আমরা যাকে জীবনের গল্প বলি,সেটা কি শুধুই নিজের জীবন?
🌴🌴 বিস্-মিল্লাহির্- রাহ্-মানির-রাহিম🌴🌴
🌴🌴আসসালামু আলাইকুম🌴🌴
***জীবন থেকে নেওয়া গল্প***
♦️শুরুতেই মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া এবং গুরুজনদের প্রতি রইলো হাজারো সালাম।
♦️অজস্র শ্রদ্ধা,কৃতজ্ঞতাও ভালবাসা উৎসর্গ করছি লাখো তরুন তরুনীর প্রাণের স্পন্দন, যার প্রতিভার পরশ কাঠির ছোঁয়ায়, দেশ জাতি ও তরুন প্রজন্ম প্রজ্বলিত হচ্ছে,তিনি আমাদের ইকবার বাহার জাহিদ স্যার।যার জ্ঞান সাহস এবং অনুপ্রেরণায় আমরা এগিয়ে চলছি আমাদের স্বপ্নের দিকে।
♦️আরো ধন্যবাদ জানাই,যারা এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত থেকে বিভিন্ন পদে অবস্থান করে যারা নিঃস্বার্থ ভাবে আমাদের সার্পোট ও অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।
♦️এই প্লাটফর্মের ভাইবোনদের প্রতি রইলো আমার হৃদয় নিঃসৃত অকৃএিম ভালোবাসা।যাদের বিচ্ছরিত প্রতিভা,মেধা আমাকে করছে অভিভূত,মুগ্ধ বিমোহিত ও জাগ্রত।
♦️আমরা যাকে জীবনের গল্প বলি,সেটা কি শুধুই নিজের জীবন? না তাতে মিশে আছে বহুজনের জীবন, বহুভাবে। স্যারের অনুপ্রেরণায় অনেক অদম্য সৈনিক শুরু করেছে জীবনের গল্প তৈরির যুদ্ধ।সেই যুদ্ধে আমিও এক অদম্য সৈনিক।
♦️আমি আজ সেই গল্প তৈরি যুদ্ধের কথা আপনাদের বলবো।আমার আগের জীবন, এ প্লাটফর্মের যুক্ত হওয়ার গল্প,যুক্ত হওয়ায় পরে আমার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।নিজের জায়গায় থেকে নিজের দায়িত্বের গল্প ও আমার শেখা।
--------------------------------------------------------
আজ আমি আমার জীবনের গল্প সকলের কাছে শেয়ার করব।
সকল ভাই ও আপু দের কে গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইল🙏🙏
❤️ _______ শৈশবকাল______❤️
♦️ আমি একজন গরীব কৃষক দিনমজুর ঘরের সন্তা। আমার বাবা, একজন গরীব কৃষক দিনমজুর।
আমরা দুই ভাই এক বোন, বোন টা সবার বড় এবং ভাইদের মধ্যে আমি বড় আর আমার ছোটো একটি ভাই আছে এ নিয়ে আমাদের পরিবার।
এবং সেই পরিবারের বড় ছেলে আমি যদি ও আমার বাবা একজন দিনমজুর কৃষক দিন আনে দিন খাই তারমধ্যে আমাদের মোট ফ্যামিলি মেম্বার ৫ জন।
একজনের ইনকামে ৫ জন চলাটাই অস্বাভাবিক এমনও দিন গেছে সারাদিন আমাদের চুলায় আগুন জলেনি। এবং সারাদিন আমরা না খাওয়া অবস্থাতেই দিন পার করছি কিন্তু আমার বাবা মা কখনোই কারো কাছে হাত পাতে নাই। এবং আমাদেরকে সব সময় বলতো বাবা কারো কাছে হাত পেতে কিছু চাওয়ার চাইত না খেয়ে থাকার অনেক ভালো। এই সান্তনা দিয়ে আমাদের বুঝিয়ে রাখতে। এবং আমরা ছোটবেলা থেকে অনেক অভাব-অনটনে বড় হয়েছি। তো তাই এগুলো বুঝাটা আমাদের কাছে একটু স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল। আর পড়াশোনার কথা তো বাদই দিলাম। তার পরেও আমার আপু পড়াশোনা করত এবং পাশাপাশি আমিও করতাম। আমার আপু ৯ ম শ্রেণি ওঠার পরে বিয়ে হয়ে যায়। তখন আমি কেবলমাত্র ক্লাস ৫ থেকে সিক্সে উঠবো।
❤️_______মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জীবন _______❤️
♦️তবুও কষ্টের মধ্যে দিয়েও পড়াশোনা চালাতে থাকি তারপরে এমন করে আরো তিনটা বছর কেটে যায়। ফ্যামিলির আর্থিক অবস্থা দিন দিন আরো খারাপ হতে থাকে তখন আমার বয়স 14 বছর। আমি চিন্তা করলাম বাবা যেহেতু আমাকে পড়াশোনার খরচ দিতে পারে না। তারপর আমিও পড়াশোনায় তেমন ভালো না। পড়াশোনা জীবনের ইতি টানতে হবে। পড়াশোনা করতে গেলে আমার আর চলবে না আমাকে আমার ফ্যামিলির দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে এই কথা চিন্তা করে আমি পড়াশোনা ছেড়ে দিলাম।
