শিখেছি কিভাবে মানুষের পাশে দাড়াতে হয়।
★নিজের বলার মতো একটা গল্প গ্রুপের সদস্যবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম।
★★★লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইলো★★★
★প্রিয় গ্রুপের সবাই কেমন আছেন? ★আশাকরি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন।
★প্রথমে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই, যে তিনি এখনো আমাদের ভালো রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
★বুক ভরা ভালোবাসা আর শ্রদ্দা জানাই আমার প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যরের প্রতি। জিনি নিঃস্বার্থ ভাবে আমাদের জন্য এরকম অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের জন্য❤।
★আজ আমার লাইফে ঘটে যাওয়া কিছু কাহিনী শেয়ার করবো প্রিয় পরিবারের মাঝে। এবং কীভাবে আপন মানুষের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যতা, আমাকে নিজে কিছু করার জন্য আরও বেশি উৎসাহ দেয় সেটা শেয়ার করবো।
★আমরা তিন ভাই। আমি সবার বড়। আর বড়দের দায়িত্বও থাকে অনেক বেশি। সেটা আপনারা জানেন নিশ্চয়। আমার বাবার ভাই বোনদের মাঝে আমরাই অর্থনীতির দিক দিয়ে সবার নিচে। বাকিরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভালোই আছে।
যার টাকা আছে তার সব আছে, তার আগে-পেছনে অনেকেই আছে। কিন্তু যার টাকা নাই তার কেউ নাই। এরকমই মনোভাব আমার বংশের লোকজনের মাঝে।
এমনও পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে তারা আমাদের সাথে অনেক খারাপ আচরণও করছে। (পুরাটা না হয় ভেঙ্গে না ই বললাম)
★একমাত্র তাদের থেকে নিচু বলে আজ তাদের কারো সাথেই আমাদের সম্পর্ক নেই। তারা সম্পর্ক রাখেনি আমাদের সাথে। কিন্তু আল্লাহ-তাআলা কখন কাকে নিচে আর কখন কাকে উপরে উঠাবে সেটা তিনিই ভালো জানেন।
★মানুষের যখনই কোনো খারাপ সময় বা দূঃখের সময় আসে কখন কাছের মানুষের সাহায্য আর ভর্ষা খুব প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের পাশে কেউ ছিলো না আর এখনো নাই।
★সবসময় মনের মাঝে একটা ভাবনা কাজ করতো যে কবে নিজে এ জীবন যুদ্ধে সফল হবো। কবে বংশের মানুষের এসব কষ্টকে নিজের সফল হওয়ার চাবি হিসেবে কাজে লাগাবো সেটা ভাবতাম।
★যখন আমি ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা বাস চালাতেন। তখন ই একদিন হটাৎ আমার বাবার এক্সিডেন্ট হয়। চরম দূর্গতি নেমে আসে আমাদের পরিবারে। তখন আমার মা বাবাকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন হাসপাতালে। আর আমি আর আমার ছোট ভাই আমরা আমার নানুর বাড়ি থাকতাম। আমার বাবার অনেকগুলো অপারেশন হয়। দীর্ঘ ৬ মাস হাসপাতালে ছিলেন বাবা। তখন থেকে বাবা আর বাস চালান না। এখন বাস কাউন্টারে থাকেন।
কোনোভাবে চলে আমাদের পরিবার।
আস্তে আস্তে পরিবারের খরচ বাড়তে থাকে।
★তারপরও মা-বাবা সবসময় আমাদের সব আবদার পূরণ করার চেষ্টা করতেন। শ্রদ্দা জনাই পৃথিবীর সকল বাবা মায়ের প্রতি❤।
★আস্তে আস্তে যখন বড় হতে থাকি তখন পরিবারের অভাব অনটন অনেকটা বুঝতে শুরু করি। তখন থেকে কিছু একটা করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু কিছুতেই কোনো কিছু করতে পারতামনা। সব জায়গায় ব্যার্থতা।
না পারতাম কোনো কাজে সফল হতে না পেরেছি ভালোবাসায় জয়ী হতে।
★ভালোবাসার কথা কি এখন বলবো🤔?
