তখন ভালো চাকুরী না পাওয়ায় হঠাৎ মনে বেশি টাকা আয় করতে হলে দেশের বাহিরে যেতে হবে
#নিজের_গল্প #সফলতার_গল্প
“নিম্নবিত্ত ঘরের খেটে খাওয়া সেই ছেলেটির “Lufthansa Airlines ✈️ “এর সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার হয়ে উঠার গল্প“❤️
“ ২য় খন্ড “
আসসালাইকুম, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আমাকে মনে আছে? ঐ যে, গাজীপুরের ফুটপাতে ব্যবসা করা ছেলেটির জার্মানির “Lufthansa Airlines ✈️ “ এর সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার হওয়ার গল্প বলেছিলাম আপনাদের! এখন মনে পরেছে? যাদের মনে পরেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ❤️
আর যাদের এখনো মনে পরে নি, তাদের জন্য গল্পের প্রথম খন্ডের লিংক টি নীচে দিয়ে দিলাম। গল্পের শুরু থেকে পুরোটা জানার জন্য প্রথম খন্ড টি পড়তে ভুলবেন না। 👇
https://www.facebook.com/groups/youngentrepreneursbdiqbal/permalink/964276197377070/
================================
১৯৯৪ সালে শুরু হওয়া সেই গল্পটির আজকে বলবো দ্বিতীয় খন্ড। মনে আছে আপনাদের কোথায় থেমে গিয়েছিলো প্রথম খন্ড?
ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর গণিতে অনার্স এ ভর্তি হয়েও টাকার অভাবে পড়তে না পেরে চাকুরী নিলাম একটা NGO তে। মাসিক বেতন ২১০০/-। ১ মাস ট্রেনিং পিরিয়ড, কোনো বেতন দিবে না। পরের মাস থেকে পোস্টিং, পোগ্রাম অফিসার (PO)। চাকুরীর স্থান গাজীপুর এর বোর্ডবাজার। যেদিন চাকুরীর লেটার পেলাম সেদিন প্রথম আমি কাজ টি করেছিলাম সেটা হচ্ছে, আমার এক বন্ধুর কাছে ৫০০/- ধার নিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংক এর জয়দেবপুর শাখায় একটি মাসিক ডিপিএস খুলে ফেললাম। কারন, Warren Buffet এর একটা বই পড়ে জেনেছি:
“Do not save what is left after spending, but spend what is left after saving.”
“খরচের পর অবশিষ্ট টা সঞ্চয় না করে, সঞ্চয় এর পরে অবশিষ্ট টা খরচ করুন”
ভালোই চলছিলো। জয়দেবপুর টু বোর্ডবাজার যাতায়াত খরচ মাসিক আনুমানিক ৬০০/- , ব্যাংক এ জমানো মাসিক ৫০০/-
অবশিষ্ট ১০০০/- কোনো রকমে সংসারে কিছুটা হলেও খরচে হেল্প করা।
ওহ! সরি, একটা কথা মাঝ থেকে বাদ পরে গেছে। আমার ইন্টারমিডিয়েট এর পর যখন আমি কিছুদিন চাকুরীর চেষ্টা করেছিলাম, সেই সময় ঢাকা থেকে “মোবাইল ইন্জিনিয়ারিং” এ
একটা ছয় মাসের ডিপ্লোমা কোর্স করেছিলাম। কারন, ২০০৫ সালের সেই সময়ে মোবাইল রিপেয়ারিং এর খুব ভালো একটা ব্যবসা ছিলো। যদিও মোবাইল সার্ভিস সেন্টার দেওয়া আমার মতো সদ্য HSC পরীক্ষা দেওয়া একজন ছাত্রের জন্য আকাশ-কুসুম স্বপ্নের মতো ছিলো, তারপরও ছুটির ঐ সময় টা কে কাজে লাগানোর জন্য কোর্স টা করে রাখলাম। হয়তো কখনো কাজে লাগতেও পারে। 📱
====================
“NGO তে চাকুরী”
যাই হোক, NGO তে জব টা চলছিলো। ফিল্ড এ কাজ করতে হতো। গরীব-অসহায় মানুষদের মধ্যে ঋণ দিয়ে, সেই ঋণের কিস্তি আদায় করতে হতো। অনেক দূরের গ্রামেও যেতে হতো। আমার মনে আছে, আমার সবচেয়ে দূরের যে ফিল্ড টি ছিলো সেটা অফিস থেকে ৯ কি.মি. দূরে। তাই সপ্তাহে একদিন ৯ কি.মি. হেঁটে যাওয়া + ৯ কি.মি. হেঁটে আসা, মোট ১৮ কি.মি. যাতায়াত করতে হতো। কি??? আপনাদের মনে প্রশ্ন হচ্ছে? কেনো, অন্য কোনো ব্যবস্থা ছিলো না হাঁটা ছাড়া?
