একলাখ ভালো মানুষের পরিবারের
বিষয়ঃ একলাখ ভালো মানুষের পরিবারের।
আসসালামু আলাইকুম,আশা করি প্রিয় স্যারসহ নিজের বলার মত একটা গল্প প্লাটফর্ম এর সকল ভাই-বোনেরা ভালো আছেন।আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় এখন পরযন্ত সুস্থ আছি,কিন্তু করোনা পরিস্থিতি কত দিন সুস্থ রাখে আল্লাহ ভালো জানে।
আজকে যেই বিষয় নিয়ে লিখতে বসলাম,জীবনের প্রয়োজনে প্রবাস জীবনের ইদুর দৌড়ে ফেসে গেলাম,প্রবাসে অবস্থানরত সকল সহযোদ্ধারা মানসিক ভাবে কতটা বিপর্যস্ত তা নিজ চক্ষুতে অনুধাবন করছি।বছরের পর বছর মা-বাবার ভালবাসা,নিজের পরিবার কে দূরে রেখে হাসিমাখা মুখে কাটিয়ে দিচ্ছে প্রবাসী নামক মানব যন্ত্র।কোনোভাবেই যখন নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বের হতে পারছিলাম না তখন হাজারো প্রবাসীর মত আমিও সন্ধান পাই ইকবাল বাহার জাহিদ নামক প্রদীপের।যেই প্রদীপের ছোয়াই নিজেকে আলোকিত করার সাহস পাই।আপনারা ভাবতেও পারেন যে আমি অতিরিক্ত আবেগ বা ভক্তির ছলে স্যারকে নিয়ে বেশি বলে ফেলছি কিন্তু না আমি আসলে অতিরিক্ত বা অতিরঞ্জিত কোনো কিছু বলিও না বা করতেও পছন্দ করি না।আসুন আপনাদের কিছু সাহসী প্রবাসীদের উদাহরণ দেই যারা ইকবাল বাহার স্যারের প্রদীপের আলোতে নিজেকে অলরেডি রাংগিয়ে নিয়েছে।
** মালেশিয়া প্রবাসী সাতক্ষীরার রুবেল আহমেদ ভাইকে তো সবাই ই চিনেন।স্যারের শিক্ষা নিয়ে দীর্ঘ প্রবাস জীবনের ইতি টেনে উনি এখন এখন উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
** সৌদি আরব প্রবাসী রাজবাড়ী জেলার জাহিদ হাসান ভাই একেবারে ডাকডোল পিটিয়ে দীর্ঘ প্রবাস জীবনের ইতি টানেন।বিমানবন্দরে উনার ব্যাগেজে স্যারের ছবি সম্বলিত নিজের বলার মত একটা গল্প গ্রুপের লোগো এখনো আমার চোখে লেগে আছে আর এইতো আমাদের মহা সম্মেলনে উনি যেই প্যাশন নিয়ে স্টলে কাষ্টমারদের উনার প্রোডাক্টগুলো দেখিয়েছেন সবই স্যারের শিক্ষা।
** সৌদি প্রবাসী সিলেট জেলার সন্তান মুকিত হাসান ও কুয়েত প্রবাসী ফেনী জেলার সন্তান নুরুন্নবী রিয়াজ ভাইয়েরা আরো একধাপ এগিয়ে স্যারের শিক্ষা টাকে বাস্তব রুপ দিতে উনারা আরো এডভান্স।প্রবাসে থেকেই দেশে দাড় করিয়ে ফেলেছে অনেক বড় ব্যাবসা।সততার সাথে দিনদিন এগিয়ে যাচ্ছে উনাদের ব্যাবসা।
আমি যদি এভাবে লিখতে থাকি মিনিমাম ৫০ টা উদাহরণ দাড় করাতে পারবো কিন্তু লেখাটা লম্বা করতে চাচ্ছি না,আরেকদিন মন খুলে লিখব।
এবার একটু নিজের ব্যাপারে বলতে চাই,কি পেলাম প্রানের পরিবার থেকে।শুরুতে গ্রুপের প্রতিটা পোষ্ট মনোযোগ দিয়ে পড়তাম,নিজের ব্যাক্তিগত জীবনে স্যারের উপদেশ গুলো অনুসরণ করতে থাকি,ভিডিও সেশনে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে আমার মধ্যে আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করি,যেই আমি ক্যামেরার সামনে দাড়াতে ভয় পেতাম এখন অনেকটা সাবলীল ভাবে ক্যামেরার সামনে দাড়াতে পারি।এরই মাঝে স্যার আমার কাধে গুরুদায়িত্ব তুলে দাই।আমাকে কাতারের কান্ট্রি-এম্বাসেডরের দায়িত্ব দেই।দায়িত্বের শুরুর দিন থেকে আমি নিজের সেরাটা সবসময় দিতে চেষ্টা করেছি,জানিনা কতটা সফল হয়েছি।শিখতে শিখতে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে আবিষ্কার করলাম।কাতারে ৫ বন্ধু মিলে শুরু করলাম QB FASHION WORLD এর যাত্রা।শুরুর পথচলাটা অনেক কঠিন ছিল কিন্তু আমরা স্যারের কাছ থেকে শিখেছি কীভাবে লেগে থাকতে হয়।তাই আস্তে আস্তে হাটি হাটি পা পা করা আপনাদের দোয়ায় আজকে QB FASHION WORLD কে একটা জায়গায় দাড় করাতে সক্ষম হয়েছি কিন্তু অনেকটা পথচলা বাকি,থামতে চাই না তাড়াতাড়ি।জীবনে একটাই লক্ষ্য মরার সময় বিছানায় শুয়ে যেন তৃপ্তির ঠেকুর তুলতে পারি,বলতে পারি জীবনটা বৈচিত্রময় ছিল।সবাই যেন আমার বিদায়বেলায় আমার শূন্যতা অনুভব করতে পারে সেউ লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
পরিশেষে এক লাখ পরিবারের সদস্য সকলকে অভিনন্দন। নতুন পুরাতন সবাই স্যারের পোষ্ট গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে চেষ্টা করবো,দেখবেন আপনার পরিবর্তন আপনি নিজেই টের পাবেন,নিজের উপর ভরসা রাখুন,কোনো করার আগে পজিটিভ নেগেটিভ দুটি দিকই বিবেচনায় রাখবেন কারন আপনি শুধু পজিটিভ হলে আপনার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এ ঘাটতি থেকে যাবে।কোনো বলার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন আমি যা বলছি এই কথাগুলো যদি আমাকে অন্য কেউ বলতো তাহলে কি আমি মেনে নিতে পারতাম?স্যার সবসময় বলে নিজের সাথে কথা বলুন,নিজেকে চিনতে চেষ্টা করুন,নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করে তুলুন।
অবশেষে বলবো সময় দিন,সময় নিন।
লেখায় ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, জাজাকাল্লাহ খাইরান।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -১৭৭
২৮-০৩-২০২০
মোঃআল আমিন
কান্ট্রি-এম্বাসেডর,কাতার
৫ম ব্যাচ,জেলাঃব্রাহ্মণবাড়িয়া
রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারঃ১৭৯৮
Founder:QB FASHION WORLD
কাতার প্রবাসী।