প্রিয় গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও কি কি শিখলাম ও পেলাম**
** প্রিয় গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও কি কি শিখলাম ও পেলাম**
আস সালামু আলাইকুম
🌹🌹🌹লাল গোলাপের শুভেচ্ছা ও ভালবাসা প্রাণ প্রিয় গ্রুপের সকল ভালো মানুষদের প্রতি ও বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সবার প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। প্রিয় গ্রুপের সাথে যুক্ত আছি ৪র্থ ব্যাচ থেকে, আলহামদুলিল্লাহ যুক্ত হবার পর থেকে এমন কোন দিন আসে নাই যে স্যারের প্রতি দিনের সেশন পড়ি নাই এবং সে হিসেবে প্রতি পোস্ট এ পর্যন্ত ৬ বার স্যার পোস্ট করেছেন কিন্তু এমনও হয়েছে যে একই পোস্ট এ পর্যন্ত ১২/১৫ বার পড়া হয়ে গিয়েছে, এক জাদুর মোহের মতো কাজ করে স্যারের পোস্ট গুলো, যা বার বার পড়তে অনুপ্রাণীত করে, প্রতিবার মনে হয় যে প্রথমবার পড়ছি, এত ভালো লাগার কাজ করে।
শুধু যে পড়েই ক্ষান্ত হয়ে গেছি এমনও নয়, জীবনের চলার পথে প্রতিটি ক্ষেত্রে স্মরণ রাখতে চেস্টা করি এই ব্যাপারে স্যার কি বলেছেন, কোন কাজ শুরু করার আগেও স্যারের পোস্ট গুলো রিভিউ করার জন্য খুজে বের করি আবার নতুন করে স্যারের সেশন বুঝার জন্য যাতে বাস্তবে প্রয়োগ করতে কোথাও ভুল না করে বসি।
🏆🏆এই গ্রুপে যুক্ত হয়ে আমার এমন কিছু বড় বড় পরিবর্তন হয়েছে যা পরিবর্তন করতে পেরে সত্যি আমি অবাক হয়েছি, শুধু আফসোস করি কেন এই পরশ পাথরের শিক্ষা ছোট বেলা থেকে পেলাম না তাহলে তো এই মহা ভুল গুলো আমার দ্বারা হতো না, নিজের যে বদ মেজাজী স্বভাব, হুটহাট করে রেগে যাওয়া, যে কোন কাজে নিজের স্বীদ্ধান্তকেই প্রাধান্য দেওয়া, এমন ধরনের ব্যক্তি স্বভাবের অনেক বদগুনকে চিরতরে সমাধি করতে পেরেছি আর এই সব একমাত্র সম্ভব হয়েছে স্যারের সেশন গুলো ফলো করে ও নিজের জীবনে প্রয়োগ করে।
🏆🏆নিজের জীবনের একটি নীতি সবসময় মানি ও করি, যা হলো “ পারলে কারো উপকার করো তবে কারো অপকার করো না” এই নীতিতে বরাবরই বিশ্বাসী ছিলাম ও সারা জীবন থাকব। কিন্ত নিজে যে একজন ভালো মানুষ তা পুরোপুরি বলার মতো নিজেকে মনেহয় নি কখনো, কিন্তু এই গ্রুপে যুক্ত হয়ে আর স্যারের সেশন গুলো ফলো করে ও নিজের জীবনে চর্চা করে আজ শুধু নিজেকে ভালো মানুষ মনেহয় না বরন্চ তা গর্বের সহিত বলতে পারি। আমি এখন পুরোপুরি ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে ভাবতে পারি ও বলতেও পারি। এটা যে ব্যক্তি জীবনে কত বড় প্রাপ্তি তা শুধু ঐ ব্যক্তিই বুক ফুলিয়ে বলতে পারে যে একজন সত্যিকারের ভাল মানুষ হতে পেরেছে।
🏆🏆আমাদের মা বাবা আমাদের সবার কাছে শিরোমনি, মা বাবার আদেশ জীবনে সবসময় মানার চেস্টা করেছি আর আমরা সবাই তাদের নিজেদের প্রাণের চেয়ে অধিক ভালবাসি। গ্রামের থেকে ১০ম শ্রেণী পাশ করে ইন্টারে “ঢাকা কলেজে” ভর্তি হই, জীবনে বড় কস্টের সময় গেছে তখন, না কোন টাকার অভাববোধ মা বাবা আমাদের কি তা বুঝতে দেন নি কখনো তার জন্য মা বাবার নিকট চিরকৃতজ্ঞতার পাশাপাশি মহান আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শোকরিয়া আদায় করছি যে, পৃথিবীর শ্রেস্ঠ মা বাবা আমাদেরকে দেওয়ার জন্য। শুধু আর্থিকভাবে অভাব পূরণই নয়, মানসিকভাবে সবসময় সাপোর্ট করে গেছেন যদি তা