ছিলো তো... (১) সাইকেল, যেটা কেনার সামর্থ্য আমার ছিলো না, (২) টেম্পু, যার যাতায়াত ভাড়া ১২/- দিলে আমার সংসার এর খরচের টাকা অনেক কম পরে যেতো। তাই দুই পা কেই যানবাহন বানিয়ে ঐ ফিল্ড এ যাতায়াত করতাম। তবে সব কষ্ট ভুলে যেতাম, যখন দেখতাম আমার দেওয়া লোনের টাকা কাজে লাগিয়ে একজন সহায়-সম্বলহীন মানুষ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন, একজন রিক্সাওয়ালা কে আর ভাড়ায় রিক্সা চালাতে হয়নি, তাকে কিনে দিয়েছি নতুন রিক্সা, যখন অন্যের দোকানে চাকুরী করা মানুষ টা কে একটা ছোট দোকানের মালিক করে দিতে পেরেছি কিংবা গার্মেন্টস চাকুরী করা এক বোনকে সেলাই মেশিন কিনে দিয়ে স্বাবলম্বী করতে পেরেছি। অনেক কিছু শিখেছি তাদের কাছ থেকে আমি। জীবন সংগ্রামে কিভাবে টিকে থাকতে হয়, যে কোনো পরিস্থিতি তে হাল ছেড়ে না দিয়ে কিভাবে লেগে থাকতে হয় এবং তার চেয়েও বড় যে জিনিস টা শিখেছি সেটা হচ্ছে অনেক টাকার মালিক না হয়েও কিভাবে সুখী হতে হয়। ❤️
NGO তে জব করাকালীন একদিন শুনলাম আমার বাসার সামনেই সাব-রেজিস্ট্রি অফিস (যেখানে জমির/অন্যান্য কাজের সরকারী দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়) আসবে। মাথায় আসলো কম্পিউটার কম্পোজ এর কাজের কথা। দোকান ভাড়া নেওয়ার যেহেতু সামর্থ্য নেই তাই, মনে মনে একটা কম্পিউটার বসানোর জায়গা খুঁজতে লাগলাম। এইদিকে অফিসে একদিন মিটিং এ হঠাৎ করেই আমাকে Assistant Manager পদে পদোন্নতি দিয়ে অন্য একটা নতুন শাখায় ট্রান্সফার করার কথা জানালো। বেতন ৩৫০০/-। অনেক খোঁজার পর যখন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটা কম্পিউটার বসানোর জায়গা পেলাম এবং বুঝলাম যে, আমি উদ্যোক্তা হতে পারবো বা নিজে ব্যবসা করে আয় করতে পারবো... তখন সাহস করে পরদিন অফিসে গিয়ে চাকুরী ছাড়ার কথা জানিয়ে দিলাম। পুরুস্কার হিসেবে অনেকেই “পাগল” বলে সম্বোধন করলো। বললো “এই যুগে মানুষ চাকুরী পায় না, আর এ ছাড়ে! এ আবার কোন পাগল!” কিন্তু আমি এই মানুষ গুলোর প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। কেনো জানেন? কারন, এরা আমাকে পাগল না বললে আমি বুঝতাম ই না যে, আমি আমার গন্তব্যের সঠিক রাস্তাতেই যাচ্ছি। 😍
===================
“কম্পিউটার কম্পোজার”
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটা দোকানে জায়গা তো পেলাম, কিন্তু কম্পিউটার, প্রিন্টার এগুলো কেনার টাকা কোথায় পাবো? হঠাৎ একটা বেল বাজলো! ন্যাশনাল ব্যাংক ডিপিএস!❤️
ডিপিএস ভেঙ্গে কিছু টাকা হলো, কিন্তু বাকী টাকা??? কেনো জানি মনে হচ্ছিলো আর হয়তো পারবো না, চাকুরী টাই হয়তো করে যেতে হবে। কিন্তু না, ভুল ছিলাম আমি। ঐ যে আমার নাছোড়বান্দা মা’র কথা বলেছিলাম, মনে আছে আপনাদের?
