অনেক ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন ছিলো গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার। এই প্রত্যয় নিয়ে অভাবের সংসার
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম
✅সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরণ করছি প্রিয় প্লাটফর্ম এর প্রতিষ্ঠিতা জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারকে।
#আমাদের_গ্রুপ_এর_নাম_অনুসারে_আজ_আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম
#নিজের_একটি_ছোট্ট_গল্প_নিয়ে_..
জীবনের শুরু থেকে যতটুকু মনে আছে সেখান থেকেই শুরু করলাম আজকের লেখা গল্পটা।
🌅সালটা ২০০৭ তখন আমার বয়স ৫ পরিবারের আর্থিক সমস্যার জন্য আব্বু পাড়ি জমালো নারায়নগঞ্জ(ঢাকা) সেখানে চলে গেলাম আমরা ৪সদস্যের পরিবারের মধ্যে ৩জন। বড় ভাইয়া প্রতিবন্ধী হওয়াতে মামাদের বাসায় ছিলো। আমাদের ৩সদস্যের মধ্যে উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি একজনই ছিল আর সেটা আমার আব্বু। এভাবে গেলো কয়েকমাস। তারপর ঢাকার আবহাওয়া আমার এবং আমার আম্মুর সাথে চলতেই চাইছিলো না, মানে আমি এবং আমার আম্মু প্রচুর পরিমাণে অসুস্থ হয়ে যায় যেটা কোনো উপায়ে সেরে উঠছিলো না। ঢাকাতে ৩ সদস্যের পরিবারে একজন দিন মজুর বাবার এর টাকায় চলাটা আমাদের পক্ষে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিলো। অনেক ধার-দেনার মধ্যে পার হচ্ছিল আমাদের জীবন। তারপর আব্বু সিদ্ধান্ত নেয় আমরা সবাই আবার আমাদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাবো। কিন্তু বাড়ি ওয়ালা আমাদের কাছে টাকা পেত। আর তখন আমাদের কাছে গাড়ি ভাড়া ছাড়া কিছুই ছিলো না। তখনকার একটা ঘটনা মনে পড়লে এখনও চোখ থেকে অজান্তেই পানি গড়িয়ে পড়ে।
🌟আমার আম্মু এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ছিলো যেটার বাজার মূল্য অনেক হলেও বাড়ি ওয়ালা সেটা মাত্র ২হাজার টাকাতে নিতে চাইছিলো। পাওনা টাকা শোধ করার জন্য আম্মু কান্না করতে-করতে সেটা নিজের কান থেকে খুলে তার কাছে রেখে আসে। সেদিন এর ঘটনাটি এখনও মনকে কাঁদায়।
✅তারপর আমার মামাতো ভাই কিভাবে যেন আমাদের বিষয়টি জানতে পারে এবং আমাদের কাউকে না জানিয়ে ঢাকাতে চলে আসে এবং আম্মুর দুল গুলো ব্যাক নিয়ে বাড়ি ওয়ালার টাকাটা শোধ করে দেয় এবং আমাদেরকে সেখান থেকে নিজেই গাড়ি ভাড়া দিয়ে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে।
🌟এভাবে যায় আমাদের আরও কিছুদিন। আমার বয়স তখন ৬বছর আম্মু আমাকে নিয়ে গেলো প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমার ভাইয়া প্রতিবন্ধী ছিল সে পড়ালেখা পারতে না এজন্য স্কুলের হেড মাস্টার আমাকে ভর্তি নিতে চাইলো না। আমার তখন পড়াশোনা করার জন্য মন চাইছিল। ভর্তি না নেওয়াতে আমি প্রচুর কান্না করেছিলাম। আব্বু বাসায় আসলো এবং আমাকে নিয়ে আবারও প্রাইমারী স্কুলে গেলো ভর্তি করানোর জন্য। কিন্তু হেড মাস্টার আবারও না করে দেয়। আব্বু রাগে আমাকে পাশের গ্রামের স্কুল এ ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছিলো ওই সময় ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক আমাকে হাত ধরে নিয়ে তার নিজ দ্বায়িত্বে হেড মাস্টারকে বলে ভর্তি করিয়ে দেয়। আমার স্পষ্ট মনে আছে হেড মাস্টার বলেছিলো একে দিয়ে হবে না ওর ভাইও তো পড়ালেখা পারে না।
