নিজের নামে বাড়ি শান্তি নিকেতন 😌😌আর বাড়িওয়ালার ভাড়া বাড়ি অশান্তির🤯 ভুবন
পৃথিবী যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন,
ঠিক তখনই আলোর সন্ধানে আমরা। আর সেই আলোর সন্ধানে, সন্ধানী আমি।
একমাত্র সাক্ষী...........।
নিজের নামে বাড়ি শান্তি নিকেতন 😌😌আর বাড়িওয়ালার ভাড়া বাড়ি অশান্তির🤯 ভুবন
🍁১০০ টাকা থেকে হাজার টাকা ভাড়া 🍁
স্বাধীনতার সময় আমার বাবার বয়স মাত্র দু'মাস। বাবাকে কোলে করে নিয়ে আমার ঠাকুরমা দাদু ঢাকায় চলে আসে ছিলো, ঢাকায় চলে আসার একটি উদ্দেশ্য ছিল যে সুখী থাকা। গ্রাম অঞ্চলের যতটা উপার্জন হতো তাদের হয়তো সংসার চলতো সুখে থাকা যেত না কিন্তু ঢাকার চাকচিক্য মধ্যে অনেক ভালো থাকা যায়,এটাতো সবাই ভাবে ঢাকায় আসে ওনারাও তাই ভেবে ছিলো। তারা সেই জন্যে চলে আসে ছিল ঢাকায়। ঢাকায় এসে। তাদের কর্মজীবন শুরু করে এবং ওই উপরে লেখা ১০০ টাকা ভাড়া কথা বলেছি এ টা উনাদের থেকে শুরু হয়ে ছিলো- ১০০টাকায় ভাড়া ঢাকা শহর ভাবা যায়😱।
তখনকার সময় এই ১০০ টাকাই আমার ঠাকুমা দাদুর কাছে ১ হাজার টাকার সমান ছিলো।৬ জন সদস্যের একটা পরিবার ২মেয়ে ২ ছেলে ও ঠাকুমা দাদু মিলে। দাদু রাজমিস্ত্রী কাজ করতো সেই সময় এবং যত টাকা ইনকাম করতো তার শত ভাগই সংসারে খরচ করতেন।দাদুর ছেলে মেয়ে বয়স যখন ১৭,১৮ তারা নতুন কাজে যুক্ত হলো গৌইরা(মাটির ছোটো পাএ) তৈরি কাজ করা শুরু করেছিলো।
মাসে হাজার তিনেক টাকা ইনকাম আর তা দিয়ে পরিবার চালানো।দাদু সংসার ভালো সুখে শান্তিতেই ছিলো কারণ বর্তমান যুগের মতো বাসা ভাড়া ও ছিলো না আর ছেলে মেয়ে মানুষ করার জন্য তাদের স্কুল খরচ জন্যে লাখ টাকা লাগতো না। আজকের দিনের মত দামী পোশাক লাগতো না অল্পতেই খুশি ছিলো সব ছেলে মেয়েরা। তাদের জীবন তাদের সাধারণ জীবনে ছিল অসাধারণ সুখের ভুবন।
এখন থাক দাদু ঠাকুমার ভাড়ার গল্প কারণ তখন কার সময় ছেলে মেয়ের পড়া শুনা তাদের চাহিদার মিটাতে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয় নি। তাদের আমি মন থেকে অনেক ভালোবাসি যে সাহস করে ছেলে মেয়ে নিয়ে ঢাকায় চলে এসে ছিলো এ ফলে আজ আমি আপনাদের সাথে আছি আর ভাবুনতো যদি ঠাকুমা দাদু ঢাকায় না আসতো আমার কি হয়তো, গ্রামেই বাস করতাম শহর জীবন দেখাই হতো না। আমার দাদু ঠাকুমা কে অসংখ্য ধন্যবাদ ও অনেক
ভালোবাসা যে তারা গ্রামের সুখ রেখে নিজ উদ্যোগে ঢাকায় চলে আসে ছিলো।
এতক্ষন উপরে যার গল্প বলাম সে আমার বাবার বাবা হন এখন আমার বাবার বাবা ভাড়া নিয়ে কিছু বলি ===👇