আমার মা তখন বাকী টাকা লোন তুলে দিলেন। কেনা হলো প্রয়োজনীয় সকল জিনিস এবং আমার জীবনের প্রথম কম্পিউটার। 😍
===================
“নিজের দোকান + পার্ট টাইম চাকুরী”
ভালোই চলছিলো কম্পিউটার কম্পোজের কাজ। প্রথম প্রথম কাজ শিখতে শিখতে একটু কম আয় থাকলেও টাইপিং এর স্পিড বেড়ে যাওয়ার পর আয় বাড়তে থাকলো। হঠাৎ দোকানের মালিক বললো, “ভাই, তুমি তো বিশ্বাসের সাথে অনেক দিন ধরেই এখানে কাজ করতেছো, আমার একটা জেনারেটর সার্ভিস এর ব্যবসা আছে সেখানে প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা কালেকশন হবে, সেটার হিসাব টা যদি প্রতি মাসে একটু মেইনটেইন করে দিতে পারতে আমাদের খুব উপকার হতো!” সাথে সাথ মনের মধ্যে আওয়াজ আসলো “আমার নিজের ব্যবসা করেও যদি আরেকটা পার্ট টাইম চাকুরী করা যায়, যেটার জন্য আমাকে এক্সট্রা কোনো সময় দিতে হবে না, এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে!” বেতন আপাতত ৩০০০/- ❤️
কম্পোজের কাজ + পার্ট টাইম কাজ করতে করতে একদিন ঐ বিল্ডিংয়ের ই নীচতলায় একটা দোকান খালি হওয়ার কথা শুনে কোনো রকম দেরি না করে সেই দোকান মালিকের সাথে কথা বলে নিয়ে নিলাম আমার নিজের দোকান। “সিফাত টেলিকম” ❤️
কম্পিউটার কম্পোজ, টেলিকম ব্যবসা + আর কি বলেন তো?
