নিজের পাঁয়ে দাড়ানোর সাহস, শক্তি, এবং কৌশল শিখিয়ে নিজের জীবনের মূল্যবান সময় আমাদের পেছনে ব্যয় করছেন।
আস্সালামু আলাইকুম,
ওয়া রহমাতুল্লাহ্
পরম দয়ালু সারা জাহানের মালিক আমাদের পতি পালক হে মহান প্রভু, আমি আপনার শুকরিয়া আদায় করছি।
আমি শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করছি, আমাদের প্রিয় প্লাটফর্ম "নিজের বলার মতো একটা গল্প" গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, আমাদের সকলের শ্রদ্ধা ভাজন প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারকে যিনি আমাদের মতো লক্ষ লক্ষ তরুন তরুনীদেরকে একজন ভালো মানুষের পাশা পাশি সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলছেন।
নিজের পাঁয়ে দাড়ানোর সাহস, শক্তি, এবং কৌশল শিখিয়ে নিজের জীবনের মূল্যবান সময় আমাদের পেছনে ব্যয় করছেন। বেকার যোবকদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি স্যারের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।
আজকে জানতে চাইবো না, কেমন আছেন সবাই।।।
জানি কেউ ভালো নেই।
আমি ও ভালো নেই, মানুষিক শারিরীক ভাবে অনেকটা দিন দিন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে। জানিনা সেই অপেক্ষাকৃত করোনা ভাইরাস দুনিয়া থেকে কখন বিদায় নিবে ,,,,,,,,,,,
করোনা ভাইরাসের কারনে সরকার সবাইকে ঘরে বসে থাকতে বলেছেন। বড়লোকদের জন্য ঘরে বসে থাকা এক প্রকার বিলাশিতা বটে। কারন তাদের খাবারের কোন অভাব নেই, টাকার কোন অভাব নেই।
যখন যেটা ইচ্ছে কিনে নিয়ে আসতে পারে । কিংবা বাসায় বসে ওয়াডার করলেই যেই কোন জিনিস বাসায় চলে আসবে।
কিন্তু দেশের গরীব অসহায় মানুষেরা কি পেটে ক্ষুধা নিয়ে বাসায় বসে থাকা সম্ভব ? সরকার এান দিচ্ছে ভালো কথা কিন্তু সেই এানের চাউল গরীব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তার নিজের পেটে চলে যায়। গরীবের পেট খালি পরে থাকে। তাই সরকারের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আপনি গরীবের মাঝে এানে বিতরনের দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দিলে অসহায় মানুষের পেটে খাবার যাবে ৷ আমি মনে করি এটা গরীব মানুষদের প্রানের দাবী।
আমরা গরীব রাষ্ট্রের গরীব মানুষঃ
আমার দেশের ক্ষুধার্থ মানুষের আহাজারি দেখে প্রতিদিন প্রতিটা মূহুর্তে বোকের ভিতর কষ্ট অনুভব করছি। অঝরে বোক ফেটে কান্না আসছে।
চোখেঁর পানি ধরে রাখতে পারছিনা।
"আমি একজন প্রবাসী
আমার স্বাদ আছে
সাধ্য নেই ।
ইচ্ছে করে প্রতিটা ক্ষুদার্থ মানুষের মূখে
আহার তুলে দেই।
তাদের পাশে থেকে তাদের কষ্টের ভাগিদার হই।
আজ ক্ষুধার যন্ত্রণায় বাড্ডাতে এক বোন বলছিলো
" পেটে ক্ষিধা আছে,
মানুষ পাইলে মানুষ ও খাইয়া ফালামু "
ক্ষুধার যন্ত্রণা কেমন, সেটা একমাত্র তারাই বুঝে,
যাদের দিনের পর দিন ক্ষুধায় যন্ত্রনায় দু-চোঁখ দিয়ে অশ্রু ঝড়ে । এদিক সেদিক তাকিয়ে থাকে খাবারের আসায় কেউ হয়তো খাবার নিয়ে আসবে। দিন শেষে খাবারের কোন ব্যবস্থা নেই।
গতকাল আমার পরিচিতি একজন ইয়ামেনি মুসলিম ভাই একটি বিভীষিকাময় ভিডিও আমাকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশে ক্ষুধার যন্ত্রণায় পরিবারের সবাই আত্মহত্যা করেছেন । সেটা দেখে মনে হয়েছিলো দেশে স্বাধীনতার পর যে দূর্বৃক্ষ্য হয়েছিল খাদ্যের সংকটে তখন অনেক মানুষ মারা গিয়েছিলো যেমনটা বর্তমানে ইয়ামেন রাষ্টের কিছু অঞ্চলের মানুষেরা ভোগ করছে।
একটা সময় দেশের ক্লান্তিকালে প্রবাসীরা কমবেশী দেশের অসহায় মানুষের পাশে সব সময় এগিয়ে আসতো। বর্তমানে বেশীরভাগ প্রবাসী নিজেরাই অসহায় অবস্থায় আছেন । তাদের নিজের ব্যবসা বাণিজ্য মোটে নেই বললেই চলে।
অনেক প্রবাসী ভাইদের বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজ কর্ম নেই। দেশের গরীব দুঃখী মানুষদের আগের মতো এখন আর আস্বস্ত করতে পারছেন না, তার পর ও আমরা আছি আপনাদের পাশে। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।
আল্লাহর কাছে মন থেকে শুধু একটাই চাওয়া,
ভাল থাকুক আমার সোনার বাংলাদেশের গরীব অসহায় মানুষগুলো ।
ভালো থাকুক বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেওয়া আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ।।।।
আমি মাহবুব হাছান,,,,,, নিজের বলার মতো একটা গল্প গ্রুপের একজন গর্বিত সদস্য,,,, ২য় ব্যাচ থেকে
জেলা- কুমিল্লা ----রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ---(২৪৪০)