দেশে বিচার চেয়েছিলাম তার ফ্যামিলির লোকের কাছে বিচার দেয় নাই। মামলামকদ্দমার
"বিসমিল্লাহ্ হির রাহমানির রাহিম"
"আসসালামুলাইকুম "
🗓২০২০সালের ৬মাসের আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু কাহিনী আশাকরি কষ্ট হলেও লিখাটুকু পড়বেন📖..........?
✍শুরুতেই মহান আল্লাহ্'র দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। পরম দয়াময় দয়ালু যিনি এখন পর্যন্ত এই মহামারী করোনা দুর্যোগে আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে ভালো রেখেছেন ও সুস্থ্য রেখেছেন।
👮আমি প্রথমেই চির কৃতজ্ঞতার সাথে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আমাদের সকলের নয়ন মণি প্রিয় মেন্টর তরুন প্রজন্মের আইডল ও আইকন..... #জনাব_ইকবাল_বাহার_জাহিদ_স্যার কে। যিনি এতো সুন্দর করে নিখুঁত ভাবে আমাদের মাঝে অসাধারণ বিশাল একটি প্ল্যাটফর্ম উপহার দিয়েছেন। যে প্লাটফর্মে সবাই আমরা ভালো মানুষ।
#নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প' গ্রুপ প্রিয় এই প্লাটফর্মের ভাই ও আপুদের জানাচ্ছি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি আশাকরি আপনারা আপনাদের অবস্থান থেকে এই মহামরী করোনা দুর্যোগকালে ভালো আছেন ও সুস্থ্য আছেন। ভালো থাকাই মহান আল্লাহ্'র দরবারে আমার একান্ত কাম্য।
#নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প' গ্রুপের এই প্লাটফর্ম পেয়ে আমি ভাবনার অনুকুলে হারিয়ে যাই অজানা এক স্বপ্নের ভুবন। স্বপ্নের জাল বুনেছি আমার এই অন্তরে। যেখানে পাচ্ছি শিক্ষা তাও আবার বিনামূল্যে। স্যার আমাদের প্রতিনিয়তো যে শিক্ষা দিচ্ছেন সেই শিক্ষায় আলোকিত হয়ে আমি আশার প্রদীপ দেখছি সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে। আমার জীবন ধন্য এমন একটি প্লাটফর্ম পেয়েছি, যেখানে ভালো মানুষ হতে শিক্ষা পাচ্ছি কোন পয়সা লাগে না। মাঝে মাঝে চিন্তা করি এই প্লাটফর্মের সন্ধান আগে কেন পেলাম না। কোথায় ছিলাম আমি, এতো দেরিতে কেন পেলাম। হয়তো ভাগ্যে ছিলো এটাই আমার উপযুক্ত সময় পেয়েছি তাই দেরি করে। ছোট থেকে আমি পিতৃহীন, একজন মানুষের বাবার পরে যে বড় ভাইটি থাকে একটি বট গাছের ছায়া হয়ে যেটা আমার জীবনের অভাব ছিলো সেটি আমি পেয়েছি।
আমি আমার জীবনের শৈশবকালে যা না পেয়েছি প্রিয় প্লাটফর্মে তা আমি পাচ্ছি প্রতিনিয়তো। এই প্লাটফর্ম গ্রুপে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে গর্ববোধ মনে করছি।
এক অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু দুর্ঘটনায় আমার জীবন ছিলো ভিষন্নতায় ভরা। বিষাদে ভরা ছিলো আমার এ জীবন। সব সময় টেনশনে জর্জরিত ছিলাম। এমতাবস্থায় হঠাৎ একদিন মোবাইলে ফেসবুক ফ্লো করছিলাম আমাদের মানিকগঞ্জের মানিক অষ্টম ব্যাচ থেকে যুক্ত আছেন সৌদিআরব প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম ভাইয়ের একটা ভিডিও দেখতে পাই।
#নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প" গ্রুপের কথা বলার জড়তা কাটার ভিডিও সেশন মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে শুনছিলাম ভিডিওটি। তখন থেকে প্রায় এক মাস হবে প্রতিদিনই সময়ের ফাঁকেফাঁকে গ্রুপটি ফ্লো করতাম। প্রথমে একটু নেগেটিভ ভেবেছিলাম কারণ বাংলাদেশের সর্বনাশার ডেশটিনির কারণে। সেখানে আমি অনেক বড় একটা লোকসান পাই ২০০৯ সালে ২ লক্ষ টাকার একটা শেয়ার কিনে প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছিলাম। কথায় বলে চুন খেয়ে গাল পুড়েছে দই খেতেও ভয় লাগে। হে সেই ভয়টা আমার জীবনে পাথর হয়ে গেঁথে আছে।
কিন্তু #নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প" গ্রুপ সম্পুর্ন পজিটিভ একটা প্লাটফর্ম নিশ্বস্বার্থ একটা প্লাটফর্ম। বিশাল এই প্লাটফর্ম এর ভালো মানুষের ভালোবাসায় সত্যিই আমি মুগ্ধ। এখানে পেয়েছি বিনয়ের সাথে কথাবার্তা ভালোবাসার ভাই বোন। পাচ্ছি শিক্ষা উদ্দ্যোক্তা হওয়ার মনোবল নেটওয়ার্ক শক্তি। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছি প্রিয় এই প্লাটফর্ম পেয়ে।
এক কথায় বলতে গেলে আমি আমার জীবন ফিরে পেয়েছি। তা না হলে এতোদিন আমি ধংস হয়ে যেতাম।
এই প্লাটফর্ম এতো ভালোবেসেছি যার কারণে আমি বেশিরভাগ সময় এখানেই ব্যায় করি ও শিক্ষা গ্রহণ করি। আমার চিন্তা ধারা এখন এমন হয়ে গেছে যেন মরার আগে একটা ঠিকানা থাকলে সেটি হলো #নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প" গ্রুপ-ভিষন ভালোবাসি এই প্লাটফর্মকে। আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, যারা U A E.. দুবাই প্রবাসী, তারা জানেন যাদের ওয়াইফাই নেট নাই তাদের জন্য এন্ড্রোয়েট মোবাইলে এমবি কিনে চালানো খুবই মুশকিল হয়ে যায়। আমি আমার দশ বছর প্রবাসী লাইফে এই প্রথম বাংলাদেশের পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে মাসিক নেট বিল ব্যাবহার করছি। কারণ একমাত্র বিশাল পরিবারের প্লাটফর্মকে ভালোবেসে। যদিও অনেক খরচ করছি কিন্তু আমার কাছে প্রিয় এই প্লাটফর্মের জন্য কম হয়ে যাচ্ছে। কারন এখানে যে শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি আমার জন্য অতুলনীয়। আগে আমি বাংলার এক হাজার টাকা মানে দুবাই এর ৫০ দিরহাম খরচ করে নেট চালিয়েছি মাসিক প্যাকেজ প্রতিদিন গড় হিসাব ২৪ ঘন্টায় ২০০ এমবি চালাতে পারতাম এর বেশি পারতাম না। তাছাড়া আমার রুমে ওয়াইফাই আনার কোন ব্যাবস্হা নাই। এবং সারাদিন পড়ে থাকি কর্মস্থলে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ডিউটি শেষ করে রুমে এসে খানা দানা বানিয়ে খেয়ে শুয়ার সময় রাত ১২ টা ১ টা বেজে যায়। তাই সে হিসাবে বেশি নেটের প্রয়োজন হতো না। আমি প্রিয় এই প্লাটফর্মে চলতি বছরে ০৩/০২/২০২০ তারিখে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করি। তখন থেকে নিজের আগ্রহ নিয়ে কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে ওয়াইফাই নেটে ছুটে যেতাম। আমার এখানে একটি মার্কেট আছে নাম "carrefour" বড় একটি মল- আমার কাজের সাইড থেকে সেখানে যেতে পাঁচ মিনিট সময় লাগে সেখানে গিয়ে ফ্রি ওয়াইফাই নেট ব্যাবহার করতাম। প্রায়দিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় দিতাম প্রান প্রিয় প্লাটফর্মে। খুব বেশি মনোযোগ দিয়ে তেমন কিছু দেখতে পেতাম না। মনে ভয় থাকতো কখন সুপারভাইজার আসে এসে না দেখলে পানিশমেন পেতে হবে সে চিন্তাও করতাম। আমার মোবাইল সিমের ২০০এম বি যা থাকতো প্রতিদিনের গড়ে বাড়িতে কথা বলতাম আর যতোটুকু বাকি এম বি থাকতো প্রিয় স্যারের সেশন ও প্রিয় ভাই বোনদের লিখা গুলো পড়তাম ও কমেন্ট করতাম। সিম MB নেটে ভিডিও সেশন গুলো দেখা হতো না। তাই আমার ছুটে যেতে হতো ফ্রি ওয়াইফাইতে। এমন অবস্হায় মহামরী করোনা দুর্যোগে মার্চ মাসে ১২ তারিখে নিউজ পেলাম মার্চের ১৫ তারিখ থেকে সব কিছু বন্ধ করে দিবে লক ডাউন দিবে। তখন একটু চিন্তায় পরে গেলাম মাঝে মধ্যে কথা বলার জড়তা কাটার ভিডিও সেশন দেখতাম তা হয়তো আর দেখা হবে না। ফ্রি ওয়াইফাইতে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো। এদিকে ধিরে ধিরে পৃথিবীর রুপ পাল্টে যাচ্ছে অনেক ভয়ভীতি কাজ করছে মনের মাঝে। মনে হয়েছিলো পাহাড় সমান কষ্ট আমার বুকে চাপা পড়েছে। তখন সারা পৃথিবীর মৃত্যুর মিছিল এসব নিয়ে আমার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছিলো। আবার মাঝে মধ্যে ভাবি এই বর্তমান দুর্যোগ পরিস্থিত সবাই ভোগ করছে আমি কেন এতো চিন্তা করছি। নিজেকে শক্ত করে বললাম ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। এমন করে চার পাঁচটি দিন দুর্দর্শায় কাটিয়ে দেই কিছুই ভালো লাগছিলো না। কাজও বন্ধ হয়ে গেলো একা একা থাকতে হতো। হঠাৎ মার্চের ১৭ তারিখে একদিন সিম কোম্পানির হেড অফিসে গেলাম ডাটা সম্পর্কে জানতে তো সেই সুযোগে আমি আমার মোবাইলে মাসিক বিল সিস্টেমে ডাটা প্যাকেজ বানিয়ে নেই। ১৩দিন হিসাবে মাত্র ১২ জি বি নেট ও ৪০০ কল মিনিট পাই আবার শুরু হয় "নিজের বলার মতো একটা গল্প" গ্রুপে সময় দেওয়া। যুক্ত হই UAE ZONE ম্যাসেন্জার গ্রুপে ও যুক্ত হই প্রিয় প্লাটফর্মের মানিকগঞ্জ ম্যাসেন্জার গ্রুপে। এভাবে শুরু হয় একে অপরের সাথে পরিচয় ও মতোবিনিময়। এখন আমি ২৬ জি বি নেট ও ৮০০ মিনিট পাই প্রতি মাসে তাতেই সারা মাস কাভার করতে পারি না। কল মিনিট থেকে যায় কিন্তু MB ফুড়িয়ে যায়। এপ্রিল ও মে মাস ২০ তারিখের আগেই নেট ফুরিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে কিছু দিন নেটের অভাবে ছিলাম। তিনটা অনলাইন জুম মিটিং মিস করেছি যেটা আমার জন্য ইমপোর্টেন ছিলো।
জুন মাস নেটে বরাবর ৩০ দিন ভালো ভাবেই শেষ করেছি আলহামদুলিল্লাহ। তো মজার বিষয় হলো জুন মাসের ২৯ তারিখে #বাবার_প্রতি_ছেলের_আবদার ফোনে কথোপকথনে একটা পোষ্টে স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে হয়েছি। এটা আমার জন্য বড় একটি পাওয়া যে পাওয়ায় আমি অভিভূত। কমিউনিটি ভলেনটিয়ারে সুযোগ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
🙇ও হে আমার বুকের লুকানো কষ্টের কথা বলাই হয়নি। কেন আমি বিশান্নতায় কাতর ছিলাম। যে কথা বার বার বলেছি পাহাড় সমান কষ্ট। আমি আমার চাকরীর পাশাপাশি ছোট আকারে একটা বিজনেস করার পরিকল্পনা করি। এবং বিজনেস পার্টনারের জন্য পরিচিত বাংলাদেশি এক ভাইয়ের সাথে বিজনেস করার কথা বলি। তার সাথে চলাফেরা আমার প্রায় পাঁচ বছর ধরে। আমি ছিলাম অন্ধ বিশ্বাসী তার প্রতি আমার বিশ্বাস ছিলো অতুলনীয়। সেই সুবাদে তাকে আমার সাথে পার্টনার করবো একটা লাইসেন্স বানাবো জুস দোকানের। ডিসেম্বর মাসে কথাবার্তা বলি ২০২০
সালের জানুয়ারি প্রথম থেকে কাজ শুরু করবো সব ফাইনাল করে রাখি। আমার পার্টনারের আগের একটা মোদি দোকান ছিলো। সেই দোকান বিক্রি করে দিবে এই কথা আমি জানতাম। তার মোদি দোকানের লাইসেন্সের কি যেন সমস্যা ছিলো সেই অজুহাত দেখিয়ে আমার কাছ থেকে জানুয়ারি ০৯/০১/২০২০খ্রিষ্টাব্দ বাংলার নগত ৬ লক্ষ টাকা নেয়। আমি দিয়েছি সরল মনে যেহেতু দুজন একসাথে ব্যাবসা করবো। সকালে টাকা নিয়েছে দুপুরেই মোবাইল বন্ধ। ভাবলাম তার মোবাইলে চার্জ নাই হওতো কাজে ব্যাস্ত আছে বা মোবাইল ভুল বসতো বন্ধ হয়ে গেছে পরে কল দেবো। আবার এক ঘন্টা পর তার ফোনে কল করি মোবাইল বন্ধ তো বন্ধ। একটু দাউট মনে হলো তখন টেক্সি নিয়ে সেখানে চলে যাই। যাওয়ার পর দোকান বন্ধ পেলাম। আশেপাশে অনেকের কাছে জিগ্যেস করলাম কেউ জানে না কোথায় গেছে। শুনলাম দোকান বিক্রি করে দিয়েছে তার কোন খবর নাই।
আমি তো তখন আর আমি নাই পুরো আকাশটা আমার মাথার উপর ভেঙে পড়লো। সারাটা দিন খুঁজাখুঁজি করলাম পেলাম না। সেই সময় থেকে খাওয়া দাওয়ার কোন খেয়াল নাই। শরীরের কি অবস্হা বেহাল দশা অনেক কান্না করেছি। সে সময়ে তিনবার করে থানায় যাই পরে মামলা করি আবার দেশের বাড়িতে ফোনে কলের পর কল করেছি তার বাবা মা কিছুই জানে না বলতে পারে না। এমন করতে করতে রাত ১১ টা বেজে যায়। বাসায় ফিড়ে আসি ১১ বেঁজে ২০ মিনিট মধ্যে রুমে এসে ওয়াস রুমে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মুখ ওয়াস করতেই নিজেকে একটু চেয়ে দেখি একদম শুকিয়ে গেছি। চেয়ে চেয়ে দেখলাম আর প্রশ্ন করলাম আমি মানুষকে এতো বিশ্বাস করি আজ সেই বিশ্বাসের মর্যাদা এমন করে প্রতিদান পেলাম। সে রাতে কিছুই খায়নি প্রচুর মাথা ব্যাথা ছিলো। চিন্তায় সারা রাত ঘুমাতে পারিনি এই কথাগুলো আমি আমার সহধর্মিণীকে সব খুলে বলি সেও আমার সাথে অনেক কান্না করেছে লিখতে গিয়ে সেদিনের কষ্টে এখনো গড়গড়িয়ে কান্না চলে আসছে দুচোখ জুড়ে😢🤕😰।
