তখন থেকেই আমি চিন্তা করলাম আমার নিজের জীবনে অনেক গল্প পড়ে আছে, সকলের অজানা, চট করে লিখে ফেলি....... যা ভবিষ্যতের
আস্সালামুআলাইকুম।
আশাকরি সকলেই ভালো আছেন।
আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও ভাল আছি।
আজকে বিশেষ দিন -(একশো আশি)।
হ্যাঁ তার আগে কিছু কথা - প্রাণপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের স্যার সবসময় বলে থাকেন, ভালো পোস্ট লিখতে পারাটাও একটা বিরাট যোগ্যতা। এরই ধারাবাহিকতায় স্যার একজন ভালো উদ্যোক্তার পাশাপাশি, আমাদের লেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে উৎসাহিত করে যাচ্ছেন অনবরত।।।।
আমি নিজে মানি - লিখার ভিতরে প্রত্যেকটি ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ও একটিভিটিস প্রকাশ পায়। এই অনলাইন মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে প্লাটফর্মে থেকে বন্ধুত্ব স্থাপনে সকলেই সকলকে জানার জন্য, এই আমিটাকে প্রকাশ করার জন্য, লাখের মাঝখান থেকে উঠিয়ে আনার একটি অনন্য মাধ্যম হলো লেখা।
যেকোনো কিছু পাওয়াই সকলকেই অনুপ্রেরণা দেয়। ঠিক তেমনি লিখতে লিখতে প্রতিদিন স্ট্যাটাস অফ দা ডে কেউ-না-কেউ হতেই থাকে, দিনশেষে প্রাপ্তিটা তাতেই বুঝে পায়, এতেই অনাবিল শান্তি। যারা পায় না তাদেরও মন খারাপ নেই, কারণ তারা জানে যারা স্ট্যাটাস অফ দা ডে হয়েছে তারা নিজেদেরই বন্ধু ও পরিবার। বিচারের খাতিরে হয়তো কেউ স্টেটাস অফ দা ডে থেকে বঞ্চিত হয়, বঞ্চিতরা ধৈর্য সহকারে পরেরদিন আবার লিখে। লেখার পর আবার পায়না তারপরও কি থামে? না থামে না? আবারো লিখে যায়। এটাকেই বলে ধৈর্য ও পজিটিভিটি।
এই সবই প্ল্যাটফর্মের মূলত শিক্ষা। এই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, সকলেই এক ইতিহাস থেকে অন্য ইতিহাস তৈরি করছে- যা অকল্পনীয়। হ্যাঁ সত্যি এখনও কেউ রবীন্দ্রনাথ, হুমায়ুন আহমেদ এর মতো না হতে পারলেও, প্রাপ্তির যেনো কমতি নেই। প্রথম দিনের লেখা শুরু থেকে 30 দিন পরের লেখা কখনও মিলেনা। লেখার ভিতরে কতটা পরিবর্তন, তা শুধু প্রথম দিনের পোস্ট আর 30 দিনের পোস্ট দেখলেই বুঝা যায়। এই এতো এতো পরিবর্তন কোন কিছু পাওয়ার আকাঙ্খায়। পাওয়াটা কি ছিলো? - শুধুমাত্র উৎসাহ। এই উৎসাহের নাম কি? এই উৎসাহের নাম স্ট্যাটাস অফ দা ডে এবং নিজে শিখতে পারা। আমরা গর্বিত নিজের বলার মতো একটা গল্প প্ল্যাটফর্মের গর্বিত সদস্য হতে পেরে।