যুক্তিসঙ্গত হতো এবং এর জন্য কি করতে হবে তা অর্থ থেকে শুরু করে সব রকমের সাপোর্ট করতেন। তো কস্টের কথা যা বলছিলাম, জীবনে কোন দিন মা ছাড়া কোথাও যাই নি তাই কোথাও থাকার তো প্রশ্নই উঠতো না অথচ কলেজে ভর্তি হয়ে সেই প্রিয় মা ছাড়া থাকতে হচ্ছে, এ বিরহ যে কি কস্টের তা শুধু মা পাগল সন্তানই বুঝতে পারবে, কত রাত কেদে কেদে কাটিয়েছি, কতবার রাত ১০/১১ টার বাস ধরে ফজরের নামজের আগে পরে বাড়িতে গিয়ে মা কে সারপ্রাইজ দিয়েছি, মায়ের সেই হাসি মুখ দেখলেই মনে হতো পুরো পৃথিবী আমার সামনে দাড়িছে আছে। মা বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ সবসময় ছিল কিন্তু যা ছিল না তা হলো ছোট তিনটি শব্দ না বলা। আর সেই ছোট তিনটি শব্দ বলা শিখিয়েছেন আমাদের প্রিয় স্যার। জানতে চান কি সেই ম্যাজিক তিনটি শব্দ “মা বাবা আমি তোমাদের ভালবাসি” দেখুন আমার চোখে পানি চলে এসেছে লিখতে গিয়ে। মা বাবাকে ভালবাসি বলার মধ্যে যে কত আবেগ লুকিয়ে আছে তা ব্যক্তিমাত্রই আপনারা আশাকরি জানেন। আর এই অসাধ্য সাধন করেছেন আমাদের প্রিয় স্যার। এই শিক্ষা তো আমাদের কোন স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় দেয়নি, দিয়েছে আমাদের প্রিয় স্যার।
🏆🏆যে কোন কাজ শুরু করার পূর্বে পজিটিভের পাশাপাশি নেগেটিভ কি কি সমস্যা হতে পারে তা চিন্তা করা আমার একটা বদ অভ্যাস ছিলো আর এর ফলে যখন দেখতাম নেগেটিভের পাল্লা ভারি তখন দেখা গেল যে ঐ কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যেত এবং কাজটা করা হতো ন। যা ছিল আমার জীবনের একটা বড় ধরণের ভুল ফিলোসফি। কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া মানে আপনি সফলতা থেকেও ধীরে ধীরে দূরে চলে যাওয়া। এমন মনোভাব থাকা যে ঠিক নয় যখন স্যারের অমর বাণী “ জীবনে বড় ও সুখী হবার জন্য পজিটিভিটির কোন বিকল্প নাই” এটা দেখলাম ও শিক্ষা নিলাম। কোন কাজে নেগেটিভ থাকতেই পারে, এটা দোষের কিছু নয় কিন্তু ঐ নেগেটিভ কে কি করে পজিটিভ করা যায় সেই শিক্ষাই স্যার আমাদের দিলেন। আলহামদুলিল্লাহ এখন আমার কাজ করার প্রক্রিয়া আমূল পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে স্যারের এই কথার ছোয়ায়,, অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় স্যার আপনার ঋণ শোধ হবার নয়।
🏆🏆খুব ছোট বেলা থেকেই মা বাবা কে দেখেছি যে কোন মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকতে। অন্যের সুখে পাশে থেকে তো অনেক আনন্দ উপভোগ করতাম, মজা করতাম কিন্তু কারো অসহায় অবস্থা দেখলে খুব দুঃখ পেতাম , কষ্ট লাগত। বাবা যেহেতু প্রবাসে থাকতেন তাই মা কেই এসব দেখতে হত, মায়ের এই উদারতায় তখন থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের জন্য কিছু করার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। মাঝে মাঝে আল্লাহকে বলতাম আমাকে এমন শক্তি দাও যেন সব দুঃখী মানুষের দুঃখ লাঘব করতে পারি, কিন্তু তা কি সম্ভম বলেন। তাই বড় হবার পর কোন সংঘটনের মাধম্যে কিছু করার চেষ্টা করেছি কিন্তু আফসোস সবখানেই রাজনীতি, দলাদলি, কারচুপিতে খুব হতাশ হলাম, তাই ঐ সমস্ত সংঘটন ছেড়ে নিজের পক্ষে যা করার সম্ভব তা করি কিন্তু মনের মাঝে অপূর্ণতা রয়েই যায় সামাজিক কার্যক্রমে নিজেকে