এখন সেই কথা মনে করতেই মুখে খারাপ ভাষা আসলেও বলতে পারি না বকা আসলেও দিতে পারি না। কারন আমাদের আইডল এর আদর্শ বুকে নিয়ে পথ চলি। মানুষ কেন এমন হয় তাও আবার কাছের মানুষ। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাকে ধোকা দিয়ে নগত অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বুঝতে পারি এটা তার পূর্বের পরিকল্পিত চিন্তা ছিলো। সেই থেকে আমার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। থেমে যায় আমার স্বপ্ন দেখা।
দেশে বিচার চেয়েছিলাম তার ফ্যামিলির লোকের কাছে বিচার দেয় নাই। মামলামকদ্দমার ভয় দেখানো হয় তাতেও কোন ফয়দা হয় নাই। পরে আমি সিদ্ধান্ত নেই আমি তো শেষ হয়ে গেছি তাকেও আমি শেষ করে দেবো এমন হিংস্র হয়ে গিয়েছিলাম তাকে মেরেই ফেলবো। অনেক খুঁজাখুঁজি করে আমার এক পরিচিতি তাদের এলাকার এক ভাইয়ের কাছে জানতে পারি সে আবুধাবি সিটিতে থাকে সেখানে আমি তিনবার গিয়েছিলাম পাইনি। পরে মার্চের ৭ তারিখে আমি জানতে পারি সে ইউরোপ গেছে। দেশে মেম্বার চেয়ারম্যান ময়মুরুব্বী দিয়ে বিচারে ডাকা হয়েছিলো তার ফ্যামিলির লোক জন বসে নাই। তো কি আর করার দেশে বিচার করবে আমরা দুজন যখন একত্রিত হবো তখন করবে। এখন সেই আসায় আছি কবে দেশে যাবো আর কবে বিচার পাবো টাকাগুলো পাবো কি পাবো না জানিনা।
এমন ঘটনার পর যখন এই প্লাটফর্মের সন্ধান পাই আর সেই সুবাদে আমার জীবন বদলাতে শুরু করি এবং ভালো মানুষ হতে রেজিস্ট্রেশন করি। তখন ধীরে ধীরে আমার রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করলাম। আর চিন্তা করি বেঁচে থাকলে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবো। ভাবলাম আমার মা' ছেলে, মেয়ে,স্ত্রী আছে আমার কিছু হয়ে গেলে তাদেরকে দেখার কেউ থাকবে না। সেই কথা চিন্তা করে আমার জীবনে নতুন করে রাঙিয়ে তুলি। শুরু করি এক নতুন অধ্যায়।
আমি প্রিয় স্যারের ঋন কখনো শোধ করতে পারবো না। কারণ এই প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে নতুন করে বাঁচার সাহস পেয়েছি। স্বপ্ন দেখি নতুন উদ্দ্যোক্তা হওয়ার, স্বপ্ন দেখি চাকরী করবো না চাকরী দেবো। কর্মসংস্থান তৈরি করবো।,,,,
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার লিখাটুক মনযোগ সহোকারে পড়ার জন্য।
ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন............... ।।।
""""""""""""""""""""""আল্লাহ্ হাফেজ"""""""""""""""""""
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৬৮
০৩-০৭-২০২০
মোঃ মনোয়ার হোসাইন
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
ব্যাচ নং- ৯ম,
রেজিঃ নং- ১১০৩৪
ব্লাড গ্রুপঃ- ও নেগেটিভ
জেলাঃ-মানিকগঞ্জ
রেমিটেন্স যোদ্ধা- সংযুক্ত আরব আমিরাত রাস-আল খায়মাহ্
📱00971554536027
📧manowarmulla@gmail.চম