🔆প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হলাম আমার ভর্তি রোল হলো ৫। আমরা মোট ছাত্র-ছাত্রী ছিলাম ৪০জন এর বেশি। কেটে গেলো একটি বছর প্রথম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা দিলাম এবং ফল প্রকাশ হলো আমি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উৎতীর্ণ হলাম আমার রোল হলো ০২। নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছিলো এমন ফলাফল পেয়ে। তারপর পড়াশোনার দিনগুলো মোটামুটি ভালোই যাচ্ছিলো। তৃতীয় শ্রেণীতে ৪, চতুর্থ শ্রেণিতে ৫, এবং ৫ম শ্রেণীতে ৬ হলো আামার রোল। আশানুরূপ তেমন ভালো করতে পারিনি তবে এক বছরও গ্যাপ যায়নি আমার। সমাপনী পরীক্ষা হলো আমিও ভালোভাবে পরিক্ষা দিলাম তবে দুঃখের বিষয় আমাদের বিদ্যালয় থেকে একজনও তেমন ভালো রেজাল্ট করতে পারিনি সর্বোচ্চ ৪.০০। আমার রেজাল্ট হলো ৩.৫৮ তারপরও কি করার সেটাই গ্রহণ করে এবার গেলাম গ্রাম থেকে ৩কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ পড়ার উদ্দেশ্যে। তারপরের দিন গুলোও মোটামুটি ভালো ছিলো। ৬ষ্ট শ্রেণীতে রেজাল্ট এর উপর নির্ভর করে আামর রোল হলো ২৯ এভাবে ভালোই কাটলো মাধ্যমিক এর প্রথম বছর। ৭ম শ্রেণীতে উৎতীর্ণ হলাম মোটামুটি ভালো একটা ফল অর্জন করলাম ১৫০ এর বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যেও আমি ১৮তম হলাম। চলতে থাকলাম সামনের দিকে। অষ্টম শ্রেণিতে একটু খারাপ হলো ফল ১৮থেকে ২২এ চলো গেলাম। আমি গণিত এ মোটামুটি ভালো ছিলাম। অষ্টম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় দেখা হলো এক প্রিয় স্যার এর সাথে। তার কছ থেকে শিখতে শুরু করলাম অষ্টম শ্রেণির গণিত। মোটামুটি গণিত বইয়ের এমন কোনো অধ্যায় বাকি ছিলো না যেটা আমি পারতাম না। তবে বলে রাখি আমি বীজগণিত এ পটু ছিলাম। তারপর আসলো ২০১৫তে জে.এস.সি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) পরিক্ষা দিলাম আশানুরূপ ফল পেলাম না। রেজাল্ট হলো জি.পি.এ ৪.৬০৷ এটা নিয়েই খুশি থাকলাম। রেজাল্ট এট উপর ভিত্তি করে নবম শ্রেণিতে রোল হলো ৩৪ এগোতে থাকলাম সামনের দিকে হাটি-হাটি, পা-পা করে পৌছে গেলাম দশম শ্রেণীতে রোল নং হলো ২৮ শিক্ষার্থী তখনও ছিলাম আমরা ১২৯ জনের মতো। তারপর এর মাঝে একটু সমস্যা হলো তারপরও সমস্যা কাটিয়ে উঠে দিলাম ২০১৮তে এস.এস.সি পরিক্ষা। ওহ বলে রাখি আমি মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিলাম। এবারও রেজাল্ট ভালো করতে পারলাম না। রেজাল্ট হলো জি.পি.এ ৩.৩৯।
