এটি পৃথিবীজুড়ে সাড়া জাগানো ওপেন ফর্মুলার একটি হারবাল জুস যা
পোস্ট নং ৪৭
আস সালামু আালাইকুম,
নিজের বলার মতো একটা গল্প গ্রুপের প্রায় (সাড়ে তিন লক্ষ্য) সকল ভাই ও বোনদের প্রতি স্বাগত জানাচ্ছি ❤
শুরুতেই আমার প্রিয় শিক্ষক জনাব #ইকবালবাহারজাহিদ স্যারকে আন্তরিক সালাম ও ধন্যবাদ জানাই যে, এত সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়ার জন্য।💖❤
নিজের বলার মতো একটা গল্প গ্রুপে আমি বেশি দিনের না। তবে যখন ৮ম ব্যাচের সেশন চলে কিভাবে যেন একজনের পেজ এর লেখা পড়ে ভাল লাগে। তো আমারও ভালো লাগে লাইক, কমেন্ট করি। এভাবেই চলছিল আমি তখন জানতাম না যে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।😢😢
এভাবে যখন ৯ম ব্যাচ এর মাঝামাঝি চলছে, তখন জানতে পারলাম যে এখানে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
🙂🙂 আমি আসলে গ্রুপে খুব বেশি টাইম দিতে পারতাম না। কারণ বাচ্চা ২ জন, সকাল ৭:০০ টার সময় থেকে ওদের স্কুলের গেট বন্ধ করে দেয়। তো সেই ভোর আযানের ও আগে থেকে উঠে প্রস্তুতি নিয়া, নামাজ পড়া, নাস্তা রেডি করা, টিফিন রেডি করা, বেবীদের ঘুম থেকে উঠানো, নামাজ পড়ানো, রেডি করানো, খাওয়ানো, স্কুলে নিয়ে যাওয়া।
বাসা দূরে হওয়ার কারনে একবারে ওদের সকুল নিয়ে আসা। সেখানে বসার জায়গা না থাকার কারনে রাস্তার পাশে বা দোকানে বা ক্যান্টিনের ঘন্টার পর ঘন্টা ওয়েট করে ওদের ছুটি হলে একসাথে বাসায় আসা। স্কুল থেকে আসতে আসতে ৩:০০ - ৩:৩০ টা বাজে। তারপর গোসল, নামাজ, রান্না-বান্না, বাচ্চা খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো সব একা হাতে করা (কোনো হেল্পিং হ্যান্ড ছিল না বা এখনো নাই)। এক সময় টায়ার্ড হয়ে পড়তাম।
আবার, সন্ধ্যায় বেবীদের নাস্তা দেওয়া, পড়তে বসানো, এই ফাঁকে রান্না করা, পড়ানো। এত কিছু করে খুবই এক ঘেয়ামি আর টায়ার্ড লাগতো। কিনতু কিছুই করার ছিল না, হাতের অবস্থাও ভালো ছিল না যে বাড়তি টাকা দিয়ে বুয়া রাখা আর বিলাসিতায় থাকা।
যার কারণে গ্রুপে একদম সময় দিতে পারতাম না। আর কখন যে কি নিউজ বা নোটিফিকেশন আসে তা চেকও করতে পারতাম না। 🙂🙂
#তার উপর wifi নাই, কিনা ডাটা দিয়ে কি আর পোষানো যাই?
#তার উপর বেবীদের পড়াগুলো গুগলে সার্চ করে পড়ে ওরা।
#একটা ফোন বাসায়, কেনা ডাটা, সময় পর্যাপ্ত নেই, একঘেয়েমি লাইফ।
#বেবীদের বাবা ব্যাবসা করে '' event " এর। আর সেই সুবাদে বাসায় আসে কোনদিন ১১:৩০ বা ১২:০০ টা বাজে বা কোনদিন আরও বেশী হয়ে যায়।
#চোখে ঘুম তাকাতে পারি না, তার আবার খাবার দাও, সেগুলা গুছাও। এই করে ঘুমাতে যাই। কতক্ষণই আর ঘুম হয় আবারও ভোর ৪:০০ টার দিকে উঠে নামাজ পড়ে আবার কাজে লাগতে হয়। এই তো ছিল আমার ডেইলি রুটিন। কোন change ই করতে পারতাম না।🙂
#এর ভেতরে গ্রুপে ঢুকেছি স্যার এর পোস্ট এ কি লিখেছেন, দেখছি সকলে পোস্ট লিখেছেন একটু লাইক করছি কি দিয়ে কি হয়েছে জানিনা হঠাৎ Protul Pathak দা আমায় জানায় যে আমি নাকি কোথায় রিপোর্ট করেছি। 🙆🙆
#আমি তো বুঝতেই পারি নাই কিছু কিভাবে যে কি হয়েছে হয়তো চাপ লেগে চলে গেছে। তাই messenger এ call করি। বড়ই আশ্চর্য হলাম ওনার ব্যাবহারে। কি নম্র,ভদ্র ব্যাবহার। কিভাবে সম্ভব।।
#আমার অন্যায় আমি জানি।, আমি শুধু sorry বলেছি যে, আমি আসলে বুঝতে পারি নি। ব্যাস এটুই জানেন, সেই দাদা একটা খারাপ ব্যাবহারও করেন নাই। বলল ঠিক আছে আপা।
#আমি তার কথা চিন্তা করছি, এটা কিভাবে সম্ভব !! 💖 এত্ত ভালো মানুষ। 💖❤
#১০ম ব্যাচ চালু হয়েছে অনেক দিন। কে কোন জেলা লিখতে, পড়াশোনা কোথায় করেছে, লিখতে বলেছিলেন স্যার । আমিও লিখলাম এবং দেখি যে আমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে আমারই আপন ভাই Wadudur Rahman palash. 💖❤
#আমি তো জানতামি না। হয়তো পলাশ ভাইয়ার জন্যই গ্রুপে ঢুকতে পেরেছি। যাই হোক।
#এরপর ই জানতে পারি স্যার এর পোস্ট এ যে ৯ম ব্যাচের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। email id লাগবে। আমার email id খোলা ছিল না 😢😢 এ নিয়ে আরো কিছুদিন দেরি হল।
#গ্রুপে সবার পড়া পোস্ট এ কমেন্ট এর ফাঁকে ফাঁকে জানতে পারলাম যে প্রোগ্রাম হবে, বর্ষপূর্তি হবে। এর ফাঁকে পলাশ ভাই এর সাথেও কথা হয়। গ্রুপ নিয়ে কথা হলো। আমি বললাম আমি যাবো তুমি ব্যাবস্থা করো ভাইয়া, তো ভাইয়া রাজি হলো।
#এদিকে প্রতুল দার সাথেও কথা হতো। সবার উৎসাহে ফাইনালি প্রোগ্রামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। কিনতু বাঁধা দিল আমার বড় মেয়ে, বায়না সেও নাকি যাবে। এখন টিকিট কেথায় পাব সময়ই তো নাই। পরে ভাইয়া কে জানালাম। সেই সব ব্যাবস্থা করেছিল। তারপর অবশেষে ৪ জানুয়ারি ভোর বেলা যাওয়ার প্রস্তুতি।
# অনেক কষ্টে বেবীর বাবা কে ম্যানেজ করে, তার খাবার সবকিছু রেডি করে, তারপর আমরা রওনা দিলাম এবং গিয়ে দেখি পলাশ ভাইয়া এবং তার মেয়ে Nazia Mahjabin প্রীতি (সেও এই গ্রুপের সদস্য) ওরা ওয়েট করছে।
#তারপর গ্যালারিতে বসলাম দেখলাম সেখানে প্রোগ্রাম কেবল শুরু হচ্ছে। সবাই আমরা নীল রং এর একই রকম গেঞ্জি পরে ছিলাম দেখতে চমৎকার লাগছিল।
#সবাই সাধারণত স্টেজে আসে সরাসরি। আর আমার স্যার আসলেন গ্যালারির মধ্য দিয়ে। স্যার কি সুন্দর সবার সাথে দেখা করে stage এ উঠলেন। দেখেই মনটা ভরে গেল।
#সেখানে আমরা পুরো show টাই অনেক ভাল করে উপভোগ করলাম। আমরা stall থেকে অনেক কিছু কিনলাম। সেদিন যেন ছিল সব থেকে আনন্দের দিন। আমরা সবাই সবার সাথে পরিচিত হলাম। সেখানে আমাদের প্রিয় #ইকবালবাহারজাহিদ স্যার এর মূল্যবান বক্তব্য থেকে অনেক কিছু শিখলাম।
#আরো বক্তব্য দিয়েছিলেন, Ayman Sadiq,solaiman sukhon, মেয়র আতিকুর রহমান এবং আরও অনেক প্রবাসী ভায়েরা।
#বেশ কিছুদিন পার হল
#এরপরেই আসলো করোনা ভাইরাস। 💔💔।
যার জন্যে আমদের সবাইকে lockdown এ ৪-৫ মাস ঘরে বন্দি থাকতে হয়েছে যা আমাদের সবার জন্যই খুবি কষ্টকর।
#কিন্তু এই lockdown এ সময় পাবার কারণে আমি উদ্যোক্তা হতে শিখেছি,
আমাদের #প্রিয় ইকবাল বাহার স্যার এর অনু্প্রেরনায় কথা বলার জড়তা কাটানোর নিয়মিত ভিডিও বানানোর চেস্টা করছি। অাশা করি অনেক জড়তা কেটে যাচ্ছে।
#এছাড়াও করছি IT, English developming course আরও ব্লক বাটিকের কাজ, এই গ্রুপ থেকেই শিখছি।
#এই গ্রপ থেকে যা যা পেয়েছি তা হয়তো বলে শেষ করা যাবে না। 😊😊।
#এই প্রথম আমি আমার সেল পোস্ট নিজের বলার মত একটা গল্প গ্রুপে শেয়ার করলাম। তাই আমি সত্যিই খুবি আনন্দিত। 🥰🥰 তাছাড়া খুব কষ্টও হচ্ছে ১০ম ব্যাচ শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে। 😭😭 প্রথমেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি #ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর প্রতি আমাকে এত সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্ম উপহার দেওয়ার জন্য।
আমি কিছুদিন আগে স্যার এর অনুপ্রেরনায় আমার পেজ খুলেছি। যেখানে আমি অনেক পোস্ট ও করেছি।
সেটা হচ্ছেঃ
Oditiya's Collection
https://www.facebook.com/Oditiyas-Collection-111679887238656/
Art's of jui https://www.facebook.com/Arts-of-Jui-112182057226384
#আশা করি, আপনারা আমার নতুন পেজে আমাকে লাইক, কমেন্ট করে উৎসাহিত করবেন।
#করোনা ভাইরাস-এর কারণে সর্বোচ্চ সতর্কতার জন্য যারা নিয়মিত সকালে, বিকালে রাস্তা বা পার্কে হাটতাম তারাও আজ আমরা ঘরে বন্দি। ফলে যাদের উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল বা হার্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য সময়টা বেশ অসহনীয় হয়ে উঠছে।
তাদের জন্য সাজেশন হিসেবে বলতে পারি ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ সহ কিছু শারীরিক ব্যায়াম করুন এবং প্রিভেন্টিভ মেজার হিসেবে আমার ম্যাজিক রেমেডি জুস সকালে ১ চামচ আর রাতে শোবার আগে ১ চামচ পান করুন।
#ম্যাজিক রেমিডি জুসটা আসলে কি?
#এটি পৃথিবীজুড়ে সাড়া জাগানো ওপেন ফর্মুলার একটি হারবাল জুস যা ‘Heart vein cleaner’ বা ‘Magical Natural Remedy to Heart Blockage’ নামে পরিচিত এবং হৃদরোগ, কোলেষ্টেরল ও উচ্চরক্তচাপের একটি প্রাকৃতিক সমাধান।
#ম্যাজিক রেমেডি জুসের কাজঃ
- এটা হার্ট সুস্থ রাখার একটি প্রাকৃতিক সমাধান।
- হার্ট ব্লক প্রতিরোধে এবং রক্তনালী পরিস্কার রাখতে সহায়তা করে।
- রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে কোলেষ্টেরল নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
- শরীর থেকে দুষিত পদার্থ বের হয়ে যেতে সহায়তা করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
#উপকরণ: আদা, রসুন মধু, লেবু ও অ্যাপেল সিডার ভিনেগার।
#এই রেমেডি জুস একদম হোম মেইড। এই জুস সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরী। প্রতিটি ধাপ কঠোর সাবধানতা মেনে করা হয়।
#আর এটাই ছিল আমার উদ্দোক্তা হওয়ার গল্প।
#আশাকরি ৩ লক্ষ পরিবার যেন আগামীতে ৩ কোটি হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। 💖💖
#এটা আমার লেখা প্রথম পোস্ট, আমার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট সেকশনে লিখে জানাবেন।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৮০
১৬-০৭-২০২০
জেসমিন আক্তার জুঁই।
উদ্যোক্তা।
১০ম ব্যাচ।
রেজিঃ ১৫২৩৩।
জেলাঃ বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ।
বর্তমান- মিরপুর, ঢাকা।