যৌথ পরিবারে এপিঠ ওপিঠ শিরোনামে আমার একটি পোস্ট
গতকাল #যৌথ পরিবারে এপিঠ ওপিঠ শিরোনামে আমার একটি পোস্ট এপ্রুভ করেছিলেন আমাদের সকলের পছন্দের, প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। উনি যে গ্রুপের প্রত্যেকটি পোস্ট দেখেন এবং যেসব পোস্ট এপ্রুভ হয়নি সেগুলো ও যে উনি রি চেক দেন সে ধারণা টা আমার গত কালের লেখাটা এপ্রুভ হওয়ার পরে আরো বদ্ধমূল হলো।
ভিষণ ভালো লাগে যখন বুজতে পারি নিজের কোন লেখা স্যারের নজরে এসেছে। তখন অটো মেটিক আরো কিছু লেখা শেয়ার করার খুব উৎসাহ পাই।। এই গ্রুপের প্রত্যক টি সদস্যের অন্তরে স্যারের স্থান কোন জায়গায় আছে তা আমাকে আলাদা করে বলতে হবে না।
আমরা সবাই আমাদের অন্তরে উনার জায়গা টা সবার থেকে আলাদা করে স্থান দিয়ে রেখেছি ।
আসলে আমার গতকালের লেখাটা আজকের এই লেখাটার একটা অংশ ছিলো। আমি আমার পরিবারের অবস্থান কিংবা পরিবারের পিছনে আমার কৃতিত্ব সবার কাছে প্রকাশ করাটা আমার উদ্দেশ্য ছিলোনা। আমি সবাই কে একথাটা বলতে ছেয়েছিলাম একজন নিয়ে কখনো একটা পরিবার হয় না। একজনের আত্মত্যাগেই কখনোই একটা পরিবার শক্ত খুঁটির উপরে দাঁড়াতে পারে না। একটা পরিবার কে, তথা যদি একটি ঘর কে ফুলের বাগান বানাইতে হয় তাহলে সেই পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য কে সততার সহিত পরিবারের প্রতি নিবেদিত হতে হবে। হয়তো সবার সমান ভাবে কন্ট্রিবিউট করার সে সুযোগ নাই। কিন্তু যে যতটুকু সম্ভব পরিবারের ভালোর জন্যে উজাড় করে দেওয়া উচিত। আর এক্ষেত্রে স্যারের একটা কথা মনে পড়েগেল তিনি বলেন "নিজের জন্যে বেঁচে থাকার ভিতরে কোনো সার্থকতা নেই পরের জন্যে বেঁচে থাকাই পরম সার্থকতা "। আর আমি মনে করি এ বোধ টা আমাদেরকে পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। একলা বেঁচে থাকতে চাইলে আমরা সাময়িক কিছু দিন ভালো থাকতে পারি, কিন্তু মনে রাখতে হবে তার দীর্ঘ মেয়াদি কুফল আমাদের জন্যে অপেক্ষায় আছে।
সংসারের সবাই যখন মনে করবে এটা আমাদের সংসার, তখন দেখা যায় হাঁসি মুখে অনেক সময় অনেক ত্যাগ স্বীকার করা যায়। আর আমি মনেকরি এটাই হওয়া উচিত।
আবার ব্যাবসায়িক সাফল্যের জন্যে ও পরিবারের লোকগুলো যখন পাশে থাকে তখন সব রকমের বাধা খুব সহজে অভার কাম করা যায়। ব্যাবসায় খুব তাড়াতাড়ি সাফল্য পাওয়া যায়। তার উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি,
আজ থেকে তিন বছর আগে, বাবার উৎসাহে এবং ছোট ভাই যেনো নোংরা রাজনীতিতে জড়িয়ে না পড়ে সে খেয়ালে আমাদের গ্রামের বাজারে নামে মাত্র কিছু টাকা দিয়ে mimu fashion House নামে একটা রেড়িমেট গার্মেন্টস এবং কসমেটিকস এর শোরুম ব্যাবসা শুরু করি । যেখানে বাজারের অন্য দোকানদার রা আট, দশ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্যাবসা করছে এবং তাদের বিশাল স্টকের কাছে আমাদের ব্যাবসাটা অনেক টা হাস্যকর। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ ছোট ভাই তার মেহনত এবং দোকানের কর্মচারীর ডেলিগেশনের কারনে আজ তিন বছরে সেই দোকানের পুঁজি প্রাথমিক পূঁজির প্রায় পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারের দশ, বারো বছরের পুরানো কাপড় ব্যাবসায়ীদের ও মাসিক টার্ন অভার এতো হচ্ছে না যা করনা পরিস্থিতির কারনে দোকান বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমদের দোকানে হয়েছে। আমি মনে করি এটা সম্ভব হয়েছে পারিবারের যৌথ এ পোর্ট থাকার কারনে।আমরা সবাই সবার জায়গা থেকে চেস্টা করেছি দোকান টা যাথে দাঁড়িয়ে যায়, এবং তাই হয়েছে। আর এই ব্যাপার টা আমার ভিতরে ও একটা সাহসের সঞ্চার করে। দীর্ঘদিন প্রবাসের বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে আসার উদ্দেশ্যে গত ডিসেম্বরে mimu house holds& electronic নামে আর একটি শোরুম চালু করেছি, ইনশাআল্লাহ আশাকরি খুব শিঘ্রই সে দোকান ও একটা অবস্থানে এসে যাবে।
আসলে আমার এই কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য পরিবারের সাপোর্ট ছাড়া এই ছোট ছোট রিস্ক গুলো নেওয়া ও কঠিন হয়ে যায়। যার কারনে আমরা নিজেদের অবস্থান কে ও বদলাতে পারি না।
মেইন যে উপলব্ধি থেকে আমার আজকের এই লেখাটা সেটা হলো পরিবারের প্রত্যেক কর্মক্ষম পুরুষ যদি একই চিন্তায় থাকে তাহলে সে পরিবারের প্রতি হঠাৎ কোন বিপদ আসলে ও তা খুব সহজে কাটিয়ে উঠা যায়। এই যে করানা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী কারনে বাজারের দুইটা দোকান গত ২৫ তারিখ থেকে বন্ধ, তার পরেও পরিবারের লোকদের কে এই জন্যে তেমন চিন্তা করতে হচ্ছে না। কারণ আমরা আরো দুই জন যেহুতু বাহিরে আছি আল্লাহ সুস্থ রাখলে পরিবারের খরচাপাতির জন্যে কোন সমস্যা হবে না। ঘরের অন্য সবার মধ্যে এই বিশ্বাসটা আছে।
একটা পরিবারের সাফল্যের জন্যে প্রথম দিকে যদি ও মনে হয় সবার অবদান সমান না কিন্তু একটা সময় আসে যখন দেখা যায় কারোরই অবদান কম ছিলোনা। তাই বলি যেকোন সাফল্যের জন্যে পরিবারের ইউনিটি টা জরুরি।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- 192-12/04/2020
আব্দুল মান্নান
৮ম ব্যাচ ৬৪০১
ফেনী জেলা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে।