খুব খুশি লাগছে,এই এক লক্ষ সদস্যের জার্নিতে আমি আছি এই গ্রুপের সঙ্গে।
আসসালামু আলাইকুম,
দেশের এই চরম বিপর্যয়ে আশা করছি সকলেই পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো আছেন।
আলহামদুলিল্লাহ আমরা ১ লক্ষ সদস্যের গ্রুপ
To Be an Entrepreneur নিজের বলার মত একটা গল্প.
খুব খুশি লাগছে,এই এক লক্ষ সদস্যের জার্নিতে আমি আছি এই গ্রুপের সঙ্গে।
একজন সাধারন মানুষ হিসেবে অনুভূতিটা হচ্ছে অসাধারণ।
প্রথম ব্যাচ এর সকলেই ছিলাম আমরা সুপার একটিভ।
সবাই আমরা ভালো মানুষ,এটা মনে ধারণ করে স্যার এর সকল পোস্ট পড়তাম।আমাদের তো স্যারের প্রোফাইল থেকে পোস্ট পড়তে হতো।স্যার এর প্রোফাইল এর নোটিফিকেশন আসলেই খাতা কলম নিয়ে নোট করতাম।কারন আমাদের হোমওয়ার্ক দিতে হতো মাঝে মাঝে।
প্রথম যেদিন সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠান ছিলো আমরা আহ কি আর বলবো, একেক জনের ভাব ই ছিলো আলাদা, সার্টিফিকেট ও পেয়েছি,অনুষ্ঠানে দেশের সকল জনপ্রিয় বক্তা কে সামনে থেকে দেখেছি,মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শুনেছি Iqbal Bahar Zahid স্যার এর কথা,
একজন শিক্ষক, যিনি কিনা ১৬৪ জেলা কে এক সাথে নিয়ে প্রতিদিন বুঝিয়েছেন মানবিক মূল্যবোধ,শিষ্টাচার,মা বাবার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কিভাবে জীবনে এগিয়ে যাওয়া যায়।
#নিজের_বলার_একটা_গল্প,লিখতে হবে একদিন।
এই ইচ্ছে মনে ধারন করে প্রতিটা ক্লাস করে শিখেছি অনেক কিছু।
পরিবারে সকলেই চাকুরীজীবি,
বাবা মা ছিলেন সরকারী ব্যাংকে।
চাচারা সকলেই মোটামুটি জব করেন।
বিজনেস এর খুটিনাটি কারিগরি বিভিন্ন বিষয় বুঝতাম না।
বিজনেস শিখার মতো কোন প্লাটফর্ম ছিলো না।
স্যার এর প্রতিটি পোস্ট আমাদের কে বিজনেস এর সকল দিক সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছে,একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিজেকে নিয়ে যাওয়ার একটা তাগিদ থেকে আমরা সকল পোস্ট গুলো মনযোগ দিয়ে মনে ধারণ করেছি।
এই গ্রুপ টায় অনেক ভালো মানুষের দেখা পেয়েছি এটা খুব বড় প্রাপ্তি। বিজনেস এ যেয়ে হুটহাট অনেক প্র্যাক্টিক্যাল বিষয়ে কাজের সময় আটকে গেলে স্যারকে নক করতাম,রাগে দুঃখে হতাশ হয়ে স্যারকে নিজের কথা জানাতাম।স্যার এক কথায় সমাধান দিয়ে দিতো।স্যার সব সময় বলতেন কেউ কখনো ছোট করলে সে নিজেই ছোট পর্যায়ে থাকবে।একদম ঠিক। আসলেই আপনি প্রথম পর্যায়ে বিজনেস করলে অনেকেই ছোট করবে,পাত্তা দিবে না এটাই নিয়ম,কিন্তু এসব কে তোয়াক্কা না করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।স্যার খুব সহজ করে অনেক বিষয়ে বুঝিয়ে বলতেন লাইভ এর মাধ্যমে।
জীবনে অনেক সার্টিফিকেট, এওয়ার্ড পেয়েছি কিন্তু নিজের বলার মতো একটা গল্পের #৩ টা সার্টিফিকেট আমাকে অনেক উদ্যম জোগায়। আমার এওয়ার্ড টা আমি আমার বাবার অনেক এওয়ার্ড এর শোকেস এর মাঝখানে সাজিয়ে রেখেছি। সেখানে চোখ টা গেলেই আমার মনে হয় আর বসে থাকা যাবেনা।কাজ করে নিজের গল্প বানাতে হবে।কিছু অব্যক্ত কাহিনির খন্ডচিত্র দিয়েই একদিন রচিত করতেই হবে একটা পূর্ণ দৈর্ঘ্য গল্প, নিজের বলার মত একটা গল্প।
তবে বিজনেস এ সততা অনেক বড় একটা জিনিস।কাজ করি অন্যরকম কিছু প্রডাক্ট নিয়ে,তাই চ্যালেন্জ টা বেশি। কচ্ছপের মতো এগিয়ে যাচ্ছি তাও সততা দিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।প্রতিনিয়ত নিজের মধ্যে ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য রেখেই কাজ করতে হবে।এটা বুঝে গেছি।
গ্রুপ থেকে অনেক সম্মান পেয়েছি,অনেক সহযোগিতা পেয়েছি,নিজেকে ইকবাল স্যার এর ছাত্রী পরিচয় দেয়াটা সৌভাগ্যের মনে করি।স্যার এর টিমে কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি। এক লক্ষ মেম্বার এর এই ভালোমানুষের গ্রুপ টা একদিন বিশাল বড় হয়ে অনেক অনেক ভালোমানুষ এর মিলনমেলায় পরিপূর্ণ হবে সেই দোয়া থাকবে আমার।
অজস্র মানুষের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম এর গল্প আছে এই গ্রুপে।তাই একসাথে একে অন্যের সহযোগিতা নিয়েই তৈরী হবে একেকটা জীবনের নিজের বলার মত একটা গল্প।আমাদের স্যার তার নিজের সময়ের থেকে অনেক সময় দিয়ে যাচ্ছেন আমাদের জন্য,স্যার এর জন্য আমি সব সময় দোয়া করি।আপনারাও স্যার এর জন্য সব সময় দোয়া করবেন।একজন শিক্ষক এত নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আমাদের মতো মানুষদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন, আসলেই আমাদের জন্য বড় পাওয়া।স্যার এর বাবা মায়ের জন্য আমার দোয়া থাকবে।পারিবারিক সম্পর্ক রক্ষা না করে কেউ কোনদিন সামনে অগ্রসর হতে পারেনা।সেই কথা মনে ধারন করে এগিয়ে যাচ্ছি।
স্যার আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।আপনি আমাদের জন্য অনেক করেছেন। দোয়া করবেন স্যার।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -১৭৭
২৯-০৩-২০২০
ফারজানা তুজ জোহরা
ব্যাচঃ প্রথম
রেজিঃ৭৮৯৭
কোর ভলান্টিয়ার
ঢাকা।
উদ্যোক্তাঃ
https://www.facebook.com/Shamporka/