ঐ যে মোবাইল ইন্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করেছিলাম মনে আছে? বলেছিলাম না, “যে কোনো কাজ শেখাই কখনো বিফলে যায় না”
কম্পিউটার কম্পোজ, টেলিকম ব্যবসা এবং মোবাইল সার্ভিসিং। অনেক গুলো সার্ভিস থাকায় টেলিকম ব্যবসা টা দেখার জনয আমার এই ছোট উদ্যোগেও আমি একজনের কর্মসংস্থান করতে সক্ষম হলাম। ভালো লাগলো ব্যাপারটা যে কারো এতোটুকু হলেও উপকার করতে পারছি। এভাবেই চলতে চলতে এক সময় পার্ট টাইম চাকুরী টা তে Manager পদে পদোন্নতি হলো। বেতন ৮০০০/- ❤️
==================
“ইন্জিনিয়ারিং পড়ার ভূত”
মাঝখানে একটা খুব ই গুরুত্বপূর্ণ ভুলে গিয়েছি। সেটা হচ্ছে, আমি কখনো মাসিক সঞ্চয় করিনি এমন মাস যায় নি। ২০০৮ সালে তখন ব্যাংকে আমি মাসে ৫৫০০/- করে ডিপোজিট রাখতাম। বিপদের বন্ধু হিসেবে। ১ টা ৫০০/- টাকার ডিপিএস+ ১ টা ৫০০০/- টাকার ডিপিএস।
২০০৮ সালে আমার প্রায় সকল বন্ধুদের যখন অনার্স/ ইন্জিনিয়ারিং/বিবিএ পড়া শেষের দিকে তখন আমি পুরোদমে একজন ব্যবসায়ী। কিন্তু হঠাৎ করে কেনো জানি মনে হলো, আমি কি আবার শুরু করতে পারি না? এখন তো আমার কিছুটা হলেও সামর্থ্য আছে। বন্ধুদের সাথে পরামর্শ করলাম, বন্ধুরা অনেক বেশি উৎসাহিত করলো। বললো “তোকে আবার শুরু করতে ই হবে।”
যেখানে পার্ট টাইম চাকুরী করি উনার অনুমতি নিয়ে ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে ভর্তি হলাম Uttara University তে Computer Science & Engineering এ। Architecture Engineering পড়ার ইচ্ছে থাকলেও অনেক দামী সাবজেক্ট হওয়ায় ভর্তি হতে পারি নি। তবে CSE ও আমার পছন্দের একটা সাবজেক্ট ছিলো।
ব্যবসা+পার্ট টাইম চাকুরী+ইন্জিনিয়ারিং পড়া সব চালিয়েছি একসাথে। স্যার তো আমাদের কে বলেন “কয়টা বছর ৯ টা ৫ টা ভুলে যেতে”। আমি রাতে ঘুমানোর ই সময় পাই নি আমার এমন অনেক রাত গেছে জীবনে। সকালে দোকানে সব হিসেব বুঝিয়ে দিয়ে ভার্সিটি তে ক্লাস করতে যেতাম, ক্লাস শেষে সরাসরি দোকানে। দোকান + চাকুরীর কাজ শেষ করতে মিনিমাম রাত ১২ টা বাজতো। সর্বনিম্ন ১৮ ঘন্টা করে কাজ করেছি, তারপর ই সম্ভব হয়েছে আল্লাহর রহমতে ২০১২ সালে একজন কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার হওয়ার। হ্যা, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা শেষ করে অর্জন করলাম ইন্জিনিয়ারিং ডিগ্রী। ইন্জিনিয়ারিং পড়াকালীন দোকানে অন্যান্য সেবার পাশাপাশি কম্পিউটার রিপেয়ারিং সার্ভিসও চালু করি। কম্পিউটার এর বেসিক ট্রেনিংও দিয়েছি।
================
“জার্মানীর পথে যাত্রা”
পড়ালেখা শেষ করে যখন চাকুরী খুঁজছিলাম এবং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গাজীপুর এর কয়েকটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানী তে আইটি’র কাজ করছিলাম, তখন ভালো চাকুরী না পাওয়ায় হঠাৎ মনে বেশি টাকা আয় করতে হলে দেশের বাহিরে যেতে হবে। আইইএলটিএস করলাম। ইংরেজী টা প্র্যাকটিস করতে থাকলাম। চেষ্টা করতে থাকলাম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। প্রায় দুই