স্ট্যাটাস অফ দা ডে এর মতো অনেক কিছুই আছে যা আমাদের উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করে। প্রতিনিয়ত শেখার আগ্রহটা এমনভাবে বেড়ে উঠছে, যেনো এটা একটা রোগ। হারাবার কিছুই নেই হয় জিতবো, না হয় শিখবো।
নতুন ও পুরাতন সকলের জন্য আমার পক্ষ হতে আহ্বান থাকবে, আপনারা বেশি বেশি লিখুন, যারা এখনো প্রিয় প্ল্যাটফর্মের প্রিয় মেন্টর প্রিয় শিক্ষক জনাব ইকবাল স্যারের অনুপ্রেরণা স্বরূপ উপহার কমিউনিটি ভলান্টিয়ার পদবিটি পাননি। অনুগ্রহ করে সকলকে বলবো ভালো ভালো পোস্ট করবেন ইনশাআল্লাহ যেকোনো দিন হয়ে যাবে আপনার ক্রিয়েটিভ লেখাটি স্ট্যাটাস অফ দা ডে এবং আপনি পেয়ে যাবেন স্যারের দেয়া ভলান্টিয়ারিং উপহার। এটা যেনো শুধু পদবীর জন্য নয়, এটাই স্যারের শিক্ষা।
একদিন লিখে থেমে গেলে চলবে না, মন ভাঙলে চলবে না, কন্টিনিউ লিখে যেতে হবে। একদিন ভালো লিখবেন কিন্তু হয়তো নাম আপনার আসবে না, এতে মন খারাপের কিছু নেই। ধৈর্য সহকারে আবারো লিখে যাবেন, এটাই প্ল্যাটফর্মের এক অনন্য শিক্ষা।
আপনার সদিচ্ছাই আপনি হয়ে যাবেন ক্রিয়েটিভ লেখক, ক্রিয়েটিভ কবি, সাথে সম্মাননা স্বরূপ এই প্ল্যাটফর্মের কমিউনিটি ভলান্টিয়ার হিসাবে যুক্ত হবেন। এভাবে প্রতিনিয়ত আপনি তিন মাসে 10 বারেরও বেশি স্টেটাস অফ দা ডে হলে ভবিষ্যতে আপনার জন্য বড় পদবীগুলো অপেক্ষমাণ। এই পদবী গুলো শুধুমাত্র অনুপ্রেরণা ও স্যার এর পক্ষ হতে উপহার স্বরূপ।
উদ্যোক্তার পাশাপাশি ভলান্টিয়ারিং করার পুরো স্বাধীনতা আর কি হতে পারে? আসুন শুরু করি ভালো লেখার প্রতিযোগিতা, এই প্রতিযোগিতা আমাদের করে তুলবে এক অনন্য, অন্যরকম নরম মনের উদার ভালো মানুষ। আবারো বলছি হারাবার কিছুই নেই, হয় জিতবো, না হয় শিখবো।
হয়তো ভাবছেন বলা যত সহজ করা তত কঠিন! স্যারের ভাষায় বলতে চাই এই কথাটি প্রায়ই আমাদের সামনে তুলে দেয়া হয়, যাতে আমি শুরুতেই ভয় পেয়ে যাই ও শুরু না করতেই ছেড়ে দেই। যে নিজে কিছু জানেনা ও পারেনা সে আপনাকেও কিছু জানতে বা করতে দিবে না, এটাই এখানে নিয়ম। যেকোনো কিছু অর্জন করা সহজ, এটা কে বলেছে? অবশ্যই কঠিন, কঠিন কে জয় করাই হলো আসল চ্যালেঞ্জ। যেটা সহজে পাওয়া যায়, তাকে অর্জন বলে না, সেই অর্জন ধরে রাখার বা রক্ষা করারও কোনো তারিখ থাকেনা। আপনি যখন সফল, অবশ্যই তখন তা বলা খুব সহজ। তাইতো স্যার সব সময় বলে যান স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন ও লেগে থাকুন... সফলতা আসবেই।
আমার নিজেকে দিয়েই উদাহরণ দেই... যখন আমি শুনলাম স্ট্যাটাস অফ দা ডে ঘোষণা করা হবে, তখন দেখলাম কোন অনুপ্রেরণা, কারো লেখা ও কাউকে নিয়ে লিখা এইগুলো ঘোষণার বাহিরে।
