্ত প্রকৃতির হওয়ায় খুব আদর করতেন। মেয়ে বলে ডাকতেন।আন্টিও সেইম ; তবে কলেজ থেকে ফেরার পর বাসায় এসে প্রায়ই দেখতাম আন্টি দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন।এবং আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতেন আমার যদি বড় ছেলে থাকতো কখনো যেতে দিতাম না।আসলে যখন কলেজে থাকতাম ওনি আমায় মিস করতেন তো,,, তাই বলতেন।বাসার পাশেই ছোট বাচ্চারা খেলতেন,, ,, আমি তাদেরকে বন্ধু বলে ডাকতাম।মাঝে মাঝে খেলতাম ও বটে।এদের কারো বয়স ৪,কারো ৫, কারোর আবার ৬। এর চেয়ে বড় হবে না।আমার সাথে তাদের আড্ডাটা বেশ ভালোই জমতো।আস্তে আস্তে এই দুরন্তপনার জন্য আশেপাশে সবার খুব পরিচিত ও আদরের হয়ে উঠি। কিন্তু রেজাল্ট 🤦♀️।এই নিয়ে আমার কোনো আফসোস ও নাই।
যাইহোক এডমিশন টেষ্টের জন্য চট্টগ্রাম যাই।এখানে এসেও স্যারদের খুব আদরের হলাম।স্যারের ভাষ্যমতে,,,, আত্মার সম্পর্ক ছিলো।। প্রথম দিকে পড়াশোনা খুব মনোযোগী হলেও রেজাল্ট পাবলিশ হওয়ার পর আর ছিলাম না। কারণ রেজাল্ট খারাপ হয়েছে,,,,, তাই।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খুব ইচ্ছে ছিলো। রেজাল্ট কিন্তু খুব খারাপ না। কিন্তু একটা সাবজেক্ট খারাপ হওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারবো না। তাই কষ্টে আর পড়ি নি। তখন স্যারের কথা খুব মনে পড়ছিলো,,, স্যার বলতেন সময়কে যে গুরুত্ব দিচ্ছ না একদিন তার মূল্য দিতে হবে।তখন বলতাম কি বলে স্যার মেধায় কি খারাপ নাকি,,, পড়লেই পারবো।অহংকার নয়! পড়াশোনা ভালো করলেও কি হবে,,,, ফর্ম নেওয়ার যোগ্যতাই তো নাই। চট্টগ্রামেও পড়বো না,,, কারণ ভার্সিটির প্রফেসরের সাথে বিয়ের কথা চলছে।অপেক্ষার প্রহর গুনতাম বাড়ি যাবো কবে। বাড়ি গেলে আর আসবো না। চট্টগ্রাম ভার্সিটিতেও পড়বো না,,,বিয়ে তো দূরের কথা। ঢাকাতে আর কোথাও ট্রাই করি নি। প্রথমমতো ভালো করে পড়াশোনা করি নি ; দ্বিতীয়তো ভুল সিদ্ধান্ত। সেই আর কি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে হলো।
✊✊কষ্টের পরই স্বস্তি ঃ
ইউনিভার্সিটিতে পড়ি। প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে উন্নিত হওয়ার ঠিক পরপরই,,,,, সময়টা ২০২০ সাল।২০ এ বিষাক্ত করে দেয় জীবনের চরম বাস্তবতা। মানবের রূপ ধারণকারী দানবের সংস্পর্শে। আপন হয়ে যায় পর।যারা কি আমার প্রতিবেশী , বন্ধু, ভাই-বোন , আত্নীয় - স্বজন সব ছিলো। আমার পৃথিবী। আমার কলিজার টুকরো নয়,,,কলিজা।সেই মানুষটাই আমার কলিজাকে টুকরো টুকরো করে দিলো।হতাশ হয়ে যাই, আর্তচিৎকারে বাতাস বিষাদময় হয়ে যায়। """"" রক্তের বন্ধন কোন রাসায়নিক বন্ধনে আবদ্ধ ; যা শুধু আমাকে কাদায়। কোন কোন মৌল দিয়ে গঠিত ; চাইলেও ছেড়ে যাওয়া যায় না। সত্যিই কি জীবন সঙ্গী পেলে বদলে যায়। এমন হাজরো প্রশ্ন,,,,, মনের ভেতর লড়াই চলে উত্তর খুজতে খুজতে। বুকের ভেতর জমে থাকা কষ্টগুলো কখনো ভেজা বালিশে ঘুমোতে বাধ্য করে।কখনো বা মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে হৃদয়টা ক্লান্ত করে তুলে।কষ্টগুলো যদি কাগজ হতো পুড়িয়ে ছাই করে দিতাম। কিন্তু কষ্টগুলো হলো আগুন যা আমাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে। আগের সেই প্রাণবন্ত মেয়েটা কেমন যেনো বাকশক্তিহীন হয়ে গেছে। সবকিছু হয়ে যায় নিঃপ্রাণ। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা। এভাবে দিন, সপ্তাহ, মাস চলে ফলাফল একই।বাবা-মার পেরেশানির শেষ নেই,,,, পেরেশানি থেকে দিন দিন অসুস্থতা বেড়েই চলেছে। কিন্তু আমি বুঝাতে পারছিলাম না এই স্বার্থপরতা আমি মেনে নিতে পারছিলাম না। সবার আদরের সেই মেয়েটা যাকে কিনা ( আপন কিংবা পর) কেউ কখনো আদরমাখা ব্যবহার ছাড়া কষ্ট দেয় নি। সেই মূহুর্তে বন্ধুর ( আল্লাহর) সহায় নিরাশার মহাসাগরে পাড়ি জমানো পরিবর্তে জীবনকে পরিবর্তন করতে শিখে যাই। নিজেকে কথা দেই,,,, """" Me""""
I wish i will be happy oneday.insaallah!