সংযুক্ত করতে না পেরে। আলহামদুলিল্লাহ, মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে অশেষ শোকরিয়া, সেই আশাও আল্লাহ পুরুণ করে দিলেন স্যারের নির্দেশনায় সামাজিক কার্যক্রমে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে। যেখানে সত্যিকার অর্থেই সবাই অন্যের সমস্যাকে নিজের সমস্যা মনে করে, অন্যের বিপদে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, কোন রাজনীতি, দলাদলির অবকাশ নাই, এখানে “সবার জন্যই আমরা সদা প্রস্তুত” এমন সৈনিক মনোভাব নিয়ে ২৪ ঘণ্টা নিজেকে তৈরি রাখে। এরচেয়ে বড় সামাজিক কার্যক্রম বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা ও বিশ্বের ৫০ দেশে একই সাথে শুরু হওয়ার ইতিহাস আজ পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি কিন্তু আমাদের স্যারের মাধ্যমে এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়েছে। আল্লাহ উনার এই মহত কাজের উত্তম প্রতিদান দিন আমিন।
🏆🏆গ্রামে স্থায়ী নিবাস হওয়াতে ছোট বেলা থেকেই অনেক বন্ধু বান্ধুব ছিল আর মজার বিষয় হল আমি ও আমার বড় ভাই একি ক্লাসমেট ছিলাম। তো জীবনের বন্ধু হওয়াটাও অনেকটা একই সাথে চলতে চলতে হয়ে যায় কিন্তু জীবন পথে খুব কমই ভালো মানুষ পেয়েছি, উপর থেকে ভালো কিন্তু মনের মাঝে লোভি মনোভাব কি সহজে বাইরে থেকে বুঝা যায়। তাই জীবনে লসের পরিমাণ কোটি টাকার উপরে কিন্তু নিজে সৎ ছিলাম বলে আল্লাহ বার বার বিপদে থেকে উদ্ধার করেছেন, হয়ত আবার ঘুরে দাড়াতে সময় লেগেছে কিন্তু ঠিকই দাড়িয়েছি পুর্বের থেকে বেশী শক্তি সামর্থ নিয়ে। কিন্তু এমন কোথাও দেখিনি যে, যেখানে সবাই ভালো মানুষ হবার মহান ব্রত নিয়ে একজোট হতে। যেখানে আমরা হোঁচট হোঁচট খেতে খেতে খুজে ফিরি কে ভালো মানুষ, কাকে নিজের সুখ দুখের কথা বলা যায়, কার উপর ভরসা করা যায়, কে আমাকে ঠকাবে না, এমন মানুষ খুঁজতে খুঁজতে দেখা যায় যে আমাদের জীবনই শেষ পর্যায়ে চলে আসে, জীবনে সফল হতে আর পারি না। কিন্তু না, এখন আর আপনাকে বিশ্বের কোথাও গিয়ে জনে জনে ভালো মানুষ খুঁজতে হবে না, আপনাকে কারো দ্বারে দ্বারে ঘুরতেও হবে না, আপনি শুধু Young Entrepreneurs "নিজের বলার মতো একটা গল্প" গ্রুপ্রের সদস্য হয়ে ৯০ দিনের সেশন শেষ করে নিজেকে পরিপূর্ণ ভালো মানুষ করে নেন আর এই ৯০ দিনের মাঝে আপনি এই গ্রুপে লাখো লাখো ভালো ভাই বোন পেয়ে যাবেন, জী এতই সহজ এখন আর এই কঠিন কাজকে একেবারে সহজ করতে পেরেছেন আমাদের সবার প্রিয় স্যার।
পরিশেষে সবার কাছে কৃতজ্ঞতাবোধ কস্ট করে পড়ার জন্য ❤️❤️❤️🙏🙏🙏, আপনাদের ন্যূনতম ভালো লাগলে লেখা সার্থক হবে।
🙏🙏🙏ধন্যবাদ প্রিয় স্যার আমার মতো লাখো মানুষকে পরিবর্তন করার মহানব্রত নিয়ে মহান উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য, আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য অন্তর থেকে দোয়া করি যেন মহান আল্লাহ আপনাদের সবাইকে সুস্থ ও ভালো রাখুন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সবাই ও নিরাপদে থাকবেন।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৬৮
০৩-০৭-২০২০
জাবেদ মোহাম্মদ
৪র্থ ব্যাচ; রেজি: নং ৭৪১
এন আর বি- সৌদি আরব, দাম্মাম।
সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী।