দুঃখে কাদেনি সেদিনের কান্না ছিল সুখের,,,,,,,,,,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ,
কেমন আছেন সবাই ?
নিজের বলার মত একটা গল্প গ্রুপে আজকে আমি আমার নিজের গল্প বলবো,
প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের প্রিয় মেন্টর প্রিয় শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে যিনি আমাদেরকে এত সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম করে দিয়েছেন, যেখানে আমাদের সুখ দুঃখ কষ্ট সবকিছু তুলে ধরতে পারি এবং নিজের একটা গল্প বলতে পারি।
১৯৯০ সালে আমার জন্ম। আমি আমার বাবা মায়ের প্রথম সন্তান বড় আদরের, আমার বাবা একজন কাঠ মিলের (স'মিল) মিস্ত্রি । আমাদের কটিয়াদীর বাজারে কাজ করতো , কটিয়াদী বাজারের সাপ্তাহিক হাট বার বৃহস্পতিবার, ক্লাস টু থ্রি থেকেই অপেক্ষায় থাকতাম বৃহস্পতিবার কবে আসবে বাবার কাছে যাব বাবা হাট বাজার করবে, (বলে রাখা ভালো সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বিল পেতো) আমি স্কুল থেকে চলে যেতাম রাতে আব্বুর সাথে হাট-বাজার করে চলে আসতাম,কিছু কিছু সময় খুব রাগ লাগতো আমি বিকেল তিনটা চারটা বাজে চলে যেতাম আব্বুর কাছে রাত আটটা নয়টা বেজে যেত আব্বু র কাজ শেষ হতো না , কাজ শেষ হলেও আসতো না আমি পাশে একটি গাছের উপর বসে থাকতাম ভাবতাম আব্বু কেন আসে না , এখন বুঝতে পারি কেন আব্বু দেরি করত, কারণ বিল পেতে দেরি হতো,,,,,,
আমার মনে আছে আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি রমজান মাস 29 রমজান বিকেল চারটা বাজে আব্বুর কাছে গিয়েছি রাত 11 টা বাজে কাজ শেষ হয় তারপর আমাকে নিয়ে মার্কেটে যায় ঈদের নতুন জামা কিনতে আমাকে জিন্স প্যান্ট টি শার্ট কিনে দেয়, আমি একটা জুতার দোকানে নিয়ে গিয়ে আব্বাকে বললাম জুতা কিনে দেয়ার জন্য আব্বু না করলো আমি খুব বায়না করলাম আমার লাগবে, বারবার নিষেধ করার পরেও আমি মানিনি, সাদা কেইস লাইটিং আছে নিচে, অনেক বায়না ধরার পরে আব্বা কিনে দিল কিন্তু আব্বা আর কোন কিছু সেদিন কিনেনি , কিন্তু কেন কিনেনি তখন বুঝতে পারেনি এখন বুঝি,,,,,,,,,
2002 সালে আমি ক্লাস সিক্সে ভর্তি হয়। আমাকে গার্ড দেয়ার মত কেউ ছিলনা আমার বাবা এবং মা তারা নিজেদের নামটুকুই লিখতে পারতো না। আমাদের এলাকার সমবয়সী ছেলেগুলো সবাই বাজে রাস্তায় চলে যেতে শুরু করল আমার আব্বা আম্মা আমাকে বলল তুমি বাড়িতে থাকলে তুমিও তাদের মত হয়ে যাবে তাই বাড়িতে থাকা যাবে না। আমাকে পাঠিয়ে দিবে আমার নানাবাড়ি সেখান থেকে লেখাপড়া করতে হবে 2003 সালে আমি আবার ভর্তি হলাম ওখানে (নানা বাড়ি) ক্লাস সিক্সে, ভালোই যাচ্ছিল দিনগুলো ক্লাস সেভেনে উঠলাম,
প্রথম সাময়িক পরীক্ষা দেয়ার কিছুদিন পরেই হঠাৎ করে বাড়ি থেকে খবর গেল আব্বা স্ট্রক করেছেন, বাড়ি আসলাম আব্বাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হসপিটালে,,,,,,
আমরা দুই ভাই তিন বোন আমি সবার বড় আরেক ভাই সবার ছোট, সংসারে উপার্জন করার কেউ ছিলনা, আমি ছিলাম একমাত্র বড় (১৩_১৪) বছর বয়স। বাকি সবাই ছোট, আমার আর লেখাপড়া করা হলো না,,,,,
2004 সালে জুন মাসে চলে আসলাম টেইলারিং কাজে, টেইলারিং কাজে আসার পিছনে একটি কারণ ছিল, আমি যার কাছে লেখাপড়া করতাম আমার মামাতো বোন উনার হাসব্যান্ড টেইলারিং কাজ করে বাহারাইন, তখন থেকে আমিও স্বপ্ন দেখতাম আমিও টেইলারিং কাজ শিখে বিদেশে যাব,,,,,সেই হিসেবে টেইলারিং কাজে আসা।
প্রথম যেদিন কাজে আসলাম আমার ওস্তাদ বলল, এত ছোট ছেলে কাজে আসছে , পারবে তো শিখতে ?
প্রথমে ওস্তাদ বলল 2000 টাকা দিতে হবে কাজ শিখার জন্য। টাকা দিয়ে কাজ শিখতে পারবো না,ওস্তাদ কে সবকিছু বিস্তারিত বলার পরে রাজি হল কাজ শিখাবে টাকা লাগবে না, কিন্তু চার বছর লাগবে দুই বছর লেডিস কাজ শিখতে দুই বছর জেন্স কাজ শিখতে, চার বছর কোন বেতন দিবে না, আমি রাজি হয়ে গেলাম ফ্রি কাজ শিখাবেন চার বছর গেলে যাক, প্রথম 2-3 মাস প্রতিদিন আমাকে 5 টাকা দিত , সকাল 9 টায় যেতাম কাজে রাত্রে আটটা নয়টায় আসতাম দুপুরের খাবার বাসা থেকে নিয়ে যেতাম, 6 মাস পর থেকে প্রতিদিন 10 টাকা দিতেন।
এদিকে আব্বার ওষুধের খরচ , সংসার খরচ কোন কিছুই ছিল না, বাড়িতে গরু ছিল বিক্রি করে কিছুদিন চলল, তারপর ঘরের কিছু আসবাবপত্র ছিল বিক্রি করে দিল, কিছুদিন পর আমাদের থাকার ঘরও বিক্রি করে দিল ।পুরাতন একটি ঘর ছিল আমাদের ওটাই ঠিক করে নিল থাকার জন্য, তাতেও হচ্ছে না আস্তে আস্তে ছোট ভাই বোন সবাই বড় হতে লাগলো সংসারের খরচ বেশি ইনকাম নাই সবাই আমাকে বলল ফ্রি ফ্রি আর কতদিন কাজ করবি দরকার হয় টেইলারিং কাজ বাদ দিয়ে রাজমিস্ত্রি কাজে না হয় মানুষের বাড়িতে বদলি দিতে, কিন্তু আব্বু দেয়নি আব্বু বলল মানুষের বাড়িতে কাজে গেলে রোদে পুড়তে হবে তাই যত কষ্টই হোক টেলারিং কাজই আমার শিখতে হবে, আমিও লেগে থাকলাম আব্বার কথা শুনে।
আব্বার শরীরটা কিছুটা ভালো হলো, কাজে যাওয়া শুরু করল কিন্তু আগের মত আর কাজ হয়না, মাসে 1,2 সপ্তাহ কাজ হয়। আগের মত কেউ ডাকে না কাজে এভাবেই চলছিল। এদিকে আমার ওস্তাদ লাস্ট বছর আমাকে প্রতিদিন 50 টাকা করে দিতে শুরু করলো , আমি এক টাকাও খরচ করতাম না সম্পূর্ণ টাকা মায়ের কাছে দিয়ে দিতাম, আমার জমা করা টাকা দিয়ে মা আমাকে চৌদ্দশ টাকা দিয়ে সাইকেল কিনে দিল কারন আমি এত বছর হেঁটে আসা যাওয়া করতাম,,,,,,,,,
2008
চার বছর পর আমার ওস্তাদ আমাকে কারিগর হিসেবে কাজ করতে বলল অন্য এক দোকানে ওস্তাদ কাজ ঠিক করে দিল, নিজে একা একা কাজ শুরু করে দিলাম। কিছুদিন কাজ করার পর মামাতো বোন বলল বিদেশ যেতে হলে কোটের কাজ শিখতে হবে, আমি বললাম কিভাবে শিখব আমার তো পরিচিত কেউ নাই উনি বললো দুলাভাইয়ের ফ্রেন্ড আছে ঢাকায় ওখান থেকে কাজ শিখতে হবে। এবং বলল এখন শীতের সময় এখনই যেতে হবে কাজ শিখতে, আমি আমার মালিকের সাথে কথা বলি মালিক বলল দেয়া যাবে না এখন যদি চলে যাও তাহলে পাওনা টাকা দিব না, আমি চলে আসলাম জীবনের প্রথম উপার্জনের টাকা ছেড়ে,,,,,,
ঢাকা শহর আসতে হবে নানি বাড়ি থেকে ট্রেনে উঠলাম মামা আমাকে ঢাকায় নিয়ে যাবে কারণ আমি ঢাকা আগে কখনো আসেনি , বাড়ি থেকে ভৈরব আসার পর আমি ভাবছি ঢাকায় চলে আসছি কারণ আমার লাইফে আমি আমার বাড়ি এবং নানি বাড়ি ছাড়া কোথাও যায়নি মামা বললো আরো অনেক দেরি, যাইহোক ঢাকা শহর আসলাম গুলিস্তান রমনা ভবন কাজ শিখব এখানে ওস্তাদ বলল ছয় মাসের খাবার খরচ দিতে হবে রাজি হলাম, ওস্তাদ কে আমি 1000 টাকা দেয়ার পর, আমার কাজ দেখে বাকি টাকা আর নেই নি,
ঢাকার শহর আমি নতুন আমার কথা বলার ভাষায় আমাদের বৃহত্তর ময়মনসিংহের আঞ্চলিক টানছিলো, সবাই আমাকে রাগাতে লাগলো আমি কত রাত একা একা ছাদে বসে বসে কেঁদেছি,
আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে গেল আমি শিখে গেলাম তাদের মতো কথা বলা।
এক বছর লাগলো কোটের কাজ শিখতে।
2009 সালে একা একা কাজ শুরু করি ঢাকা শহরে
কিছুদিন পর বিদেশের জন্য পাসপোর্ট কাগজপত্র সব রেডি করি।
2010 সালের জানুয়ারি মাসের 15 তারিখ চলে আসলাম স্বপ্নের দেশ বাহরাইনে দুলাভাইয়ের দোকানে, কত টাকা সেলারি কি সুযোগ সুবিধা কিছুই জিজ্ঞেস করিনি । কিন্তু আসার পর দেখি কোন সুযোগ সুবিধা নেই, 10 থেকে 15 হাজার টাকা আসে, বিদেশ কেউ কারো না কেউ আপন না।
ধানের উপর সুদে টাকা নিয়ে বিদেশ আসছি, আব্বা লেগে গেল পুরোদমে কৃষিকাজে জমিতে যা ধান হয় পুরোটাই দিয়ে দেই সুদ। আমি অন্য জায়গায় ভিসা ট্রান্সফার করতে চাইলাম ভালো বেতন কিন্তু আমাকে দেয়নি বলল অন্য জায়গায় যাওয়া যাবে না, দেশে যেতে চাইলে দেশে যেতে পারো
এভাবে 2/3 বছর পর ঋণ শোধ হয়।
তারপর ভালোই যাচ্ছিল , ছোট দুই বোনের বিয়ে দিয়ে দেয়, ছোট এক বোন আর ছোট ভাই লেখাপড়া করতেছিল। আব্বার টাকায় সংসার চলত আমার টাকা সঞ্চয় করতো।
আব্বা আবার স্ট্রক করল, সাথে প্যারালাইসিস কাউকে চিনতে পরতো না, কথা বলতে পারতো না
ডাক্তার বলল ব্রেনে ব্লাড জমে যাওয়ার ফলে কাউকে চিনতে পারছে না আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে ওষুধের মাধ্যমে, এদিকে বাহারাইন আমার চার বছর হয়ে গেল, 1 বছর আগে আব্বু আমার জন্য মেয়ে ঠিক করে রেখেছিল, আব্বার এক আত্মীয়র মেয়ে, এই এক বছরে তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে , দেশে যাব কিছু কেনাকাটা করলাম টাকা পয়সাও তেমন নেই কিন্তু মায়ের জন্য 40 হাজার টাকা দিয়ে গলার চেইন কিনলাম,,,,,
মায়ের জন্য গলার চেইন কিনার পিছনে একটি কারণ ছিল।
2008 সালে আমার এক মামার বিয়ে ।
আমাদের বাড়ি থেকে আমার সবাই নানী বাড়িতে গিয়েছি, সবাই রেডি হচ্ছে বিয়েতে যাবে , আমার এক মামী মাকে বলল আপনার গলার চেইন কোথায় মা বলল বিক্রি করে দিয়েছি, মামি পাশের বাড়ির একজনের কাছ থেকে একটি চেইন এনে দিল, চেইটি ছিল আদা ভরি স্বর্ণের, যার চেইন উনার ছেলে বিদেশ থেকে এনে দিয়েছে, মা বলল এত বড় গলার চেইন জীবনে কি কিনে পড়তে পারবো, সেদিন জানিনা কিসের জন্য কেঁদে ফেলি😭 ,,,,,
সেদিন থেকে মনে মনে নিয়ত করি, আমিও যখন বিদেশ যাবো মার জন্য আরও বড় একটা চেইন নিয়ে আসব, কাউকে বুঝতে দেই নি কাউকে বলিও নি এই কথা, বাহারাইনে আসার পরে আমার ইনকাম তেমন একটা ভালো ছিল না কিন্তু আমার স্বপ্ন ছিল, যে ভাবেই হোক মায়ের জন্য চেইন কিনতে হবে, এইজন্য আসার একমাস পরেই নিডো দুধের খালি কৌটোয় টাকা জমা করতাম, বেতনের টাকা না, বেতন কম ছিল তাই পারতাম না,
পুরাতন কোন অলটারেশন করলে যে টাকা দিত ওই টাকাটা রাখতাম, কখনো কোন কাস্টমার বকশিস দিলে ওটাও রাখতাম, মাঝেমধ্যে সকালের নাস্তা খেতাম না ওই টাকাটা এখানে রেখে দিতাম, চার বছর পর প্রায় 40 হাজার টাকা হয় এই টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যায় মার জন্য গলার চেইন, দেশে যাওয়ার পর আমি মাকে বলি চোখ বন্ধ করার জন্য , মা বললো কি হয়েছে আমি বললাম চোখ বন্ধ করো দেখতে পারবে পরে, তখন আমি নিজের হাতে মাকে চেইন পরিয়ে দেই, আমি মাকে বলি তুমি সেদিন বলেছিলে তুমি কি জীবনে পড়তে পারবে এত বড় চেইন, আমি তোমাকে পরিয়ে দিলাম, সেদিন মাও কেঁদেছিল আমিও কেঁদেছিলাম কিন্তু দুঃখে কাদেনি সেদিনের কান্না ছিল সুখের,,,,,,,,,,
2014 সালের মে মাসের 19 তারিখ দেশে আসলাম 20 তারিখ বিয়ে ,আসার 1 দিন পর, আগে থেকেই সবকিছু রেডি করা ছিল । যাকে বিয়ে করি আমার ব্যাপারে ও সবকিছু আগে থেকেই জানা ছিল বিয়েতে তেমন কিছু দিতে হয়নি তাই, আমিও কিছুই নেই নি তাদের কাছ থেকে ।
আমাদের পুরাতন ঘরে তাকে নিয়ে উঠি, সাত মাস ছিলাম বাড়িতে, আমার ভাংগা ঘরের চালা দিয়ে বৃষ্টির পানি ঘরে আসতো আর সেই পানি আটকানোর জন্য পাত্র দিয়ে রাখত,
বাড়ি থেকে চলে আসলাম বাহারাইনে আমি আরো বেশি বেশি কাজ করতে শুরু করলাম বাড়িতে ঘর করতে হবে, আরেকজন ছোট বোন ছিল তাকে বিয়ে দিয়ে দেই, ছোট ভাই লেখাপড়া করবে না তাকে কাজে দিয়ে দেই গাড়ির ইঞ্জিনের কাজে, দেড় বছর পর আবারো দেশে যাই, বাড়িতে গিয়ে ঘরের কাজ শুরু করে দেই, আব্বার শরীরটা মোটামুটি ভালো, হাঁটাচলা করতে পারে, দু একটা কথা বলতে পারে ,বাড়িতেই থাকে , আমার ওয়াইফের টিউশনির জমানো 13000 টাকা দিয়ে ছোট্ট একটা গরু কিনে দেই আব্বাকে , তিন মাস পর চলে আসলাম আবার বাহারাইনে, বাহারাইনে আসার কিছুদিন , পর নতুন একটা চাকরির অফার পাই, দুলাভাই জানি দেবে না আমি বললাম দেশে চলে যাব দুলাভাই বলল কেন দেশে যাবে,আমি বললাম এভাবে আমার চলছে না দুলাভাই বলল তুমি অন্য কোথাও ভালো পেলে যেতে পারো তখন আমি বললাম আমি একটা চাকরি পেয়েছি দিয়ে দিল চেঞ্জ, নতুন জায়গায় ভিসা চেঞ্জ করে চলে আসলাম ভালো বেতন, ভালো সুযোগ সুবিধা সবকিছু মিলিয়ে এখন ভালোয় যাচ্ছে, বাড়িতে ঘরের কাজ কমপ্লিট করলাম জমি রাখলাম সবকিছুই হয়েছে,,,,,,,
নিজের বলার মত একটা গল্প--- গ্রুপে কিভাবে আসা,,,,,
আমি সব সময় ইউটিউব এ মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতাম, হঠাৎ একদিন স্যারের ভিডিও দেখি ওখান থেকেই আমার এখানে আসা আমার পরিচিত কেউ ছিল না এই গ্রুপে, এখন একটা পরিবার পেয়েছি, পরিবারের ভিতরেও পরিবার, আমি এবং আমার ওয়াইফ একই ব্যাচের সদস্য নবম ব্যাচের । আমরা দুইজনে একটি বিজনেস শুরু করেছি অনলাইনে Jr fashion নামে, এবং 13 হাজার টাকার গরু থেকে এখন চারটি গরু হয়েছে, সামনের বছর ইনশাল্লাহ দেশে চলে আসবো, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন ,যেন আমার স্বপ্ন Jr fashion বিজনেস এবং ছোট্ট একটা গরুর খামার চালু করতে পারি। 🤲🤲🤲🤲
আমার কথায় , আমার লেখায়, আমার বলাতে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয় সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৮৩
১৯-০৭-২০২০
নামঃমোঃজাকির
থানাঃ কটিয়াদী
জেলাঃকিশোরগঞ্জ
রেজিষ্ট্রেশনঃ11835
ব্যাচঃ9
বর্তমানেঃ বাহরাইন প্রবাসী
পেশাঃ টেইলার 👖👔
ফোনঃ 0097339178281
মেইলঃzakirfarid58@gmail.com
পেইজঃhttps://www.facebook.com/JRFashion143/