উদ্যোক্তা হতে হলে অনেক গুলো স্কিল এর বেপারে জানতে হবে।
আসসালামুয়ালাইকুম।
মহামারীর এই সময়টাতে যখন পুরো পৃথিবী নিস্তব্ধ হয়ে আছে।যখন সবাই কে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে পাশাপাশি থেকে ও।কাছের মানুষ গুলো যখন দূর প্রবাস থেকে এসে ও অনেক দূরে যখন মা তার বাচ্চাকে পরম মমতায় জরিয়ে ধরতে পারছে না অজানা এক অদৃশ্য শত্রুর ভয়ে। যখন পৃথিবীর মানুষের মধ্যে এতো আতংক সবাই প্রায় অস্থির আর দিশেহারা ঠিক সেই মুহূর্তে আমি খুঁজে পাই এক প্রশান্তি।
প্রাণের গ্রুপ এ সকল ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন সুস্থ্য আছেন।
জী বলছিলাম প্রশান্তি কথা। আসলে এই করোনা কালিন সময়ে যখন ঘরে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম তখন হঠাৎ করে সিন্ধান্ত নেই কিছু করার।এক বন্ধু কে কল করি বলি অনলাইন এ ব্যাবসা করতে চাই। তখন ও বলে আগে এই সম্পর্কে ধারণা নিতে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখতে।আর ইউটিউব এ প্রথমে চোখে পরে Iqbal Bahar Zahid স্যার এর ভিডিও তে। দেখা শুরু করি।ভালো লাগে পেজ এ গিয়ে কমেন্ট করি এক ভাইয়া লিংক দেয়। আমি দুঃখিত ভাইটার নাম মনে নেই। তখন রেজিস্ট্রেশন করি।করে আবার কমেন্ট করি এক আপু কমেন্টের রিপ্লাই করেন। আপু টার নাম আমি বলতে চাই আমার বন্ধু নিঝুম আমিন।সে পরে আমাকে সাহায্য করে গুলশান জোনে অন্তর্ভুক্ত হতে।সেই থেকে আমার পথ চলা শুরু স্যারকে শিক্ষক মেনে।
আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু জন্য। আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টা, অভিভাবক, পথ প্রদর্শক আমাদের প্রিয় মেন্টর #জনাব ইকবাল বাহার স্যার এর প্রতি আমার অনেক কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।স্যার এ প্রতিটি কথা এক একটা স্বপ্ন পূরণের এক একটা সিঁড়ি। সত্যি আমি মন থেকে মহান রাব্বুল আলামীন এর কাছে স্যার এর দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
দেখতে দেখতে দশম ব্যাচ এর সবকটা সেশনের সমাপনী ঘন্টা বেজে গিয়েছে।বিদায় এর মুহূর্ত সব সময়ই একটু কষ্টের হয়।স্যার এর প্রতিটি সেশন আমি এখনো শেষ করতে পারি নি। কারন আমি মাঝখানে থেকে অংশগ্রহণ করেছিলাম।তাই চিন্তা করছি এখন থেকে আমি যত দিন বেঁচে থাকবো এই প্রিয় মানুষটির সাথে এই প্লাটফর্মের সাথে নিজেকে আরো একাত্ব করবো।এই প্লাটফর্মের মানুষ গুলো যে এখন আমার আত্মার আত্মীয় খুব আপন। তাই আজীবন এই ভালো মানুষের ব্রান্ড হয়ে কাজ করতে চাই সবার সাথে। থাকতে চাই একি ছাতার নিচে প্রিয় স্যারের শিখানো পথের দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে।
নতুন যা কিছু আমার মধ্যে ধারন করছি সব কিছু এই দশম ব্যাচ এর প্রাপ্তি। এখানে থেকে আমি শিখতে পেরেছি কি করে নিজের মধ্যে শান্তি বৃদ্ধি করতে হয়,কি করে সম্পর্ক সুন্দর রাখতে হয়।কি করে মা বাবা কে ভালোবাসতে হয়,কি করে যোগাযোগ বা নেটওয়ার্কিং করতে করতে হয়।কি করে বিনয়ী হতে হয়।কি করে কমিটমেন্ট রাখতে হয়।কি করে নিজেকে পজেটিভ রাখতে হয়।