Nor was this life end.
I will never forget you.
Remember that,,, I love you so much.
একা চলতে, নিজের দায়িত্ব নিতে শিখে যাই। হয়ে উঠি আত্মনির্ভরশীল। নিজেকে নানান বিদ্যায় পারদর্শী করা শুরু করি।লক্ষ্য Do or Die.যা কিনা পূর্বে ভাবনা নামক জগতের বহির্ভূত ছিলো। হুম,,,স্বপ্ন ছিলো মানবিক কাজ করার।তা অবশ্য গাছ হওয়ার পরিবর্তে লতা হয়ে। সেই যে পরিবার। আসলে আমরা আগে থেকে যা ভেবে রাখি তা সব সম্ভব হয়ে উঠে না। আমাদের ভাবনা চিন্তার বাইরে ও আরো কিছু ভাবনা চিন্তা চলে আসে। কেননা আমাদের ভাবনা চিন্তার জগৎটা যে দুর্বল ও ভঙ্গুর বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে টইটুম্বুর। হতাশা একটা বিলাসিতা। হতাশার জায়গা দখল করুক কাজ শেষে তৃপ্তিমাখা ক্লান্তি। আজ লতা হয়ে উঠতে চাই না। ছোট হই বড় হই গাছ হতে চাই। পাহাড়ের চূড়ায় উঠে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে হলে স্লিপ খেতেই হবে। স্লিপ খেয়ে পড়ে গেলেও আবারো উঠে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাবো। ইনশাআল্লাহ!! কেননা দৃশ্যটা শীর্ষেই সুন্দর। সাফল্য ঘটে না ঘটাতে হয়।
✍️✍️আমি মনে মনে ভাবলাম এই পৃথিবীতে আল্লাহ হচ্ছে আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে চলার প্রত্যয় তৈরী হয় মনের ভিতর। ভারসা এক মাএ (আল্লাহর পর)আর নিজের উপর । যদি আমাকে আমি ছেড়ে চলে যাই ,,বিশ্বাস করুন কেউ আমাকে আগলে নিবে না। হতাশার মূহুর্তে নিজেকে নিরাশার সাগরে না ডুবিয়ে সুখের সন্ধান করেই সাফল্য অর্জন করতে হয় । নিজের স্বান্তনাকারী নিজেই হয়ে উঠি । কবির ভাষায় বলতে হয় -------
"""" দৈন্য যদি আসে আসুক লজ্জা তাতে কি
সুখের সাথী মুখের পানে যদি নাহি চাহে,
ধৈর্য্য ধরে থাকিস।
আকাশ যদি মাথার উপর ভেঙে পড়ে বজ্রপাতে,
উর্ধ্বে দু হাত বাড়াস।।"""
আমি মনে করি নিজেকে সুখী রাখতে পারলে । অন্যকে ও সুখে রাখা সম্ভব । প্রথমে নিজের অসহায়েত্বের পাশে নিজে দাড়াতে হবে ,,তবেই না অন্য কারো অসহায়েত্বের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ হবে।
# # আল্লাহ বলেন সেই ব্যাক্তির ভাগ্য ততক্ষণ বদলাবে না যতক্ষণ না সে নিজেই নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করবে।
## আল্লাহ সৃষ্টির সেরা ৭ টি সৃষ্টির কসম খেয়ে বলেছেন,,,,,সে ব্যাক্তি সফল হবেই যে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের নিরন্তর চেষ্টা করবে। হতাশা নয়; সময় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাওয়া ,,,, স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন,শুরু করুন এবং লেগে থাকুন সাফল্য আসবেই । প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যাররে চরম একটা বানী।
## পৃথিবীতে তিন শ্রেণীর মানুষ আমরা বসবাস করি।
1: Director.