স্বপ্ন দেখা🌇
তখন থেকেই আমি চিন্তা করলাম আমার নিজের জীবনে অনেক গল্প পড়ে আছে, সকলের অজানা, চট করে লিখে ফেলি....... যা ভবিষ্যতের ডকুমেন্টারি হয়ে থাকবে। একটা সময় ডায়েরি লিখতাম কিন্তু অনেক বছর হয়ে গেলো লেখা হয়ে উঠে না।
শুরু করা📝
যাই হোক শুরু করে দিলাম লিখা, নিজে পড়ে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগতো, একটু বড় হয়ে যাওয়ায় লেখাগুলো হয়তো সকলে পড়তো না মনে হতো, মনটা খুব খারাপ লাগতো। স্যার আবার বলেছিল লাইক এবং কমেন্ট আসতে হবে কিন্তু সবার তুলনায় লাইক কমেন্টস ছিলো খুবই নগণ্য।
লেগে থাকা🏊
দিনশেষে অন্যের লেখা স্ট্যাটাস অফ দা ডে ঘোষণা করা হতো এভাবে পাঁচ দিন, পাঁচটা পোস্ট খুবই চমৎকার করে লিখেছিলাম খুবই খারাপ লেগেছিল কেনো আসছিল না কিন্তু আমি হাল ছেড়ে দেয়নি, এভাবে করতে করতে নিজের লেখাটা কন্টিনিউ করে গেলাম। হ্যাঁ আরেকটা কথা, মন খারাপের বিশেষ কারণ ছিলো তিন দিন লাগিয়ে একটা পোস্ট করতাম, মোবাইলে বাংলা ফ্রন্ট ডাউনলোড করে অনেক কষ্ট করে লিখে পোস্ট দিতাম, মাঝে মাঝে এমন হয়েছিলো, পোষ্টের সাথে সাথে ভুলে হয়তো কেউ ডিলিট করে দিয়েছে! সেটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু যখন দিনশেষে পোস্টে পেতাম না মনটা খারাপ লাগতো, নিজের জিৎ কে বিসর্জন দিয়ে, ধৈর্য ধরে, কন্টিনিউ করে গেলাম কারন আমি একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মানুষ জানি সব সময় বাছাই করার ব্যাপারে একটু মতপার্থক্য থাকতেই পারে! সিদ্ধান্ত কিন্তু নিতেই হয়, এই ধারাবাহিকতায় হয়তো আমার কোন পোস্ট বাদ পড়ে গেছে, যেহেতু আমরা পজিটিভিটি নিয়ে কাজ করি সকলেই পজেটিভ থেকে, ধৈর্য ধরে, লেগে থাকবো এরই ধারাবাহিকতায় আমি লেগে আছি।
সফলতা🙈💐
পুরোদমে এই ছয় মাসে আমার লিখা, আট বারের মতো স্ট্যাটাস অফ দা ডে হয়েছে। এটাই আমার সফলতা। এ এক বিশাল অনুভূতি যা কাউকে আমি বলে বোঝাতে পারবো না। তবে এতটুকু বলতে পারবো "যে কাজ আকাঙ্খায় পরিণত হয় তার শেষপর্যন্ত আনন্দের উৎস হয়"। এখনও আমি লিখতে কার্পণ্য করি না, অনেক সময় লিখতে মনে চায় না কিন্তু লিখতে বসলে লিখাটা বড় হয়ে যায় তাই! এই নিয়ে অনেক টেনশনে আছি। আপনারা সকলে একটু আইডিয়া দিবেন কিভাবে ক্রিয়েটিভ লেখা সম্ভব।
আপনারা সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আল্লাহ হাফেজ। আর আমাদের সকলের জন্য দোয়া করবেন।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -১৮০
৩১-০৩-২০২
ধন্যবাদ
মোঃ ইফতেখার আলম মজুমদার
কান্ট্রি এম্বাসেডর