আমি আমার জানা শেখার মধ্যে কিছু চেষ্টা করছি শেয়ার করতে ।স্যার সব সময় বলেছেন আমরা ভালো মানুষের ব্রান্ড।তাই বিশ্বাস করি সবাই ভাল।এটা আমার বিশ্বাস। কারন গত কয়েক দিনে আমি সত্যি এই গ্রুপ এ থেকে দেখেছি কি করে মানুষের সেবা করতে হয়। দেশের সেবা করতে হয়, গুলশান জোনের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমার সেই কার্যক্রম গুলোতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়। আমি আরো বেশি অনুপ্রাণিত হয়ে যাই তাদের কার্যক্রম গুলোতে। নিজের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা যুক্ত হতে শুরু করে যখন গুলশান জোনের দায়িত্বশীল ফখর উদ্দিন ইমেল ভাইয়া আমার জোনে যুক্ত হওয়ার দু'দিন পরেই প্রিয় স্যারের হাতে উদ্বোধন হওয়া গুলশান জোনের ছয় জন উদ্ধোক্তার স্টার্টআপ প্রোগ্রামে প্রিয় স্যার ও প্রিয় প্ল্যাটফর্ম এর শতাধিক দায়িত্বশীল ও সদস্যদের সম্মূখে প্রিয় স্যারের দেয়া শপথবাক্য পাঠ করার সুযোগ করে দেন। এবং প্রতিনিয়তই নিজের যোগ্যতা ও মেধা তুলে ধরার জন্য সবার আন্তরিক ভাবে উপস্থাপন আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করছে। আমি কৃতজ্ঞ।।
কিছু দিন আগে নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যাবসা উদ্ধোধন উপলক্ষে ৫০ জন এতিমদের দুই বেলা খাবার এর ব্যাবস্থা করা হয়। দশম ব্যাচ কে স্মরনীয় করতে সারা বাংলাদেশ দুই দিনে দশ হাজার বৃক্ষ রোপন এর কর্ম সূচি গ্ৰহন করা হয়েছে। আমি এই কর্মসূচিগুলোর মধ্যে ছিলাম। ভাবতেই অন্য রকম এক ভালো লাগা কাজ করে।।
উদ্যোক্তা হতে হলে সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে ভালো মানুষ হওয়া। বিনয়ী হয়া। বিনয়ী মানুষ কে সবাই পছন্দ করেন।তাই সব সময় ভালো মানুষ, বিনয়ী মানুষ,সৎ মানুষ হতে হবে।
কেউ যদি ভালো কাজ করে সেটা গোপনে বা প্রকাশ্যে(কেউ জানুক বা না জানুক) তার মর্যাদা এবং সুখ সে পাবে ঠিক তেমনি কেউ যদি খারাপ কাজ করে সেটা গোপনে বা প্রকাশ্যে তার অসম্মান এবং অশান্তি সে অনুভব করবেই ।
ভালো কাজের জ্ব্যোতি বা আলো বিকশিত হবে অন্যকে আলোকিত করবে। ঠিক তেমনি খারাপ কাজের অন্ধকার তাকে নিমজ্জিত করবে । যেমন আল্লাহ বলেন-‘কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা সে দেখতে পাবে আর কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও সে দেখতে পাবে—’ সূরা যিলযাল(আযাত৭-৮) ।
তার পরে ও আমরা তো মানুষ নানা রকম প্রশ্ন আমাদের মনে।প্রশ্ন হলো তারপরেও মানুষ খারাপ কাজ করে কেন? কারণ গভীর জীবন বোধের অভাব। সে ঐ গভীরতায় যেতেও চায় না ।জীবনের সুখ শান্তিুর সংজ্ঞাটাও বুঝতে চায় না। তাদের জ্ঞান আছে কিন্তু বুদ্ধির প্রয়োগ করে না ।
বুদ্ধিমান মানে হলো ভালো ও খারাপের পার্থক্য ( পাপ ও পুন্যের পার্থক্য) বুঝার ক্ষমতা । যেহেতু তারা সেটা করে না ফলে ভুল পথটাকেই সহজ মনে হয় । কারণ নিচে নামা সহজ উপরে উঠা কঠিন, রাগ করা সহজ রাগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন, চরিত্র ঠিক রাখা কঠিন মজা করা সহজ অর্থাৎ পরিশ্রম বা কঠিন কাজের পুরস্কার সটকাট কাজের তিরস্কার কারণ তারা নিজেদের চালাক মনে করেন ।