বাবা বিয়ে করে ১৯৯৫ সালে,বাবা কর্মজীবন হিসেবে দর্জি কাজ বেছে নিয়ে ছিলো, আমার বাবা বিয়ে করে মা কে নিয়ে দাদু ঠাকুমা থেকে আলাদা হয়ে গেলো কারণ হলো দাদু ঠাকুমা যে বাড়ি তে থাকতেন আর কোনো থাকার মত ঘর ছিলো না, একটা কথা বলা হয় নি বাবা যখন আমার মা কে বিয়ে ঘরে নিয়ে আসে বাবার তখন মাসিক বেতন হাজার দু এক ছিলো তখন যে বাসায় থাকতো বাসা ভাড়া থাকতো ভাড়া ৬০০টাকা ছিলো তার কয়েক বছর পর ভাড়া ১৫০০ টাকা হলো বাবা র মাসিক আয় ছয় হাজার টাকা কাছাকাছি।
বাড়িওয়ালা নিজের টাকাই বাড়ি করেছে সব অধিকার আছে বাড়ির উপর-- আমরা ভাটিয়া ছিলাম তো কোনো স্বাধীনতাই ছিলো না কোন রুমে কয়টা ছবি লাগানো যাবে, দেওয়ালে একটা প্যরাক লাগাবো সে টাও বাড়ির মালিক থেকে ২ দিন আগেই অনুমতি নিতে হয়তো আজ ও সেই একই নিয়ম চলছে যদিও বাড়ির মালিক ও বাড়ি পরিবর্তন হয়েছে তাতেও কোনো নিয়মে পরিবর্তন ঘটে নি। বাড়ির ছাদে কিংবা বাড়ির চারপাশে কোনো গাছ লাগনো যাবেন না কারণ গাছের টপে নাকি জল জমবে মশা বাড়বে, মশার জন্ম হবে,তাতে নাকি বাড়ির সবার ডেঙ্গু হবে অথচ নিজের বাড়ির চারপাশে যত কাজ আছে ছাদে যত গাছ আছে তার হাতে লাগানো যখন নিচে এই কাজ গুলো তখন বলতো আমার বাড়ি আমার মনের মত হবে,যা মন চাইবে তাই করবো আর যখন ভাড়াটিয়াদের সময় আসবে তখনই হাজার নিয়মের বড় একটা বড় দলিল হাতে ধরিয়ে দিতো।
২০০৮ সালে আমার বাবার গুলশানে কারখানায় চাকরি হয় বাবার চাকরী সূত্রেই শ্যামলি চলে আসি আমরা তখন বাসা ভাড়া ২০০০ টাকা বাবার ইনকাম ও ভালো ছিলো মোটামুটি। অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকা কি যে অশান্তি,যারা ঢাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকে সে ভালো করেন জানে দিন রাতে খাই বা না খাই মাস শেষ হলে বাসা ভাড়ার টাকা ঠিক হিসাব মতো দিতে হবে। শ্যামলীর যে বাড়িতে ভাড়া থাকতাম সেই বাড়ির মালিক অনেক বড় গাছ প্রেমিক ছিলেন, সুন্দর সুন্দর গাছ লাগাতো এবং ফলের গাছ ছিল অনেক চালাক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন যে ছাদের ফল চুরি হবার ভয়ে সেই মহান বাড়িওয়ালা ছাদের গেইট সব সময় লক্ষ্য রাখতেন, ছাদে কোনো ছোট বাচ্চাদের যেতে দেওয়া হতো না কারণ বাচ্চারা নাকি গাছ থেকে সব ফল খেয়ে নিবে, সে জন্যেই ছাদের গেইট সব সময় বন্ধ থাকতেন। তিন বোনের মধ্যে আমি শান্ত মেঝাজের মেয়ে ছিলাম কিন্তুু এক দিক থেকে ডানপিটে মেয়ে ছিলাম একদিন খুব খোপ হলো কি রে বাড়িওয়ালা কি শুরু করলো ছাঁদে যাবো তারো সুযোগ নেই মনের অনেক