🌟দিনগুলো ভালোই কাটছিলো। হঠাৎ আব্বুর পরিচিত এক ভাই আব্বুকে বলে লটারির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার কথা। সেখানে পার করে দিই এক গুরুত্বপূর্ণ সময় কিন্তু কোনো লাভ হয় না। সময় গুলোকে অযথা নষ্ট করে ফেলি। তারপর ওইযে একটা কথা আছে #আমি নষ্ট করেছি সময়, আর এখন সময় নষ্ট করছে আমায়। তেমন হয়ে গেল জীবন। ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়াশোনা হলো না একটুও। পড়াশোনাতে গেলাম পিছিয়ে। এরপর ২০১৮ ডিসেম্বর ২২ তারিখের দিকে গেলাম ঢাকাতে একটা জব এর জন্য কিন্তু তারা ট্রেনিং এর জন্য টাকা চাইলো যেটা আমার পরিবারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হলো না। চলে আসলাম সেখান থেকে। আবার কলেজ গেলাম নিয়মিত। ক্লাস করলাম কিন্তু তারপরও পড়াশোনাতে তেমন একটা মন বসছিলো না। কি করবো কিছুই বুঝতো পারছিলাম না।
#এবার আসলো আরেক সময় বসয় হলো #সৈনিক এ আবেদন করার ২২শে এপ্রিল ২০১৯ সৈনিক এর একটা মাঠ ছিলো মনে আশা নিয়ে মাঠে গেলাম। উপর ওয়ালার কী নির্মম পরিহাস সেখান থেকে বলা হলো আমার হাত ব্যাকা এটা বলে বাদ দিয়ে দিলো আবারও স্বপ্ন ভেঙে গেল। উচ্চতাতে আমি ঠিকই ছিলাম ৫'৮" কিন্ত ওরা বলেছে হাত বাঁকা এটা কিভাবে ঠিক করবো। এভাবে ভাবতে ভাবতে দিনগুলো ভালো কাটছিলো না। কারণ তখন নেশায় পড়ে গেছিলাম কিছু একটা করতে হবে৷ তারপর আবার আবেদন করলাম #সৈনিক এ মাঠে গেলাম আবার বাদ পড়লাম। এবার বললো বুকের হাড় উঁচু কি করবো কিছুই বুঝতেছিলাম না। আর বলে রাখি আমার পরিবারিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে এত অল্প বসয়ে কিছু করার নেশাটা লেগে গেছিলো। এবার ছুটো চললাম সুদূর থলঢাকা শহরে সেখানে এক ভাইয়া আছে যে কাজ করে সোয়েটার কোম্পানিতে সেখানে সে একটা ছোট জব এর ব্যবস্থা করে দিলো বেতন ৮৪২০ টাকা। এটা দিয়ে ঢাকার বুকে থাকা খাওয়া ছাড়া যেন আর কিছুই হচ্ছিলো না। ভাবলাম এখান থেকেই কিছু একটা করবো।
#আমার অনেক ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন ছিলো গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার। এই প্রত্যয় নিয়ে অভাবের সংসার থেকে আব্বুর কাছে স্বপ্নের কথা বললাম আব্বু ২২০০০টাকা পাঠালো ল্যাপটপ এর জন্য। ঢাকাতে থেকে সেখান থেকে পরিচয় হলো #ঢাকা কম্পিউটার টেকনোলজির এক ভাইয়ের সাথে বাসা যশোর। তার হাত ধরেই ধানমন্ডি থেকে কিনলাম একটা রিকোভারি ল্যাপটপ। ASUS Core i3 3rd gen. টিউটোরিয়াল দেখে কাজ শিখতাম রাত্রে আর সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অফিস করতাম। এভাবে অল্প কিছু শিখলাম। হঠাৎ আবার স্বপ্ন ভাঙনের আভাস। কোম্পানিতে কাজ নেই নতুনদের ৩মাসের ছুটি দিয়ে দিবে। অনেক বড় একটা শক খাইলাম তারপরও আশা ছাড়লাম না। চাকরি থেকে চলে এলাম বাড়ি। গ্রামে নেটওয়ার্ক এর সমস্যা টিউটোরিয়াল থেকে কিছু শিখবো সেটার ও সুযোগ কম। হঠাৎ ফেইসবুক এ দেখলাম একটা ফ্রি সেমিনার #গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর।