চালাক মানেই শয়তানী আর বুদ্ধিমান ব্যক্তি মানে সৎ মানুষ । মানুষ বুদ্ধিমান প্রানী আমাদের বুদ্ধিকে জাগ্রত রাখতেই হবে, আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ ,বুদ্ধিমান করে সৃষ্টি করেছেন শ্রেষ্ঠ পথেই থাকতে হবে । সম্মান, মর্যাদা,শান্তির জন্য পরিশ্রম,কষ্ট করতেই হবে ।
সহজ সরল পথেই থাকতে হবে সময় লাগুক, কষ্ট হোক । পৃথিবীটাই পরিশ্রমের ও পরীক্ষার স্থান চালাকির পথ কোন ভাবেই গ্রহন করা যাবেনা।
আমাদেরকে বুদ্ধিমান হতেই হবে, ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে । তার জন্য প্রয়োজন গভীর জীবন বোধ, গভীর ভাবনা ,আমরা যতই গভীর ভাবনায় যাবো তত সত্য সুন্দরকে উপলব্ধি করতে পারবো ।
আমরা যতটুকু পড়ি তারচেয়ে বেশী ভাবি । আইনস্টাইনকে জিগ্যেস করা হয়েছিলো ‘আপনার মাথায় না জানি কত জ্ঞানবুদ্ধি ব্রেন আছে , তিনি বলেছিলেন, আমার মাথায় কিছুই নাই শুধু আমি ভাবি জানার চেষ্টা করি ( বুঝার আগ্রহ আছে)’-- ।
আমাদের সবার মনে দুই জন মানুষ এর বসবাস।একটা ভালো একটা খারাপ।এবার আপনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোনটা হবে।ব্যাবসায় তখনি সফলতা আসবে যখন আপনি একজন ভালো মানুষ হতে পারবেন।
উদ্যোক্তা হতে হলে অনেক গুলো স্কিল এর বেপারে জানতে হবে।যা আমি স্যার এর দশম ব্যাচ এর থেকে শিখতে পেরেছি। ইংরেজি এ বাংলা সুন্দর করে বলেতে ও লিখতে পারা। এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে IELTS কোর্স সম্পর্কে ধারণা লাভ। ব্লক বাটিক শিখা, IT টেকনোলজি সম্পর্কে আরো দক্ষতা কি করে বৃদ্ধি করতে হয়,কি করে পার্টনার নির্বাচন করতে হবে,কি করে বিক্রয় বৃদ্ধি করতে হবে । সব কিছু। এতো কিছু লিখে শেষ করা যাবে না।বৃষ্টি সবার জন্য আসে কেউ ভেজে কে না।
এর মানে হলো আপনার সফলতা নির্ভর করে আপনার উপর।যদি আপনি কর্মঠ হন তা হলে আপনাকে আর কেউ হারাতে পারবে না।
কম সময়ে এতো কিছু শেখাতে কেউ পারবে না।তা ও বিনা পয়সায়।অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আমার যে পরিবর্তন এসেছে তা হলো গুছিয়ে সব কাজ কি করে করতে হবে, কাজকে প্রেমিকের মতো ভালবাসতে হবে।সাহস করে বুক ফুলিয়ে বাঁচতে হবে।সবার প্রতি আমি সত্যি খুব কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে স্যার এ প্রতিটি কথা যখন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে আসছে তখন আমি সত্যি খুব ইমোশনাল হয়ে যাই।মন থেকে দোয়া আসে প্রিয় স্যার এর জন্য।
পরিশেষে বলতে চাই এই প্লাটফর্ম হাজার বছর বেঁচে থাকুক। অনেক নতুন প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সবাই পাক। স্যার এর কথায় শেষ করতে চাই। সাহস করুন, শুরু করুন লেগে থাকুন।
সবার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা ।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৮৪
২০-০৭-২০২০
আদিবা রেহান লোপা।
ব্যাচ -দশম
রেজিস্ট্রেশন-২০২৬৮
জেলা -ঢাকা
জোন -গুলশান।