বছরে ১ বার ভিসা রিজেক্ট, ১ নো এ্যাপোয়েন্ট এবং ১ নো এ্যাডমিশন এর পর অবশেষে জার্মানির ভিসা পেলাম। আমার কিন্তু প্রথম ভিসা এপ্লিকেশন রিজেক্ট হয়েছিলো, তাই বলে আমি থেমে যাই নি। ২য় বার আবার ছয় মাস পর যখন সবকিছু রেডি করে দরখাস্ত করি , আমাকে কোনো এ্যাপোয়েন্টমেন্ট ই দেয় নি, ৩য় বার জার্মানির কোনো ইউনিভার্সিটি তে ভর্তির সুযোগ ই পাই নি। কষ্ট পেয়েছি অনেক, ভেঙ্গেও পরেছিলাম। কিন্তু হাল ছাড়ি নি। ৪র্থ বার দরখাস্ত করে পেলাম আবার ২ বছরের অপেক্ষার ফসল “জার্মান ভিসা” ❤️। ২০১৪ সালের ৩১শে মার্চ যাত্রা করলাম জার্মানির পথে।
================================
Lufthansa Airlines ✈️ এর সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার
জার্মানিতে ইন্জিনিয়ারিং পড়াকালীন অনেক কোম্পানীর আইটি তে পার্ট টাইম জব করেছি। আমার ইন্টার্নশীপ করেছি সফটওয়্যার ডিপার্টমেন্ট এ। কিন্তু আমার Thesis এর জন্য যখন আমি Lufthansa তে দরখাস্ত করি এবং ইন্টারভিউ কল পাই, সেই ইন্টারভিউ ই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আমার ইন্টারভিউ এর পারফর্মেন্স এবং সফটওয়্যার নলেজ দেখে ওরা আমাকে ফুল টাইম জব অফার করে! (২০১২ সালের শেষের দিকে আমি BASIS থেকে সফটওয়্যার এর উপর ৩ মাসের একটা ইনটেনসিভ কোর্স করেছিলাম) ❤️😍
Lufthansa Airlines এর মতো একটা কোম্পানী যেটা শুধু জার্মানি ই নয় বরং পৃথিবীর অন্যতম একটা কোম্পানী সেই কোম্পানীর “সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার” হিসেবে চাকুরীর অফার কে না করা এবং এমন একটা সুযোগ কে হাত ছাড়া করার মতো সাহস আমার ছিলো না। ❤️
তাই চাকুরী টার জন্য হ্যা করে দেই এবং ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ এর মার্চ পর্যন্ত Lufthansa Airlines ✈️ এ সফলভাবে চাকুরী করি। যদিও এখন প্রমোশন নিয়ে অন্য একটা কোম্পানী তে জয়েন করেছি, তারপরও Lufthansa‘র চাকুরী টা সারাজীবন ই আমার জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকবে। ❤️❤️❤️
পরিশেষে শুধু এতোটুকুই বলতে চাই “পরিশ্রম করার মানষিকতা থাকলে, সৎ থাকলে এবং হাতের ঘড়ির দিকে না তাকিয়ে শুধু কাজ টা করে যেতে পারলে ... এই পরিশ্রম কখনোই আপনার সাথে বেইমানী করবে না ইনশাআল্লাহ। ❤️👍❤️
আমি যদি গাজীপুর এর ফুটপাতে ব্যবসা করা থেকে Lufthansa Airlines ✈️ এর Software Engineer হতে পারি, তাহলে আপনি কেনো সফল হতে পারবেন না???
=======================
জীবনের গল্প আসলে ছোট করে লেখা যায় না। তাই পোস্ট টা অনেক বেশি দীর্ঘ হয়ে গেলো। কষ্ট করে যারা এই পোস্ট টি পড়বেন বা পড়তে পারবেন, আপনাদের ধৈর্য্য নিয়ে কোনো কথা হবে না। আপনারা Just Awesome 😎 ❤️
আর যারা পড়তে পারবেন না, তাদের জন্য সহমর্মীতা 😜
অনেক অনেক ভালোবাসা আপনাদের জন্য।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৭১
০৬-০৭-২০২০
মো: রায়হানুর রহমান
৮ম ব্যাচ, জেলা - গাজীপুর
কান্ট্রি এম্বাসেডর, জার্মানি
পেশা - সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার