"দুঃখ আমার মাথার চুল থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়,
"দুঃখ আমার মাথার চুল থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়,
আমি সমস্ত মানুষের থেকে আলাদা হয়ে এক অচেনা রাস্তা দিয়ে ধীর পায়ে হেটে হেটে যায়।
আমি পথের কুকুরকে বিস্কিট কিনে দিই, অন্ধ মানুষদের সাদা লাঠি।
আমার দু'হাত ভর্তি অঢেল দয়া,
আমাকে কেউ ফিরিয়ে দিয়েছে বলে,
গোটা দুনিয়াটাকে মনে হয় খুব আপন।
আমি একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ, আমার সর্বাঙ্গে কোথাও একটুও ময়লা নেই। অহংকার এর প্রতিবাদে আমি এমনভাবে পা ফেলি,মাটির বুকেও যেন আঘাত না লাগে,আমাকে কাউকে তো দুঃখ দেওয়ার কথা নয়।"
কেমন আছেন সবাই? আমরা কেউ আগের মতো ভালো নেই তাও আল্লাহ আমাদের এই মহামারীর মধ্যে ও বাচিয়ে রেখেছেন,তার জন্য সবারই আল্লাহ'র কাছে প্রতিটা মুহূর্ত শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
আজ ১০ম ব্যাচের শেষ দিন। আগামীকাল থেকে ১১তম ব্যাচ শুরু হবে। টানা ১ থেকে ১০ম ব্যাচ কিভাবে শেষ হয়ে গেল ভাবাই যায় না।
আমি ৯ম ব্যাচ থেকে এই গ্রুপে আছি।
প্রতিদিন স্যারের সেশন গুলো ফলো করি, স্যার এর লাইভ গুলো দেখার চেষ্টা করেছি।
এই গ্রুপে থেকে আমার অনেক পরিবর্তন এসেছে, প্রথমত আমি ফেসবুক ব্যবহার কিভাবে করে সেটা জানতাম না।তারপর বাংলা টাইপিং করতে পারতাম না। লেখালেখির অভ্যাসটাও একদমই আমার জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল।সাহস ও পেতাম না,এখন যেমন কিভাবে লেগে থাকতে হয় সেটা ও শিখছি।
তবে আমি বিশ্বাস করি,ভালো ভাবে সফলতা অর্জন করতে হলে ধৈর্য্য ধরে উপরে উঠতে হয়।যেমন ঠিক একটা গাছের মতো প্রথমে একটি চারা গাছ হয় তারপর আস্তে আস্তে বড়ো হয়,তারপর সেই গাছে ফুল ও ফল হয়।তবে এমনি এমনি হবে না সেই গাছের পরিপূর্ণ যত্ন নিতে হবে।অনেক পরিচর্যা করতে হবে।
তবেই ভালো ফল দিবে।
আমার পরিবারের কর্তাকে দেখেছি,নিজের জমিতে আম,লিচু ও বিভিন্ন রকমের ফলমূলের গাছ লাগাতে।
ছোট বাচ্চার মতো আদর যত্ন করে বড়ো করতে।
এখন সেই গাছের ফল ভোগ করছি।
তেমনি মানুষের জীবনটা ও তাই,পরিশ্রম না করলে ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব না।
আমার জীবনে আমি আমার আব্বা ও আমার পরিবারের কর্তাকে দেখেছি দুজনই অত্যন্ত পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে কতটা কষ্ট করে পরিবারের জন্য।
২০১১ সালে আমার কর্তার এক্সিডেন্ট এর পর এক বছর লেগেছিল ভালো হতে।তারপর আলহামদুলিল্লাহ
অনেক বছর সুস্থ ছিল। কিন্তু Covid-19 এ আক্রান্ত হয়ে এখন হাসপাতালে বেডে।এতদিন যতবার ও হাসপাতালে ভর্তি ছিল,আমি পাশে থেকেছি সর্বক্ষণ।
এখন একাই তাকে হাসপাতালের বেড়ে নিঃসঙ্গ কাটাতে হচ্ছে।
এই করোনা আমাদের কতটা অসহায় করে দিয়েছে যে,
দেখাটা পর্যন্ত করতে যেতে পারছিনা।যানিনা পৃথিবী কতদিনে সুস্থ হবে। করোনা একদিন ঠিকই চলে যাবে।
কিন্তু কিছু মানুষ গুলো যারা এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে তাদের আর কোনদিন ফিরে পাবো না।
এই করোনায় কিছু মানুষের বিবেক,মনুষ্যত্ব,মূল্যবোধ
কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে?
সমাজে ভালমন্দের বিচার ক্ষমতা আছে বলেই আমরা মানুষ।সামাজিক মূল্যবোধের অবসান এই নয় যে,আমি নিজে বাঁচতে চায় অন্যকে বাচাতে চায় না।
কত রকম মহামারী হয় এই পৃথিবীর বুকে,কিন্তু আমরা একবার ও ভাবিনা আমার আসল ঠিকানা কোথায়?
ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে আমরা কোন কিছুতেই সন্তুষ্ট নয়।
আমরা যে যার অবস্থানেই থাকিনা কেন। নিজের সুস্থ
থাকার জন্যে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করিনা।
জীবনে চলার পথে কতরকম ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে আল্লাহ আমাদের সুযোগ করে দেয়,যেন আমরা আল্লাহকে স্মরণ করি। কিন্তু আমরা মানবজাতি সেটা ভুলে যাই। যখন কারো কোন আপনজনকে হারায় তখন আমরা যদি একটু ভাবি যে,এটাই বাস্তব।
আমাদের সবাইকে এভাবে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।
আজকে আমাদের একমুহূর্ত নিঃশ্বাসের বিশ্বাস নাই।
করোনা পৃথিবী থেকে কবে বিদায় নিবে,কেউ নিশ্চিত
ভাবে বলতে পারবোনা।আমাদের আল্লাহর উপর ভরসা
করেই চলতে হবে। আল্লাহর সন্তষ্টির কাজগুলো আমাদের সবারই বেশি বেশি করতে হবে।
এই করোনাতে যদি আমরা নিজেদের পরিবর্তন করতে না পারি,তাহলে আর কোনদিন নিজেকে পরিবর্তন করার সুযোগ হবে না। মনের শান্তি পেতে ইবাদতের কোন বিকল্প নেই। নেগেটিভ চিন্তা ঝেড়ে ফেলে,পজিটিভ চিন্তা করতে হবে।
ব্যবসা আমাদের হালাল একটা উপার্জন। আমরা যদি এইভাবে চিন্তা করি যে,আমাদের নবীজি সৎপথে থেকে
কিভাবে ব্যবসা করতেন।সেই পথ অনুসরণ করে চললেই,কিন্তু আমরা ভালো ভাবে ব্যবসা করে সফল হতে পারি।
স্যার প্রতিনিয়ত আমাদের যে শিক্ষা গুলো দিয়ে যাচ্ছে,
সেই শিক্ষা গুলো লালন করলেই,আমরা প্রকৃত অর্থে একজন পরিপূর্ণ ভালো মানুষ ও ভালো ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা হতে পারব। প্রকৃতপক্ষে একজন সত্যিকারের ভালো ও সৎ মানুষের মধ্যে কোন অহংকার থাকে না।
হোক সে গরীব বা বড়লোক।
ব্যক্তিত্ব সততাই হলো জীবনের মূল্যবান সম্পদ। শুধু একজন মানুষের টাকা পয়সা থাকলেই ভালো থাকতে পারে না।আল্লাহর রহমত ও প্রয়োজন।
আমাদের সমাজে দেখা যায়,যারা সৎ পথে চলে তাদের
শত্রু বেশি হয়। হালাল পথে উপার্জন এ অনেক কষ্ট কিন্তু মনের মধ্যে একটা আত্মতৃপ্তি নিয়ে পথ চলতে পারা যায়।
স্যার আমাদের বলেছেন,
এটা সুধু মাত্র একটা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নয় এটা একটা সম্পর্ক একটা বন্ধন ও একটা পরিবার।
এখানে ভালো মানুষ হওয়ার পাশাপাশি,কিভাবে মা বাবাকে ভালো বাসতে হয় ও তাদের দোয়া পাওয়া।
বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ কিভাবে করতে হয়।
সততা ও কমিটমেন্ট এর মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপন করা।
স্যারের কাছে শিখেছে শুরু করে লেগে থাকতে হবে।
কাউকে ঠকানো যাবে না নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজেকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। প্রতিনিয়ত এক্টিভ থেকে চর্চার মাধ্যমে নিজেকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে হবে। মানবিক ও সামাজিক কাজের মাধ্যমে মানবতাবোধ জাগ্রত করা।
যাদের মাথায় সবসময় পজিটিভ কিছু করার জন্যে চিন্তা ভাবনা আসে,তাদের কোনদিন নেগেটিভ স্পর্শ করতে পারে না।এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
ভালো মানুষটাকে আলোতে বের করে আনা ও চর্চার মাধ্যমে সুযোগ সৃষ্টি করা।তারপর সম্পর্কের মাধ্যমে নিজেকে ব্র্যান্ডিং করা।
আমাদের শ্রদ্ধেয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার যেভাবে অক্লান্তভাবে নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে দিন দিন প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সত্যিই পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও আছে বলে আমি মনে করিনা।
বিশেষ করে আমাদের মতো মেয়েদের যে সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে আমাদের স্যার,সেটা আর কোথাও নাই।মেয়েদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও সম্মানের জায়গা এই নিজের বলার মতো একটা গল্প এর প্ল্যাটফর্ম।ভবিষ্যতে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ভালো কিছু করবো এই আশায় ব্যক্ত করি।
আরেকটি নতুন দিনের অপেক্ষায়।
সবাই ভালো ও সুস্থ থাকুন।
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৮৩
১৯-০৭-২০২০
নামঃনাজনীন আরা
ব্যাচঃ৯ম
রেজিষ্ট্রেশন নং১০৩৬৪
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
ঢাকা বসুন্ধরা গুলশান জোন