চলে আসলাম ঢাকাতে।
❤️--শুরু হল আমার ঢাকার জীবন অচেনা শহর --❤️
♦️ শুরু হল আমার নতুন জীবন ঢাকাতে এসে আমি মাত্র ২ হাজার টাকা বেতনে আমি আমার মামা দোকানে কাজ করি। কাজ করতে করতে কেটে যায় ৩ বছর কিন্তু। আমার বেতন যে ২০০০ টাকা ছিল সেই ২০০০/ টাকায় আছে। বেতন বাড়ানোর কোন চিন্তাই ছিলনা আমার মামার, ছেড়ে দিলাম চাকরি। পরে চাকরি নিলাম একটা কোম্পানি তে। ওখানে আমার বেতন ৮০০০ টাকা ওই টাকা দিয়ে আমার মোটামুটি ভালই চলছিলো। আমার ফ্যামিলিতে দিতে পারতাম আমি নিজে চলতে পারতাম এবং কিছু টাকা জমাতে পারতাম। এবং এর পাশাপাশি আমি নিজে আরো কিছু করতাম। আমি যে কোম্পানিতে কাজ করতাম ওই কাজের পাশাপাশি আমি নিজে কিছু প্রোডাক্ট দোকানে দোকানে দিতাম এবং তখন থেকেই আমার শুরু হলো জীবনের আরেকটি অধ্যায়।
❤️চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন শুরু হলো❤️
♦️ পরে এমন করে আরো ৩ টা বছর কাটালাম পরে আমি যে মামার দোকানে কাজ করতাম সেই মামা দোকানটা আর চালাবে না বেচে দেবে শোনার পরে আমি ওই দোকানটা নেয়ার জন্য আগ্রহী হলাম। এবং আমার মায়ের কাছে ফোন দিলাম দিয়ে বললাম মা মামা দোকানটা বেচে দেবে তাই আমি কেনার জন্য আগ্রহী তুমি কি বলছো। মা আমাকে বললো অত বড় দোকান তুমি কিভাবে নিবে। কোথায় টাকা পাবে আমি মা কে বললাম তুমি আমার জন্য দোয়া করো আর যতটুকু পারো আমাকে দিও। মা বলল আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোমার জন্য দোয়া করি বাবা তুমি অনেক বড় হও। পরে মার ওই কথাই, ওই দোকানটি নিলাম। দোকানটি অনেকটা আবেগের বশেই নিলাম। নেয়ার পরে চিন্তা করলাম। কাছে টাকা নাই কিভাবে দোকানটি রানিং করব। দোকানটি যখন আমি নিয় তখন আমার কাছে মূলধন ছিল মাত্র ১২০০০ টাকা। এবং দোকানে আমার ওই মামার মাল ছিল ৫০০০০ টাকার।
এখন তো আমার অনেক টাকার দরকার যেহেতু আমি একটা দোকান নিলাম। দোকানটা কিভাবে রানিং করবো সেই চিন্তা আমার মাথায়। আমার বিশ্বাস আছে যে আমি দোকানটার চালাতে পারব। মা আমার জন্য দোয়া করল বলল বাবা আমি তোমার জন্য দোয়া করি তুমি যাতে ভাল কিছু করতে পার। পরে আমি শুরু করলাম দোকানদারি আমার দোকানদারের যতটুকু ইচ্ছাশক্তি ছিল সর্বোচ্চ টুকুই দেওয়ার চেষ্টা করলাম। এবং আমি ওখানে আস্তে আস্তে কাটিয়ে দিলাম আরো দুইটি বছর। এখন আমি চিন্তা করলাম এখন আমার কাছে টাকা আছে পয়সা আছে সব আছে।
আমি যে সব সময়ই শিক্ষিত লোকজন দের সাথে উঠাবসা করতে হয়। কিন্তু আমি তো শিক্ষিত না। আমাকেও তো শিক্ষিত হওয়া দরকার।
এখন আমি আবার স্কুলে ভর্তি হলাম
❤️শুরু হলো আবার আমার পড়াশোনার জীবন❤️
♦️ আবার পড়াশোনা করতে শুরু করলাম আমি উন্মুক্ত স্কুলে ভর্তি হলাম এবং পড়াশোনা ও দোকানদারি দুটোই এক সাথে করছি। আমার জীবন এখন বর্তমানে বেশ ভালোই চলছিল। চলতে চলতে কিছুদিন পর। আবারো একটি কালো অধ্যায়।
❤️এবার শুরু হলো আমার জীবনের আরেকটি কালো অধ্যায়ের❤️
♦️ 2020 সাল করুনার ভাইরাসের কবলে পড়লো আমার ব্যবসা। লকডাউন এর সময় আমি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে গিয়েআ আমি লকডাউন এ আটকা পড়ে গেলাম। কেটে গেল একটা দুইটা করে তিনটা মাস। পরে আমি আবার ঢাকা ফিরলাম। একটানা তিন মাস দোকান বন্ধ থাকার কারণে, আমার অনেক ক্ষতি হয়। অনেক কাস্টমার নষ্ট হয়ে গেয়েছে। আমি একটা হতাশা ভিতরে পড়ে গেলাম।চিন্তা করতে জাগলাম যে এই হতাশা থেকে কিভাবে কাটিয়ে উঠবে।
তখনই আমার এক বন্ধু আমাকে নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন এর কথা বলে।
❤️শুরু হলো নিজের বলার মত একটি গল্প প্লাটফর্ম থেকে আমার পায়া ❤️
♦️আমার বন্ধু
প্রিয় প্ল্যাটফর্ম। নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত করিয়ে দিয়েছিলেন। দিয়ে বলেছিল দোস্ত তুই তো এখনো অনেক হতাশা বা দুশ্চিন্তা ভিতরে আছি তোকে আমি এই প্লাটফর্মে ১৩ তম ব্যাচে রেজিস্ট্রেশন করে দিলাম। এখানে তুই নিয়মিত সময় দিস। রেজিস্ট্রেশন করার পরে আমি তখন আমাদের প্রিয় প্লাটফর্মের কোন নিয়ম কারণ জানতাম না। অনেক ভুল করে ফেলতাম এই ভুলগুলো শুধরে দিত আমাদেরই প্ল্যাটফর্মের বড় ভাইয়েরা ও আপুরা এবং খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিত। এবং স্যারের প্রত্যেকটি সেশন দিনে একবার দুইবার তিনবার করে প্রায় ৫ থেকে ৬ বার পড়তাম ভিডিও দেখতাম যতই দেখতাম তত একটা ভালোলাগা সৃষ্টি হতো। এবং প্ল্যাটফর্ম এর সকল ভাই ও বোনেদের সাথে পরিচিত হতে শুরু করলাম এবং সবাইকে জানাতে লাগলাম যে আমি কি আইটেম নিয়ে কাজ করতেছি ।সবাই খুব ভালো সাড়া দিলো। এবং আমার আশপাশের সকল দায়িত্বশীল ভাই ও আপুরা আমার কাছ থেকে আমার প্রোডাক্ট কয় করতে শুরু করলো। এখান থেকে আমার ব্যাপক পরিমাণে সেল আসতে শুরু করলো। এবং আস্তে আস্তে আমি আমার ব্যবসা কে আবার একটি ভালো অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হলাম। শুধুমাত্র আমাদের এই প্রিয় প্লাটফর্মে। নিজের বলার মত একটি গল্প ফাইন্ডেশনের সকল ভাই ও আপুদের িতায়। আমি আবারও স্বাভাবিকভাবে আমার বিজনেস কে একটি ভালো পজিশনে দাঁড় করাতে সক্ষম হলাম।
এটা ছিল আমার জীবনের গল্পো।
♦️সবাইকে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সময় ধৈর্য ধরে আমার গল্পটি পড়ার জন্য♦️
♦️সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমি যাতে একজন ভালো মানুষ হতে পারি গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি এবং আমার মা বাবার মুখে হাসি ফোটাতে পারি এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।
--------------------------------------------------------
♦️নতুন সদস্য ও উদ্যোক্তা যারা আছেন,সকলকে আহবান করবো আগে স্যারের ৯০দিনের সেশন কমপ্লিট করুন, শিখুন,মনে ধারন করুন ও নিজেকে ব্রান্ডিং করুন এরপর ব্যবসা শুরু করুন,লেগে থাকুন-ইনশাল্লাহ্ সফলতা আসবেই।
আমার পরিবারের সদস্য বৃন্দ আমার লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল-ত্রুটি থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে
পরিশেষে বলবো প্রিয় স্যার আপনার সুস্বাস্থ্য এবং নেক হায়াত কামনা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি।
♦️♦️
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৯২
Date:- ০৯/০৮/২০২১
-----------------------------------------
🌹আমি নজরুল ইসলাম 🌹
🌹ব্যাচ ১৩ 🌹
🌹রেজিষ্ট্রেশন ৫১৬১৭🌹
🌹জেলা চুয়াডাঙ্গা 🌹
🌹থানা দামুড়হুদা 🌹
🌹বর্তমান ঠিকানা মিরপুর ৬ ঢাকা🌹
🌹পেজ লিংক https://www.facebook.com/Nazrul.Shop/
🌹কাজ করছি বিভিন্ন রকমের অর্গানিক আইটেম এবং মুদি সদাই আইটেম নিয়✔️