ক্ষোপ মনে মনে বুদ্ধি হলো আর নিজের সাথে কথা বল ছিলাম আজ আকাশে কালো মেঘ, শুধু একবার ছাদের গেইট টা যদি খোলা পাই আজই কাজ টা শেষ করবো আমার সে দিন ভাগ্য টা ভালো ছিলো বাড়িওয়ালা বাড়িতে ছিলো আমি চুপ করে ছাঁদে গেলাম দেখি গাছে পাঁকা কামরাঙ্গা ফল ধরছে, দেখতে লোভ লোভ সামলাতে পারলাম না, আমি গাছ থেকে ২থেকে ৩ টা ফল পেড়ে ছাদে বসে খেলাম আবার চুপচাপ ছাদ থেকে নেমে নিজের রুমে চলে আসি। সে দিন বিকালে ছাদ থেকে বাড়ি মালিক চিৎকার শুনতে পারছিলাম আমি জানি কেনো এই মহান বাড়ির মালিক কেনো এত রেগে আছে। আমার মার কাছে এসে বল আমার ছাদের ফল কই আমার মা বলে কি জানিন আপা আমি কি ভাবে বলবো আজ তো দুপুরে অনেক ঝর বৃষ্টি হয়েছিলো মনে হয় বাতাসে সব ফল গাছ থেকে পড়ে গেছে।আমি দু জনের মধ্যকার কপথোকথন চুপ করে মায়ের পাশে দাড়িয়ে ছিলাম সব টা শুনছিলাম। পড়ে নিজের রুমে ঠুকে এই দুষ্ট কাজে কথা মনে করে একাই পাগলের মতো হাসলাম অনেক সময় ধরে। যখন আমাদের বাসা মধ্যবাড্ডাই নিলাম মাস শেষে দশ হাজার মত টাকা বাড়িওয়ালা কে দেওয়া শুরু হলো। সব চাইতে কষ্ট কথা হলো এই দুর্যোগপূর্ণ করোনাই সময়ও আমাদের বাড়ির মালিক একমাসে জন্যও এক টাকাও কমাই নি,এই করোনাই আমার চাকরী থাকে যে অর্ধেক বেতন আসতো আর বাবার ইনকাম বন্ধ হয়ে ছিলো, বাবার মজার কিছু টাকা দিয়ে ৩মাসের ভড়া দিয়ে যাচ্ছি, গত মাসের এই ঘর ভাড়ার চিন্তাই বাসার সবার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছিলো মায়ের শরীর টা খারাপ হতে লাগলো কারণ করণার মধ্যে বাড়ি মালিক বললো আপনারা অন্য জায়গায় বাসা খুঁজ করেন আমার বাড়িতে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবো এই বাড়ি টা স্কুল ভবন হবে মনে কষ্টে একটাই কথা বার বার করা নাড় ছিলো বাহ বাহ ঢাকায় বড় বড় দালানের মালিক বছরের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েও নিজেদের পেট ভরাতে পারে না আর অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজছে আজ যদি নিজেদের গ্রামের একটা বাড়ি বা ছোটো একটা ঘর ও থাকতো এই বিপদের সব কিছু গুছিয়ে বাড়ি চলে যেতাম।
গ্রামের বাড়িতে ঘর তোলার মতো জমি আছে এখন সেই সময় টাও নাই যে ঘর তুলবো। ঈশ্বর এমন পরীক্ষা মধ্যে ফেলেছে যে কোনো পথ রাখে নাই মানুষ এখন নিজের জীবন বাঁচাবে সেই প্রার্থনা করছে। ভাড়া বাসায় পরিবর্তন ঘটে বছর বছর তেমনি কাল ৩১ তারিখ সকাল কাজ শুরু বাসা পরিবর্তনের আজ বিকালেই অর্ধেক কাজ করে এসেছি কাল এই বাসা ছাড়ে চলে যাবো যেতে হবে কত সুখ দুঃখের ঘটনা ঘটেছে কত স্মৃতি কথা এই বাড়ি সাথে জড়িয়ে আছে মনে ভিতরে কষ্ট হচ্ছে কিন্তুু কাউ কে বলতে পারছি না