#স্থানঃ শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক যশোর এর একটি আইটি #যশোর আইটি তে৷ আবেদন করলাম এবং চলে গেলাম সেমিনারে। সেখানে মনে হলো আমি যদি কোর্স করতে পারি তাহলে হইতো ডিজাইনার হওয়া সম্ভব। বাড়িতে ব্যাক আসলাম আব্বুরে বললাম। তাদের কোর্স ফি ছিল ১৫,০০০টাকা। ওরা একটা পরিক্ষা নিলো এবং সেখান থেকে আমাট জন্য ৫০০০টাকা ডিসকাউন্ট হলো। আব্বুকে বললাম মাজার বিষয় কী এই এত বড় অভাবের সংসার দিন আনা এবং দিন খাওয়া তাও আব্বু আমার স্বপ্নের দিনে তাকিয়ে রাজি হয়ে গেল। #তবে সামনে আসলো আরেকটা সমস্যা একবারে এত টাকা দিতে পারবো না। ৪০০০টাকা নিয়ে আর আব্বুকে নিয়ে গেলাম যশোর এ এবং তাদের সবকিছু বলার পর তারা বললো টাকা গুলো আমি ৩কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবো। যাক একটা সুখবর পেলাম। তবে সামনে হাজির হলো আরেক বড় সমস্যা সেটা হলো আমার বাসা থেকে যশোর ৫১ কিলোমিটার তাদের ক্লাস মোট ৪৫টা সপ্তাহে ৩দিন। আশা যাওয়া লাগবে প্রতিদিন ৩০০টাকা স্বপ্ন টা মনে এবারই ভেঙে যাবে।
#আব্বু বললো টেনশন করিস না আমি তে আছি। আব্বুর কথায় সাহস পেলাম এবং ক্লাস করতে শুরু করলাম। যেদিন ক্লাস থাকতো যেতাম সকাল১১টার দিকে এবং ক্লাস করে বাসায় ফিরে আসতাম রাত ১০টার দিকে। পড়াশোনা করা হত না ঠিক মত। কলেজও করা হত না ঠিক মতো। এভাবে দীর্ঘ ৪৫দিন ৫১কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শেষ করলাম আমার স্বপ্নের কোর্সটি। তারপর বাড়িতে বসে প্যাকটিস করতাম এবং অনলাইনে কাজের জন্য চেষ্টা করতে লাগলাম। গ্রামে থাকার ফলে অনলাইনে ভালো কিছু করার সুযোগ পেলাম না। অনেকের কাছে আমার কাজ সম্পর্কে জানালাম বললাম যদি তারা একটা ব্যবস্থতা করে দেয় তাহলে অনেক উপকৃত হতাম।
#এরই মাঝে চলে এলো মহামারী করোনা। সবাই বললো করোনাতে তারা কিছু করে দিতে পারবে না। আবার পড়লাম এক টেনশন এ।
#কারণ আমাদের পরিবার এর সদস্য সংখ্যা ৪জন। আমি, আর আমার বড় ভাই #প্রতিবন্ধী মা এবং বাবা। বাবার একার উপার্জন এ চলাটা অনেক কষ্টের হয়ে যাচ্ছিলো এটা ভেবে কিছু একটা করতে চাইছিলাম আমি।
এভাবেই কাটছিলো দিন গুলো হঠাৎ এই প্লাটফর্ম এর খবর দেয় Anamika Pervin আপু। সে আমাকে যুক্ত করে দেয় বলে যুক্ত হও হইতো কিছু একটা করতে পারবা৷ তারপর পরিচয় করিয়ে দেয় আল মাহমুদ ভাইয়ের সাথে। সে আমার বিষয়ে আমার থেকে সবকিছু জানে এবং বলে তার কাজিন এই বিষয়ে কাজ করে তাকে বলে রাখবে যদি সে কিছু করতে পারে। হঠাৎ এই প্লাটফর্ম এর পরিচিত মুখ @আল মাহমুদ ভাইয়ের কাজিন Symum Salehin ভাইয়া আমাকে ম্যাসেজ করে এবং বলো #আল_মাহমুদ ভাইয়া তাকে বলেছে আমি বললাম জি ভাইয়া আমি #গ্রাফিকক্স এর কাজ পারি। তারপর কিছুটা পাল্টাতে শুরু করলো দিন #সালোহিন ভাইয়ার সাথে তার @iTent এ কাজ করার সুযোগ পেলাম।
#এই প্লাটফর্ম থেকে কিছু একটা পেয়েছি আরো এগিয়ে যেতে চাই দোয়া প্রার্থী।
🎯জীবনের সংগ্রামটা অনেক ছোট থাকতে কিছুটা বুঝেছি। আমার রেজাল্ট একটু খারাপ তারপরও আমি চাই, আমি আমার নিজের যোগ্যতাতে কিছু একটা করতে। আলরেডি স্বপ্ন দেখেছি লেগে আছি। দোয়া করবেন যাতে সফলতাও পাই।
💠ধন্যবাদ জানায় মা-বাবা কে আমাকে তাদের সংগ্রামময় জীবন থেকেও এত বড় করে তোলার জন্য।
দোয়া রাখবেন আমার আম্মু আব্বুর জন্য।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৮৬
২২-০৭-২০২০
🚹মোঃ শাকিল আহমেদ
🎗ব্যাচঃ দশম
✒রেজি নংঃ ১৯৪১৭
💉ব্লাডঃ O(+ve)
🇧🇩জেলাঃ ঝিনাইদহ
🇧🇩উপজেলাঃ মহেশপুর
🚶পেশাঃ ছাত্র (গ্রাফিক্স ডিজািনার iTent)
👫দূরে থেকেও কাছে, চলি একসাথে ঝিনাইদহ👫