2: Actor.
3: viewers.
হয় আমরা Director হয়ে বাঁচবো, না হয় Actor হয়ে, না হয় viewers হয়ে।
## জীবন একটা রহস্য ------
উন্মোচন করা প্রয়োজন ।
👩উদ্দেশ্য উদ্দোক্তা হওয়ার। তবে মূল লক্ষ্য সেই পবিত্র সত্তার সন্তুষ্টি। যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, লালন পালন করছেন,আমার জীবনের মহান সঙ্গী হয়ে আমাকে নিরাপদে রেখেছেন। আমার অন্তরের একমাত্র ভালোবাসা যিনি।
## যখন আমি হতাশায়, তখন বাসার সবাই বিয়ে দেওয়া নিয়ে ব্যাস্ত।বাবাকে বলেছিলাম বাবা আমি অনার্স কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করবো না। আরো বলেছিলাম যদি (আল্লাহ না করুন) এর মধ্যে আপনার কিছু হয়ে যায় তাহলে আল্লাহর কাছে দোয়া করে যাবেন,,,, আল্লাহ যেনো আপনার অভাব আমাকে পূর্ণ করে দেয়। নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নির্ভরযোগ্য কোনো ফাউন্ডেশনের খুজ করতাম। নির্ভর কিংবা সাহস করতে না পারায় প্রভুর দরবারে প্রার্থনা ছিলো """ হে আমার অন্তর্যামী!! যদি আমাকে কবুল করে থাকো তাহলে আমার জন্য এই পথ উন্মুক্ত করে দাও। """ হঠাৎ একদিন উন্নত প্রযুক্তির ছোয়ায়
#নিজের বলার মতো একটি গল্প--
ফাউন্ডেশনের সন্ধান পাই। মনে এই বুঝি আমার প্রভু আমার দোয়া কবুল করেছেন।বাবাকে বলা সেই কথা ------ মনে হলো পৃথিবীতে বাবার পর আরেকটা বাবা পেয়েছি। যার উপর আস্থা রাখা যায়, যেখানে কিনা মেয়েদের নিরাপত্তার কঠোর বিধান রয়েছে। তাই নির্ভর করে পারায় সদস্য হলাম। আজ সপ্তম দিন। যে সব হারিয়ে আল্লাহকে পেয়েছে সে যেনো সব পেয়েছে।গর্বিত এমন একটা পরিবার পেয়ে,এই পরিবারের সদস্য হতে পেরে। স্যারের সঠিক দিকনির্দেশনায় নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাবো। ইনশাআল্লাহ!! সফলভাবে ব্যার্থ হলেও আবারো উঠে দাড়াবো স্যারের অনুপ্রেরণায়।✊
🙋♀️নিজের বলার মতো একটি গল্প--- ফাউন্ডেশনের শিক্ষা হচ্ছে,নিজেকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। """ জীবনে একজন ভালো মানুষ হয়ে বেচে থাকার কোনো বিকল্প নেই।তার পাশাপাশি আমাদের জীবন- জীবিকার জন্য প্রতিদিনই কর্ম করতে হয়।সেটা হতে পারে চাকরি হতে পারে বিজনেস।উদ্দোক্তা গড়ার কারীগর আমাদেরকে শিখাচ্ছেন কীভাবে একজন সফল উদ্দোক্তা হওয়া যায়।
এই কয় দিনে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের প্রেমে পরে গেছি। সব সময় এই পরিবারের সাথে থাকতে চাই,,, আপনাদের সকলের সহযোগিতা,,,,, নিজের বলার মতো একটা গল্প নিজের জীবনে তৈরী করতে চাই, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমার উপর সহায় হন।
সন্মানিত প্রিয় প্লাটফর্মের প্রিয় বন্ধুগন আপনার ব্যস্ত সময় থেকে কিছু সময় নিয়ে এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে আমার এই বাস্তব জীবনের গল্পটা পড়ার জন্য আপনার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
পরিশেষেঃ-
আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো,, আপনারা যেখানে থাকেন যেই অবস্তায় থাকেন ভালো থাকবেন সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন,,, নিজের পরিবারের সদস্যদের খোজ-খবর নিবেন। আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্যে ও নিরাপদ জীবন কামনা করছি।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৯০
Date:- ০৬/০৮/২০২১
ধন্যবাদান্তে
ফারজানা উর্মি বিনতে ফায়েজ।
ব্যাচ নংঃ 15
রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ঃ 69147
জেলা ঃনরসিংদী