★★ না, বলেই ফেলি, প্রিয় পরিবারের মাঝে। তাহলে নিজে কিছুটা হাল্কা হতে পারবো।
★অনেকে আছে যে ভালোবাসার জন্য নিজের জীবনকে শেষ করে দেয় বা খারাপ পথে চলে যায়। অনেক খারাপ কাজ করে।
★এবার তাহলে আমার ভালোবাসার কাহিনি শুনুন।
★আমার এক খালাতো ভাই আছে দুজনে প্রায় সময়, একসাথে থাকতাম, বন্ধুর মতো। হঠাৎ করে আস্তে আস্তে মনের মাঝে একটা অনূভুতি হতে থাকে, যে আমি একজনকে পছন্দ করি। আলাদা একটা ফিলিংস মনের মাঝে কাজ করতো। মনে মনে একদিন ভাবছিলাম যে খালাতো ভাই এর সাথে কথাটা শেয়ার করবো। খুবই দূঃখের বিষয় হচ্ছে যে, যখনই আমি আমার খালাতো ভাইকে বলবো যে আমি ওই মেয়েটাকে পছন্দ করি,(কেউ কিছু মনে করবেননা, নিজের পরিবারের কাছে শেয়ার করছি মনের কথা। হাল্কা হওয়ার জন্য) আমার বলার আগেই আমার খালাতো ভাই আমাকে বলে যে আমি ওকে পছন্দ করি।😭। তখন খালাতো ভাইকে আর কিছু বল্লাম না। মনে মনে খুব কষ্ট পেলাম, কিন্তু কিছুই বলিনি খালাতো ভাইকে।Sacrifice করলাম। জানি আমার বয়স এখনো অনেক কম। কিন্তু এ বয়সেও অনেক Sacrifice করেছি অন্যের জন্য।
★নিজের ভালোবাসাকে খালাতো ভাই এর সাথে রিলেশন করিয়ে দেওয়ার জন্য আবার আমাকেই সাহায্য করতে হয়। কিন্তু বিষটি আমাদের পরিবার জানতে পেরে যায়। তখন আর কি করার সব কিছু বাদ।
★তখন থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আজ থেকে শুধু নিজেকে একজন সফল ব্যাক্তি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। আর কারো দিকে ফিরেও তাকাবো না।
★তখনই একদিন আমি ইউটিউবে স্যারের একটা ভিডিও দেখি। খুব ভালো লাগলো দেখে। স্যারের কথাগুলো আমার মনের মাঝে চাপা থাকা উদ্দোগক্তাকে যেনো আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করছিল। তারপরথেকে রিতিমতো স্যারের সকল ভিডিও দেখতাম। স্যারের ভিডিও দেখলে স্কিপ করতে পারতাম না। একটা আলাদা অনূভুতি হতো। মনে হতো যে আমার পাশে কেউ ছায়া হয়ে আছে সবসময় আমার মা-বাবার মতো।
★আমি তখনো গ্রুপে জয়েন হই নাই। কিছুদিন পর স্যারের একটি ভিডিওর মাধ্যমে আমি গ্রুপে জয়েন হই। গ্রুপে জয়েন হওয়ার কিছু দিন পর গ্রুপের কার্যক্রম বুঝতে পারি। আর তখন আমি রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলি নবম ব্যাচে। পুরো নবম ব্যাচ ধরে আমি স্যারের ৯০টা সেশন ফলো করি। জীবনের মানে খুজে পাই তখন। স্যারের সেশন গুলো সত্যি আমার জীবনের অনেক কিছু পরিবর্তন করে দিয়েছে। এখন মনে হয় যেনো আমি যেখানেই যাই না কেন আমার একটা বড় পরিবার সবসময় আমার পাশে আছে আর পাশে থাকবে সবসময়। এখন আর নিজের মাঝে কোনো ভয় নেই, নেই কোনো দ্বিধা। পাশে আছে বিশাল পরিবারের ভালোবাসা।
★আমি সবসময় একা থাকতে পছন্দ করতাম। বাইরে আড্ডা দিতাম না। বন্ধু বান্ধবও তেমন ছিলনা আমার। কারণ বন্ধু বানানোর জন্য সেরকম ক্যাপাব্লিটির কাউকে আশেপাশে পাইনি।
কিন্ত আশেপাশে কাউকে না পেলে কি হয়েছে পেয়েছি নিজের বলার মতো গল্প পরিবারের মতো অনেক বড় একটি ভাল মানুষের পরিবার।
★নিজের বলার মতো একটা গল্প পরিবার থেকে আমি পেয়েছি অনেক বড় একটি নেটওয়ার্ক।
পেয়েছি অনেক ভালো মানুষ।
এ গ্রুপ কে আমি শুধু একটি গ্রুপ মনে করিনা। মনে করি একটি পরিবার।
স্যার এর অনুপ্রেণায় আমি এখন অনলাইনে টিশার্টের ব্যবসা শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ ভালোই চলতেছে স্যারের এবং আপনাদের দোয়ায়।
আমার অনলাইন সপের নাম দিয়েছি
I.B. FashioN Store
★নিজের বলার মতো একটা গল্প গ্রুপ থেকে আমি অনেকে কিছু শিখেছি,
*শিখেছি কিভাবে একজন ভালো মানুষ হতে হয়। স্যার আমাদের শুধু একজন উদ্দোক্তা হওয়া শেখাননি, শিখিয়েছেন কিভাবে একজন ভালো মানুষ হতে হয়। শিখিয়েছেন কিভাবে নিজের পন্যের দ্বারা অনের উপকার করতে হয়।
★শিখেছি কিভাবে মানুষের পাশে দাড়াতে হয়।
*শিখেছি কিভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে হয়।
★পেয়েছি অনেক বড় একটি নেটওয়ার্ক। যা জীবন বদলানোর জন্য যথেষ্টর চেয়েও অনেক বেশি।
এবং প্রতিদিন শিখে যাচ্ছি নতুন কিছু।
শিখেছি আরো অনেক কিছু। যা লিখে প্রকাশ করার ভাষা আমার নাই। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও অনেক শিখবো যত দিন বাঁচবো।
সর্বশেষে দোয়া করি আমার স্যারের জন্য ও স্যারের পরিবারের জন্য ❤❤।
জানি গুছিয়ে লিখতে পারি নি।
অনেক কিছু বলে ফেললাম কোনো ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।
আজ অনেক হাল্কা অনূভব হচ্ছে মনে মাঝে।
❤দোয়া করি স্যার এবং স্যারের পরিবারের জন্য❤
❤সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ❤।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৭৪
০৯-০৭-২০২০
নামঃ কামরুল হাসান শাওন
জেলাঃ নোয়াখালী
ব্যাচঃ নবম
রেজিঃ ৯৪৬৩
নাম্বারঃ ০১৬৪২৭৯৫৬৭১
বর্তমান শিক্ষাঃ নোয়াখালী কলেজ ইন্টার ১ম বর্ষ।