আমরা এখন লক্ষে "
"আমরা এখন লক্ষে "
কবিতার ভাষায় বলতে হয়-
"নিজের বলার মতো একটা গল্প"
এটা শুধু অনলাইনে নয় সীমাবদ্ধ
বিভিন্নভাবে করে যাচ্ছে নানা কর্মকাণ্ড।
যেটা না বললেই নয়। আসলেই সত্যিকারে গ্রুপটির একদম শুরু থেকেই এই গ্রুপে যুক্ত হয়েছি।প্রথমদিকে এই গ্রুপটার তেমন কোনো মূল্যায়ন করিনি আমি। ভাবছি এটাও অন্যান্য গ্রুপের মতো।
কয়েকজন ভালো কিছু পোস্ট করবে আর সবাই আজেবাজে পোস্ট করবে। এ থেকে আর কি শিখতে পারবো। এমনটাই আমার ধারণা ছিলো।
তবে প্রদিনের পোস্টগুলো দেখতাম।
গ্রুপে একটা শ্লোগান আছে- চাকরি করবোনা, চাকরি দিবো। এই কথাটিও প্রথম মাথায় ঢোকাতে পারিনি। কারণ সে সময় ভাবছি চাকরি করবো।আমি আবার কিভাবে চাকরি দিবো? এটা একটা আমার প্রশ্ন রয়ে গেলো।
পোস্টগুলো দেখতে দেখতে এভাবে অতিবাহিত হয় চতুর্থ ব্যাচ। দেখছি প্রতিদিনের পোস্টগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরপর ৫ম ব্যাচ থেকে সেশনগুলো আর একদিনও মিস করিনি।
গ্রুপের সদস্যদের সাথে আস্তে আস্তে পরিচিত হতে শুরু করলাম। কারও ইউনিক বিজনেস দেখলে সে বিষয়ে জানতে নক দিতাম। এভাবে বেশ বিজনেসের উপর ধারণা পাই।
হঠাৎ করে আমার মাথায় ঐ কথাটাও ঢুকে গেলো -চাকরি করবোনা, চাকরি দেবো। তখন মনে মনে ভাবলাম, আমিও উদ্যোক্তা হবো। নিজে কিছু করবো। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো। দেশ ও জাতির উন্নতির সহায়ক হিসেবে কাজ করবো।
যেমন কথা তেমন কাজ। শুরু করে দেই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের বিজনেস। এরপরই শুরু করি ফুডকার্ড এর বিজনেস। আজ আমাদের দুটি প্রতিষ্ঠানে ফুলটাইম দুইজন লোক কাজ করে এবং পার্টটাইম ৩০০জন লোক কাজ করে।
আমি মনে করি শ্রদ্ধেয় ইকবাল বাহার জাহিদ ভাইর এই গ্রুপের জন্যই আজ আমি উদ্যোক্তা হতে পেরেছি। না হয় আমিও চাকরির পিছনে ছুটে বেড়াতাম। স্বল্প সময়ে অনেক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছি। অনেকের মুখে আজ হাসি ফোটাতে সক্ষম হয়েছি।
আজ এই গ্রুপে সদস্যের সংখ্যা দাড়িয়েছে লক্ষে।আমরা এখন আর ছোট নয়, আমরা একটা বিশাল পরিবার। এই পরিবার আমাদেরকে অনেক কিছু দিয়েছে এবং দিবে এটা আমি আশাবাদী।
আমাদের সবারই জানা আছে-যে সন্তান পরিবারের কথা মেনে চলে,পরিবারের প্রতিটি কাজ ভালোভাবে করে সেই সন্তান ভালো জায়গায় পৌঁছে। তাই আমরাও এই পরিবারের সব কথাগুলো মেনে চলবো, এই পরিবারের সবাইকে শ্রদ্ধা করবো। তাহলে আমরাও পৌঁছতে পারবো আমাদের লক্ষ্যে।
আরেকটি কথা- আমি পৃথিবীতে এমন কোনো কর্মশালা দেখিনি যে টানা ৮০০দিন কর্মশালা করে। কিন্তু আমাদের এই কর্মশালা চলছে ৮০০+দিন। আমার মনে হয় "নিজের বলার একটা গল্প" গিনেস বুকে নাম লেখাতে পারবো।ইনশাআল্লাহ।
সব সময় সবাই ভালো থাকুন, সাফল্যের পথে এগিয়ে চলুন এটাই কাম্য।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -১৭৮
২৯-০৩-২০২০
এম শরীফ আহমেদ
(তরুণ উদ্যোক্তা,স্বেচ্ছাসেবী,লেখকও সাংবাদিক)
৫ম ব্যাচ
ডিস্ট্রিক্ট এম্বাসেডর,ভোলা জেলা।
মোবাঃ01739-930252(ব্যক্তিগত)
01911-064306(অফিসিয়াল)
ই-মেইলঃjournalistshorif@gmail.com