মানুষ চাইলে এমন কিছু নাই যা মানুষ করতে পারেনা। এই ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে তা প্রতি পদে পদে বুঝতে পারি,,
বিসমিল্লাহীর রহমানির রাহীম
"আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় ফাউন্ডেশনের প্রিয় ভাই বোনেরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি সকলে যেখানে আছেন নিরাপদে আছেন,ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ,, আমিও ভালো আছি। শুকরিয়া মহান আল্লাহ'তায়ালার প্রতি। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, এবং এই করোনা মহামারীতে ও ভালো রেখেছেন, সুস্থ রেখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ 🤲
হাজার দরুদ ও সালাম মুসলিম জাহানের নেতা হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি। অসংখ্য ধন্যবাদ আর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর ও লাখো তরুণ তরুণীর আইডল জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার এর প্রতি। যিনি নিজের কথা না ভেবে শুধু আমাদের কথা ভাবেন। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ আমরা উদৌক্তা হওয়ার পথে হাটছি,, চির কৃতজ্ঞতা জানাই সেই মহান ব্যাক্তির নিকট,,, ♥️♥️
***** জীবনে সফল হতে চাইলে সকল ক্লান্তি পায়ে ঠেলে, শুরু করবো নতুন করে *****
🌼🌼 আমার জীবনের কিছু কথা 🌼🌼
প্রত্যকটা মানুষের মধ্যে কোন না কোন প্রতিভা থাকেই এবং প্রত্যকের থাকে জীবনের গল্প,,, তেমনি আজ আমি আমার জীবনের গল্পটা ছোট পরিসরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি,,
★★ প্লিজ একটু সময় নিয়ে আমার জীবনের গল্পটা পড়ার বিনীত অনুরোধ রইল,,
আমি সেই ছোট্ট বয়সে ছিলাম বুদ্ধিমান, অল্পতেই কান্না ধরতাম। কিছু মিঠাই দিলেই অফ, শেষ হলেই আবার শুরু। ছিলাম অনেক লাজুক। বাড়িতে কোন মেহমান আসলে কখনো তাদের সামনে যেতাম না। আমি ছিলাম কাজ চোরা। ছোট্ট বয়সে কাজ করা ভালো লাগতো না। তার উপরে আমার ছিলো প্রচুর রাগ।
আমার বাবা ছোট থাকতে তখন তাকে জমি দেবে, টাকা দিবে - এই বলে আমার এক জেষ্ঠো ও ফুপিরা তার লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে তাকে সংসারের দায়িত্ব দেন। আমার বাবারা ছিলো ৬ ভাই ৫ বোন। বাবা নাকি লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন,, উনার নাকি বাহিনীরও চাকরি হয়েছিলো। অনেক ভালো কাজের সুযোগ এসেছিলো অনেক বার। কিন্তু আমার জেষ্ঠো দাদাকে ভুলভাল বুঝিয়ে চাকরীতে যেতে দেন না।। আমার বাবা অনেক সহজ সরল ছিলেন।। তাই উনার উপর সকলেই চালাতো তাদের ক্ষমতা। একটা কথা আছে "মানুষ নাকি শক্তের ভক্ত, নরমের জম" ঠিক সেই রকম সংসারের হাড়ভাঙ্গা খাটুনি করেও তিনি তার লেখাপড়া চালিয়ে যান এবং উনার উপর জুলুম চালিয়ে আমার জেষ্ঠো শিক্ষকতা পেশা লাভ করেন। পরে প্রধান শিক্ষের দায়িত্ব পান তারপর তিনি আর কথা রাখেন না। এমনকি তিনি স্কুলে আমার বাবার ৪র্থ পোস্টের কর্মচারীর সুযোগ আসে। তারপরেও তিনি কিছু না দিয়েই আমার বাবাকে সংসার থেকে আলাদা করে দেন। আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সহজ সরল। এবং ঐ সময় আমার বাবা ভেঙ্গে পরেন 😓 এবং আমার পরিবারের হতাশা নেমে আসে। ঐ সময় আমার বাবার হাড়ভাঙ্গা খাটুনি হওয়ার পর এখন আর তিনি তেমন কাজ করতে চান না। আমার এসব শোনার পর প্রচুর রাগ হয় এবং বলি কেনো পারবেন না। আগে তো ভালোই পারতেন। এখন আমিও কিছু করবো না। তখন বাবা করুণ সুরে বলতেন, বড় ভাই হয়েও আমার সাথে বেয়মানি করবে কে জানে। তুই না গেলেও কি আর করার,, কাজ তো করতেই হবে।
বাবা অনেক সময় অন্যের কিষাণ দিতেন,তা থেকে যা পেতেন তা দিয়েই সংসার চালাইতেন অনেক কষ্ট লাগতো ঐ সময় 😥😥
মরিচ ভর্তা, আলু ভর্তা, কচু পাতার ভর্তা - এসব দিয়ে ভাত খেতাম। অনেক সময় তো তাও জুটতো না, অনেক সময় এসব দেখে ভাত না খেয়েও কাটিয়ে দিয়েছি আমি অনেক বেলা। তাতে করে মা-বাবা কিবা করতেন। তাদের সাধ্য মতোই তো তারা চেষ্টা করেছেন,,
অনেক সময় এসব নিয়ে বাবা মার মাঝে ঝগড়া লাগতো মা বলতেন ছেলেটা তরকারির অভাবে না খেয়েই ঘুমাই গেলো,,
মা কাদতেন অনেক সময় 😢 ঐ সময় খুব ছোট ছিলাম। তাই এইসব দেখে অল্পতেই রাগ হতো আমার। নানা রকম বকাবকি করতাম।
সঠিক সময় কাপড় পেতাম না। স্কুলে ফি দিতেও পারতাম না,, আমার বোন যদি কখনো আমার চাচাতো ও জেঠাতো বোনদের সাথে বের হতো, তখন তারা বলত - তোর সুন্দর পোষাক নাই, তুই কি আমাদের সাথে মিশতে পারিস। এসব কথা শুনলে অনেক কষ্ট লাগতো 😓 তবুও কিছু করার ছিলো না।
আমি ধান কাটা, মাছ ধরা সব রকম কাজ জানতাম,, মা আমার অনেক কষ্ট করে বাবাকে ফাঁকি দিয়ে আমার লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে গেছেন। মা ডিম বিক্রি, সবজি বিক্রি - নানা উপায়ে একটু একটু করে টাকা জমিয়ে আমাকে দিতেন। নিজেরা ছেড়া কাপড় পড়ে, সাধ্য মতোই চেষ্টা করতেন আমাদের কাপড় কিনে দিতে। অনেক কষ্ট করে স্কুল ও কলেজ লাইফ শেষ হয় আমার,,
সংসারের এসব করুণ কাহিনী দেখে নিরবে নির্জনে বসে কাঁদতাম 😭😭 আর অনেক সময় নিমিষে অশ্রু বেরিয়ে গড়িয়ে পরত,, এবং তখনো কিছুই করার নাই আমার,,,, সান্তনা দিয়ে নিজের মনটাকে বুঝ দিতাম।
**** নিজের ক্যারিয়ারকে নিয়ে আমার স্বপ্ন ****
স্বপ্ন কমবেশি সবারই থাকে। বিশেষ করে ক্যারিয়ার নিয়ে তো সবারই থাকে। কিভাবে ক্যারিয়ার গড়বে, কিভাবে ক্যারিয়ারে উন্নতি করবে,কতটুকু পরিশ্রম করতে হবে - এসব নিয়েই ক্যারিয়ারের স্বপ্নগুলো সাজানো থাকে। তবে একটি যথাযথ সঠিক স্বপ্নই পারে ক্যারিয়ারে সাফল্য নিয়ে আসতে।
সবার মত আমার নিজেরও ক্যারিয়ার নিয়ে স্বপ্ন সাজানো আছে। আর আছে সেই স্বপ্ন পূরণের ক্ষুদ্র প্রয়াস। কেননা স্বপ্ন তো শুধু সাজালেই হবে না,সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অগ্রসরও হতে হবে। আমি চাই জীবনে সৎকর্ম করে আত্মনির্ভরশীল হতে,, সকলের মুখে হাসি ফুটাতে সকলের প্রিয় পাত্র হয়ে থাকতে। নিজের একটা পরিচয়ে পরিচিত হতে। সেই সময় দেখা মেলে প্রাণের প্রিয় "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের সাথে। সেই সময় এনে দিয়েছে আমার মাঝে সেই প্রত্যাশা,, নিজের বলার মতো গল্প আমার জীবনে এনে দিয়ে বিপুল পরিবর্বতন,, শুধু যে পরিবর্তন এনে দিয়েছে তা নয় দিয়েছে অনেক কিছু,,
আমার অন্ধকার জীবনে আলোর পথে দেখিয়েছে এই #নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প ফাউন্ডেশন,
দিয়েছে ভালো মানুষের পরিবার যারা কিনা রক্তের সম্পর্কের মতো অটুট,, যেমন কারো শরীরের কোন অঙ্গ বা অংশের যদি সামান্য কোন সমস্যা হয় তাতে যেমন পুরো শরীর অস্থির হয়ে যাই,,, ঠিক তেমনি এখানে করো সামান্য সমস্যা মানে পুরো পরিবারের সমস্যা,, এই বিষয় টা আমাকে করে দিয়েছে মুগ্ধ 🥰🥰
মানুষ চাইলে এমন কিছু নাই যা মানুষ করতে পারেনা। এই ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে তা প্রতি পদে পদে বুঝতে পারি,,
ভালো কাজের উজ্জল দৃষ্টা
এসব শিক্ষা মেলে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে। মনে রাখতে হবে, "সময়টা একটা দৌড় প্রতিযোগিতা, কেমন করে এই সময়টাকে ব্যবহার করবো সেটা আমাদের নিজস্ব ব্যাপার কিন্তু এখানে দৌড়ে টিকে থাকাটাই হল আসল জয়!!!"
সুতরাং দৌড়াতে হবেই- এক সময় না এক সময় অবশ্যই মাইলফলক স্পর্শ করবো।
আমি নিজেই একজন ব্যর্থ। সব সময় অন্যের কথাই নাচানাচি করতাম। নিজের ব্যাক্তিত্ত বলে কিছুই ছিলো না,,, ফলে বিনিময়ে জীবন থেকে অনেক মূল্যবান সময়, অর্থ, শান্তি ভালোবাসা হারিয়েছি,,, কিন্তু দমে যাইনি,,, শুরু করার চেষ্টা করছি,,,
পরিশেষে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি প্রিয় ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর প্রতি,, সত্যিই চিরকৃতজ্ঞ থাকব উনার প্রতি ,, বুক ভরা ভালোবাসা রইলো প্রিয় স্যার এর জন্য,,
আমি আরো বলতে চাই, এই ফাউন্ডেশনের প্রিয় ভাইবোনদের কথা। যাদের সাপোর্ট নিয়ে আমি এখন অব্দি এতদূর আসতে পেরেছি। আশা করি আগামীতেও আমার প্রিয় ভাই-বোনেরা আমাকে পাশে থেকে সাপোর্ট করবেন।
পরিশেষে বলব, সকলে দোয়া করবেন আমার জন্য,,,, যেন প্রকৃত জয় একদিন আমার হয়। সমস্ত গ্লানি হতাশা দূর করে বাবা মার মুখে হাসি ফুটাতে পারি,, অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে,, কষ্ট করে লেখটা পড়ার জন্য,,,,ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৯০
Date:- ০৬/০৮/২০২১
আমি
♦ মোঃ শাহাদত হোসেন
♥ ব্যাচঃ ১৩ তম
♦রেজিঃ ৫৫৫৬৯
♥জেলাঃ রংপুর
♦উপজেলাঃ পীরগঞ্জ
♥ রক্তের গ্রুপঃ এ+
♠ মোঃ ০১৩০৭৩২৩৩৬০
https://www.facebook.com/খালাশপীর-ফ্যাশন-হাউস-102930898637629