আমার মা
অতি দুঃখে একটা কথা বলে ঈশর কে বলে এই বড় পৃথিবীতে কত জায়গায় তার মধ্যে আমাদের কপালে একটুরো জমি বা বাড়ি নেই,বছরের পর বছর শুধু টাকা নিয়ে বাসা ভাড়া দিয়ে ঢাকায় থাবো এ টা আমার মার অভিমান থেকে বলে আমি তখন মা কে এই বলে বুঝাই এমন একদিন আসবে আমাদেরও নামে জায়গা হবে এই জমিতে আমরা ছোট বাড়ি তুলবো আমাদের স্বপ্নের শান্তি নিকেতনের বাড়ি তৈরি করবো, সেই শান্তি নিকেতনে আমাদের ইচ্ছে মতো বাড়ির চার পাশে অনেক গাছ লাগাবো , নিজেদের মতো বাড়ির ছাদে বিকালে ঘুরতে যাবো, এগুলো আমারও পরিবারের ইচ্ছ সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস আছে, ইচ্ছা পূরণ হবে আর এ এমন দিন আসবে আর ভাড়া বাসায় থাকতে হবে না। আমি নিজের যে উদ্যোগে বাবা মা কে এই ভাড়ার অশান্তি থেকে মুক্তি দিতে পারবো এই
স্বপ্ন দেখি। আর নিজের স্বপ্ন পূরনের জন্য মনে সাহস পেয়ে ছিলাম আমাদের নয়নের মনি প্রাণের খনি প্রিয় স্যারের জনাব Iqbal bahar zahid স্যারের একটি কথা সব সময় আমাদের বলেন যে
স্বপ্ন দেখুন
সাহস করুন
শুরু করুন
লেগে থাকুন
সফল্য আসবেই
স্বপ্ন দেখছি সাহস করে নিজের কাজ শুরু
করেছি কাজ কে সব থেকে ভালোবেসে আপন করে নিয়েছি কাজের সাথে লেগে আছি আমারও সাফল্য আসবেই এটা আমি মন থেকে বিশ্বাস করি। সময় টা এখন শুধু ধৈর্য্যের ধরার , আমি এই প্লাটফর্মে আসার পর অনেক কিছু শিখেছি বেশি অনুপ্রেরণা যুগায় স্যারের সেশন গুলো কথায়। প্রতি দিন নতুন নতুন গুন নিজের মাঝে যুক্ত করছি আমি যদি এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত না হতাম, হয়তো স্বপ্ন দেখে যেতাম পূরণ করার শিক্ষা লাভ করতেন পারতাম না। স্যার কে শত কোটি প্রনাম আমাদের জন্যে এত সুন্দর একটি প্লাটফর্মে তৈরি হয়েছে। স্যার আমাদের কাছে সব সময় সুপারমেন সব সমস্যাের সমাধানের শিক্ষা গুরু। আমি আমার এই শিক্ষা গুরু কে যত দেখছি ততেই তার জন্যে ভালোবাসা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ❤with-Iqbal Bahar Zahid
সবাই ভালো থাকবেন মাবাবা কে অনেক ভালোবাসবেন, আমাকে আশীর্বাদ করবেন আমার লক্ষে যেনো আমি পৌঁছাতে পারি।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৯২
১০-০৮-২০২০
ধন্যবাদ,
💁 নন্দিতা বাড়ৈই
🌺গুলশান জোন, ঢাকা
💐 কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
🌹ব্যাচঃ১০তম
,🌹রেজিষ্ট্রেশন নংঃ২১৮৫৭
🌹 রক্তের গ্রুপঃএ+